অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
নির্বাচনের কমিশনের তথ্য বলছে, কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূল ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ২৩১ ভোটে জয়ী হয়েছে। ২০১৯-এর নির্বাচনে এই কেন্দ্রেই মালা জিতেছিলেন ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ১০২ ভোটে। অর্থাৎ, জয়ের ব্যবধান বেড়েছে ৩২ হাজার ১২৯। অন্যদিকে, কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ১ লক্ষ ২৭ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এবার তিনি ৯২ হাজার ৫৬০ ভোটে জয়ী হয়েছেন। এই ব্যবধান ৩৪ হাজার ৪৪০ কম। তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা এনিয়ে মোট ছ’বার সাংসদ হলেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, কলকাতা দক্ষিণে এবার জয়ের ব্যবধান বৃদ্ধির লক্ষ্যেই ভোট-প্রচারে নেমেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। প্রত্যাশিত ফলাফলই পেয়েছে তারা। কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে জয় এলেও মার্জিন যে কমবে, তা ঘরোয়া আলোচনায় স্বীকার করে নিয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলার থেকে শুরু করে উত্তর কলকাতার তৃণমূলের পোড় খাওয়া ভোট ম্যানেজাররা। শেষ কবে লোকসভা নির্বাচনের ময়দানে এই কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, তা মনে করতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, সুদীপের বিরুদ্ধে ‘দলবদলু’ তাপস রায়কে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল বিজেপি। কয়েক মাস আগেও যিনি ছিলেন তৃণমূলের ‘ঘরের লোক’, তিনিই এবার উত্তর কলকাতায় জোড়াফুলের প্রতিপক্ষ হয়ে অবতীর্ণ হন। ফলে সেয়ানে সেয়ানে টক্করের সম্ভাবনা ছিলই। উত্তর কলকাতার এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘আমাদের জয় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু, যেটা আশঙ্কা ছিল, সেটাই ঘটেছে। লিড এক ধাক্কায় অনেকটা কমেছে। তাপস রায় ঘরশত্রু বিভীষণ হয়ে অনেকটা ভোট কেটেছেন। তাছাড়া, আমাদের দলের মধ্যেও একাধিক সিনিয়র নেতা, কিছু কাউন্সিলারের ভূমিকা সন্তোষজনক ছিল না। তাই মার্জিন যে কমবে, তা জানাই ছিল।’