Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অথৈ সাগর
পর্ব- ১২
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি।

ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় এখন লোক-সমাজে ‘বিদ্যাসাগর’ নামেই পরিচিত। যাঁরা পছন্দ করতেন না— বলতেন ‘বিদ্যেসাগর’। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে পড়াচ্ছেন আবার বাড়িতে তাঁর কাছে পড়তে আসছেন শ্যামাচরণ সরকার, রামরতন মুখুজ্যে মশায়ের মতো ব্যক্তিরা সংস্কৃত শিক্ষার জন্য। ঘরে-বাইরে তাঁর ছাত্র। আবার নিজেও ছাত্র হয়ে পড়ছেন ইংরেজি। ঠিক এই সময়েই, ১৮৪৩ সালে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রকাশ করেছেন ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’— তার সম্পাদক হয়েছেন অক্ষয়কুমার দত্ত— এঁরই পৌত্র হলেন কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। এই সম্পাদক মশায়ও যেন বিদ্যাসাগরের ছাত্র। নিজে ওই পত্রিকার জন্যে যা কিছু লেখেন— বিদ্যাসাগর তাঁর সমবয়স্ক হলে কী হবে, তাঁকে দিয়ে লেখাটি ঘষে-মাজিয়ে না নিলে স্বস্তি পান না। আদ্যোপান্ত দেখে দিতেন— বোঝা মুশকিল হয়ে পড়তে পারে— কতটা তিনি বদলে দিয়ে নিজের লেখা ঢুকিয়ে দিয়েছেন। অক্ষয়কুমার মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করেছেন বিদ্যাসাগর মশায়ের এই ভূমিকার কথা। তত্ত্ববোধিনীর জন্যে লেখাতেই শুধু নয়, অক্ষয়কুমারের বইপত্রেও বিদ্যাসাগরের কলমের ছাপ যথেষ্ট আছে। এ-সব ভালোবাসার পরশ— মাস্টারিগিরি নয়। আগে ‘তত্ত্ববোধিনী’র সঙ্গে বিদ্যাসাগরের যথেষ্ট মিলমিশ ছিল। তারপরে কী যে কী হল জানি না— পত্রিকাটির সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখলেন না।
আমরা পরে দেখব কোনও একটা চাকরির ব্যাপারে বিদ্যাসাগর মশায় তাঁর ভাই দীনবন্ধুকে একটি শূন্যপদে সুপারিশ করেন— আজকের মুখরারা একে বলেন আত্মীয়তোষণ। তাই কি সত্যি? দেখছি এ সময়ে তাঁর পরমবন্ধু (পরে যে কী সব হয়ে যাবে!) পনেরো টাকা মাইনের মদনমোহন তর্কালঙ্কারকে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে সিভিল পড়ানোর জন্যে একটি শূন্যপদে ঢুকিয়ে দিলেন। তাঁর সঙ্গে এক ক্লাসে পড়তেন মুক্তারাম বিদ্যাবাগীশ, মাদ্রাসা কলেজের একটি পদ খালি হলে মার্শেল সাহেবকে বলেকয়ে চল্লিশ টাকা মাইনের চাকরিটি পাইয়ে দেন। এই যে মানুষজনকে চাকরি করে দিলেন— হিসেব মিলিয়ে দেখতে গেলে তাঁরা সবাই যোগ্যতম প্রার্থীই ছিলেন— তাই এই সুপারিশ। শিক্ষাক্ষেত্রে ভুসি মিশাল দিতে বিদ্যাসাগর একেবারেই নারাজ।
ঠিক এই সময়ে বাংলার বড়লাট (গভর্নর) হয়ে ভারতে এলেন লর্ড হার্ডিঞ্জ। তিনি এসে একবার সংস্কৃত কলেজের হালহকিকত জানবার জন্যে সেখানে গিয়ে দেখেন সেখানের ছাত্ররা একেবারেই ইংরেজি পড়ে না। এ জন্য তারা চাকরিবাকরিও সহসা পায় না। আগে এই কলেজের ছেলেরা জজ পণ্ডিতির চাকরি পেতেন। তাঁদের কাজ ছিল সাহেব জজেরা যখন বিচার করতেন, তখন এদেশের আইনকানুন বুঝিয়ে বলে বিচারের কাজে তাঁদের সাহায্য করা। সেই পদও উঠে গেছে ততদিনে। আর যাঁরা বাংলা পড়তেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বা বাইরে, তাঁদের জন্যে ভালো বই বলে কিছু ছিল না। যা ছিল, তা সাহেব সিভিলিয়ান ছাত্ররা বোধহয় ছুঁয়েও দেখত না— দাঁত ফোটাতে পারত না বলে।
সংস্কৃত কলেজে ইংরেজি শেখাবার একটা ক্লাস ছিল বটে, তবে তাতে যে কিছু শেখানো হতো না, তার বড় প্রমাণ বিদ্যাসাগর নিজেই ইংরেজি পড়ার জন্যে অন্যদের সাহায্য নিতেন। ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে এই ইংরেজি বিভাগ খোলা হলেও এটা মাঝে উঠে যায়। ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে আবার চালু হয়েছিল— কিন্তু তা নমো নমো করেই। এবার বিদ্যাসাগর মশায় সংস্কৃত কলেজে আসার আগে থেকেই এর সুরাহা করার কথা ভেবে রেখেছিলেন। কিছুদিন পরে সংস্কৃত কলেজের দায়িত্ব পেয়ে ১৫ ডিসেম্বর, ১৮৫৮ তারিখে ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা স্বাক্ষরে তিনি একটি বড় সুপারিশপত্র দিয়ে কলেজে ইংরেজি শেখানো, এক শ্রেণী থেকে পরের শ্রেণীতে ওঠাউঠিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সে-বিষয়েও বললেন। যে সংস্কৃত কলেজে সংস্কৃত শিক্ষার জন্য ঠাকুরদাসবাবু তাঁর বড় ছেলেটিকে ভর্তি করে দিয়েছিলেন, সেই পুত্রই এবার ইংরেজি শেখার প্রয়োজনীয়তা বুঝে নিজেই সেখানে রীতিমতো ইংরেজি পড়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এসব গল্প আবার পরে বলা যাবে।
বিদ্যাসাগর মশায় কি শুধু পড়া-পড়ানো-অধ্যাপক নিযুক্তি এসব কাজ নিয়েই থাকছেন? তার মাথায় তখন সাহেবরা বোঝার পর বোঝা চাপিয়েই চলেছেন। তার ওপর তিনি করুণাসাগর। কলেজের অধ্যাপকই হোন আর ছাত্রই হোক— কেউ অসুস্থ হলে তাঁর সেবা এবং শুশ্রূষার সঙ্গে চিকিৎসার ব্যয়ভার করার দায়িত্বও বিদ্যাসাগর মশায়ের। অধ্যাপক জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চাননের ভাগনের ওলাওঠা হল— তলব হল তাঁর। গিয়ে দেখেন বারবার জামাকাপড় বদলাতে হবে। অতএব রোগীটাকে দে দরমার চাটাই-এর ওপর শুইয়ে। চোখে জল এল বিদ্যাসাগরের। ভাই দীনবন্ধুকে পাঠালেন তোশক, চাদর, বালিশ কিনে আনতে। কোনও মুটে না পেয়ে মাইল তিনেক রাস্তা সেগুলো ঘাড়ে চড়িয়ে দীনবন্ধু ফিরে এলেন। এবার গায়ের সব ময়লা ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে দুই ভাই মিলে রোগীকে বিছানা পেতে শুইয়ে দিলেন। কপাল করেছিলেন বটে এঁড়ে বাছুরটা। রোগীকে ভালো করে তবে তাঁর নিষ্কৃতি। পুরনো ছাত্র প্রিয়নাথ ভট্টাচার্যের দুটি ভাই কলেরায় আক্রান্ত। খবর গেল তাঁর কাছে। সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার ডেকে নিয়ে এসে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন। তাও তো এক ভাইকে বাঁচানো গেল না। বিদ্যাসাগরের চোখে জল গড়াচ্ছে অবিরল ধারায়। পরদুঃখে যে তিনি অশ্রুসাগর। বহুবাজারে তাঁর পড়শি বৈদ্যনাথ মুখুজ্যে মশায়ের কাজের ছেলেটির ওলাওঠা হল। গিয়ে দেখেন বৈদ্যনাথবাবু ভৃত্যটিকে ওপর থেকে নামিয়ে এনে পথে শুইয়ে দিয়েছেন। বিদ্যাসাগর কোনও কথাটি না বলে তাকে সরাসরি নিজের বাড়িতে নিয়ে এসে নিজের বিছানায় শুইয়ে দিয়ে তার সেবা শুরু করলেন। দিন পাঁচ-সাতেকের চিকিৎসায় সে ভালো হয়ে উঠল। যার ঈশ্বর (চন্দ্র) সহায়— সে তো বাঁচবেই।
১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা সংস্কৃত কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির পদে বহাল হয়েছিলেন পঞ্চাশ টাকা বেতনে। কাজে যোগ দিয়েই সংস্কৃত কলেজটির সংস্কারের কাজে লেগে গেলেন। প্রথমেই ব্যাকরণ শ্রেণীর পরপর তিন বছরের সিলেবাস থেকে পড়ানোর রকমের বদল ঘটালেন। তিনি ছাত্রাবস্থা থেকেই দেখতেন কোনও কোনও শিক্ষক মশায় চেয়ারে হেলান দিয়ে নাসাগর্জন সহ নিদ্রাসুখে মগ্ন। আর প্রিয়তম ছাত্রের ভবিষ্যৎ ঝরঝরে করার জন্য বশংবদ ছাত্রটিকে দিয়ে পাখার হাওয়া করাচ্ছেন। বিদ্যাসাগরের ধমকের হাওয়ায় পাখা উড়ে গেল এবং নাক-ডাকা বন্ধ হল। যখন-তখন না বলে চলে যাওয়া, দেরি করে আসা এবং তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া— এসব রদ হল। কাঠের টিকিট-পাশ না নিয়ে বাইরে যাওয়া চলবে না (এর থেকেই কি শরৎচন্দ্র ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসে থুথু ফেলা, জল খাওয়ার জন্য সময় নির্দিষ্ট করে ‘পাশে’র বন্দোবস্ত করেছিলেন)। আগে থেকে না জানিয়ে কী ছাত্র, কী অধ্যাপক ক্লাস-কামাই করতে পারবেন না। সংস্কৃত কলেজে বিদ্যাসাগর ‘স্ট্যান্ড-অ্যাট-ইজ’-এর পরিবর্তে সর্বক্ষণের ‘অ্যাটেনসন’-এর বন্দোবস্ত করলেন। বিদ্যাসাগর কি চাকরি পেয়ে সাহেব হয়ে গেলেন নাকি?
(ক্রমশ)
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল 
16th  February, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১৩

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- দ্বিতীয় কিস্তি। 
বিশদ

23rd  February, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব- ১৩
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

23rd  February, 2020
গায়ক চারা
সসীমকুমার বাড়ৈ

—স্যার, ও এসেছে।
—কে? মন্দার ফাইল থেকে মুখ তুলে জিজ্ঞেস করল।  বিশদ

23rd  February, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১২ 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- প্রথম কিস্তি।
বিশদ

16th  February, 2020
একাকী ভোরের খোঁজে
কমলেশ রায়

দিন চলে যায় হিসেব মতন, ভোর-দুপুর-বিকেল। কেমন করে ভোর নামে আকাশের ঝাঁক তারা থেকে বা কোথাও অদৃশ্য জ্যোৎস্নায় উঁকিঝুঁকি দিয়ে বা ভোর বলে কিছু নেই। শুধুই দিন গুটোনো একটা অংশের নাম ভোর। গত চার-পাঁচ বছরে কিছুই জানে না দিব্যেন্দু। 
বিশদ

16th  February, 2020
 সোহিনী
আইভি চট্টোপাধ্যায়

এমারজেন্সির ডিউটি ডক্টর ফোন করেছিল, ‘ম্যাম, একবার আসতে হবে।’ এই মুশকিল। ওপিডি করে ওয়ার্ডে রাউন্ডে যাওয়ার কথা। এইসময় আবার এমারজেন্সি? কনসাল্টেশন রুমের বাইরেই অভীক। পেশেন্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করা, সিরিয়াল নম্বর অনুযায়ী পেশেন্ট পাঠানো এসব ওর কাজ। অভীককে ডেকে নিল সোহিনী, ‘আর ক’জন আছে?’
বিশদ

09th  February, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব- ১১
বারিদবরণ ঘোষ

 চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি।
বিশদ

09th  February, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-১১

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়- শেষ কিস্তি।
বিশদ

09th  February, 2020
আজও তারা জ্বলে 

পর্ব-১০

এছাড়াও বেশ কিছু ছবি ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতাছাড়া হয়েছে। তারমধ্যে কয়েকটি মন্দ ভাগ্যের দরুন। যেমন— নীহাররঞ্জন গুপ্তর একটি গল্প নিয়ে ছবি করা তাঁর বহুদিনের ইচ্ছে ছিল। কিরীটী রায়ের ভূমিকায় প্রদীপ কুমার, নায়িকা সুচিত্রা সেন। ভানুর এই ছবি করা হয়নি। 
বিশদ

02nd  February, 2020
অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

02nd  February, 2020
নতুন মানুষ
বিভাসকুমার সরকার 

অনন্তরামের আজ বড় আনন্দ। কর্তামশাই আসছেন তার বাড়িতে। আবার একা নন, মেয়ে জামাই সুদ্ধ। সকাল থেকে তার ব্যস্ততার অন্ত নেই। এটা আনছে, ওটা সরাচ্ছে। তার সঙ্গে হাঁকডাক। পাড়ার লোকের চোখ ছানাবড়া। সাদাসিধা, শান্তশিষ্ট, লোকটার হল কী! 
বিশদ

