শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ
ইতিহাসের অধ্যায় পেরিয়ে ফেরা যাক আপন ঘরে। অন্দরের অন্তঃস্থলে। বাড়ি ফিরলেই একটা প্রশ্ন ঘুরে ঘুরে ফেরে আজীবন— মায়ের আঁচলের হলুদ গন্ধের কোনও কি বিকল্প আছে? নেই বোধহয়। জিয়া নস্টাল করা এই গন্ধের কাছে পৃথিবীর যে কোনও দামি সুগন্ধিও তুচ্ছ মনে হয়। পুজোর আগে আমাদের সঙ্গে নিয়ে মা যেত মামাবাড়িতে। সেখানে দাওয়ায় বসে আসন বুনত মা। বাড়িতে আসা চিনি বা চালের বস্তার উপরে বাতিল কাপড়ের পাড় ছিড়ে তৈরি করা সুতো দিয়ে। পরে সেই সুতোর জায়গায় ব্যবহার করা হতো উল। সেই সূচিশিল্পকেই দমদম পার্ক যুবকবৃন্দের পুজোয় ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পী তাপস দত্ত। মণ্ডপজুড়ে তৈরি হচ্ছে খড়ের চালাঘর। সেখানে থাকবে মঙ্গলঘট, শঙ্খ, ফল-ফুলের মতো নকশা করা বিভিন্ন ধরনের আসন। যা তৈরি হচ্ছে ভুলে যাওয়া ভাষাফোড়, এলোফোড় ডিজাইন মেনে। আর মায়ের মামাবাড়ি যাওয়ার মতোই বছরে
কয়েকটা দিনের জন্য উমাও ফেরে তার নিজের ভিটেতে। ভীষণভাবে ঘরোয়া উমাকেই মানুষ এখানে দেখতে পাবেন। সন্তান সহ মা দুর্গা যেমন অত্যন্ত ঘরোয়া, তেমনই
অসুরও। দেবীর বাহন সিংহ এখানে রয়েছে বাড়ির পোষ্য বিড়ালের মতো। সব মিলিয়ে কলকাতার বুকে থেকেও এই পুজোজুড়ে পুরোদমে মাটির টান, নাড়ির টান অনুভব করবেন শহরবাসী।
শহরের ব্যাপ্তি ক্রমেই বাড়ছে। তার দাপটে চোখের সামনে থেকে মুছে যাচ্ছে প্রকৃতি। উধাও বনরাজি-জঙ্গল। অথচ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় জঙ্গলের অবদান অনস্বীকার্য। সেকথা মনে করিয়ে দিতেই মাতৃ আরাধনায় ব্রতী হয়েছে লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দ। জঙ্গলের পরিবেশে বাসরত উপজাতিদের আচার-ব্যবহার ও বেঁচে থাকার কথা ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পী সুবল পাল। ভাবনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই মা দুর্গাকে দেওয়া হয়েছে বনদেবীর রূপ। তাঁর হাত ধরেই ফিরবে হারিয়ে যাওয়া প্রকৃতির চিরচেনা রূপ। এই প্রার্থনা নিশ্চয়ই পূরণ করবেন মা। বিশ্বাসে বুক বেধেছে ভক্তকুল।