শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১০৬৮ বঙ্গাব্দে এক রাতে লক্ষ্মীমণি তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় দেখতে পান, এক অপূর্ব লাবণ্যময়ী জ্যোতির্ময়ী মূর্তি সম্মুখে দণ্ডায়মান। দৈববাণী হয়, ‘তুই বাড়ি যাওয়ার জন্য অত ব্যস্ত হচ্ছিস কেন? এইখানে ঘট স্থাপন করে পুজো কর। ৬০ হাত দূরে ওই ছোট্ট ঝোপটার ধারে দেখবি আমার একটা ত্রিশূল পোঁতা আছে। ওই ত্রিশূল নিয়ে কালকেই পুজো করবি।’ এই বলে অন্তর্হিত হয় সেই মূর্তি। লক্ষ্মীমণি দেবী রাতে তাঁর স্বপ্নের কথা স্বামীকে জানান। দেওয়ান স্বপ্নে নির্দেশিত স্থান খনন করতেই রক্তাক্ত ত্রিশূল পান। রক্তরঞ্জিত সেই ত্রিশূলের দিকে তাকিয়ে দেওয়ান মূর্চ্ছিত হয়ে পড়েন। দেবীর এই মাহাত্ম্যের কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। শুনে রাজা রাঘব রায় পুজোর অনুমতি দেন। ১৬৬১ সালে পঞ্চমী তিথিতে বার্নপুর মাটিয়ারিতে শ্রীবল্লভ দে বিশ্বাস শুরু করেন দেবীর পুজো। সেই পুজো এবার ৩৬৪ বছরে পড়ল।
এই পুজোয় দেবীর গায়ের রং চাঁপা ফুলের মতো। অসুরের রং সবুজ। গণেশের গার্ত্রবর্ণ লাল। দেবীকে ডাকের সাজে সাজানো হয়। পুজোর দিন ১৪ পোয়া প্রতিমার গায়ে সোনার অলঙ্কার পরানো হয়। পুজোটা আজও বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে হয়। এই পুজোতে আগে মোষ বলি হতো। পরে ছাগ বলি হতো। তবে আটের দশকে শুরুতেই বলি বন্ধ হয়ে যায়। তবে আখ সহ একাধিক ফলের বলি আজও হয়। বিশ্বাস বাড়ির পুজোয় দেবীকে রান্না করা ভোগ দেওয়া হয় না। কাঁচা সব্জি, চাল ইত্যাদি সাজিয়ে দেওয়া হয়। এখনও গ্রামের ন’ জন ব্রাহ্মণকে নৈবেদ্য দেওয়া হয়। এই গ্রামের পাশে আছে মুসলিম গ্রাম। সেই গ্রামের মহিলারা ফল কাটা, বাসনপত্র মাজা থেকে বিভিন্ন কাজে অংশ নেন বলে জানিয়েছেন এই বাড়ির অন্যতম কর্তা দেবকুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, পুজো আগের মতোই নিষ্ঠা ও ভক্তি সহযোগে হয়। ধর্ম, জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে গ্রামের ও আশপাশের মানুষ এই পুজোয় অংশ নেন।› এখনও আগের মতোই মালোপাড়ার বাসিন্দারা বাড়ির পিছনের বিলে আসেন প্রতিমা বিসর্জন দিতে। - নিজস্ব চিত্র