এখন প্রত্যেক বাড়িতেই কমবেশি শিশুরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করে। অবশ্যই তা তাদের ভবিষ্যতে কেরিয়ারে দক্ষতার কথা ভেবেই। কিন্তু যেসব মা-বাবারা তাদের সন্তানদের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াচ্ছেন তাঁরা কোনওভাবে সন্তানকে বাংলা-নন্দনতত্ত্ব থেকে বঞ্চিত করছেন না তো?
বর্ণালী ঘোষ: সেরামিক ইনঅর্গানিক নন-মেটালিক কঠিন একটি পদার্থ। এটি ধাতু বা ধাতু নয় এমন পদার্থর সমাহারে তৈরি হতে পারে। সেরামিক কথাটি এসেছে গ্রিক শব্দ থেকে। যার মানে পটারি। কিন্তু সেরামিকের দুনিয়ায় পটারি ছোট্ট জায়গা ধরে রেখেছে। সেরামিকের ব্যবহার খুবই বৃহৎ আকারে হয়ে থাকে।
মানব সভ্যতার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিয়েছে যোগ। প্রায় গোটা বিশ্ব জুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে যোগের প্রভাব। ‘যোগ’ কথাটির অর্থ হল ‘সংযোগ করা’। যোগাভ্যাসের মূলে রয়েছে মন এবং আত্মা। কখনও যোগের মাধ্যমে আত্মার সঙ্গে মনের মিল ঘটানোর হয়, কখনও আবার আলাদা করা হয়।
ইংরেজি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। গত ২৫ থেকে ২৭ জুলাই হয় এই সম্মেলন। ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (আইইএম)-এর বেসিক সায়েন্স এবং হিউম্যানিটিজ বিভাগ এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিনিধিরা এতে যোগ দিয়েছিলেন।
কৌলিক ঘোষ: যাবতীয় বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর আবার যথারীতি ক্লাস শুরুও হয়ে গিয়েছে। যারা মাধ্যমিক সহ অন্যান্য বোর্ডের দশম মান উত্তীর্ণ করল, তারা ১০+২ পড়াশোনা শুরু করেছে, আর যারা ১০+২ পাশ করল তারা শুরু করল কলেজ জীবন।
গৌতম মুখোপাধ্যায়: নিজের মতো ব্যবসা করব— যৌবনের শুরুতে এই কথাটা ভাবতে ভালোবাসেন অনেক বাঙালিই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সাহস করে সেই কাজটা করা হয়ে ওঠে না। চাকরির পরীক্ষা আর ইন্টারভিউ খোঁজার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেন তাঁরা।
কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
ছোটখাট একটি ঘর। ঘরের একপাশে বসে আছেন নিয়োগকর্তা। একাই। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্ণধার। ঘরের একপাশে একটি হোয়াইট বোর্ড। তার পাশে রাখা কয়েকটি মার্কার আর ডাস্টার। এক এক করে ঢুকছে ইন্টারভিউ প্রার্থী। কর্তার একটিই কথা ‘প্লিজ রাইট সামথিং অন দ্য বোর্ড’। একেকজন একেক রকম লিখছেন। নিয়োগকর্তা গম্ভীর মুখে বলছেন ‘আউট’। এখন প্রশ্ন, ইন্টারভিউ প্রার্থীরা বোর্ডে কী লিখছে? কেউ লিখছে নিজের নাম, কোন কলেজ থেকে কী ডিগ্রি পেয়েছে, কেউ লিখছে তথ্য প্রযুক্তির কোন ক্ষেত্রে সে পারদর্শী, আবার কেউ বা লিখছে সংস্থার জন্য সে কেন অপরিহার্য। এমন অনেক ধরনের উত্তর বোর্ডে লেখা হচ্ছে, আর নিয়োগকর্তা মুছছেন আর পরবর্তী ক্যান্ডিডেটকে ডাকছেন। ১৪-১৫ জনের ইন্টারভিউ হওয়ার পর কর্তার আর কাউকেই পছন্দ নয়, মনমতো উত্তর নাকি সাদা বোর্ডে ভেসে উঠছে না। শেষ পর্যন্ত একজন এসে লিখলেন ‘সামথিং’। নড়েচড়ে বসলেন নিয়োগকর্তা। এবার শুরু হল তত্ত্বের গভীরে ঢোকা। তথ্যপ্রযুক্তির জটিল তর্কে জমজমাট ছোট ঘরটি। শেষ পর্যন্ত নিয়োগ করা হল তাকেই। একটি সামান্য প্রশ্নের উত্তর যে সামান্যই হতে পারে এটা ইন্টারভিউ প্রার্থীদের মাথাতেই আসেনি।
