শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ
এই পুজোর ইতিহাস বহু প্রাচীন। একসময় মা জঙ্গলের মধ্যে ছিলেন। পরে স্বপ্নাদেশে মা’কে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রাচীন মন্দিরের পুজো ঘিরে এলাকার বাসিন্দাদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। বিশেষ করে সন্ধিপুজোর সময় মন্দিরে বসার জায়গা পাওয়া দায় হয়ে ওঠে। অষ্টমীর দিন মায়ের সামনে ১০৮টি প্রদীপ জ্বালানো হয়। দেওয়া হয় ১০৮টি পদ্ম। পরিবারের সদস্যরা বলেন, ২৬০বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে। মা আগে বনের মধ্যে পূজিত হতেন। তখন এটা ছিল নবাবের স্টেট। পরে স্বপ্নাদেশ পেয়ে মা যেখানে পূজিত হতেন সেখানেই প্রতিষ্ঠা করা হয়। মায়ের রূপের কোনও বদল আসেনি। মন্দিরে কোনওদিন বলি প্রথা ছিল না। এখনও বলি দেওয়া হয় না। প্রতিদিন ভোর ৪টের সময় আরতি হয়। নির্দিষ্ট সময়ে আরতি শুরু হয়। মায়ের মাহাত্ম্য অনেক রয়েছে। অনেক সময় মা দুর্যোগ থেকে রক্ষা করেছেন। বর্ষায় বৃষ্টি না হলে মায়ের কাছে প্রার্থনা করা হয়। আবার বৃষ্টি না থামলেও মায়ের কাছে আবেদন করলে কাজ হয়। এমন দৃশ্যর সাক্ষী বহুবার এলাকার বাসিন্দারা থেকেছেন।
পরিবারের সদস্য চৈত্র প্রামাণিক বলেন, মহালয়ার আগেই মায়ের মূর্তি তৈরি হয়ে যায়। নির্দিষ্ট সময় মেনে চোখ আঁকা হয়। প্রাচীন মন্দিরে মায়ের পুজো হয়।
সামনেই আটচালা রয়েছে। সেখানেই বসে এলাকার বাসিন্দারা পুজো দেখেন। অষ্টমী পুজোর সময় শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা মন্দিরে আসেন। সন্ধিপুজোর সময় মন্দিরের ছবিটাই যেন বদলে যায়। শুদ্ধ মন্ত্রোচ্চারণ, ঢাকের আওয়াজ মন্দিরে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। পুজোর নিয়মে কোনও হেরফের হয় না। পঞ্জিকা মতেই মায়ের পুজো শুরু হয়।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, শহরজুড়ে থিমের পুজোর রমরমা। আলোর রোশনাই চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। এসব ছেড়ে প্রামাণিক বাড়ির দুর্গা মন্দিরে হাজির হন অনেকেই। অষ্টমীর দুপুরে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে এক অন্য অনুভূতি পান ভক্তরা।
(বর্ধমানের খাজা আনোয়ার বেড়ের প্রামাণিক বাড়ির দুর্গা প্রতিমা। নিজস্ব চিত্র)