Bartaman Patrika
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

আয়ুর্বেদ মতে কীভাবে জীবনধারণ করলে মিলবে নীরোগ শরীর

আয়ুর্বেদ ভারতের গর্ভজাত পৃথিবীর প্রাচীনতম চিকিৎসাবিজ্ঞান যা হাজার হাজার বছরের তৎকালীন বৈজ্ঞানিক চিন্তা, নিরন্তর গবেষণা ও অসংখ্য চিকিৎসালব্ধ অভিজ্ঞতার জ্ঞানসমুদ্র হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
এই ভারতীয় সংহিতাসমূহ শুধু জাতি বা দেশ নয় বিশ্বের অন্যতম গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে বহুল পরিচিত যা বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞানকে পূর্ণাঙ্গ রূপে প্রকাশে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে এসেছে।
অন্যদিকে ধন্বন্তরি আয়ুর্বেদের স্রষ্টা হিসেবে সুদীর্ঘকাল যাবৎ পূজিত হন এবং সেই উপলক্ষে ধনতেরাসের দিনটিকে ‘আয়ুর্বেদ দিবস’ হিসেবে সরকারি পক্ষে ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা থেকে রাজ্য তথা দেশ জুড়ে প্রায় পনেরো দিন যাবৎ বিভিন্ন অনুষ্ঠান, স্বাস্থ্য শিবির, ভেষজ বিতরণ ইত্যাদির দ্বারা জনমানসে আয়ুর্বেদকে আরও বহুল প্রচার ও জনস্বাস্থ্যের অঙ্গ করে তুলে ধরায় যেখানে আয়ুর্বেদ দিবসের মূল লক্ষ্য।
কিন্তু এই লক্ষ্য কি শুধুমাত্র অনুষ্ঠানভিত্তিক উদযাপন, কিছু প্রচার হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া, কেবলই কি হৃতগৌরব আর স্মৃতির সরণি বেয়ে অতীত ঐতিহ্যের গুণকীর্তন নাকি আধুনিক সময়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের কেবল রোগ ওষুধ ভাবনার মূলে শাশ্বত সত্য প্রতিষ্ঠায় একমাত্র বিকল্প পন্থার খোঁজ!
আয়ুর্বেদ শব্দের মূল অর্থই হচ্ছে জীবন সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান অর্থাৎ কেবলমাত্র রোগ নিয়ে কাজ নয়। রোগীর শারীরিক, মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গরূপে সুস্থতা রক্ষায় এক সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলি দ্বারা জীবনের গতিপথে রোগমুক্ত থাকা। কয়েকটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি আরও পরিষ্কার হয়, যেমন
১. সুস্থতার প্রথম সূত্র সর্বপ্রথমে নিদান পরিবর্জন: আয়ুর্বেদ মতে যেকোনও অসুস্থতা তা শারীরিক হোক বা মানসিক তার পেছনে সুনির্দিষ্ট কারণ থাকে যেটা চিহ্নিত করে সর্বাগ্রে সেই কারণসমূহ বর্জন করায় এককথায় নিদান পরিবর্জন যা এই আয়ুর্বেদ চিকিৎসার অভ্রান্ত সিদ্ধান্ত বা মূল স্তম্ভ কারণ নিদান গ্রহণের পাশাপাশি কোনভাবেই সুচিকিৎসা হতে পারে না। এই ভিন্নতা, এই দৃষ্টিকোণ অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আয়ুর্বেদকে স্বতন্ত্র করে তুলেছে।
২. রোগা সর্বাদপি মন্দাগ্নি... 