সরকারি হোক বা বেসরকারি যে কোনও সংস্থার কর্তা হোক বা মানবসম্পদ বিভাগ ঠিক কী কী বিষয় আঁচিয়ে নিতে চান? শেষের দিক দিয়ে যদি শুরু করা যায় তাহলে বলতে হয় প্রথমত, প্রার্থীর কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার ক্ষমতা কতখানি। দ্বিতীয়ত, প্রার্থীর ইতিবাচক মনোভাব। তৃতীয়ত, সকলকে সঙ্গে নিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে কাজ করার মানসিকতা কতখানি। এগুলি হল মূল বিষয়। এছাড়াও প্রার্থীর বাহ্যিক আচার, ব্যবহার, পোশাক পরিচ্ছদ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা, হাসিখুশি থাকা এসব কিছু তো আছেই। আর এখন যেহেতু সনাতনী ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া উঠে গিয়েছে বললেই চলে, তাই নিজস্ব স্বাভাবিক ছন্দে মানে রিল্যাক্সড মুডে নিয়োগকর্তার মুখোমুখি হওয়াটা খুবই জরুরি। নিয়োগকর্তা কোনও সময়ই যাতে না মনে করে যে প্রার্থীটি খুবই টেনশনে। কথা বলতে বলতে থমকে যাওয়া (Pause) বা কথার মধ্যে ‘কিন্তু’ ‘মানে’ ‘বোধ হয়’ ‘মনে হয়’ এই সমস্ত শব্দবন্ধ থেকে যতদূরে থাকবে প্রার্থীর ক্ষেত্রে ততটাই ভালো। নিয়োগকর্তা যতজনই হোক কোনওভাবেই যেন নার্ভাসনেস ফুটে না ওঠে। বেকায়দায় ফেলার জন্য অনেক সংস্থা পুলিসি কায়দাতে জেরা করে। প্রার্থীর জীবনের ব্যর্থতা বা নেতিবাচক দিক নিয়ে ঘাঁটতে শুরু করলে সুস্পষ্টভাবে সেগুলির ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত দৃঢ়তার সঙ্গে। এতে নিয়োগকর্তারা খুশি হবেন। শুকিয়ে গেলে বা ভেঙে পড়লে তাঁরা বুঝতে পারবেন কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা এ প্রার্থীর নেই।
নিয়োগকর্তার নজর কাড়তে হলে বা অন্যান্য প্রার্থীদের পিছিয়ে ফেলা যায় জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে। নিয়োগকর্তারা প্রার্থীর মধ্যে এই তিনটি গুণ প্রাথমিকভাবে আশা করেই থাকেন। তাই এই তিনটি বিষয়ে সমৃদ্ধ হয়ে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ইন্টারভিউ কক্ষে প্রবেশ করতে হবে।
আর, কথাতেই আছে যার শেষ ভালো, তার সব ভালো। প্রথমে ঘরে ঢোকা বা আসন গ্রহণের সময় যেমন অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন, তেমনই ইন্টারভিউ পর্ব চুকলে প্রত্যেকের প্রতি সম্ভাষণ জানানোও ভদ্রতা বিশেষ। তর্ক তো দূরের কথা, কর্তাদের সঙ্গে সহমত না হলেও বিরক্তি দেখানো বা চোখমুখের অভিব্যক্তিতে অখুশি ব্যক্ত হওয়া একান্তই বর্জনীয়। ‘বস ইজ অলওয়েজ রাইট’—এই বাক্যটি মনে রাখলে ইন্টারভিউ কেন চাকরি ক্ষেত্রেও এগিয়ে যেতে কোনও অসুবিধা হবে না।
(চলবে)
