প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
আজ যে হাতের কাজটা শেখাবেন ডিজাইনার বিদিশা বসু তা পুজোর সময় দারুণ কাজে আসবে। বাড়িতে থাকে এমন জিনিস দিয়েই তৈরি হবে হাতের কাজ। ফলে আলাদা করে বিশেষ কিছু কিনতেও হবে না। পুজোর ছুটিতে এই ধরনের একটা জিনিস বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দাও। একটা জ্যামের শিশি। তার যেন মুখের ঢাকনাটা ভালোভাবে লাগানো যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবার জ্যাম ফুরিয়ে গেলে এই শিশি বা জার ফেলে না দিয়ে তা ধুয়ে পরিষ্কার করে নাও। তারপর তা শুকিয়ে নিতে হবে। এবার এই বোতলের গায়ে পেন্সিল দিয়ে ছোট ছোট নকশা আঁকতে হবে। তা ফুলের নকশা হতে পারে, কোনও সিনারি হতে পারে অথবা জ্যামিতিক নকশা বা অ্যাবস্ট্র্যাক্ট ডিজাইনও হতে পারে। তারপর সেই নকশা রং করে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর তাতে ধূপের বাক্স, মোমবাতি, প্রদীপ, দেশলাই বাক্স, সলতে ইত্যাদি রাখতে পারবে। বৃষ্টির মরশুমে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া। তাই জারের মুখটা টাইট করে আটকে দাও, তাহলে আর জিনিসগুলোতে ড্যাম্প লাগবে না। ঠাকুর ঘরে পুজোর আসনের পাশে, পুজো মণ্ডপে দেবী প্রতিমার কাছে অনায়াসেই এই জার রাখতে পার। দেখতেও সুন্দর লাগবে, আবার কাজেও লাগবে ভীষণ। সবটাই তো শুনলে। এবার তবে বলি,
কীভাবে বানাবে এই জার।
উপকরণ: একটা জ্যামের জার, পোস্টার কালার প্রয়োজন অনুযায়ী, সরু তুলি দুটো।
পদ্ধতি: প্রথমে জার ধুয়ে শুকিয়ে নাও। এবার তার গায়ে একটা প্যাটার্ন তৈরি কর। লম্বালম্বি, আড়াআড়ি, তিন কোনা করে— নিজের পছন্দমতো প্যাটার্ন তৈরি কর। এবার সেই প্যাটার্ন অনুযায়ী ফুল বা অন্য যে কোনও নকশা এঁকে নাও। মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করেও আঁকতে পার। অর্থাৎ ফুলের সঙ্গে জ্যামিতিক শেপ মেশানো যেতেই পারে। কিন্তু সিনারি আঁকতে চাইলে সবসময়ই এক ধরনেরই হতে হবে। এবার এই নকশা একটা একটা করে এঁকে তা শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর অন্যটা আঁকতে হবে। নাহলে কাঁচা রং হাত লেগে উঠে যেতে পারে। আর রং ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একটু সচেতন থাকতে হবে। উজ্জ্বল রং কনট্রাস্ট করে ব্যবহার করলে দেখতে সুন্দর লাগবে। এরপর তা পুজোর ঘরে সাজিয়ে দাও, দেখবে কেমন দারুণ লাগে।