Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মেহফিল-এ ডোভাল লেন
সায়নদীপ ঘোষ

পাঁচের দশকের একদম শুরুর দিকের কথা। সিংহি পার্কের বিজয়া সম্মিলনি। নাটক, আধুনিক গান আর শাস্ত্রীয় সঙ্গীত মিলিয়ে তিনদিনের জমজমাট অনুষ্ঠান। দেখা গেল, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি পাড়ার মানুষদের আগ্রহ সবথেকে বেশি। সই দেখে পাড়ার যুবকরা ঠিক করলেন, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বার্ষিক অনুষ্ঠান করতে হবে। যেমন ভাবনা তেমনি কাজ। ১৯৫২ সাল। গুটি গুটি পায়ে পথচলা শুরু করল ‘দ্য ডোভারলেন মিউজিক কনফারেন্স’। শীতের রাতে ডোভারলেনের রাস্তা মুখরিত হয়ে উঠল পণ্ডিত রবিশঙ্করের সেতার আর উস্তাদ আলি আকবর খানের সরোদে। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ৭২ বছর। দীর্ঘদিনের এই যাত্রায় এসেছে নানান বাধা-বিপত্তি। তবে থেমে থাকেনি সুর-তালের মেহফিল। চাররাত্রী ব্যাপী এই বার্ষিক সঙ্গীত সম্মেলন আজও চলছে স্বমহিমায়। 
শীতের কলকাতার অন্যতম আকর্ষণ সঙ্গীতের এই মহোৎসব। রাত শুরু হচ্ছে রাগেশ্রী দিয়ে। আর ভোরের আলো ফুটতেই কানে ভেসে আসে ভৈরবীর করুণ সুর। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও নৃত্য জগতের হেন শিল্পী নেই যাঁরা এখানে অনুষ্ঠান করেননি। তালিকা দীর্ঘ। পণ্ডিত রবিশঙ্কর, উস্তাদ বিলায়েত খান, উস্তাদ আমির খান, পণ্ডিত ভীমসেন যোশি, পণ্ডিত বিরজু মহারাজ, পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, উস্তাদ জাকির হুসেন। সাত দশক ধরে ডোভারলনের মঞ্চকে সমৃদ্ধ করেছেন এই মহিরুহ শিল্পীরা। 
৩ ডোভারলেন। গড়িয়াহাট অঞ্চলের এই ঠিকানায় প্রথম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ঠিক যেন পাড়ার বার্ষিক সম্মেলন। নবীন-প্রবীণের যুগলবন্দি। সারা বছর ধরে চলত ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের লড়াই। ইলিশ-চিংড়ি নিয়ে টানাটানি। নানান বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি। তবে বছরের এই সময়টা এলেই গোটা পাড়া মেতে উঠত উৎসবের আনন্দে। মিটে যেত যাবতীয় বিভেদ, ঝগড়া। তখন পাড়ার তিরিশটি পরিবার যেন এক বৃহত্তর যৌথ পরিবার। একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হৈ হৈ করে উতরে যেত বার্ষিক সঙ্গীত সম্মেলনের আসর। আজ যুগ পাল্টেছে। মানুষের হাতে সময় কম। বহু পুরনো সঙ্গীত সম্মেলন আজ আতীত।তবে ডোভারলেনের প্রদীপ নেভেনি।প্রথমে হাল ধরেছিলেন অজিত ঘোষ, লক্ষ্মী শীল, প্রমুখ। তারপর দায়িত্ব নেন রতু সেন। দেখতে দেখতে ব্যাটন এসে পৌঁছেছে তৃতীয় প্রজন্মের হাতে। উৎসাহে অবশ্য একটুও ভাটা পড়েনি। সাধারণ সম্পাদক মনোতোষ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘উনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জেরেই আজ ডোভারলেন এতো পরিচিতি পেয়েছে। সেই পথ অনুসরণ করে আজও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। রতু সেন, অজিত ঘোষের মতো মানুষ না থাকলে ডোভারলেনের যাত্রার এতোটা সুদীর্ঘ হতে পারত না।’
