অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
তাৎপর্যপূর্ণভাবে হুগলি ও শ্রীরামপুরে বামেরা তাদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে পারেনি। সেই নিরিখে তৃণমূলের জয় আরও মাত্রা বহন করছে। কারণ, বামেদের ভোট রামে যাওয়ার পরেও তা তৃণমূলের জন্য সমস্যা তৈরি করেনি। বলা যায়, নিজেদের ভোট বাড়িয়েই তৃণমূল হুগলি জেলা জয় করেছে। ভোট কাটাকাটির অঙ্কের ভরসা করতে হয়নি তাদের। তিনটি আসনেই বামেরা তৃতীয় হয়েছে আর বিজেপি পেয়েছে দ্বিতীয় স্থান।
হুগলি আসন হারানো সহ জেলার তিনটি আসনেই দলের পরাজয় নিয়ে এদিন পরাজয়ের পর গেরুয়া শিবিরের সব নেতাই মুখ লুকোতে ব্যস্ত। দলের রাজ্যনেতা স্বপন পাল সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, জনাদেশ আমরা মাথা পেতে নিচ্ছি। ভোটের ফল দলীয়স্তরে পর্যালোচনা করা হবে। তৃণমূলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান অসীমা পাত্র বলেন, মমতা-অভিষেকের কুশলী নেতৃত্ব, নিবিড় উন্নয়ন আর মানুষের পাশে প্রতিদিন থাকার সুফল আমরা পেয়েছি। হুগলির মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছেন, যারা ভেদাভেদ সৃষ্টি করে, উন্নয়নের গতিরোধ করে, ভাঁওতার রাজনীতি করে, গঙ্গাপাড়ের পুণ্য জনপদে তাদের জায়গা নেই। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, সমস্ত স্তরে দলের ফলাফল নিয়ে চর্চা করা হবে।
হুগলি জেলায় লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ার পর থেকেই বড় চর্চার জায়গা হয়েছিল হুগলি লোকসভা তৃণমূল উদ্ধার করতে পারবে কী না। সপাটে সেই চ্যালেঞ্জের জবাব দিয়েছে তৃণমূল। সেইসঙ্গে আরামবাগ ও শ্রীরামপুরও কব্জায় রেখে নিজেদের করেছে অবিসংবাদিত। বলা যায়, জয় হয়েছে তৃণমূলের ‘ভরসা’র, ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির ‘আশা’র।