আয়ুর্বেদ চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘রোগা সর্বাদপি মন্দাগ্নি...’ বলে একটি কথা আছে যার অর্থই হল সর্ব প্রকার রোগের মূল ও প্রাথমিক কারণই হচ্ছে এই মন্দাগ্নি। শুনতে অবাক লাগলেও এই মন্দাগ্নি থেকে হতে পারে না এইরকম রোগ প্রায় নেই বললেই চলে এবং অগ্নির অসাম্যতা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনযাত্রায় মানুষ যতটা অভ্যস্ত হচ্ছে ততটাই বদলে যাচ্ছে খাদ্যাভাস, সঠিক জল পানের নিয়ম, খিদে না পাওয়া সত্বেও খাওয়ার অভ্যেস এবং সর্বোপরি নিয়মিত বাইরের অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাওয়ারের কুপ্রভাব। ফলে বহুবিধ সমস্যা দেখা দিচ্ছে অহরহ। এখানে আয়ুর্বেদ সিদ্ধান্ত হলো সুস্থতা রক্ষায় অগ্নির সাম্যতা জরুরি। 
৩. কখন কীভাবে কতটা জল পান:
সামগ্রিকভাবে জল পানের ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদের এক বিশেষ নীতিমালা রয়েছে:
‘অজীর্ণে ভেষজং বারি জীর্নে বারি বলপ্রদম।
ভোজনে চামৃতং বারি ভোজনান্তে বিষপ্রদম।।’
অর্থাৎ অজীর্ণ রোগের ক্ষেত্রে জল পান প্রধান ওষুধ, খাওয়ার জীর্ণ হাওয়ার পর জল পান শরীরে বল প্রদান করে। খাদ্য গ্রহণের সময় জলপান অমৃতসম কিন্ত ভোজনের তত্ক্ষণাত্‍ পর জলপান বিষের মতো ক্ষতিকর।
শুধুমাত্র প্রতিদিন এই নিয়মটি মেনে চললে বহুবিধ সমস্যা থেকে অচিরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৪. বিরুদ্ধ আহার ও তার ভয়াবহতা: এমন কিছু খাদ্য দ্রব্য রয়েছে যা একসঙ্গে সেবন করলে শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়,হতে পারে দুরারোগ্য রোগব্যাধি।
যা অধিকাংশ মানুষ হয়তো জনেই না।
* দুধের সাথে কাঠাল,মাছ,লবন,খিচুড়ি, মুলা,জাম,ছাতু,তরমুজ ইত্যাদি।
* দইয়ের সঙ্গে ক্ষীর,পনীর,দুধ,গরম পদার্থ, কলা ইত্যাদি।
* ঘি ও মধু মাত্রামাত্রায় সেবন নৈব নৈব চ।
* তামার পাত্রে ঘি, গরম মধু সেবন, রাতে ছাতু খাওয়া, পায়েস ও ঘোল একসঙ্গে সেবন, পুঁইশাকের সঙ্গে তিল ইত্যাদি সবগুলোই বিভিন্ন প্রকার বিরুদ্ধ আহার।উপরের খাদ্যগুলো একসাথে সেবন করলে তাদের নিজেদের রসয়ানিক বিক্রিয়ার ফলে শরীরে বিভিন্নরকম ক্ষতিকারক প্রভাব দেখা যায়।
* চরক সংহিতা মতে বিরুদ্ধ আহার সেবন ত্বকের সমস্যা,পেটের বিভিন্ন রোগ,জ্বর,বন্ধ্যাত্ব,উন্মাদ,অন্ধত্ব ইত্যাদি হতে পারে।
৫. নিত্য সেবনীয় পথ্য-অপথ্য:
আমাদের দৈনন্দিন সেবনীয় আহার্য দ্রব্যের সাথে পরিপাকক্রিয়ার এক নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে সেই দৃষ্টিকোণে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের চরক সংহিতা মতে নিত্য সেবনীয় ও বর্জনীয় খাদ্য তালিকা অনুযায়ী,শালি চাল, মুগ, সৈন্ধব লবণ, আমলকী, যব, দুধ, ঘি, মধু রুক্ষ এলাকার প্রাণীর মাংস ইত্যাদি নিত্য সেবনীয় দ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত।
অন্যদিকে মাছ, দই, মাষকলাই ইত্যাদির নিত্য সেবন শরীরের পক্ষে হানিকরক।
এছাড়াও অধিক গরম, টক ও নোনতা জাতীয় খাদ্যদ্রব্য, শীতল এবং গুরু দ্রব্য, তেলে পাক করা পুরি, মালপুয়া, শাক সেবন। দিবানিদ্রা,অত্যধিক শারীরিক পরিশ্রম এবং যে কোনও নেশা পেটের সমস্যা তথা উদর রোগের ক্ষেত্রে একেবারেই পরিতাজ্য।
৬. অধ্যসন অর্থাৎ (খিদে না পেলেও খাওয়া) হরেক রোগের আঁতুড়ঘর: আধুনিক ব্যস্ততাময় জীবনযাত্রায় খিদে পেলে সময় খাওয়া ব্যাপারটা অনেকেরই ক্ষেত্রে হয়ে ওঠে না আবার অনেকের ক্ষেত্রে আগের খাওয়া হজম হওয়ার পূর্বেই অনেকে খেয়ে থাকেন। উপরের দুই ক্ষেত্রেই শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় এবং এই অভ্যেস দীর্ঘকালীন হলে বিভিন্ন প্রকার রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।
আয়ুর্বেদ দৃষ্টিকোণে খিদে পেলে তবেই খাবার খাওয়ার নির্দেশ রয়েছে এবং সর্বদা ত্রিবিধ কুক্ষী বিমান অনুযায়ী অর্থাৎ পেটের একভাগ খাদ্যদ্রব্য (ভাত, রুটি, শাক ইত্যাদি) একভাগ তরল পদার্থ (জল, দুধ ইত্যাদি) এবং একভাগ ফাঁকা রেখে খাওয়া উচিত।
এককথায় উদরপূর্তি করে খাওয়া উচিত নয়।
৭.সুস্থ ও নীরোগ থাকতে অধারণীয় বেগ ধরে না রাখা ও রোগ সমূহ: রোজকার জীবনযাত্রায় আমরা প্রতিনিয়তই কোনও না কোনও বেগ ধারণ করে চলেছি এবং যার ফলে আমাদের অগোচরেই দেহে বাসা বাড়ছে নানা অজানা রোগ।
আয়ুর্বেদ মতে এইরকম তেরোটি বেগ ধারণ করতে সর্বদা নিষেধ করা হয়েছে ও ধারণ করলে কি কি রোগ দেখা দিতে পারে তাও সুবিস্তারিত ভাবে বর্ণিত হয়েছে।
এই তেরোটি বেগ হল—অপনবায়ু বেগ, মল বেগ, মূত্র বেগ, হাঁচিবেগ, তৃষ্ণাবেগ, ক্ষুধা (খিদে) বেগ, নিদ্রা বেগ, কাস বেগ, শ্রমজনিত শ্বাসবেগ, জৃম্ভা (হাই তোলা) বেগ, কান্না বেগ, বমন (বমি) বেগ, শুক্র বেগ।
উক্ত বেগসমূহ ধারনজনিত রোগসমূহ হল, গুল্ম, উদরশূল, শিররোগ, উদ্গার, অস্মরী (পাথুরি রোগ), অঙ্গ বেদনা, মূত্রাশয়, মূত্রমার্গ ও বৃক্কে শৃল, শিরশূল, কর্ণরোগ, অদি’ত, ঘাড়ে ব্যথা, কাশি বৃদ্ধি, শ্বাসরোগ, অরুচি, হৃদরোগ, মুখাশোষ, বধিরতা, অরুচি, গ্লানি, কৃশতা, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা ইত্যাদি।
৮.দিনচর্যা ও ঋতুচর্যা: আয়ুর্বেদ মতে দৈনন্দিন কিছু নিয়মশৈলি পালনকে দিনচর্যা এবং প্রত্যেক ঋতুতে ঋতুভিত্তিক বিধিনিষেধ পালনকে এককথায় ঋতুচর্যা বলে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সুস্থ ও নীরোগ থাকার অন্যতম চাবিকাঠি।
এতএব আয়ুর্বেদ মতে পূর্ণাঙ্গ সুস্থতার ক্ষেত্রে কেবল রোগ ও রোগের প্রেক্ষিতে ওষুধ নির্ভর জীবনযাত্রা একমাত্র সমাধানসূচক পথ নয়। রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলা, নিদান বর্জনের সঙ্গে রোগের মূলোৎপাটন, সুনির্দিষ্ট জীবনশৈলীতে অভ্যস্ত হয়ে পথ্য সেবন, অহিতকারক খাদ্যদ্রব্য থেকে এড়িয়ে স্বাস্থ্যকে সর্বদা উন্নততর করে তোলায় আয়ুর্বেদের মূল লক্ষ্য এবং এই নীতির বহুল জনমুখী প্রচার ও ঘরে ঘরে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ হল আয়ুর্বেদ দিবসের পূর্ণ সার্থকতা।
ডাঃ বিশ্বজিৎ ঘোষ 
কমিউনিটি হেলথ অফিসার (আয়ুষ)
(কেন্দুয়া সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, হবিবপুর, মালদা)
29th  October, 2024
ডাক্তারিতে মিরাকল কতটা সম্ভব?

চিকিত্‍সকদের জীবনে এমন অনেক ঘটনাও ঘটে যা থাকে যুক্তির বাইরে। না, কোনও অপ্রাকৃত, অদ্ভূতুড়ে, অশরীরী ঘটনার কথা বলা হচ্ছে না। আমরা বলতে চাইছি সেই সমস্ত আশ্চর্য ঘটনার কথা সম্পূর্ণভাবেই মানবস্পর্শ সম্পৃক্ত। বিশদ

07th  November, 2024
কয়েকটি ‌আশ্চর্য ঘটনা!

শিরচ্ছেদের পরও জীবিত: আমেরিকার টেক্সাসে ২০০৮ সালে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে জখম হয় নয় বছরের জর্ডান টেলর। একেবারে ধড় থেকে মাথা আলাদা না হলেও তার খুলি ও মেরুদণ্ড আলাদা হয়ে গিয়েছিল। মাথাটা দেহের সঙ্গে জুড়ে ছিল পেশি, টিস্যুর মাধ্যমে। বিশদ

07th  November, 2024
রোজ ভাতের ফ্যান ফেলে দেন? এই ভুল আর করবেন না

ভাত রান্নার পর মাড় বা ফ্যানের কথা কেই বা আর মনে রাখতে চায়! গতি হয় নর্দমায়। অথচ নানা গুণে সমৃদ্ধ এই উপাদানটিকে ফেলে না দিয়ে আমরা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজে লাগাতে পারি।
বিশদ

07th  November, 2024
দাঁড়িয়ে থাকলেও সুগার কমে! 

শরীর সুস্থ রাখতে হাঁটাহাঁটির বিকল্প নেই। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি স্পোর্টস মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণানির্ভর প্রবন্ধ থেকে জানা যাচ্ছে, রক্তে শর্করার মাত্রার ওঠা-নামা অনেক সময়েই নির্ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা, হাঁটাহাঁটির অভ্যেসের উপরেও।
বিশদ

31st  October, 2024
স্ট্রোক নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে মণিপালের উদ্যোগ

সম্প্রতি চলে গেল বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। এই উপলক্ষে শহরে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল মণিপাল হাসপাতাল গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে। উপস্থিত ছিলেন মণিপাল হাসপাতালগুলির তরফে একাধিক বিশিষ্ট নিউরোলজিস্ট  এবং নিউরোসার্জেন। 
বিশদ

31st  October, 2024
বিপি পোদ্দারের পদক্ষেপ

আলোর উৎসব কালীপুজো ও দীপাবলি। ঘরে ঘরে জ্বলে প্রদীপ। অনেক আবার বাজিও পোড়ান। শব্দবাজি ও আতসবাজি, উভয়েরই যদিও নেতিবাচক দিক রয়েছে। বাজি ফাটাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়।
বিশদ

31st  October, 2024
অ্যান্টিভেনাম

ওষুধ ছাড়াই প্রাণে বেঁচেছিলেন লখিন্দর। বেহুলার সেই অদম্য লড়াই ও ইন্দ্রের সভায় নাচ আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে। এ তো গেল মঙ্গলকাব্যের কথা। বাস্তবের মাটিতে বিষাক্ত সাপের ছোবলে অকালমৃত্যু হামেশাই শিরোনামে। ভারতে পাওয়া যায় তিনশোর অধিক সাপ। তার মধ্যে মাত্র ৫০টির বেশি বিষধর।
  বিশদ

31st  October, 2024
দীর্ঘায়ু হওয়ার প্রেসক্রিপশন!

অমরত্বের প্রত্যাশা তাই নেই আমাদের। তবু নীরোগ ও সুস্থ অবস্থায় দীর্ঘায়ু লাভের চাহিদা বেড়েছে। এখন ভারতে মানুষের গড় আয়ু ৭০-৭২ বছর। তবে এই গড় আয়ুকে অনেকটা বাড়িয়ে ৯০ পার করেও দিব্য সুস্থ রয়েছেন। 
বিশদ

31st  October, 2024
ঘরে ঘরে ভাইরাল ফিভার! সামলাবেন কীভাবে?

ঋতু বদলের সময় সর্দি-কাশি, জ্বর হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তনে শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যার ফলে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা নড়বড়ে হয়ে যায়। পুজো মিটতেই এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এইধরনের সিজনাল ফ্লু-এর সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশদ

24th  October, 2024
জ্বরে কখন অ্যান্টিবায়োটিক কখন শুধুই প্যারাসিট্যামল

পরামর্শে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ জ্যোতির্ময় পাল। বিশদ

24th  October, 2024
ভাইরাল ফিভারে আয়ুর্বেদিক দাওয়াই!

ভাইরাল জ্বরের সময় শুধুই নয়, প্রতিটি জ্বরের সময়ই আমাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আয়ুর্বেদে  বেশ কিছু  সমাধান রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও শরীরকে দ্রুত সুস্থ করতে সাহায্য করে যে জিনিস গুলি আমাদের হাতের সামনেই রয়েছে এই বিষয়েই আমার আজকের অবতারণা। বিশদ

24th  October, 2024
পছন্দের রং-এ শান্ত মন!

সুন্দর পরিপাটি ঘর দেখলে কার না ভালো লাগে? কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, কেন এমনটা হয়? আসলে যে কোনও সাজানো– গোছানো জিনিস মনকে প্রশান্ত রাখতে সাহায্য করে। বিশদ

24th  October, 2024
হোমিওপ‌্যাথির গবেষণায় মউ স্বাক্ষর

গত কয়েক দশক ধরে মডার্ন মেডিসিনের অন্যতম বিকল্প হয়ে উঠছে হোমিওপ্যাথি। গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন বহু তরুণ চিকিৎসক। সেকথা মাথায় রেখেই ডাঃ অঞ্জলি চ্যাটার্জি রিজিওনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর হোমিওপ্যাথিতে তৈরি হল কেমিস্ট্রি, ফার্মাকোলজি ও হিস্টোপ্যাথোলজির গবেষণাগার। বিশদ

24th  October, 2024
ট্রোলে বিধ্বস্ত, সামলাবেন কীভাবে?

সামাজিক মাধ্যমে ট্রোল সংস্কৃতি নতুন নয়। তবে আজও তাকে সামলাতে পারেন না অনেকেই। ট্রোলের নানা ক্ষতিকর প্রভাব ও তার সঙ্গে যুঝতে পারার নিয়ম শেখাচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবাঞ্জন পান। বিশদ

17th  October, 2024
একনজরে
জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে বদল হতে পারে। তেমন সম্ভাবনার অআঁচ করে শক্তি বাড়াতে চেষ্টা করছে বিপ্লব মিত্রের বিরোধী গোষ্ঠী। জেলার রাজনীতিতে ‘ত্রিশক্তি’ বলে পরিচিত মৃণাল সরকার, গৌতম দাস ও অম্বরীশ সরকারকে দুর্গাপুজোর সময় থেকেই বিভিন্ন মঞ্চে একছাতার তলায় দেখা যাচ্ছে। ...

