অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
এদিন গণনা কেন্দ্রের ভিতরের ফল জানতে সবার চোখ টিভির পর্দায় অথবা স্মার্ট ফোনের দিকে। ফোনে চোখ এঁটে হাঁটতে দেখা গিয়েছে বহু মানুষকে। দোকানে, পাড়ায়, রাস্তার মোড়ে, বাস, মেট্রোর ভিতরেও একই চিত্র। কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে সবার নজর সেদিকে। এক্সিট পোল অক্সিজেন দিয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিজয় উল্লাসের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। দোকানে দেওয়া ছিল লাড্ডুর বরাত। কিন্তু গণনা শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকেই মুখভার গেরুয়া কর্মীদের। অন্যদিকে তৃণমূল কর্মীদের মুখে হাসির ঝলক। বেলা ১২টার পর সল্টলেক, নিউটাউন, রাজারহাটে একজনও বিজেপি কর্মীর দেখা মিলল না। অন্যদিকে সবুজ আবির নিয়ে রাস্তায় নামলেন তৃণমূল কর্মীরা।
এদিন দুপুরে সেক্টর ফাইভে বিজেপির রাজ্য অফিসের সামনে গিয়ে দেখা গেল, একেবারে শুনশান পরিবেশ। অদ্ভুত নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। শোকের আবহাওয়া গ্রাস করেছে গোটা অফিসকে। ভিতরে গুটিকয় নেতা-কর্মী। বাইরে দূরে ফোন নিয়ে দাঁড়িয়ে কয়েকজন। মুখভার করে তাঁরা ফলাফলের খবর দেখছেন। কার্যালয়ের সামনের চায়ের দোকানটি অন্যান্য দিন ভিড়ে গমগম করে, এদিন সেখানে একজনও নেই। দোকানটাই বন্ধ। দুই বিজেপি কর্মীকে বলতে শোনা গেল, ‘সব শেষ। চল এবার বাড়ি ফিরি। আর কিছু করার নেই’। স্মার্টফোন পকেটে ভরে রওনা দিলেন তাঁরা। এক নেতা কার্যালয় থেকে বেরিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘সামনের চায়ের দোকানটা আজ বন্ধ’? মুখ কাঁচুমাচু করে অন্য এক কর্মী বললেন, ‘হ্যাঁ, দাদা। কিছু দরকার?’ ওই নেতা বললেন, ‘না থাক। ধূমপান করলে ভালো হতো। টেনশনে অন্য আর কী খাব বল?’