অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
নারী নির্যাতন নিয়ে প্রথম অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্র। অভিযোগ ওঠে, শাহজাহানের বাহিনী রাতে ডেকে নিয়ে গিয়ে মহিলাদের যৌননিগ্রহ করতেন। এরপর রেখা সন্দেশখালি থানায় গণধর্ষণের অভিযোগও জানান। কিন্তু স্টিং অপারেশনের ভিডিও সামনে আসতেই, ভুল ভাঙে বাসিন্দাদের। তাঁরা বুঝে যান, গোটাটাই বিজেপির ‘সাজানো চিত্রনাট্য’। ভুয়ো অভিযোগ জানানোর জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়েছে মহিলাদের। এরপরই রণে ভঙ্গ দেন স্থানীয় নারীদেরই একটা বড় অংশ। তাঁরা বুঝে যান, তাঁদের ভুল পথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভোটের একমাস আগে থেকেই শাসক দলের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন তাঁরা। রেখা পাত্রের থেকে দূরত্ব বৃদ্ধি শুরু হয় তাঁদের। ভেঙে যায় আন্দোলন। তৃণমূলের সভা-সমাবেশে মহিলাদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। স্বভাবতই স্বস্তি পায় শাসক শিবির।
মঙ্গলবার ভোটের ফল বেরনোর পরই পাত্রপাড়ায় মহিলারা আবির খেলেন। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মিছিলেও শামিল হয়েছেন তাঁরা। এমনকী, রেখার বাড়ির এলাকাতেও সবুজ আবিরে মেতে উঠেছেন তাঁরা। রেখার বাড়ির সামনে দিয়ে দুপুর থেকেই গিয়েছে তৃণমূলের মিছিল। সন্দেশখালির ২ ব্লকের সমস্ত গ্রামেই তৃণমূলের জয়ের পর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের উৎসাহ দেখে শাসক দলের ব্যাখ্যা, তাঁদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। জেলিয়াখালি, তুষখালি, বেড়মজুর ১ ও ২-তে আন্দোলনে অংশ নেওয়া মহিলা বাহিনী তৃণমূলের জয়ে আনন্দে মেতেছেন দুপুর থেকেই। এদিকে হালে পানি না পেয়ে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, ভোটের ফল বেরতেই সন্দেশখালির আজগরা, রামপুর ভাটিদহসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস শুরু করেছে তৃণমূল। মারধর করে তাদের তিন-চারজন কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে বিভিন্ন গ্রামে হুমকি দেওয়া। ভয়ে অনেকেই গ্রাম ছাড়তে শুরু করেছেন। পুলিসে জানিয়েও কোও লাভ হচ্ছে না। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, ভোটে হেরে গিয়েই বিজেপি এই সমস্ত মিথ্যা অভিযোগ আনছে।