অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন ব্রাবোর্ন রোড, বড়বাজার, পোস্তা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, শিয়ালদহ, শ্যামবাজার, বেলেঘাটা থেকে শুরু করে দক্ষিণের গড়িয়াহাট, বেহালা—সব জায়গাতেই ছিল কমবেশি এক চেহারা। বেলার দিকে কিছু কিছু জায়গায় তৃণমূল সমর্থকদের আবির খেলা আর উল্লাসের ছবি দেখা গিয়েছে। কিন্তু বেলা যত গড়িয়েছে, পাল্লা দিয়ে কমেছে পথঘাটে নিত্যযাত্রী ও সাধারণ মানুষের আনাগোনা। শিয়ালদহ রুটের একটি বেসরকারি বাসের কন্ডাকটর মহম্মদ হাজির বললেন, ‘সকাল থেকে বাস চালাচ্ছি। কিন্তু লোক কোথায়! সপ্তাহের মাঝে এমনটা হবে, আগে বুঝতে পারিনি। শিয়ালদহ ঢুকছি, দেখুন, গাড়িতে মাত্র তিনজন লোক। মানুষ ভয়ে রাস্তায় বেরয়নি।’ শিয়ালদহ স্টেশন সংলগ্ন একটি চারাগাছের দোকানের মালিক সমীর দাসের কথায়, ‘সকাল থেকে দোকান খুলে বসে আছি। দুপুর ১টা বেজে গেল। আজ এখনও ১০০ টাকারও বেচাকেনা হয়নি।’ বসিরহাট থেকে কলকাতায় ব্যক্তিগত কাজে এসেছিলেন রাজীব সর্দার। তাঁর অভিজ্ঞতা, ‘আমি এই প্রথম গণনার দিনে এত ফাঁকা শুনশান কলকাতা দেখলাম। আমার মনে হয়, এক্সিট পোল দেখে মানুষ একটু ঘাবড়ে গিয়ে ভেবেছে যে খুব গোলমাল হবে। সেই জন্য কেউ বেরয়নি।’ হাতিবাগান, শিয়ালদহ সহ বেশ কিছু ব্যস্ততম ক্রসিংয়ে কয়েকজন ট্রাফিক পুলিসকে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে দেখা গেল। তাঁদের মধ্যে একজন রীতিমতো বিস্ময়ের সঙ্গে বলছিলেন, ‘কোথাও কোনও গোলমাল নেই। তাও এত কম লোক কেন, কে জানে!’ লালবাজারের এক পুলিস আধিকারিকের কথায়, ‘মানুষের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। তাও কেন লোক এত কম মঙ্গলবার, তা বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন। একটা কথা বলতে পারি, কলকাতার সঙ্গে বাইরের রাজ্যের তুলনা করলে চলবে না। এখানে আইনশৃঙ্খলা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা অন্যান্য শহরের তুলনায় অনেক ভালো। এটা মাথায় রাখলেই সব ভয় কেটে যায়।’