শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
২৮ বছরের কেরিয়ারে টেলিভিশনের দর্শককে কতটা বদলাতে দেখলেন? নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে মিমি বলেন, ‘দেখুন, টেলিভিশনে অনেক রকমের আউট অব দ্য বক্স বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো বাণিজ্যিক ভাবে সফল হয়নি। ঘরের গল্প, পরিবারের রাজনীতি, স্বামী, স্ত্রীর রসায়ন এগুলোই মানুষ দেখতে চিরকাল পছন্দ করেন। দূরদর্শনের ‘জন্মভূমি’ থেকে আমার কাজ শুরু। স্নেহাশিসদার প্রথম যে কাজটা করি ‘কখনও মেঘ কখনও বৃষ্টি’, সেটাও সাড়ে চার, পাঁচ বছর চলেছিল। তখন ধারাবাহিক অনেক বেশি দিন চলত। তার কারণ গল্প, প্রত্যেকটা চরিত্রের মধ্যে বন্ধন— সেটা দর্শককে আকর্ষণ করত। চরিত্ররা প্রত্যেকে বাড়ির মানুষ— এটা দর্শক অনুভব করতেন। এখন টেলিভিশনে কাজের ধরন বদলেছে।’ কেমন সেই বদল? মিমি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা এখন অনেক বেশি ওটিটি কেন্দ্রিক। ওটিটি দেখার অনুভূতিটা আমরা টেলিভিশন দেখার মধ্যেও দেখতে চাই। কিন্তু ধারাবাহিকের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হয়। প্রতিদিনের একটা গল্প থাকে। ওটিটি দেখতে বসলে আমরা আশা করি তিন ঘণ্টা টানটান কিছু দেখব। মানুষ আধ ঘণ্টার মধ্যেও সেই টানটান ব্যাপারটা চাইছেন।’
টেলিভিশনের টার্গেট অডিয়েন্স কি বদলে গেল? মিমির উত্তর, ‘টেলিভিশন এখন বোধহয় ওটিটির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। আমাদের মা, কাকিমারা যাঁরা মূলত টেলিভিশনের দর্শক ছিলেন, তাঁরা অনেকেই এখন স্মার্টফোনে অভ্যস্ত। ওটিটি দেখছেন। ফলে তেমন কিছু মানুষ ধারাবাহিক থেকে বোধহয় সরেও গিয়েছেন। আমি ওটিটিতেও অনেক কাজ করেছি, ফলে জানি অনেক ওই বয়সের মানুষ আমার ওটিটির কাজ দেখেও প্রশংসা করেছেন। যাঁরা আমাকে দেখতে পছন্দ করেন, তাঁরা ভালো-মন্দ ফিডব্যাক দেন।’
হইচই প্ল্যাটফর্মে আসন্ন ওয়েব সিরিজ ‘পরিণীতা’তে কাজ করেছেন বলে জানালেন মিমি। এই প্রচার সর্বস্ব যুগে এখনও সমাজমাধ্যমে নিয়মিত নন তিনি। শোনা যায়, টেলিভিশনে নাকি সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়ার দেখে কাস্টিং হয়! এই পরিস্থিতিতেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন অ্যাকটিভ নন? মিমির স্পষ্ট উত্তর, ‘ফলোয়ার দেখে কাস্টিং হয় বলে আমিও শুনেছি। আমি এটা সাপোর্ট করি না। খুব ভালো ফলোয়ার্স, একইসঙ্গে তিনি ভালো অভিনেতা, তাহলে তাঁকে কাস্ট করা নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু অভিনয় জানে না, কিন্তু প্রচুর ফলোয়ার্স বলে কাস্ট করলাম, হয়তো বাণিজ্যিক কারণে তার ফেস ভ্যালুকে ব্যবহার করবে বলে করা হয়। আমি মনে করি অভিনয় করতে চাইলে, এটা নিয়েই চর্চা করা উচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ থাকার কথা আমাকে অনেকে বলেন। কিন্তু কাজ এবং পরিবারের বাইরে আমার নিজের জন্য সময় দরকার। নিজে কিছু শিখি, কিছুর চর্চা করি। কারণ আমি তো অভিনেত্রী। আমার কিছু দায়বদ্ধতা থাকে। আমার কিছু হোমওয়ার্ক থাকে। সেই সময় ফোন থেকে দূরে থাকি।’