আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই বিষয়ে জানতে পেরেছেন গবেষকরা। সাংবাদিকদেরও বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তাঁরা। গবেষকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অস্বস্তিতে ভুগছেন এমন কলেজ পড়ুয়াদের উপরেই মূলত সমীক্ষাটি চালানো হয়। ওই সমীক্ষায় কম্পিউটারভিত্তিক ‘ফ্ল্যাংকার টাস্ক’ নামক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণকারীদের সাড়া দেওয়ার যোগ্যতা দেখা হয়। এছাড়া সাড়া দিতে তাঁরা কতটুকু সময় নিচ্ছেন তাও পরিমাপ করা হয়। গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, মনের আবেগ কাগজে বিস্তারিত লিখে ফেললে মস্তিষ্কের উপর থেকে তা চাপ কমায়। এছাড়া মানসিক চাপ তৈরি করে এমন কাজ সহজে মিটিয়ে ফেলা যায়।
এই গবেষণার প্রধান, মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির পিএইচডি-এর ছাত্র হান্স শ্রোডার জানান, গবেষণায় দেখা গেছে, দমিয়ে রাখা দুশ্চিন্তাগুলি নিজের মতো করে খাতায় লিখে ফেললে মস্তিষ্কের জ্ঞানবিষয়ক অঞ্চলগুলো শান্ত হয়ে যায়। তখন সেগুলিকে অন্যান্য কাজে সফলভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হয়। ফলে আরও বেশি দক্ষতার সঙ্গে হাতের কাজ শেষ করা যায়।
আগেও লেখালেখির অভ্যেসের সঙ্গে মনের যোগ নিয়ে গবেষণা হয়েছে। সেই গবেষণাতেও দেখা গিয়েছে, এমন লেখালেখির অভ্যেস অতীতের কোনও কষ্টের স্মৃতির সঙ্গে বোঝাপড়া করতেও সাহায্য করে। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি’র সহযোগী অধ্যাপক জেসন মোজার বলেন, ‘দুশ্চিন্তাগ্রস্তরা কাজ শুরুর আগে দুশ্চিন্তা করেই মস্তিষ্কের অনেকটা কার্যক্ষমতা অপচয় করে ফেলেন। তাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মস্তিষ্ক অধিক চাপের মধ্যে কাজ করে। মনের ভাব লিখে রাখার অভ্যেস করতে পারলে মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে। ফলে ঝামেলার কাজগুলো সামলানো মস্তিষ্কের জন্য সহজ হয়।’
শিক্ষার্থীদের ‘ফ্ল্যাংকার টাস্ক’ শুরু করার আগে প্রায় অর্ধেক অংশগ্রহণকারীকে ৮ মিনিট ধরে তাদের মনের গভীরতম আবেগ এবং ‘ফ্ল্যাংকার টাস্ক’ সম্পর্কে তাদের অনুভূতি কাগজে লেখানো হয়। বাকি অর্ধেক পড়ুয়াকে বলা হয় গতকাল সারাদিন কী করেছেন তা লিখতে। দুই দলই প্রায় একই পরিমাণ গতি এবং খুঁতহীনভাবে কাজ করেন। তবে যে দল মনের ভাব লিখেছিলেন, তাঁরা ‘ফ্ল্যাংকার টাস্ক’ সম্পাদন করেন বেশি কার্যকরভাবে। অর্থাৎ তাঁরা মস্তিষ্কের ক্ষমতা কম ব্যবহার করেছিলেন! যাইহোক, এবার থেকে না হয় মনের অশান্তি কাগজে লিখে রাখতে শুরু করুন। আপনি নোবেল পুরষ্কার হয়তো পাবেন না, তবে মনে শান্তি তো মিলবে।