কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
গুগল-এ খুঁজলে এলাকা সংক্রান্ত সব কিছু তথ্য পাওয়া গেলেও টালা ব্রিজ নিয়ে কিছুই আসছে না। শুধু টালা বা হেমন্ত সেতু লেখা ফুটে উঠছে। বিস্তারিত তথ্য উধাও। ব্রিজ সংক্রান্ত একাধিক বাক্য লিখে ‘সার্চ’ করলেও কোনও তথ্যই ভেসে উঠছে না কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের স্ক্রিনে। উল্টে বিগত কয়েক মাসে এই ব্রিজ নতুন করে গড়ে তোলার খবর মিলছে। রয়েছে নতুন সেতুর সম্ভাব্য নকশাও। যা অবাক করার মতো। তাহলে কি পুরনো সেতু নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বলেই ‘উইকি’ থেকে মুছে গেল তার ইতিহাস, নাকি সন্তর্পণে মুছে দেওয়া হল। কে বা কারা করল, কেনই বা এমনটা হল, উত্তর অধরা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট ব্রিজ আচমকা ভেঙে পড়ার পর সরকারি মহলে শোরগোল পড়ে যায়। শহর কলকাতা তথা রাজ্যের বিভিন্ন বড়-মাঝারি-ছোট সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উঠে আসে টালা ব্রিজের খারাপ অবস্থার কথা। সমীক্ষা করে রাইটস। পাশাপাশি, দেশের নামকরা স্থপতি, ব্রিজ বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়নাকে সেতুর হাল খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৯ সালে পুজোর সময় ভি কে রায়নার নেতৃত্বে সেতুর পর্যবেক্ষণ চলে। রিপোর্টে উঠে আসে করুণ অবস্থার কথা। ভিতরে ভিতরে কার্যত ক্ষয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় তড়িঘড়ি সেটা ভেঙে নতুন চার লেনের সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই ব্রিজের কোনও নকশা পাওয়া যাচ্ছিল না। তখনই শুরু হয় উইকিপিডিয়া খুঁজে দেখা। জানা যায়, প্রায় ৭৫ বছর আগে তৈরি হয়েছিল এটি। পরে বামফ্রন্ট জামানায় নাম বদলে হেমন্ত সেতু করা হয়।
কেটে গিয়েছে প্রায় চার মাসেরও বেশি সময়। সরকারি সূত্র বলছে, মেরেকেটে বাকি আর দিন দশেক। তার মধ্যেই ভাঙা সম্পূর্ণ হবে। যার সঙ্গে চিরতরে স্মৃতি হয়ে যাবে উত্তর কলকাতার সঙ্গে উত্তর শহরতলির সংযোগ স্থাপনের এই মাধ্যম, টালা ব্রিজ।
কিন্তু তাই বলে উইকিপিডিয়াতে কেন পাওয়া যাবে না তার ইতিহাস? যেখানে কিছুদিন আগেও টালা ব্রিজ সংক্রান্ত সব তথ্য মিলত, সেখানে হঠাৎ করে কেন উবে গেল। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গুগল কর্তৃপক্ষের কাছে এনিয়ে ই-মেল করলেও কোনও উত্তর মেলেনি। সরকারি মহল থেকেও প্রতিক্রিয়া অমিল। এক পুর-আধিকারিকের কথায়, উইকিপিডিয়ায় টালা ব্রিজ সংক্রান্ত তথ্য কেন নেই, তা বলা সম্ভব নয়। তবে সরকারি তরফে সেই তথ্য মুছে দেওয়ার কোনও কারণ নেই। তাহলে কি পুরনো ভেঙে নতুন ব্রিজ তৈরি হচ্ছে, সেই কারণেই ‘আপাতত’ ব্রিজ সংক্রান্ত তথ্য রাখেনি উইকিপিডিয়া? নতুন ব্রিজ তৈরি হলে ফের কি থাকবে তার ইতিহাস, এনিয়ে নানা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে বিভিন্ন মহলে।