বেলদা থানার নেকুড়সেনী স্টেশনে কয়লাবোঝাই একটি মালগাড়িতে আগুন ধরে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়াল। খড়্গপুর থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে খড়্গপুর থেকে ওড়িশার দিকে যাওয়ার সময় বেলদা স্টেশনের কাছে রেলকর্মীরা কয়লাবোঝাই মালগাড়ির একটি বগিতে ধোঁয়া ...

ফের ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় রক্তাক্ত পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশ। শনিবারের সকালে জোরালো আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটার রেল স্টেশন চত্বর। ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জনের ...

রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতার প্রশংসা করলেন এনসিইআরটি-পরখের সিইও এবং প্রধান ইন্দ্রাণী ভাদুড়ি। শনিবার স্বভূমি রাজকুটীরে বণিকসভা সিআইআই আয়োজিত শিক্ষা সম্মেলন ‘এডুকেশন ইস্ট সামিট ২০২৪’-এ  উপস্থিত ছিলেন তিনি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৮৩ - জার্মান সন্ন্যাসী ও পুরোহিত প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার নেতা মার্টিন লুথারের জন্ম
১৪৯৩ - ক্রিস্টোফার কলম্বাস দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রায় অ্যান্টিগুয়া আবিষ্কার করেন
১৬৫৯ - ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুরের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে
১৮২২ - বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান গ্রন্থ রচনার পথিকৃৎ উইলিয়াম কেরির পুত্র ফেলিঙ্ কেরির মৃত্যু
১৮৪৮ - ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রগুরু স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৮৮ - ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯০৭ -  অভিনেতা হরিধন মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৮ - বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের ফাঁসি কার্যকর হয়
১৯১৮ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি
১৯৫৪ - কবি ও সাহিত্যিক জয় গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৫ – চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন পরিচালক রাজা সেনের জন্ম
১৯৬৭ – অভিনেতা আশুতোষ রানার জন্ম
১৯৮২ - পৃথিবীতে ১৯১০ সালের পর আবার হ্যালির ধূমকেতু দেখা গেল
১৯৯১ - আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একুশে বছরের নির্বাসন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দল আবার আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নেয় কলকাতার ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে
২০০৯ – অভিনেত্রী তথা ফ্যাশন ডিজাইনার সিম্পল কাপাডিয়ার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৩ টাকা ৮৫.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৬২ টাকা ১১১.৪০ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৬ টাকা ৯২.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  November, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ৪২/২৩ রাত্রি ১০/৪৬। শ্রবণা নক্ষত্র ১৪/৫৮ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৫/৪৯/২৭, সূর্যাস্ত ৪/৫১/৩২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১৮ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/২২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২২ গতে ৩/১৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে উদয়াবধি। 
২৩ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ৬/২২। শ্রবণা নক্ষত্র দিবা ৮/৪৪। সূর্যোদয় ৫/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৩১ গতে ৯/৩৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৪৬ গতে ২/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৩ গতে ৩/২৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/১৩ মধ্যে ও ১২/৪৪ গতে ২/৭ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩০ মধ্যে ও ৪/১৩ গতে ৫/৫১ মধ্যে। 
৬ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দ্বিতীয় টি২০: ভারতকে ৩ উইকেটে হারাল দঃ আফ্রিকা

11:12:00 PM

নয়ডায় ইলেকট্রিক টাওয়ারের উপর উঠে নাচ এক ব্যক্তির, চক্ষু চড়কগাছ পুলিসের
রবিবার দুপুরে নয়ডা সেক্টর ৭৬-এ তাজ্জব কাণ্ড। একটি ইলেকট্রিক টাওয়ারের ...বিশদ

10:57:46 PM

ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে কলকাতা বিমান বন্দর থেকে আটক ১

10:57:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ৭ রানে আউট আন্দিলে, দঃ আফ্রিকা ৮৬/৭ (১৫.৪ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:53:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ০ রানে আউট মিলার, দঃ আফ্রিকা ৬৬/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:33:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ২ রানে আউট ক্লাসেন, দঃ আফ্রিকা ৬৬/৫ (১২.১ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:31:00 PM