অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
এদিন সকালেই গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করেন বিজেপি প্রার্থী। প্রবেশের সময়েই তাঁকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান শুনতে হয়। সারাটা দিন গণনাকেন্দ্রে কাটিয়ে সন্ধ্যায় বেরন তিনি। দুপুরের পর থেকে গণনাকেন্দ্র থেকে তৃণমূলের কাউন্টিং এজেন্টরা ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে দিতে বেরচ্ছিলেন। এই নির্বাচনে সায়নীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৭ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৯৯। শংসাপত্র নিতে তিনি আসেন সন্ধ্যায়। সায়নী বলেন, ‘এই জয় মোদির বিরুদ্ধে জনাদেশের জয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, যাদবপুরবাসী, দেশবাসীর জয়। জয় মাকে উত্সর্গ করছি। এই ভোট বিজেপিকে বিতাড়নের জন্য। আজ ৮১ দিনের লড়াই শেষ হল। মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করব। ভাঙড়ে মার্জিন বেড়েছে। ২০২১ সালে পিছিয়ে ছিলাম। বিজেপি এক্সিট পোল দিয়ে ভয় দেখাতে চেয়েছিল।’
গতবছর এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী পেয়েছিলেন ৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ৪৭২টি ভোট। গণনার মাঝেই বিজয়গড়ে উপস্থিত হন বারুইপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে যাদবপুরের লুডোর বোর্ডে সেই তৃতীয়ই থেকে গেলে সিপিএম। তরুণ প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যকে টিকিট দিয়ে প্রায় ৫ শতাংশ ভোট কমে গেল লাল পার্টির। প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করে আইএসএফ ৫ শতাংশেরও বেশি ভোট পেল। গণনাকেন্দ্র থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বে পার্টি অফিসেই ছিলেন সৃজন। তাঁর অভিযোগ, উন্মত্ত জনতা তাঁদের ওই পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে কর্মীদের থেকে টিটকারিও শুনতে হল বাম কর্মী-নেতাদের। সৃজন পুলিসকে গিয়ে সেসব জানাচ্ছিলেন। মাঝেমধ্যে গণনাকেন্দ্রেও আসছিলেন। সৃজন বললেন, ‘এটা আমাদের রাজনৈতিক পরাজয়। আমি মানুষের রায় গ্রহণ করছি। আপাতত যা বোঝা যাচ্ছে, গোটা দেশ ও রাজ্যে বিজেপির প্যাঁচে পড়েছে। বিজেপি কমছে মানে দাঙ্গাবাজির পরিসর কমছে। অর্থাত্ আগামী দিনে দ্রব্যমূল্য, চাকরির কথা বাড়বে।’ একেবারে শেষবেলায় গণনাকেন্দ্র থেকে বের হন অনির্বাণ। তিনি বলেন, ‘জয়ী প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানালাম। সিপিএমের এজেন্ডা ছিল বিজেপির ভোট কাটা। সেটা তৃণমূলকে উপহার দিয়েছে ওরা।’
অনির্বাণের এই বক্তব্যের ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে ‘যাদবপুরের নয়নমণি জিতবে এবার সায়নী’। সায়নী জিতলেন। যাদবপুরের রাস্তা, আকাশ সবই আজ সবুজ।