সিংহি পার্ক, হিন্দুস্তান পার্ক, বিবেকানন্দ পার্ক হয়ে আজকের নজরুল মঞ্চ। সাত দশকের এই দীর্ঘ যাত্রায় বারবার ঠিকানা বদলেছে ডোভারলেন। শুরুর দিকে অনুষ্ঠান হতো খোলা প্যান্ডেলে। পাড়ার কোনও বাসিন্দার ঘরের দরজা খুলে দেওয়া হতো শিল্পীদের জন্য। সেটাই হয়ে যেত গ্রিনরুম। সেতার, সরোদ, হারমোনিয়াম, তবলা নিয়ে চলত শেষ মুহূর্তের মহড়া। সেটাই হয়ে উঠত ছোটখাটো এক বৈঠকী। তারপর মূল অনুষ্ঠান। পাড়ার বাসিন্দাদের জন্য কোনও টিকিট লাগত না। যত আগে আসা যাবে প্রিয় শিল্পীকে তত কাছ থেকে দেখার সুযোগ মিলবে। তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে প্যান্ডেলে চলে আসতেন বাসিন্দারা।
আজ নজরুল মঞ্চ চারিদিক দিয়ে বন্ধ। তবে নব্বইয়ের দশকে তেমনটা ছিল না। ফলে শীতের সময় তাপমাত্রার জন্য শিল্পীদের যন্ত্র মাঝেমধ্যে বেসুরো হয়ে যেত। সিংহি পার্ক, ডোভারলেন, বিবেকানন্দ পার্কেও এই চিত্র চোখে পড়ত। এই প্রসঙ্গে প্রয়াত সেতার শিল্পী উস্তাদ বিলায়েত খানের একটি ঘটনার কথা না বললেই নয়। ভোররাতের অনুষ্ঠান। বাজনার মাঝখানে বেসুরো সেতারের সুর মেলাতে লাগলেন শিল্পীরা। শ্রোতারা ভাবলেন, উস্তাদজির বাজনা শেষ হয়ে গিয়েছে। একে একে বেরিয়ে যেতে লাগলেন। এই দৃশ্য দেখামাত্রঅত্যন্ত বিরক্ত হলেন সেতার শিল্পী। সেতার মঞ্চে রেখে স্পষ্ট বলে উঠলেন, ‘যাঁরা যেতে ইচ্ছুক তাঁরা চলে যেতে পারেন। আর যাঁরা আমার অনুষ্ঠান শুনতে চান তাঁরা আসন গ্রহণ করুন। সবকিছু শান্ত হওয়ার পর আমি আবার অনুষ্ঠান শুরু করব।’ সঙ্গে সঙ্গে হুড়মুড়িয়ে আসন গ্রহণ করলেন বিভ্রান্ত শ্রোতারা। আজকের দিনে অবশ্য এমন ভুল হওয়ার সুযোগ নেই। 
৭২ বছরের এই যাত্রায় এসেছে হাজার বাধা-বিপত্তি। মাঝে ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল মিউজিক কনফারেন্স। ১৯৭৮ সাল থেকে আবার নতুন করে পথ চলা শুরু। তারপর আর থামতে হয়নি। কোভিড পর্বে নির্ধারিত সময়ের পরে অনুষ্ঠান করতে হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু চাকা থেমে থাকেনি। এই প্রসঙ্গেআশির দশকের একটা ঘটনা বলা যাক। ১৯৮৮ সাল। প্রথম রাতে অনুষ্ঠান করবেন ভীমশেন যোশি। সকলেই খুব উৎসাহী। নির্ধারিত অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগে ফোনে শিল্পী জানালেন, অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারছেন না। শেষদিনে আসবেন। এদিকে উদ্যোক্তাদের তো মাথায় হাত। এতো কম সময় বিকল্প শিল্পীর হদিশ মিলবে কীভাবে। সেবছর শেষদিনের শিল্পীদের তালিকায় ছিলেন পণ্ডিত মানস চক্রবর্তী। শিল্পীর বাড়িতে ছুটলেন উদ্যোক্তারা। মানসবাবুকে প্রায় ঘুম থেকে তুলে এনে মঞ্চে বসিয়ে দেওয়া হল। বাকিটা ইতিহাস। ডোভারলেন মিউজিক কনফারেন্সের বর্তমান চেয়ারম্যান ব্রতীন্দ্র মুসতাফির কথায়, ‘কণ্ঠের জাদু দিয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন মানসদা। সেই অভিজ্ঞতা আজও ভোলার নয়।’ আরও একবার শেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠান বাতিল করেছিলেন এক প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। তখনকার দিনে তো আর মোবাইল ফোন ছিল না। যোগাযোগের মাধ্যম বলতে শুধুই ল্যান্ডলাইন। আমেদাবাদে অনুষ্ঠান শেষ করে মুম্বই ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া। হোটেলেই ফোন করলেন কর্মকর্তারা। শিল্পীকে সন্ধ্যায় কলকাতায় অনুষ্ঠান করে মুম্বই ফিরে যাওয়ার আবেদন জানানো হল। হাসিমুখে রাজি হয়ে গেলেন হরিজি। এলেন। বাঁশির সুরে মুগ্ধ করলেন দর্শকদের। তারপর ফিরে গেলেন বাণিজ্য নগরি।  
