অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
২০১৯ সালে হুগলি থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রায় ৭৩ হাজার ভোটে জয়ী হন। এই লোকসভা আসনের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে চন্দননগর ও ধনেখালি ছাড়া, সর্বত্র তিনি লিড পেয়েছিলেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মোদিঘনিষ্ঠ সেই প্রার্থীকে অরাজনৈতিক রচনা প্রায় ৭৫ হাজার ভোটে হারিয়ে দিলেন! মঙ্গলবার দিনভর গণনা কেন্দ্রমুখো হননি লকেট। কারণ প্রথম থেকেই লিড নিতে শুরু করেছিলেন রচনা। হয়তো ভেবেছিলেন পরে তাঁর লিড হবে, তখন আসবেন তিনি। কিন্তু সে সুযোগ আর হয়নি তাঁর। সন্ধ্যায় কার্যত জনহীন দলীয় অফিসে বসেছিলেন পদ্মপার্টির গুরুত্বপূর্ণ মুখ।
হার নিয়ে তাঁর জবাব, ‘এখন ভালো লাগছে না। পরে কথা বলব।’
মুখের হাসি প্রথম দিনও যেমন ছিল এদিন জয়ের পরেও তেমনই ছিল রচনার। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ করা হুগলির জয়ী তারকা বলেন, ‘দিদি ও অভিষেককে ধন্যবাদ। হুগলির মানুষকে ধন্যবাদ, তাঁরা তাঁদের কাজের জন্য আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আমি মানুষের পাশে থাকব।’
প্রথম দিন জেলায় এসেই রচনা সিঙ্গুরে ধোঁয়া (কারখানা) দেখেছিলেন। তা নিয়ে ট্রোলও হতে হয় তাঁকে। এদিন চওড়া হাসি নিয়ে রচনা বলেন, ‘আজ বিরোধীরা নিশ্চয় চোখে ধোঁয়া দেখছেন!’
কিন্তু কোন রসায়নে ভোল বদল হুগলির? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পছন্দ করেছিলেন নারীদের নিয়ে টিভি শো করে জনপ্রিয় হওয়া রচনাকে। প্রার্থী করেছিলেন দলের একাধিক গোষ্ঠীপতিদের চোরাদ্বন্দ্বে জেরবার হুগলিতে। তাতেই ম্যাজিক হয়েছিল। আর এটাকে স্থায়ীরূপ দিতে মাঠে নেমেছিলেন অভিষেক। দলের গোষ্ঠীপতি ও নেতাদের কার্যত হুমকি দিয়েছিলেন, ‘লোকসভার ফল খারাপ হলে রেয়াত করা হবে না।’ তাতেই সাত বিধানসভা কেন্দ্রের গোষ্ঠীপতিদের ঘুম উড়েছিল। অন্যদিকে, তারকার ইমেজ ঝেড়ে ফেলে দলের নেতাদের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে গিয়েছে রচনা। রোদে পুড়ে, জলে ভিজে মাটি কামড়েই পড়ে ছিলেন তিনি। তারই পরিণাম দিনের বিপুল সাফল্য।