কৈলাসে মহাদেব আর পার্বতী আবার পাশাখেলায় মেতেছেন। নন্দী এবং ভৃঙ্গীকে সাক্ষী রেখে মহাদেব পরাজয় স্বীকার করেছেন। এবারও পার্বতী জয়ের পুরস্কার স্বরূপ চেয়ে বসলেন সেই কাঙ্ক্ষিত সুবর্ণ গোলক। মহাদেব তো শুনেই নটরাজ হয়ে উঠলেন।
বেঙ্গল রেপার্টরির নবতম প্রযোজনা ‘নিঃসঙ্গ ঈশ্বর’ সম্প্রতি তপন থিয়েটারে মঞ্চস্থ হল। শ্রীকৃষ্ণকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে এই নাটক। তবে এখানে শ্রীকৃষ্ণ ভগবান নন। তিনি রক্ত মাংসের মানুষ।
গুরু রমাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের সুধা স্মৃতি আর্ট সেন্টারের বার্ষিক প্রযোজনা ‘ইয়াদ’ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল আইসিসিআর প্রেক্ষাগৃহে। সৌভিক চক্রবর্তী, তৃণা রায়, সুরশ্রী ভট্টাচার্যের মতো শিল্পীরা কত্থক পরিবেশন করেন।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন ও রবীন্দ্রনাথ টেগোর সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি এক মনোজ্ঞ সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন করা হয় সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে। স্বর্ণযুগের গান নিয়ে একক আসরে উপস্থিত হন বৃন্দা রায় চৌধুরী।
দীর্ঘদিন ধরে ডোভার লেন মিউজিক অ্যাকাডেমি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত প্রচারের পাশাপাশি নতুন প্রতিভা অন্বেষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি তারা বিভিন্ন ধারার নৃত্য শিল্পীদের নিয়ে দু’দিনের এক অভিনব উৎসবের আয়োজন করেছিল।
গন্ধর্বলোক কলাকেন্দ্রের বার্ষিক অনুষ্ঠান সম্প্রতি মধুসূদন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল। গণেশ বন্দনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়। পরিবেশিত হয় মনোমুগ্ধকর ওড়িশি নৃত্য মঙ্গলাচরণ ও বটু। ‘এল যে মা’ এবং ‘দুই হাতে কালের মন্দিরা’ গানটির সঙ্গে শিশুদের পারফরম্যান্স দর্শককে মুগ্ধ করে।
২০০৫ সাল থেকে নিরন্তর নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত কলকাতার নহলী নাট্যদল। সম্প্রতি উদযাপিত হল ‘নহলী ন্যাশনাল থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল’। দু’দিনের এই নাট্য উৎসবে মঞ্চস্থ হয় ছয়টি নাটক।
‘ফাইভ এলিমেন্টস অ্যান্ড ক্রিয়েশন’। মানুষের অনুসন্ধিৎসু মনের সৃষ্টি রহস্য নিয়ে এই ভাবনা ভেবেছে মধুরব সংস্থা। তাদেরই আয়োজনে সম্প্রতি বীরেন্দ্র মঞ্চে এক দৃষ্টিনন্দন সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হল। ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম এই পঞ্চভূতকে কত্থক নৃত্যআঙ্গিকে তুলে ধরলেন শায়েরী, অদিতি, অনন্তা, নীলাশ্রী প্রমুখ।
‘যা দেবী সর্বভূতেষু সর্বরূপেণ সংস্থিতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান সম্প্রতি আয়োজন করেছিল নৃত্যারিদম ডান্স ইনস্টিটিউট। বেহালা শরৎসদনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের সূচনায় ছিল আগমনি সঙ্গীত। দেবী দুর্গাকে আহ্বান জানানো হয়েছে শাস্ত্রীয় নৃত্য ভরতনাট্যমের আঙ্গিকে।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবী চৌধুরানি’ উপন্যাসটি সমস্ত মাধ্যমে অভিনীত হয়েছে। মঞ্চ, চলচ্চিত্র, বেতার নাটক হিসাবে কিংবা সিরিয়ালে। এর মূল নির্যাস হল নারী নির্যাতন থেকে নারী শক্তির উদ্বোধন। সেটাই আবার নতুন আঙ্গিক ও ভাবনায় ফিরে এল মঞ্চে।
লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। বহু পরিচিত এই প্রবাদবাক্যই ফিরে এল ইছাপুর আলেয়ার নতুন নাটক ‘ড্রিমল্যান্ড’-এ। মানুষের মনের অদম্য লোভকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে হাতের পুতুল বানিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে এক অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক —সেই পুতুল নাচের ইতিকথাই বর্ণিত হয়েছে এই নাটকে। রচনা ও নির্দেশনার দায়িত্বে ছিলেন সঙ্গীতা চৌধুরী।
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সেই ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্বর্গীয় পণ্ডিত বুন্দি মহারাজ সঙ্গীত বিদ্যাপীঠ সম্প্রতি ‘গুরু শ্রদ্ধাঞ্জলি’র আয়োজন করেছিল।
জমজমাট পারফরম্যান্সের মাধ্যমে সম্প্রতি নিজেদের বার্ষিক অনুষ্ঠান পালন করল সিঁথি মেঘদূত ব্যালে ট্রুপ। ভরতনাট্যমের নানা আঙ্গিক গণপতি, আল্লারিপু, হে মুরলি, নাটুশরণম, মুশিকাবাহনম, শিবস্তোত্রম— ইত্যাদি পরিবেশন করেন সংস্থার ছাত্রছাত্রীরা।
ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
ভারতীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ব্রতী হয়েছে আইসিসিআর-এর পূর্বাঞ্চল শাখা। সম্প্রতি এক দৃষ্টিনন্দন নৃত্য সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হল সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে। অনুষ্ঠানে একক শিল্পী ছিলেন সাসমিতা পাণ্ডা। গুরু আশিস কুমার দাসের কোরিওগ্রাফিতে তুলসীদাসের লেখা ভজন ‘রামচন্দ্র কৃপালু ভজনম’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন শিল্পী। পদ্মবিভূষণ গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের কোরিওগ্রাফিতে ‘বিল্লাহারি পল্লবী’ ও ‘শ্রী গীত গোবিন্দ’ নৃত্যপদ দুটি পরিবেশনায় মুনশিয়ানার পরিচয় দেন তিনি। রতিকান্ত মহাপাত্রের কোরিওগ্রাফিতে ‘নম শিবায়’ নৃত্যপদটিও চিত্তাকর্ষক ছিল।
অপর্ণা তাঁতী
