উত্তরবঙ্গ

উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চা বাগানে মিশ্র চাষের প্রস্তাব, উদ্যোগী সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: মালদহের আম বাগানের পর মিশ্র চাষ ডুয়ার্সের চা বাগানে। ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ির কিছু চা বাগানে তেজপাতা, সুপারি চাষ শুরু হয়েছে। এতে বছরে বাড়তি আয় প্রায় ১ লক্ষ টাকা। এমন মিশ্র চাষ নিয়ে উদ্যানপালন দপ্তরের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, পরিবেশে দূষণের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ হবে। সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন উদ্যানপালনমন্ত্রী অরূপ রায়। মন্ত্রী বলেন, চা বাগানে বিভিন্ন ধরনের অর্থকারী ফসল চাষের উদ্যোগ নেওয়া হবে। শীঘ্রই এ বিষয়ে প্রশাসনের আধিকারিক ও চা চাষিদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।  বহুদিন আগে মালদহে আম বাগানে শুরু হয়েছে মিশ্র চাষ। সেখানে কোথাও বাগানে মৌমাছি পালন, কোথাও আবার বিভিন্ন ধরনের সব্জি চাষ করা হয়। মুর্শিদাবাদের নওদায় ‘সোনালি তন্তু’ বা পাট খেতে চাষ হচ্ছে সোনা মুগ ডাল। ঠিক সেই পথেই হাঁটছে উত্তরবঙ্গের ছোট চা বাগানের মালিকরা। ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ির কিছু বাগানে তেজপাতা ও সুপারি গাছ লাগানো হয়েছে। ওই ছোট চা চাষিদের মধ্যে বিজয়গোপালবাবু একজন। ইতিমধ্যে তিনি নিজের ৫৫ বিঘা জমির চা বাগানের একাংশে তেজপাতা গাছ লাগিয়েছেন। গত অক্টোবর মাসে সংশ্লিষ্ট বাগান থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকার তেজপাতা বিক্রি করেন। 
সম্প্রতি রাজ্যের মিনি সচিবালয় ‘উত্তকন্যায়’ উদ্যানপালন দপ্তরের একটি কর্মশালায় বিষয়টি নিজেই উত্থাপন করেন বিজয়গোপালবাবু। তিনি জলপাইগুড়ি ক্ষুদ্র চা চষি সমিতির সম্পাদক। তিনি বলেন, চা বাগানে কমলা লেবু সহ যেকোনও ধরনের লেবু গাছ লাগানো যেতে পারে। তা হলে বাগানে হাতির উপদ্রব কমবে। এছাড়া বাগানে নারিকেল মাছ, সুপারি গাছ, ড্রাগনফল সহ বিভিন্ন ধরনের ফল গাছ লাগানো যেতে পারে। এতে বাগানে পাখির সংখ্যা বাড়বে। তা হলে চা গাছে পোকার উপদ্রব কমবে। বাগানের গাঁদা ফুলের গাছও লাগানো যেতে পারে। এতেও পোকার উপদ্রব কমে। 
শুধু তাই নয়, চা বাগানে গাছের সংখ্যা বাড়লে পরিবেশে দূষণের মাত্রাও কমবে বলে বিজয়গোপালবাবুর দাবি। তিনি বলেন, বাগানে বিভিন্ন ধরনের গাছের সংখ্যা বাড়লে দূষণের মাত্রা কমবে। ভবিষ্যতে ‘কার্বন ট্রেডিং’ থেকেও আয়ের রাস্তা খুলে যাবে। এজন্যই চা বাগানে বিকল্প চাষের ব্যাপারে সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব উদ্যানপালনমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছে। 
প্রসঙ্গত, দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও উত্তর দিনাজপুরে ছোট চা বাগানের সংখ্যা ৫০ হাজারের উপরে। প্রায় ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে বাগানগুলি রয়েছে। এরসঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ। জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বলেন, সরকারিভাবে ওই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ছোট বাগানের মালিকদের কাছে বিকল্প আয়ের পথ খুলে যাবে।    
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৬৭ টাকা৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড১০৪.৫৫ টাকা১০৮.২৭ টাকা
ইউরো৮৬.৮৯ টাকা৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
23rd     November,   2024
দিন পঞ্জিকা