শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ
নয়নী গাঙেড্ডা গ্রামের একটা অংশ ঝাড়খণ্ডের অন্তর্গত। অপরটি বাংলার। যদিও দেখে বোঝার উপায় নেই। গ্রামে সাত হাজার মানুষের মধ্যে মাত্র তিনশো হিন্দু। যাদের সকলেই তফসিলি, দিনমজুর। কোনও জমি জায়গা নেই। তাদের আর পাঁচটা দিনের মতো কাটত পুজোর দিনগুলি। গ্রামে কোনও পুজো না হওয়ায় কচিকাঁচারা মনমরা হয়ে থাকত। এবছর তারা যাতে গ্রামে দুর্গাপুজো করতে পারে সেজন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন গ্রামেরই গোলাবুর রহমান। যিনি গ্রামের তৃণমূল নেতা তথা চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। দেবী দুর্গার আরাধনা করার জন্য নিজের জায়গা দিয়েছেন। শুধু জমি নয়, সর্বতভাবে এগিয়ে এসেছেন গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। সেই জমিতেই এবার প্রথম মণ্ডপ ও মৃন্ময়ী মূর্তি গড়ে পুজো করছেন গ্রামের যুবকরা।
গোলাবুর সাহেব বলেন, এখানে দীর্ঘদিন দুই সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। সম্প্রীতির পরিবেশে সবাই সবার পাশে দাঁড়ায়। এই গ্রামে হিন্দুরা শারদীয়া উৎসবে শামিল হতে পারতেন না। এক জায়গা, দুই অর্থনৈতিক কারণ। বাঙালির শ্রেষ্ট উৎসবে তাঁরাও যাতে আনন্দ করতে পারে সেই কারণেই জমি দেওয়া
হয়েছে। স্থায়ী মন্দির নির্মাণেরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
গ্রামের তুষারকান্তি প্রামাণিক, নারায়ণ প্রামাণিক, নিরঞ্জন মাল, অরূপ মাল বলেন, প্রধান সাহেব ও গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন সহযোগিতা না করলে এই পুজোর আয়োজন করা যেত না। গ্রামে প্রথম পুজো হওয়ায় যাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল, সেই সব মহিলাদের এবার পুজোয় ঠিকানা বাপেরবাড়ি। সেই সঙ্গে গ্রামের জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল গ্রামবাসী শারদ উৎসবে শামিল হয়েছেন।
তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটাই পশ্চিমবাংলা। একজন মুসলিম প্রধান হিন্দুদেবীর আরাধনার জন্য জমি দেওয়া থেকে সমস্ত ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। সেই মানুষগুলিকে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন। এই সম্প্রীতির নির্দশন নিঃসন্দেহে দৃষ্টান্তমূলক। -নিজস্ব চিত্র