কাজকর্ম ও উচ্চশিক্ষায় দিনটি শুভ। ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আয় বাড়বে। ... বিশদ
পুরসভার জঞ্জাল সাফাই এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রাজ্য সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের সঙ্গে ‘টাই-আপ’ করাও হয়ে গিয়েছে। পুরসভার কাছ থেকে এই ই-বর্জ্য তারা সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে। পুরসভার ওই বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, এই ধরনের বাতিল ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম অন্যান্য জঞ্জালের সঙ্গেই চলে আসছে। এগুলির মধ্যে এমন কিছু অংশ বা উপাদান রয়েছে যা অন্যান্য জঞ্জালের সঙ্গে মিশে মাটি কিংবা বাতাসে দূষণ ছড়ায়। তাই এগুলিকে আলাদা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আপাতত কয়েকটি ওয়ার্ড দিয়ে এই পরিষেবা চালু হবে। সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন ওই ওয়ার্ডের কোনও পার্ক কিংবা মাঠে ক্যাম্প করা হবে। যা নিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে আগে থেকেই ব্যানার-পোস্টার দিয়ে কিংবা মাইকে প্রচার চালানো হবে। পাশাপাশি স্থানীয় কাউন্সিলাররাও এলাকাবাসীদের এ বিষয়টি জানিয়ে দেবেন। পুরসভার ওই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘ই-বর্জ্য সম্পর্কে মানুষের ধারণা কম। তাই পাড়ায় পাড়ায় শিবির করে এ নিয়ে নাগরিক-সচেতনতা তৈরি করা হবে। সেখানে ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য সংগ্রহ হবে।’ পুরসভা জানিয়েছে, বিদেশে এই ধরনের ব্যবস্থা চালু আছে। সেখানেও সপ্তাহে কিংবা পনেরো দিন অন্তর নির্দিষ্ট জায়গায় থেকে ই-বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। এ কাজে সাফল্য আসার পর ভবিষ্যতে সব ওয়ার্ডেই ধাপে ধাপে এই শিবির হবে। পরিস্থিতি বুঝে ওয়ার্ডভিত্তিক সাপ্তাহিক কিংবা পনেরো দিন অন্তর শিবির হবে। পুরসভার এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, আমরা নগদে কোনও লেনদেন করব না। অনলাইনে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কিংবা ইউপিআই লেনদেনের মাধ্যমে টাকা পেয়ে যাবেন বিক্রেতারা। রাজ্য সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তর বিভিন্ন ধরনের ই-বর্জ্যের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট দাম ঠিক করেছে। সরকার নির্ধারিত সেই দামেই এই বর্জ্য কিনবে পুরসভা। নিয়ম অনুযায়ী, যে সব সংস্থা ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম তৈরি করে তারা নতুন উৎপাদনের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করে। আমাদের থেকে এই জঞ্জাল সংগ্রহের পর রাজ্য সরকার সেগুলি বিভিন্ন কোম্পানিকে বিক্রি করবে। বর্তমান যুগে কোনও ধরনের জঞ্জাল ফেলে দেওয়ার নয়। সেখান থেকেও অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।