Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ভাইজানের বিপদ
সমৃদ্ধ দত্ত

এই গ্রুপটাকে সবাই একটু ভয় পায়। কলেজের মধ্যে এই চারজন সর্বদাই একসঙ্গে থাকে। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে আসে দুপুর গড়াতেই। আর সেখানেই তাদের ঘোরাফেরা সবথেকে বেশি। হুড খোলা একটা মাহিন্দ্রা জিপ চালায় যে, তার আসল নাম বলকারান ব্রার। কিন্তু এই নাম পছন্দ না হওয়ায় সে পাল্টে ফেলতে চেয়েছিল নিজের পরিচয়। মামী তাকে বলেছিল, নিজের সম্প্রদায়কে তুই এত ভালবাসিস যখন, তখন সেটাই থাকুক তোর পদবিতে। বিশনয়। আর নাম হোক লরেন্স। লরেন্স বিশনয় (বিষ্ণোই)। তখন ১৮ বছর বয়স। ২০১১ সাল। ঘনিষ্ঠ বন্ধুবৃত্তে বাকি তিনজন—সম্পৎ নেহরা, যাকে বন্ধুরা ডাকে বলকারি নামে। বিক্রমজিৎ সিং অর্থাৎ ভিকি। এবং সবথেকে রাগী সত্যেন্দরজিৎ সিং, ডাক নাম গোল্ডি ব্রার। গ্রুপের অঘোষিত নেতা লরেন্স। 
সেদিন ক্যান্টিন থেকে ওরা বেরনোর মুখেই দেখল, উদয় ঢুকছে। ডিএভি কলেজ ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হয়েছে রবিন ব্রার। লরেন্সরা সমর্থন করছে তাকে। কিন্তু এই উদয় তারই বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছে। ছেলেটা জনপ্রিয়। জিতে যেতে পারে। সুতরাং, বিপদ!
লরেন্স উদয়ের কাঁধে হাত দিয়ে বলল, ‘কথা আছে।’
কাঁধের দিকে তাকিয়ে উদয়ের জবাব, ‘কাঁধ ছাড়।’ 
কাঁধ ছেড়ে দিয়ে লরেন্স বলল, ‘ক্যান্ডিডেট হওয়া চলবে না। উইথড্র করে নে তোর নাম।’ 
উদয় অবাক। এই গ্রুপটাকে সে দেখেছে। ফার্স্ট ইয়ারেই দাদাগিরি শুরু করেছে। অথচ সে সিনিয়র। উদয় উত্তর দিল, ‘সেটা সম্ভব নয়। বরং রবিনকে বল, উইথড্র করতে। তারপর একসঙ্গে কাজ করব।’ 
গোল্ডি বলল, ‘আর একবার ভেবে নিয়ে কাল জানিয়ে দিস।’ 
উদয় বলল, ‘আর ভাবার কিছু নেই তো! আমি লড়ছি। এর মধ্যে তোরা আসছিস কেন? সাহস তো কম নয়?’ 
লরেন্স হঠাৎ একটু পিছিয়ে কোমরে হাত দিল। একটা পিস্তল হাতে। ট্রিগার চালিয়ে দিল। গুলি লাগেনি উদয়ের শরীরে। লাফিয়ে সরে গিয়েছে। ছুটে আসছে তার সঙ্গীরা। আর দৌড়ে বাইরে চলে গিয়েছে লরেন্স। পালাচ্ছে? না। সে জানে উদয়ের গাড়ি কোনটা। দৌড়ে গিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিল। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটিতে ইউনিয়ন ইলেকশনে মারামারি হয়। তাই বলে এত বাড়াবাড়ি কোনওদিন হয়নি। 
লরেন্স, গোল্ডি, ভিকি আর বলকারকে পুলিস তুলে নিয়ে গেল থানায়।  গুলি চালানো, অস্ত্র রাখা এবং গাড়িতে আগুন দেওয়া। সোজা ‘রায়টিং’-এর ধারা দেওয়া হল।  
বুরালি জেল। সকালে সেল থেকে ছাড়া পেয়ে এক ঘণ্টা জগিং করে লরেন্স। সে লক্ষ্য করল, দু’জন তাকে দেখছে কয়েকদিন ধরে। পাঞ্জাবের দুতরানওয়ালি গ্রামের ছেলে হলেও লরেন্স গরিব নয়। পরিবারের কয়েকশ একর জমি আছে। বাবা পুলিস কনস্টেবল ছিলেন। কিন্তু ১৯৯৭ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে চাষবাসই করেন।
বিশ অর্থাৎ ২০। নয় অর্থাৎ ৯। দুয়ে মিলে ২৯। পঞ্চদশ শতাব্দীতে রাজস্থানে গুরু জাম্বেশ্বর একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সূত্রপাত করেন, যাদের জীবনযাপনে ২৯টি বৈশিষ্ট্য পালন করতে হবে। সবটাই ভালো মানুষ হয়ে ওঠার মন্ত্র— অন্যকে সেবা, মিথ্যা না বলা, গরিবের পাশে দাঁড়ানো, কাউকে আঘাত না করা, বিনয়ী হওয়া, পশুপাখি সূর্যচন্দ্র আকাশবাতাস অগ্নি এবং গাছকেই প্রকৃত ঈশ্বর মনে করা। তাই বিশ এবং নয়ের সমাহারে সেই সম্প্রদায়ের নাম বিশনয় (অপভ্রংশে বিষ্ণোই)। 
সেই যে দু’জন লরেন্সকে লক্ষ্য করছিল, তাদের নাম রঞ্জিত দুপলান এবং রকি ফাজিলকা। রঞ্জিত আমেরিকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সি চালায়। কিন্তু আসল কাজ, পাকিস্তান এবং পাঞ্জাব সীমান্ত হয়ে অস্ত্র পাচার। আর রকি? আন্তর্জাতিক অপরাধীদের সঙ্গে আর্মস ও ড্রাগের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল। লরেন্সকে পাশে বসিয়ে তারা  বলল, ‘এইসব ছোট ক্রাইম কতদিন করবে? এখন অল্প বয়স! এটাই তো সময় কেরিয়ার তৈরির। আগে গ্র্যাজুয়েশন করে নাও। ওটা কাজে লাগে হাই প্রোফাইল ক্রাইম সিন্ডিকেট তৈরি করতে। এসো হাত মেলাই।’ লরেন্স হাত মেলাল। 
জেলে গিয়েছিল একটি ছাত্র। কিন্তু কিছু মাস পর বেরিয়ে এল যে ছেলেটি, সে ততদিনে নিজেকে মনে মনে ভবিষ্যৎ মাফিয়া ডন হিসেবে দেখতে শুরু করেছে। রঞ্জিত আর রকি একটি ফর্মুলা বুঝিয়েছে। সেটাই অভিমুখ, অর্থাৎ মুম্বই, দিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, রাজস্থান, কানপুর, পাটনা সব মিলিয়ে একটি প্যান ইন্ডিয়ান ক্রিমিনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। শাখা ছড়াতে হবে বিদেশেও। 
লরেন্স আর তার গ্রুপের নতুন জীবন শুরু ২০১৪ থেকে। ২০১৩ সালে পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি ইউনিয়ন ইলেকশনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় লরেন্স। সংযোগ তৈরি হলরাজ্যের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে। আর তারপরই সূত্রপাত আসল খেলার! 
১৯৯০-২০০৬ ডিম্পি ছানভান। ২০০৭- ২০১৬ রকি। সেই পর্ব পাঞ্জাবে এল নতুন ডনের যুগ। লরেন্স বিশনয় (বিষ্ণোই)। সে পার্টনারশিপ করল কার সঙ্গে? উত্তরপ্রদেশের মুখতার আনসারি! লরেন্সকে বেনারসে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছিল সে। এবং সেই শুরু। ২০১৭ সাল থেকে ভারতে মাথাচারা দিল মাফিয়া সিন্ডিকেট। বিহার-উত্তরপ্রদেশের বক্সার গোগি গ্যাং। দিল্লির কালা জাঠেরি গ্যাং। পাঞ্জাবের জগ্গলু ভগবানপুরিয়া। রাজস্থানের রোহিত গোদারা। উদ্যোগ মাত্র ২৪ বছর বয়সি একটি ছেলের। ২০১৮ সালে ধরা পড়ে লরেন্স। দেশের কুখ্যাত অপরাধ দুনিয়াকে এক ছাদের নীচে এনেছে সে, একথা জানতে পেরে চমকে ওঠেন ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির গোয়েন্দারা। সিন্ডিকেটের দুই প্রধান সদস্যই খালিস্তানি জঙ্গি, পাকিস্তানের হরবিন্দর সান্ধু ওরফে রিন্ডা এবং কানাডার বাসিন্দা লখবিন্দর সিং ওরফে লান্ডা। আজ সেই লরেন্সের গ্যাং মেম্বার ৭২৮ জন। তাদের মধ্যে ৩৫০ জনই পাঞ্জাবে। ২৫০ জন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। আর বাকিরা ব্রিটেন, কানাডা, আমেরিকা, জার্মানি, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, দুবাই, ফিলিপিন্স এবং ইতালি! লরেন্স আমেদাবাদের সবরমতী জেলে বন্দি। সেখান থেকেই এই সিন্ডিকেট চালায়। 
২০১৮ সালে রাজস্থান পুলিস যখন হত্যা-অপহরণের একটি মামলায় আদালতে তুলছে, সেই সময় মিডিয়াকে দেখে চিৎকার করে ওঠে লরেন্স—‘এসব তো কিছুই করিনি! আসল টার্গেট তো অন্য। একদিন সলমন খানকে খতম করব! মিলিয়ে নিও তোমরা। আজও সে ক্ষমা চায়নি। স্বীকার করেনি। চিংকারা মেরেছে। শাস্তি হবেই!’