02nd  February, 2020
 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়- নবম কিস্তি। 
বিশদ

26th  January, 2020
 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

26th  January, 2020
দী পা ন্বি তা
বাণীব্রত চক্রবর্তী

পেছন থেকে কে যেন ডাকল। তার নাম ধরে নয়। সমরজিৎ স্পষ্ট শুনেছে, ‘মাস্টারমশাই! একটু থামবেন!’ অফিস থেকে ফিরছিল। বাস থেকে নেমে মিনিট দশেক হাঁটলে তাদের বাড়ি। চার মিনিট হাঁটার পর ডাকটা শুনতে পেয়েছিল। মাস্টারমশাই কেন! সে কলেজ স্ট্রিট পাড়ায় নিউ ওয়েভ পাবলিশিংয়ে কাজ করে। রবিবার সন্ধেবেলায় ময়ূরাক্ষী পল্লিতে দীপান্বিতাকে পড়াতে যায়। 
বিশদ

26th  January, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, লালবাগ: সোমবার রাতে জিয়াগঞ্জ শহরের নেতাজি মোড় সংলগ্ন শ্রীপৎ সিং কলেজের সামনে দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম খোকন দাস(২২)। বাড়ি জিয়াগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন পদমপুরে। মঙ্গলবার লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়।  ...

বিএনএ রায়গঞ্জ: সোমবার জাতীয়তাবাদী অধ্যাপক ও গবেষক সংঘের পক্ষ থেকে দিল্লিতে ইউজিসি’র চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন দাবি জানানো হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরিকাঠামোগত সমস্যার পাশাপাশি নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ম নিয়ে তারা ...

তেহরান ও বেজিং, ২৫ ফেব্রুয়ারি: করোনার হানায় নতুন করে ৭১ জনের মৃত্যুর পর চীনজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ হাজার ৬৬৩। এর মধ্যে উবেইতে মারা গিয়েছেন ৬৮ জন। যদিও দেশের স্বাস্থ্য কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্তের ...

মাদ্রিদ, ২৫ ফেব্রুয়ারি: সের্গিও র‌্যামোস, করিম বেনজেমা, সের্গিও আগুয়েরো, কেভিন ডি ব্রুইনের মতো তারকা ফুটবলাররা রয়েছেন।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম
১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম
১৯৩৬: চিত্র পরিচালক মনমোহন দেশাইয়ের জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.০৩ টাকা ৭২.৭৪ টাকা
পাউন্ড ৯১.৩৮ টাকা ৯৪.৬৭ টাকা
ইউরো ৭৬.৬৪ টাকা ৭৯.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৩,৩৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪১,১৪০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪১,৭৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার, (ফাল্গুন শুক্লপক্ষ) তৃতীয়া ৫৫/১৮ রাত্রি ৪/১২। উত্তরভাদ্রপদ ৪০/৮ রাত্রি ১০/৮। সূ উ ৬/৫/৪, অ ৫/৩৪/৩২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৬ গতে ১১/২৮ মধ্যে পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/২৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৫৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫৮ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫৭ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
১৩ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার, তৃতীয়া ৪৯/৪২/৮ রাত্রি ২/০/৫৫। উত্তরভাদ্রপদ ৩৫/৫৬/৩২ রাত্রি ৮/৩০/৪১। সূ উ ৬/৮/৪, অ ৫/৩৩/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩১ মধ্যে ও ৯/৫১ গতে ১১/২৪ মধ্যে ও ৩/১৮ গতে ৪/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৫১ গতে ৬/৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫৯/২৭ গতে ১০/২৫/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫৯/২৭ গতে ৪/৩৩/৪৫ মধ্যে। 
১ রজব  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। বৃষ: কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিন  
১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম১৯৩৬: ...বিশদ

07:03:20 PM

৫০০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স  

03:18:18 PM

শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখুন, দিল্লিবাসীর কাছে আবেদন প্রধানমন্ত্রীর 
উত্তর-পূর্ব দিল্লিজুড়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার চার দিনের মাথায় এবিষয়ে প্রথম ...বিশদ

02:56:50 PM

মহিষবাথানে অগ্নিদগ্ধ প্রৌঢ়া
রান্না করতে গিয়ে গায়ে আগুন লেগে গুরুতর জখম হলেন এক ...বিশদ

02:46:00 PM

উত্তর-পূর্ব দিল্লির চাঁদবাগে মিলল আইবি অফিসারের মৃতদেহ 

02:16:00 PM