শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ
নবদ্বীপ স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের চরস্বরূপগঞ্জ জনকল্যাণ সমিতির তত্ত্বাবধানে এবছর এই পুজো ৭৫ বছরে পড়েছে অর্থাৎ এবার প্লাটিয়াম জুবিলি বছর। এবার ‘গাদিরাজু প্যালেস’-এর (ভাইজ্যাগ) অনুকরণে তৈরি হয়েছে এই পুজো মণ্ডপ। বাঁশ, বাটাম, ফোম রংবেরঙের কাপড় এবং ফাইবারের বিভিন্ন পুতুল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পুজো মণ্ডপ। মণ্ডপের মাথায় বসানো হয়েছে ফাইবারের একটি বড় গম্বুজ। প্রায় ৭০ ফুট চওড়া এবং ৯৫ ফুট উচ্চতার এই মণ্ডপ। তারই সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাবেকি একচালা ৩৩ ফুট উচ্চতা ২৪ ফুট চওড়া শোলার সাজে সজ্জিতা দেবী। গ্রামীণ পুজোগুলির মধ্যে জনকল্যাণ সমিতির এই পুজো ঘিরে দর্শকদের অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে।
সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমীর দিনগুলিতে নাড়ু, মোয়া, মুড়কি থেকে শুরু করে পুষ্পান্ন, লুচি, মিষ্টি, মালপোয়া দেবীকে ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয়। যেমন সপ্তমীর দিন নিজেদের হাতের তৈরি চিড়ের নাড়ু, মুড়ির মোয়া, মুরকি মিষ্টি সহ ফলফলাদি ভোগ দেওয়া হয়। অষ্টমীতে পুষ্পান্ন ভোগ দেওয়া হয। পরে সেই ভোগের প্রসাদ এলাকাবাসী এবং পথচারীদের মধ্যে বিলি করা হয়। তবে নবমীতে লুচি, মালপোয়া,আলুর দম বিভিন্ন মিষ্টান্ন দেবীকে ভোগ দেওয়া হয়। পুজো মণ্ডপে ভোগের ঘরে লুচি, আলুর দম তৈরি করা হয়। সেই প্রসাদ দর্শনার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে বিতরণ করা হয়। নবমীতে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে বহু দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে নতুন বস্ত্র বিতরণ করা হয়। দশমীর সকালে নিয়ম মেনে দেবীকে প্রচুর পরিমাণে দই-চিড়ে ভোগ দেওয়া হয়। দশমীর এই দই-চিড়ে মুড়কি মাখা প্রসাদের জন্য প্রতিটি বাড়ির মহিলারা পুজো মণ্ডপে আসেন।
দশমীর বিকেলের দিকে মহিলারা মাকে সিঁদুর দান করতে এসে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। পুজো কমিটির পক্ষ থেকে তাদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। দ্বাদশীতে শোভাযাত্রা সহকারে ভাগীরথীতে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়। পুজো কমিটির সম্পাদক শঙ্কর ঘোষ জানান, এই পুজোর সঙ্গে ২৫ বছর জড়িত। এই পুজোটা আমরা এলাকার সকলকে নিয়ে করি। পুজোর আগে এলাকার সকল জনসাধারণকে নিয়ে সাধারণ সভা করেছিলাম। সেই সভায় উপস্থিত সকলের মতামত নিয়ে পুজো হচ্ছে। এবার বিশাখাপত্তনমের ভাইজ্যাগের এক প্রাসাদের অনুকরণে তৈরি হয়েছে পুজো মণ্ডপ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুদানের টাকা আমরা পেয়েছি। সেই টাকায় দীন দরিদ্র মানুষের মধ্যে নতুন বন্ত্র তুলে দিতে পারব।
পুজো কমিটির সহ সম্পাদক বলরাম দাস জানান, ভাগীরথীর পূর্বপাড়ের উৎসবমুখী রুচিশীল মানুষের সর্বাত্মক সহযোগিতায় চর স্বরূপগঞ্জ বারোয়ারি দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের অকুন্ঠ দানে এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতায় এই শারদ উৎসবে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও মা উমার আগমন যাত্রায় শামিল হয়েছে। পুজো কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় জানান, এই পুজোটা বারোয়ারি হলেও এলাকাবাসীর অংশগ্রহণের পারিবারিক রূপ নিয়েছে। এলাকার মহিলারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই পুজোতে অংশগ্রহণ করেন। ওই সব মহিলারা উপবাস থেকেই পুজোর সমস্ত আয়োজন করেন। এমনকী এই পুজো পরিচালনা করার জন্য মহিলাদের মধ্যে একটা কমিটি করে দেওয়া আছে। কার কী দায়িত্ব ওঁরাই ঠিক করে নেন।