বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ

৫৮ শতাংশ স্নাতকই কাজের ‘অযোগ্য’,  মোদি জমানায় শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল সমীক্ষা

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরাট কাটআউট। কোটি কোটি টাকা খরচ করে ‘রোজগার মেলা’ উদযাপন। বছরে দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও মোদি জমানায় রেকর্ড গড়েছে বেকারত্বের হার। স্নাতক হওয়ার পরও মিলছে না পদস্থ বেতনের চাকরি। কারণ, ‘নতুন ভারতে’ দেশের প্রায় ৫৮ শতাংশ স্নাতকই ‘কাজের অযোগ্য’! নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাই তাঁদের নেই! এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করেছে দক্ষতা মূল্যায়ণকারী সংস্থা মারসের-মেটল। 
সম্প্রতি ‘গ্র্যাজুয়েট স্কিল ইনডেক্স ২০২৫’ প্রকাশ করেছে এই সংস্থা। তারা সাফ জানিয়েছে, দেশের স্নাতকদের মধ্যে মাত্র ৪২.৬ শতাংশ চাকরি পাওয়ার যোগ্য। অর্থাৎ ৫৭.৪ শতাংশ ডিগ্রি লাভ করলেও নিয়োগকারী সংস্থার যোগ্যতামান পারই করতে পারছেন না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডেটা অ্যানালিসিসের মতো প্রযুক্তিগত বিষয়ে তাঁরা পিছিয়ে রয়েছেন। পাশাপাশি সৃজনশীলতা, জটিল সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা, জনসংযোগের মতো দক্ষতাও পাতে দেওয়ার যোগ্য নয়। ফলে অধরাই থাকছে নিয়োগের সুযোগ। 
দেশে ‘শিক্ষিত-বেকার’দের নিয়ে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সমীক্ষা হাতিয়ার করে মোদি সরকারকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন এই পরিস্থিতি? তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ছোঁয়ায় অনেকটাই বদলে গিয়েছে শিল্পক্ষেত্র। নিয়োগকর্তার চাহিদাতেও বিরাট বদল এসেছে। তবে প্রযুক্তিগত দক্ষতা কম থাকলেও চাকরি পেতে কিন্তু সমস্যা নেই। সেক্ষেত্রে প্রার্থীর জনসংযোগ, জটিল সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা, সৃজনশীলতাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন নিয়োগকর্তারা। আর দু’টি ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়ছেন স্নাতক চাকরিপ্রার্থীরা। মারসের-মেটলের রাজ্যভিত্তিক তালিকায় দেখা যাচ্ছে, দিল্লি (৫৩.৪ শতাংশ), হিমাচল প্রদেশ (৫১.১ শতাংশ) ও পাঞ্জাব (৫১.১ শতাংশ) থেকে সবচেয়ে বেশি স্নাতক চাকরি পেয়েছেন। আর পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩-২৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আর্থিক ডামাডোলের জেরে তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নিয়োগও কম হয়েছে। তাতেই সমস্যার মুখে পড়েছেন সদ্য স্নাতকরা।
এই পরিস্থিতির জন্য মোদি সরকারের আমলের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় তুলেছে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ‘বেকারত্বের জ্বালায় যুব সম্প্রদায় হতাশ হয়ে পড়ছে। বাধ্য হয়ে লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীকে বিদেশে পাড়ি দিতে হচ্ছে। আর কর্মসংস্থান তৈরির বদলে অন্য দিকে নজর ঘোরাতে ব্যস্ত মোদি সরকার।’ রমেশের প্রশ্ন, ‘কেন শিল্পের প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থায় বদল আনা হচ্ছে না? দক্ষতা বৃদ্ধি ও কারিগরি প্রশিক্ষণকে কবে মূলধারায় যুক্ত করা হবে?’ 
তাহলে বেকারত্বের জাল ছিঁড়ে বেরনোর উপায় কী? বাজার অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত সব মহলই কিন্তু বলছে, শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার। ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় তাত্ত্বিক বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, হাতেকলমের প্রয়োগকে কম। সেই ভাবনা থেকে বেরতে হবে। এছাড়া, কাজের আবহটাই বদলে দিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন। তাই যুব সম্প্রদায়কে সময়োপযোগী হয়ে উঠতে হবে। সেই সঙ্গে জনসংযোগ, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতার বিকাশ, নেতৃত্বদানের মতো ‘সফ্ট স্কিলের’ প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। 
1d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৭ টাকা ১১১.১৪ টাকা
ইউরো ৮৮.৭৮ টাকা ৯২.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা