শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ
বাবা বিখ্যাত মৃৎশিল্পী মোহন বাঁশি রুদ্র পাল। বাংলাদেশের বিক্রমপুরের মৃৎশিল্পী রাখাল পাল, নেপাল পাল, মোহন বাঁশি রুদ্র পালেরা কর্মকুশলতার ছাপ রেখেছেন কলকাতার কুমোরটুলিতে। মৃৎশিল্পে একটি বিশেষ ঘরানা তৈরি করেছেন, যা অচিরেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। রুদ্র পাল বংশের সনাতন সেই ঘরানাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পারিবারিকভাবেই হাতেখড়ি প্রতিমা গড়ায়। বছর দশেক বয়স থেকেই মাটির সঙ্গে সম্পর্ক শুরু। কাজ শেখা। তারপর পড়াশোনা শেষ হতে ধীরে ধীরে নিজেই হাত লাগান প্রতিমা গড়ায়। ১৯৯৮ সালের গোড়াতেই কুমোরটুলির পারিবারিক ব্যবসার জায়গা ছেড়ে স্টুডিও তুলে আনেন খান্না মোড়ের কাছে। তারপর ক্রমশ বাড়ে ব্যস্ততা। ভাস্কর রমেশ পালের পরবর্তীতে কলকাতার কলেজ স্কোয়ার, একডালিয়া এভারগ্রিন, পার্ক সার্কাস সহ একাধিক বড় পুজোর সঙ্গে সমার্থক তাঁর নাম। এমনকী আমহার্স্ট স্ট্রিটের বিখ্যাত কালী পুজোর প্রতিমার গড়ার দায়িত্বও সনাতনী কাঁধে।
বর্তমানে গুরু দত্ত লেনের বড় স্টুডিওতে বসেই কাজ সামলান পদ্মশ্রী শিল্পী। সেই জয়ন্তী আর্ট মিউজিয়ামে বসে সনাতনবাবু জানালেন, ‘আমার গুরুদেব ও বাবা- জ্যাঠাদের আশীর্বাদেই সম্ভব হয়েছে পদ্ম পুরস্কার প্রাপ্তি। প্রতিবার দুর্গা প্রতিমার চোখ আঁকার সময় আমি শুধু তুলি ধরি। বাকিটা মা করিয়ে নেন। আজ যে হাজার হাজার মানুষ প্রতিমা দেখে আনন্দ পাচ্ছেন, তা সম্পূর্ণ ঈশ্বরের কৃপা। প্রতি বছর ডিসেম্বরের শেষ থেকেই সাজ সাজ রব শুরু হয় স্টুডিওয়। বৈশাখ পড়লেই দুর্গা প্রতিমার কাঠামো গড়ার কাজ। আগামী দিনেও এভাবে কাজ করে যেতে চাই।’ পুরস্কার নয়, কর্মেই যে তাঁর বিশ্বাস! -নিজস্ব চিত্র