ডোভারলেন নিয়ে এমন একাধিক ঘটনা রয়েছে। একবার কণ্ঠসঙ্গীত পরিবেশন করছেন পণ্ডিত ভীমশেন যোশি। গাইতে গাইতে উল্টোদিকে ঘুরে গেলেন শিল্পী। বুঝতেও পারলেন না যে শ্রোতারা তাঁর পিছনে রয়েছেন। চোখ খুলতেইদেখলেন, মঞ্চের পিছনের পর্দা। বলে উঠলেন. পর্দা সরিয়ে না দিলে আমার শ্রোতাদের দেখব কীভাবে! এই মঞ্চেই শেষবার সেতারে ঝড় তুলেছিলেন পণ্ডিত নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনের দরবারি কানাড়ার আলাপ হয়তো আজও শ্রোতাদের কানে বাজছে। 
বহুবার অনুষ্ঠানের মাঝে নিজের বাজনা থামিয়ে সহ শিল্পীর তারিফ করেছেন আরেক শিল্পী। একবার পণ্ডিত রবিশঙ্কর সেতার বাজাচ্ছিলেন। তবলায় সঙ্গত করছিলেন উস্তাদ জাকির হুসেন। হঠাৎ সেতার থামালেন পণ্ডিতজি। উল্টোদিকের তরুণ যুবকটি তখন তবলায় ঝড় তুলেছে। সেতার রেখে কিছুক্ষণের জন্য জাকিরের একক তবলা বাদন উপভোগ করলেন রবিশঙ্কর। তবলার বোল থামতেই হাততালিতে ফেটে পড়ল গোটা প্রেক্ষাগৃহ। 
নিজের অনুষ্ঠান না থাকলেও অন্য শিল্পীদের শুনতে ডোভারলেনে এসেছেন বহু উস্তাদ ও পণ্ডিত। একবার বিমানবন্দর থেকে নেমে হোটেলে যাচ্ছেন পণ্ডিত যশরাজ। যেতে যেতে শুনতে পেলেন পণ্ডিত ছন্নুলাল মিশ্রের গান। গাড়ি থেকে নেমে সোজা চলে গেলেন গান শুনতে। সারারাত ধরে অনুষ্ঠান। এটাই যেন ডোভারলেনের ইউএসপি। এই আমেজ হয়তো খুব কম জায়গায় মেলে। তাই তো টিকিট না পাওয়া রাস্তায় বসে শিল্পীদের অনুষ্ঠান শুনেছেন শ্রোতারা। একবার তো বিবেকানন্দ পার্কের গেট পর্যন্ত খুলে দিতে হয়েছিল। কোষাধ্যক্ষ শান্তনু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সে এক মজার ঘটনা। সেদিন শেষদিকের শিল্পী ছিলেন পণ্ডিত ভীমশন যোশী, উস্তাদ বিলায়েত খান ও উস্তাদ জাকির হুসেন। একাট সময় পর দেখা গেল। গেটের বাইরে ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য শ্রোতা। বাধ্য হয়েই গেট খুলে দেওয়া হল। অনেকেই মাটিতে কাগজ পেতে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করেছলেন।’ 
সদ্য প্রয়াত হয়েছেন উস্তাদ জাকির হুসেন। অতীতের বহু প্রতিষ্ঠিত শিল্পী পাড়ি দিয়ছেন সুরলোকে। বার্ষিক সম্মেলনের পাশাপাশি নবীন প্রজন্মের উদীয়মান শিল্পীদের খোঁজার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ডোভারলেন। মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা আর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এই কর্মকাণ্ডের অন্যতম অংশ। মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার সেরা শিল্পীরা পরবর্তীতে ডোভারলেনের মুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের সুযোগ পান। বার্ষিক শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সম্মেলনেও চোখে পড়ে নবীন-প্রবীণের সহাবস্থান। এভাবেইভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে ডোভারলেন মিউজিক কনফারেন্স। 
19th  January, 2025
‘না’ বলার সুযোগ ছিল না
পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়

আটের দশকের কথা। ডোভার লেনে বাজাবেন উস্তাদ জাকির হুসেন। কিন্তু কোনও কারণে আসতে পারেননি উনি। এদিকে অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। তিন ঘণ্টা আগে বাড়িতে হাজির উদ্যোক্তারা। ‘না’ বলার কোনও সুযোগ ছিল না। গাড়ি করে নিয়ে গেলেন। বিশদ

19th  January, 2025
দার্জিলিংয়ে স্বামীজি

স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য চারবার দার্জিলিং গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। আতিথ্য নিয়েছিলেন মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বলেন ভিলা’য়, বর্ধমানরাজের প্রাসাদ ‘চন্দ্রকুঠী’তে। সেই ‘বলেন ভিলা’ আজ নিশ্চিহ্ন। কেমন আছে ‘চন্দ্রকুঠী’? খোঁজ নিলেন অনিরুদ্ধ সরকার  
বিশদ

12th  January, 2025
শীতের সার্কাস
কৌশিক মজুমদার

আমাদের দক্ষিণবঙ্গে শীত আসে দেরিতে, যায় তাড়াতাড়ি। জয়নগর থেকে মোয়া আসা শুরু হয়েছে। স্বর্ণচূড় ধানের খই দিয়ে তৈরি, উপরে একফালি বাদামি কিশমিশ। রোদের রং সোনা হয়েছে। সকালের রোদ বাড়তে বাড়তে পা ছুঁলেই মিষ্টি এক উত্তাপ। বিশদ

05th  January, 2025
বছর শেষে কোন পথে দেশ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘তালা খুলে দাও!’ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে বললেন অরুণ নেহরু। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ। শাহবানু মামলা নিয়ে হিন্দুরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। খোদ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংস্থাগুলি তেমনই রিপোর্ট দিচ্ছে। রাজীব গান্ধী উদ্বিগ্ন। তিনি বুঝতে পারছেন, ক্রমেই রাজনীতির মধ্যে হিন্দুত্ব প্রবেশ করছে। বিশদ

29th  December, 2024
আকাশ ছোঁয়ার শতবর্ষ

কলকাতা বিমানবন্দরের ১০০ বছর! গড়ের মাঠের এয়ারফিল্ড থেকে দমদমার মাঠে বিমানবন্দর গড়ে ওঠার কাহিনি রূপকথার মতো। সেই অজানা ইতিহাসের খোঁজে অনিরুদ্ধ সরকার
বিশদ

22nd  December, 2024
অজানা আতঙ্ক ডিজিটাল অ্যারেস্ট
সৌম্য নিয়োগী

পুলিস নেই, হাতকড়া নেই, গারদ নেই... স্রেফ ইন্টারনেট যুক্ত কম্পিউটার বা ট্যাবলেট নিদেনপক্ষে একটা স্মার্টফোন থাকলেই ব্যস— ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট থুড়ি ডিজিটাল বিশদ

15th  December, 2024
আজমিরের দরবারে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

আজমির দরগায় কি মহাদেবের মন্দির ছিল? আচমকা এমন এক প্রশ্ন ঘিরে তোলপাড় দেশ। যুক্তি, পাল্টা যুক্তির মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় চোখ বোলাল ‘বর্তমান’ বিশদ

08th  December, 2024
উমা থেকে দুর্গা

বিভূতিভূষণের সেই দুর্গা বইয়ের পাতা থেকে উঠে এল সত্যজিতের ছবিতে। সারা জীবনে একটি ছবিতে অভিনয় করে ইতিহাস হয়ে আছেন। কিন্তু নতুন প্রজন্ম মনে রাখেনি তাঁকে। ১৮ নভেম্বর নিঃশব্দে চলে গেলেন তিনি। ‘পথের পাঁচালী’-র দুর্গা, উমা দাশগুপ্তকে নিয়ে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

01st  December, 2024
পাগল হাওয়া
দেবজ্যোতি মিশ্র

কবি, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতকার... কোনও বিশেষণই তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি সলিল চৌধুরী। শতাব্দী পেরিয়েও বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে তাঁর গান। জন্মশতবর্ষের সূচনায় ‘গুরুবন্দনা’য় কলম ধরলেন দেবজ্যোতি মিশ্র বিশদ

24th  November, 2024
হারানো বইয়ের খোঁজে

সন্দীপদা, মানে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ স্থাপক এবং লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক সন্দীপ দত্ত চলে গেছেন প্রায় দেড় বছর হল। বছর চারেক আগে খোলামেলা এক আড্ডায় সন্দীপদা বলেছিলেন, “৭২এ স্কটিশে বাংলা অনার্স পড়ার সময় আমি মাঝেমাঝেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। মে মাসের একটা ঘটনা। … দেখলাম বহু পত্রিকা একজায়গায় জড়ো করা আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশদ

