শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমডাঙার বেশ কয়েকটি এলাকায় পেটো বোমা কুটির শিল্পের মতো তৈরি হয়। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। পেটো বোমা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই তৈরির অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু, গুলি তৈরির অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ নতুন’। বেশকিছু কারিগর বাইরে থেকে গুলি তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তারাই গুলির খোলের জন্য পিতলের পাত, বারুদ, সিসা প্রভৃতি কাঁচামাল কিনে আনে। তারপর মেশিন দিয়ে গুলি বানানো হয়। ওয়ানসটার, নাইন এমএম, সেভেন এমএম পিস্তলের গুলি তৈরি করে কারিগররা। তারপর বরাত মতো সরবরাহও করে। এক পুলিস অফিসার বলেন, গত আগস্ট মাসে একজন গুলি তৈরির কারবারিকে গ্রেপ্তার করার পরই প্রথম জানা যায় আমডাঙায় গুলি তৈরি হয়। তার আগে কারও কাছে এই তথ্য ছিল না।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলি তৈরির পাশাপাশি বুলেট প্রুফ জ্যাকেটের বদলে এখানে লোহার ঢাল তৈরিরও কারিগর আছে। দুই ফুট বাই তিন ফুট লোহার ঢাল থেকে পাঁচ ফুট বাই ১৫ ফুট পর্যন্ত ঢাল তৈরি করা হয়। মাস সাতেক আগে পুলিস আমডাঙা থেকে এই ধরনের ঢাল উদ্ধারের পাশাপাশি তৈরির কারিগরদেরকেও গ্রেপ্তার করেছিল। তবে, গুলি তৈরির বিষয়টি নিয়ে পুলিসও অবাক। এক পুলিস অফিসার বলেন, বোমা কিংবা ঢাল তৈরি সহজ। কিন্তু, গুলি তৈরি করা খুবই জটিল। অনেক নিয়ম ও পদ্ধতি মেনে করতে হয়। তাই গুলি তৈরির তথ্য সামনে আসতেই সকলেই অবাক হয়েছিলেন। ওই ব্যাপারে নজরদারিও চলছে। ভোটের সময় নতুন করে কেউ গুলি তৈরি করছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গুলি তৈরি কারবারিদের নজরদারি প্রসঙ্গে বারাসত পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার বি সি ঠাকুর বলেন, আমডাঙার যেগুলি সন্ত্রস্ত এলাকা যেখানে আমরা ভোটের আগে টানা তল্লাশি চালাচ্ছি। ইতিমধ্যেই প্রচুর বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিস নিয়মিত টহল দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীও রুটমার্চ করেছে। এখনও পর্যন্ত গুলি তৈরির কোনও ঘটনা সামনে আসেনি। আমরা আমডাঙার উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছি।