দেশ

মহারাষ্ট্রে বিজেপি জোটের বড় সাফল্যের নেপথ্যে ত্রিমূর্তি অতুল-ভূপেন্দর-বৈষ্ণব  

মুম্বই: মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি। বিধানসভা ভোটের আগে সেই ফলাফলই কপালে ভাঁজ ফেলেছিল বিজেপির। রাজনীতির কারাবারিরা ধরেই নিয়েছিলেন, এবার মহারাষ্ট্রে শাসক মহাযুতি জোটের ফেরা কঠিন। কিন্তু, সেইসব জল্পনাকে মিথ্য প্রমাণের নেপথ্যে রয়েছে মূলত আরএসএস। খেলা ঘোরাতে সংগঠনের বিশ্বস্ত সৈনিক অতুল লিমিয়াকে ময়দানে নামিয়েছিল তারা। পাশাপাশি, ছিলেন দুই মন্ত্রী ভূপেন্দর সিং ও অশ্বিনী বৈষ্ণবের মতো পোড়খাওয়া ভোট ম্যানেজাররা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ত্রয়ীর হাত ধরেই অসাধ্য সাধন করেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট। 
কিন্তু, কে এই অতুল লিমায়ে? ৫৪ বছরের অতুল বর্তমানে আরএসএসের জেনারেল সেক্রেটারি পদে রয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে শীর্ষ বিজেপি নেতা ও বিভিন্ন বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বায়ক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। কয়েক দশক ধরে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে সংগঠনের কাজ করার সুবাদে রাজ্যের অর্থনীতি, সমাজ ও রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল অতুল। গেরুয়া শিবিরের দুর্বলতাগুলিও ছিল তাঁর নখদর্পণে। লোকসভা নির্বাচনের ভরাডুবির পর বিজেপিকে সাহায্য করতে এমনই এক পোড়খাওয়া সংগঠককে সক্রিয়ভাবে মাঠে নামায় আরএসএস। তিনি বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা নীতিন গাদকারি, উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সহ দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কৌশল সাজিয়েছিলেন। ভোটের মুখে বিজেপির কপালে ভাঁজ ফেলেছিল জারাঙ্গে পাতিলের মারাঠা সংরক্ষণ আন্দোলন। সেই ধাক্কা সামলাতে বিভিন্ন মারাঠা সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন অতুল। আশ্বাস দেন, ওবিসি তালিকাভুক্ত না করেই মারাঠাদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা হবে। প্রয়োজনে এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাওয়ার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। তাতে ওই সব বিক্ষুব্ধ নেতাদের আস্থা ফেরাতে সক্ষম হয় বিজেপি। বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই ছোট ছোট সভা করে তাঁরা হিন্দুত্ব, দেশপ্রেম সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে বিমুখ সমর্থকদের বিজেপিমুখী করতে তৎপর হয়ে ওঠে সঙ্ঘ। তাতে অনুঘটকের কাজ করে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতা ও হিন্দুদের উপর অত্যাচার। পরশি দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার সত্ত্বেও বিরোধী দলগুলির নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। ভোটের ফলেই দেখা যাচ্ছে, হিন্দুত্ববাদী এই প্রচারে লাভ হয়েছে বিজেপির। 
 অন্যদিকে, লোকসভা ফল প্রকাশের পর জুন মাসেই দলের ড্যামেজ কন্ট্রোলে ভূপেন্দর ও অশ্বিনীকে মহারাষ্ট্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিপুল জয়ের নেপথ্যে ছিলেন ভূপেন্দর। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশে গেরুয়া ঝড়ের অন্যতম কাণ্ডারী ছিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাই এই দুই বিশ্বস্ত সৈনিককেই বেছে নেন বিজেপি শীর্ষনেতারা। প্রথম থেকেই একেবারে আড়ালে থেকেই কাজ করছিলেন দুই সেনাপতি। নীচুস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক, নির্বাচনী কৌশল বুঝিয়ে দেওয়া, ফাঁকফোকর মেরামতি করে গিয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে বিরোধীদের বিভিন্ন প্রচারের মোকাবিলা করতেই প্রয়োজনীয় স্ট্যাটেজিও নির্ধারণ করেছিলেন। 
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায়...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৩ টাকা৮৫.২৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.৪৮ টাকা১০৮.২০ টাকা
ইউরো৮৬.৮২ টাকা৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা