ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সুবর্ণ গোলক থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শৌভনিকের প্রযোজনায় সম্প্রতি মঞ্চস্থ হল ‘সুবর্ণ গোলক টু’। দেবকুমার ঘোষের লেখা ও চন্দন দাশের নির্দেশনায় এই নাটকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে। স্বর্গ থেকে সুবর্ণ গোলক এসে পড়ে গ্যাঁড়াপোতা গ্রামে। তার আগে এই গ্রামের বিশেষ কয়েকজনকে মঞ্চে হাজির করেন পরিচালক। বহু অসৎ মানুষের মধ্যে সত্যের নিশান নিয়ে একমাত্র প্রতিবাদী অপূর্ব মাস্টার। মহাদেবের মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী বঙ্কিমচন্দ্র কৈলাস থেকে মর্ত্যে এসে চৌর্য বৃত্তিকারী বঙ্কার মধ্যে প্রবেশ করেন। আর মহাদেবের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে বিশ্বকর্মা রেফারির মতো ম্যাচ পরিচালনা করেন। দারোগা দুর্জয় মিথ্যা অপবাদে অপূর্ব মাস্টারকে ধরতে গিয়ে গোলক হাতে বঙ্কাকে ধরতেই গোল বাঁধল গ্যাঁড়াপোতায়।
রাজনৈতিক নেতা থেকে চোর— সব চরিত্রই এই নাটকে প্রাসঙ্গিক ভাবে এসেছে। নাটকের কুশীলবদের মধ্যে বামাচরণ (রাজ চট্টোপাধ্যায়), এম এল এ নির্লোভ নন্দী (কৌশিক মুখোপাধ্যায়), মোহময় (রাহুল ভট্টাচার্য), বঙ্কা (কোরক ভট্টাচার্য), মহাদেব (স্বপন চক্রবর্তী) অন্যতম চরিত্র। বিশ্বকর্মাকে (দেবব্রত মজুমদার) পরিচালক আইটি প্রফেশনাল হিসেবেই দেখিয়েছেন। দুর্জয় দারোগার চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করছেন পরিচালক-অভিনেতা চন্দন দাশ। তার সঙ্গে উল্লেখ করতে হয় চতুর চৌবের ভুমিকায় শঙ্কর মিত্রের অভিনয়। এছাড়াও নমিতা চক্রবর্তী, রঞ্জিনী চট্টোপাধ্যায়, সৈকত তালুকদারের অভিনয় বেশ ভালো। বঙ্কিমচন্দ্রের চরিত্রে শুভজিৎ চৌধুরী যোগ্য বিবেচনা। নাটকের গানগুলি গেয়েছেন অরিন্দম রায়। বাবলু সরকারে আলো ও অনির্বাণ দত্তের শব্দের যুগলবন্দি নাটককে আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। কোরক ভট্টাচার্যের মঞ্চ পরিকল্পনাও প্রশংসনীয়।
দুর্নীতির আঁধার নয়, মানুষ হবে মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল— রঙ্গ রসিকতার মধ্যে দিয়ে এই বার্তাই দেন নির্মাতারা।