অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
মঙ্গলবার সকাল থেকেই আরামবাগ, শ্রীরামপুর ও হুগলি গণনা কেন্দ্রের কাছে সিপিএম, বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী, সমর্থকরা ভিড় করতে শুরু করেন। গণনা কেন্দ্রের মধ্যে ছিল টানটান উত্তেজনা। শ্রীরামপুরের জয়ের ব্যবধান লক্ষাধিক হলেও হুগলি ও আরামবাগ লোকসভার ক্ষেত্রে জয় ছিনিয়ে আনতে বেগ পেতে হয়েছে তৃণমূলকে। বিভিন্ন জায়গায় ভোট পরবর্তী বিশ্লেষণে বারে বারে দেখানো হয়েছে, আরামবাগ লোকসভায় জয়লাভ করছে বিজেপি। তবে তাকে গুরুত্ব না দিয়ে এই কেন্দ্রে জয় নিশ্চিত বলে জানিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের চন্দ্রকোনা, তারকেশ্বর ও হরিপালের তৃণমূল কর্মীরা প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলেন, এই বিধানসভা কেন্দ্রগুলি থেকে জিতবে তৃণমূল।
অন্যদিকে গণনায় তৃণমূল পিছিয়ে পড়ে খানাকুল, গোঘাট, পুড়শুড়া ও আরামবাগ এলাকায়। গণনার মাঝে দেখা যায়, তৃণমূল প্রার্থী প্রায় ৩০ হাজারের কাছাকাছি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থীর তুলনায়। কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে মাত্র ১০ হাজারের মতো ভোটে পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী। আরামবাগের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার আগেই শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের জাঙ্গিপাড়া বিধানসভা ও হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের ধনেখালি বিধানসভা কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা হয়ে যায়। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে সবুজ আবিরে রঙিন হয়ে ওঠে চারিদিক।
কয়েক রাউন্ড গণনার পরে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান দেখে বিজেপি ও সিপিএম সমর্থকরা শিবির ছাড়েন। আরামবাগে অবশ্য বিজেপি কর্মীদের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত দেখা গিয়েছে। জয়ের পর শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও মানুষের আশীর্বাদ এই জয় এনে দিয়েছে বলে জানান। কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি তিনি। অন্যদিকে, আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহরায় জানান, আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের জয় খুব একটা সহজ ছিল না। চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি বিধায়ক রয়েছেন। কর্মীদের পরিশ্রমের প্রতি আমাদের বিশ্বাস ছিল। মানুষ দু’হাত তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের প্রার্থী, পিছিয়ে পড়া ঘরের মেয়ে মিতালি বাগকে আশীর্বাদ করেছে। জেলার তিন লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়ের পতাকা উড়েছে। রাত পর্যন্ত চলে মিষ্টিমুখ। তৃণমূল কর্মীদের উচ্ছ্বাসের আবিরে সবুজ হয়ে ওঠে হুগলি জেলা।