শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ
ইতিহাস থেকে জানা গিয়েছে, সিংহ পরিবারের আদি বাড়ি রাজস্থানে। বঙ্গে বারো ভুঁইয়ার বিদ্রোহ দমনের জন্য রাজস্থান থেকে এসেছিলেন যোধা বাঈয়ের ভাই বীর যোদ্ধা মান সিং। তিনিই বঙ্গে রাজপুতদের পাকাপাকি থাকার ব্যবস্থা করেন। তাদেরই একটা অংশ মুর্শিদাবাদে কাঁদিতে বসবাস শুরু করেন। সেই বংশেরই ২৪তম পুরুষ লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। তবে তাঁদের দুর্গাপুজোর ইতিহাস আরও চমকপ্রদ। স্বপ্নাদেশ পেয়েই এই পুজোর সূচনা। এই বাড়ির দুর্গাপুজোয় নেই সিংহ। এমনকী নেই অসুরও। মহিষাসুর না থাকায় প্রয়োজন হয় না অস্ত্রের। তাই মা দুর্গা দশ হাতের পরিবর্তে এখানে পূজিত হন দ্বিভূজারূপে। শান্তির বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি সবাইকে অভয় প্রদান করেন। তাই দেবী এখানে অভয়া নামে পরিচিত। সিংহ পরিবারের পাশাপাশি রাজ্যে আর মাত্র দু’টি জায়গায় মা অভয়ার পুজো হয়।
ইতিহাস প্রসঙ্গে অভিজিৎবাবু বলেন প্রথম থেকেই পঞ্চমুন্ডির বেদিতে পুজো করা হতো। যা পারিবারিক পুজোয় দুর্লভ। সেই কারণেই পরবর্তীতে পরিবারের পূর্বপুরুষ নীলকণ্ঠ সিংহ মা দুর্গার স্বপ্নাদেশ পান। দেবী সেই বার্তায় বলেন, আমাকে পঞ্চমুন্ডির বেদিতে রণংদেহি রূপে নয়, বরং শান্তরূপে নিয়ে আয়। অর্থাৎ অসুর নিধন হয়েছে। আমি আর রণচণ্ডী মূর্তিতে থাকতে চাই না। তাই তিনি কৈলাসে যেমন থাকেন, সেভাবে পুজো করার আদেশ দেন। একইভাবে স্বপ্নাদেশ দিয়ে পুরোহিতকে পুজো পদ্ধতি ও মৃৎশিল্পীকে মূর্তির সঠিক রূপ ব্যাখ্যা করেন। এর পরদিন তাঁরা প্রত্যেকে পরিবারের বাকি সদস্যদের সেই স্বপ্নাদেশের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তারপর থেকে দেবীকে শান্ত, অভয়া ও দ্বিভুজা রূপে আরাধনা করা হয়। একচালার মূর্তিতে দেবী একহাতে অভয়দান করেন ও অন্য হাতে পদ্ম নিয়ে থাকেন। মা দুর্গাকে যে রীতিতে পুজো করা হয়, এখানে সেই নিয়মেই পুজো করা হয়। পরিবারের প্রবীণতম সদস্য ছবিরানি সিংহ বলেন, পঞ্চমীর দিন থেকেই বাড়িতে আত্মীয়রা আসতে শুরু করেন। পুজো কাটিয়ে দ্বাদশীর পর তাঁরা ফিরে যান না। কারণ কুলদেবী অভয়ার পুজোর পাশাপাশি একাদশীর দিন কুলদেবতা নারায়ণের পুজো হয়, সেই পুজো এড়িয়ে যাওয়া মানে অঘটন, এমনটাই মনে করেন সিংহ পরিবার। ষষ্ঠীতে বোধনের মাধ্যমে পুজোর সূচনা হয়েছে। - নিজস্ব চিত্র