পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের ... বিশদ
আইবিএস কী?
আইবিএস-এর পুরো কথা হল, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম। আমরা সারাদিন যা খাই, সেগুলি পাচন হতে সাহায্য করে অন্ত্র। আবার অপাচ্য খাবারগুলি বর্জ্য হিসেবে বের করে দিতেও সহায়তা করে। অন্ত্রে মাইক্রোবস (এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া) থাকে। জন্মের পর থেকে প্রথম দু’বছরের মধ্যে এই ব্যাকটেরিয়াগুলি আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। এদের মধ্যে বেশ কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়াও রয়েছে। যারা আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে। অনেকক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংখ্যায় বেশি হয়ে যায়। শত্রুর মতো আচরণ করে। তখনই আইবিএস-এর সমস্যা হয়। মূলত আইবিএস পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা। মলত্যাগের প্রবণতায় কিছু পরিবর্তন দেখা যায় এই সমস্যায়।
আইবিএস কত কমন?
এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এক থেকে চার শতাংশ সুস্থ ব্যক্তির মধ্যে আইবিএস-এর সমস্যা রয়েছে।
আইবিএস-এর লক্ষণ কী?
মাঝে মাঝে পেটে আকস্মিক ব্যথা হয়। এই ব্যথা দীর্ঘদিন ধরে থাকে। হয়তো সপ্তাহে অন্তত একবার আইবিএস-এর ব্যথা হল। পায়খানা করলে বা বায়ু নিঃসরণ করলে অনেক সময় ব্যথা কমে যায়। এর সঙ্গে আইবিএস রোগীদের পাতলা অথবা শক্ত বিষ্ঠা নির্গত হয়।
আইবিএস শনাক্ত করা হয় কীভাবে?
প্রথমত, রোগীর সঙ্গে কথা বলতে হয়। পেটে ব্যথা— কতদিন ধরে, কত ঘন ঘন হয়, মলত্যাগ করলে ব্যথা কমে না বাড়ে। এরকম বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। তারপর আইবিএস-এর সন্দেহ করা হয়। দরকারে কিছু রোগ পরীক্ষাও করা হয়। তাতেই জানা যায় রোগটি আইবিএস কি না।
আইবিএস কি সারে?
আইবিএস কন্ট্রোল করা যায় খুব ভালো ভাবে। তবে সঠিক সময়ে রোগ চিহ্নিত করা ও সঠিক চিকিৎসার খুব প্রয়োজন। দীর্ঘদিন অবহেলা করলে এই রোগ ভীষণ ভোগায়। তবে সাধারণত জীবনহানির শঙ্কা থাকে না।
মানসিক সমস্যা কি আইবিএস-এর ভোগান্তি বাড়ায়?
যে কোনও ধরনের মানসিক সমস্যা, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা এই সমস্যা বাড়ায়। তাই আইবিএস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জীবনযাত্রার পরিবর্তন করা দরকার।
আইবিএস নিয়ন্ত্রণের উপায় কী?
আইবিএসের চিকিৎসা কেবল ওষুধ দিয়ে হয় না। আইবিএসের ক্ষেত্রেও ডায়েটরি থেরাপি খুব গুরুত্বপূর্ণ। রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে সঠিক পরিমাণ ও সুষম খাদ্যগ্রহণ দরকারি। অতিরিক্ত গ্যাস হয় যেসব খাবার খেলে, সেগুলি আইবিএস-এর রোগীদের না দেওয়াই ভালো। যেমন অতিরিক্ত তেল মশলা যুক্ত খাবার। এছাড়াও আইবিএস নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরচর্চা প্রয়োজন। পাশাপাশি দরকার পর্যাপ্ত ঘুম। সুষম খাদ্য, শরীরচর্চা ও উপযুক্ত ঘুম— এই তিন অস্ত্রেই আইবিএস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।