শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, এক সময় মেদিনীপুর শহর ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের আঁতুড়ঘর। ইংরেজদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। সেই সময়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে মিত্র পরিবারের পরোক্ষ ভূমিকা ছিল। জানা যায়, মিত্র পরিবারের ইতিহাস প্রায় একশো বছরের পুরনো। মেদিনীপুর শহরের নামকরা পরিবারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। পরিবারের সদস্যরা বহু বছর ধরেই নানা সমাজ কল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত। পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য শহর ও শহরতলিতে থাকেন। তবে পুজোর সময় তাঁরা সকলে একত্রিত হন।
জানা গিয়েছে, প্রতিবছর ষষ্ঠী বা সপ্তমীর দিন দর্শনার্থীদের ফুচকা খাওয়ানো হয়। প্রতিবছর শতাধিক মানুষ একত্রে ফুচকা খান। একইসঙ্গে নবমীর দিন কয়েক হাজার মানুষের জন্য ভোগ প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া বস্ত্রদানের আয়োজনও করেন মিত্র পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের এক সদস্য বলেন, মহালয়ার পর থেকেই পুজোর সূচনা হয়ে যায়। সেই সময় থেকেই পরিবারের সদস্যরা নিরামিষ খাবার খান। পুজোর সময়ে দুর্গা মায়ের সামনে নানা ধরনের ভোগ প্রসাদ দেওয়া হয়। কুমারী পুজো দেখতে সবচেয়ে বেশি মানুষ ভিড় জমান। এবছর প্রায় দশ হাজার মানুষের সমাগম হবে। এছাড়া প্রায় ২ কুইন্টাল বোঁদে প্রসাদের ব্যবস্থাও করা হয়। যা চতুর্থী থেকে নবমী পর্যন্ত সন্ধায় বিতরণ করা হয়ে থাকে।
পরিবারের অন্যতম সদস্য রিঙ্কু মিত্র বলেন, একতা আমাদের পরিবারের মূলমন্ত্র। সকলের সহযোগিতা ছাড়া পুজো করা সম্ভব হতো না। পরিবারের সকল সদস্য এই চারটে দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। আমরা চাই নিউ জেনারেশন বছরের পর বছর ধরে পুজোর আয়োজন করুক।
মিত্র পরিবারের নতুন প্রজন্মের সদস্য সৌরভ মিত্র বলেন, পুজো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। সারা বছর এই ক’টা দিনের অপেক্ষায় থাকি।-নিজস্ব চিত্র