শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ
ভক্তিনগর থানা সংলগ্ন ইস্টার্ন বাইপাসের পাশে রয়েছে হিমালয় কন্যা আবাসন। মহালয়া থেকেই আলোর মালায় সেজেছে বিরাট এই সরকারি আবাসন। ‘ফেজ ওয়ানে’ পুজো শুরু হয় নয়ের দশকে। সময়ের ব্যবধানে ‘ফেজ টু’ গড়ে উঠলে সেই ক্যাম্পাসেও পুজো শুরু হয়। সেই থেকে প্রায় দেড় দশকের বেশি সময় ধরে এই আবাসনে জোড়া দুর্গাপুজো হচ্ছে। পাঁচশোর বেশি পরিবার নিয়ে আবাসনে এখন সাজো সাজো রব। নানা রঙের কাপড়ে মণ্ডপ সাজানো হয়েছে। পঞ্চমীতে ঠাকুর এসেছে। ষষ্ঠীতে মায়ের বোধনে অংশ নেন আবাসিকরা। পুজোর চারদিন আবাসনের সকলে খাওয়া-গল্প-আড্ডায় মেতে ওঠেন। ছোটদের জন্য থাকে বসে আঁকো সহ নানা ধরনের প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যায় আবাসনের মহিলারা শঙ্খ ফুঁ, ধুনুচি নাচের মতো নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।
মাটিগাড়ার হিমাঞ্চলবিহার শহরের অন্যতম পুরনো সরকারি আবাসন। ২০০ পরিবার নিয়ে এই পুজোর আয়োজন করেছে হিমাঞ্চলবিহার দুর্গাপুজো কমিটি। কমিটির তরফে তমাল বসু জানান, এবার তাঁদের পুজোর ২০ তম বর্ষ। বাজেট তিন লক্ষ টাকা। পুজোর চারটে দিন ছোটদের নিয়ে বসে আঁকো, ধুনুচি নাচ এবং মহিলাদের জন্য শঙ্খ ফুঁ প্রতিযোগিতা থাকছে।
শহরের আরএক প্রান্তে রয়েছে পি অ্যান্ড টি আবাসন। শক্তিগড় সংগলগ্ন এই আবাসনে গত চার দশকের বেশি সময় ধরে পুজো হয়ে আসছে। এখানে ষষ্ঠীর দুপুর থেকেই কচিকাঁচাদের ভিড়। মণ্ডপের সামনে মোবাইলের গেম খেলতে ব্যস্ত, বিট্টু, রনি ও দীপের মতো কিশোররা জানাল, প্রতিবছরই আমরা পুজোর ক’দিন হইহই করে কাটাই।
এস এফ রোডের পাশে রয়েছে মিলনপল্লি সরকারি আবাসন। সাদা গোলাপি কাপড় দিয়ে সেখানে মণ্ডপ গড়া হয়েছে। লাগানো হয়েছে বড় বড় ঝাড়বাতি। একচালা প্রতিমা। রংবাহারি ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা মণ্ডপ। সেভক রোডের দুই মাইলে পাওয়ার হাউসের আবাসনেও প্রতিবারের মতো এবারও উমার আরাধনায় মেতেছেন আবাসিকরা। এই পুজোও কয়েক দশক পুরনো। একইভাবে শহরের বিভিন্ন বেসরকারি আসবনের আবাসিকরাও দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছেন। সীমিত সাধ্য এবং একাত্মতা নিয়ে পুজোর চারটে দিন হইহই করে কাটবে আবাসিকদের।
(শিলিগুড়ির হিমালয় কন্যা আবাসনের (ফেজ - টু) প্রতিমা। - নিজস্ব চিত্র।)