10th  November, 2024
ভাইজানের বিপদ
সমৃদ্ধ দত্ত

এই গ্রুপটাকে সবাই একটু ভয় পায়। কলেজের মধ্যে এই চারজন সর্বদাই একসঙ্গে থাকে। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে আসে দুপুর গড়াতেই। আর সেখানেই তাদের ঘোরাফেরা সবথেকে বেশি। হুড খোলা একটা মাহিন্দ্রা জিপ চালায় যে, তার আসল নাম বলকারান ব্রার। বিশদ

03rd  November, 2024
কাজীর কালীবন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, মা কালীর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে। যে কারণে কেরেস্তানি কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সাহেবের লেখা পদেও ‘শ্যামা সর্বনাশী’কে পাওয়া যায়, শোনা যায় ‘জয় কালীর ডঙ্কা’। আবার ত্রিপুরার নারায়ণপুরের মৃজা হুসেন আলিকে জয় কালীর নামে যমকেও তাচ্ছিল্য করতে দেখি। বিশদ

27th  October, 2024
শুভ বিজয়া
কৌশিক মজুমদার 

বিজয়ার থেকেই ধীরে ধীরে দিনগুলো, রাতগুলো কেমন অদ্ভুত ঝিমধরা ক্লান্ত লাগে। প্রতি মুহূর্তে মনে হয় যেন এবার আরও অনেক কিছু করার ছিল, জীবনপাত্র উছলিয়া ভরার ছিল। ভরা হল না।  বিশদ

20th  October, 2024
একনজরে
আইএসএলে ইস্ট বেঙ্গলের হারের ধারা অব্যাহত। রবিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে এফসি গোয়ার কাছে ০-১ গোলে বশ মানল অস্কার ব্রুজোঁর ছেলেরা। সবমিলিয়ে হারের হ্যাটট্রিকে আরও বিপাকে ক্লেটনরা। ...

ধান কেনায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বীরভূম জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে এখনও অবধি প্রায় ১লাখ ৬৫হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। ...

বালুরঘাট শহরে জোড়া ব্রিজের কাছে আত্রেয়ী সংলগ্ন খাঁড়ি দখল করে নির্মিত হচ্ছে দোকান। যা নিয়ে সরব হন শহরের মানুষ। সেই খবর ‘বর্তমান’-এ প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল সেচদপ্তর। ...

অবশেষে ঘুম ভাঙল মোদি সরকারের। শম্ভু ও খানাউরি সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা।  সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৬৫:  ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়
১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৮৭০:  বেঙ্গল গেজেট প্রথম প্রকাশিত হয়
১৮৭১: শিল্পপতি রতনজি টাটার জন্ম
১৮৯২: আমেরিকার স্প্রিং ফিল্ডে প্রথম বাস্কেটবল খেলা হয়
১৯০৫: দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের প্রিমিয়ার খনিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরা পাওয়া যায়। যার ওজন ছিল ৩.১০৬ ক্যারেট
১৯৩৪: আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানী হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানীর যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৮৪: বিশ্বের সেরা সাঁতারু ও টারজান চরিত্রাভিনেতা জনি ওয়েসমুলারের মৃত্যু
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু
১৯৯৫: তাজমহলকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষাকল্পে ৮৪ টি শিল্প কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়
২০০৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম এবং প্রথম আফ্রো-আমেরিকান রাষ্ট্রপতি হিসেবে বারাক ওবামার শপথ গ্রহণ
২০২১: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম উপ রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস এর শপথ গ্রহণ।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৮ টাকা ১০৭.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৬০ টাকা ৯০.৯৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
19th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৯/০, দিবা ৯/৫৯। হস্তা নক্ষত্র ৩৮/১৮ রাত্রি ৮/৩০। সূর্যোদয় ৬/২২/৫৭, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৩/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। 
৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী দিবা ৯/১৭। হস্তা নক্ষত্র ৮/১০। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৭ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ২/৩০ গতে ৩/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। 
১৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

11:47:43 PM

পূর্ণকুম্ভে চলছে লেজার লাইট শো, বিনামূল্যেই দর্শন করতে পারছেন পুণ্যার্থীরা

11:24:28 PM

আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হল, শপথ নেওয়ার পরেই দাবি ট্রাম্পের

11:21:00 PM

লটারি এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ছিনতাই
পিস্তল দেখিয়ে একটি লটারির এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ...বিশদ

09:58:00 PM

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে শুরু করেছেন অতিথিরা

09:37:00 PM

স্ত্রী মেলানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে হোয়াইট হাউসে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

09:19:00 PM