ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
এবার আসি, এই গরমে সুয্যিমামার হাত থেকে বাঁচতে যে চশমা ভরসা, তার প্রসঙ্গে। সানগ্লাস। কেবল রোদের তাপ উপেক্ষাই নয়, সানগ্লাস হয়ে উঠেছে এখনকার ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যাবে, রোমের সম্রাট নিরো এই সানগ্লাসের জনক। যদিও এই নিয়ে নানান বিতর্ক রয়েছে। গ্ল্যাডিয়েটররা তখন মরণপণ যুদ্ধ করতেন। সেই যুদ্ধ গ্যালারিতে বসে উপভোগ করতেন সম্রাট। তখন তাঁর চোখে থাকত সবুজ এমারেল্ড পাথরের তৈরি স্বচ্ছ চশমা। ত্রয়োদশ শতকে চীনে এক ধরনের কালো চশমার প্রবর্তন হয়। তা পরে থাকতেন বিচারক। আইনজীবীদের বাদানুবাদের সময় বিচারকের চোখের দৃষ্টি দেখে যাতে তাঁর মনের অবস্থা ধরা না যায়, মূলত তার জন্যই এই ধরনের চশমার চল হয়। এর পরের শতকে ইতালির আদালতেও চালু হয়েছিল। ১৭৫২ সালে জেমস এসকফ এক ধরনের রঙিন চশমা আবিষ্কার করেন।
ঊনবিংশ শতকের প্রথম ভাগে ভূপৃষ্ঠ থেকে বেশ উঁচুতে বিমান চালানোর সময় চড়া আলো থাকায় রঙিন চশমার ব্যবহার শুরু হয়। পাইলটদের জন্য তৈরি হয় অ্যাভিয়েটর সানগ্লাস। এরপরই রোদের হাত থেকে চোখকে আরাম দেওয়ার জন্য সানগ্লাসের বিক্রি শুরু হয়। ১৯২৯ সাল নাগাদ দ্য ফস্টার গ্রান্ট সংস্থার মালিক স্যাম ফস্টার নিউজার্সিতে সানগ্লাস বিক্রি শুরু করেন। চাহিদা বৃদ্ধিতে লুক এবং সানগ্লাসের লেন্সের কালারে পরিবর্তন আনতে শুরু করে একাধিক সংস্থা। ধীরে ধীরে মানব জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে পড়ে সানগ্লাস। কেমন, হল তো? চন্দ্রবিন্দুর চ, বেড়ালের তালব্য শ, আর রুমালের মা হল চশমা।