২০২৩ সালে গুজরাত পুলিস তাকে বলল, ‘মুক্তি পেয়ে এসব ছেড়ে দে! নর্মাল লাইফ কাটাবি!’ লরেন্স হেসে বলল, ‘সাব, আমি তো ইন্ডিয়ার নম্বর ওয়ান ক্রিমিনাল হব!’
****
সেলিম খান হেঁটে যাচ্ছেন সমুদ্রের দিকে। মুম্বইয়ের বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনেই সমুদ্র সৈকত। মর্নিং ওয়াক সেরে তিনি বসেন একটি বেঞ্চে। ২০২২ সালে সেই বেঞ্চে বসে তিনি লক্ষ্য করলেন, একটি কাগজ রাখা আছে। কৌতূহলী হয়ে খুলে দেখলেন লেখা আছে, ‘সলমনের হাল সিধু মুসেওয়ালার মতোই হবে। সাবধান। ইতি, জিবি, এলবি।’ অর্থাৎ গোল্ডি ব্রার। লরেন্স বিশনয়।
এক বছর পর। ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর। বান্দ্রার সৈকতের দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় আচমকা পাশে ব্রেক কষল মোটরবাইক। তাতে হেলমেট পরা একটি যুবক। পিছনে বোরখায় যুবতী। মেয়েটি বলল, ‘লরেন্স বিশনয় আসছে! হুঁশিয়ার!’ 
সেলিম খান সুপারস্টার সলমন খানের বাবা। তিন ছেলেকেই বললেন, পুলিসকে জানাতে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ এসে তদন্ত করে গেল সিসিটিভি দেখে। আরও বাড়ানো হল নিরাপত্তা। পাঞ্জাবের খ্যাতনামা গায়ক এ পি ধিলোঁর বাড়ির সামনে হঠাৎ গুলি। কারা চালাল? গোপন বার্তা এল, সম্প্রতি তিনি ইউটিউবে মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করেছেন সলমন খানকে সঙ্গী করে। অতএব সাবধান! 
লরেন্স গ্যাং ধীরে ধীরে ভাইজানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কেন? সূরয বরজাতিয়া ও রাজশ্রী প্রোডাকশনের সঙ্গে সলমনের নিয়তি যেন মিশে রয়েছে। ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’ ছবির ওই রোগাভোগা চোখে না পড়া ছেলেটি যে নিছক বাবা সেলিম খানের জন্যই সুযোগ পেয়েছিল, সেটা নিয়ে সংশয় নেই। কিন্তু সেই ছেলের যেন বিস্ময়কর ভোলবদল। তাঁকে নবজীবন দিয়েছে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’। কিন্তু যে সূরয বরজাতিয়ার সিনেমা ছিল সুপারস্টার হওয়ার পাসপোর্ট, তাঁরই ১৯৯৮ সালের ছবি ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-এর শ্যুটিং আজীবনের এক টেনশন উপহার দিয়ে গেল সলমনকে।
পয়লা অক্টোবর, ১৯৯৮। সেদিন শুটিং হবে না। সলমন খান, সইফ আলি খান, নীলম, সোনালি বেন্দ্রে এবং টাবু খোলা জিপে। যোধপুর আদালতে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছিল, ‘আমি দেখলাম দুটো কৃষ্ণসার হরিণ পালাচ্ছে। একটা পড়ে গেল একটা ডোবার মধ্যে। আর ওঠেনি। তাকে গুলি করা হয়েছে।’ 
কে গুলি করল?
সাক্ষী: ‘সলমন খান। কিন্তু তাকে গুলি করতে জোর করেছিল টাবু আর সোনালি। তারা বলছিল এত কাছে এসে গিয়েছে। এবার গুলি করো।’
এক-দু’টি নয়, তিনটি মামলা করা হয়েছিল তিনটি এফআইআ঩রের ভিত্তিতে। সলমন কিন্তু আগাগোড়া বলে গিয়েছেন, তিনি গুলি করেননি। সাক্ষীরাও পরে পিছু হটে। কিন্তু রাজস্থান নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের জেলের সাজা দেয় সলমনকে। আবার উচ্চ আদালতে সেই সাজা খারিজ হয়ে যায়। একে একে সব অভিযোগ থেকেই মুক্তি পাচ্ছিলেন। আর ঠিক সময়ই তাঁকে টার্গেট করল লরেন্স সিন্ডিকেট।আদালত যদি সাজা না দেয়, শাস্তি দেবে তারাই।
শুরু হল সরাসরি অ্যাটাক। ২০২৪ সালে দু’জন বাইক আরোহী গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে অন্তত ১০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পালায়। সেই বন্দুক কোথায় মিলল? সুরাতের তাপী নদীতে। কিন্তু এসবই ছিল ওয়ার্নিং। শেষপর্যন্ত শুরু হয়েছে খতম অভিযান। সলমনের দীর্ঘদিনের বন্ধু রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিকিকে সম্প্রতি খুন করেছে লরেন্স গ্যাং। 
সলমন কি বলিউডের ব্যাড বয়? কখনও ফুটপাতে গাড়ি দিয়ে মানুষকে পিষে ফেলার অভিযোগ, কখনও কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার মামলা। কখনও আবার প্রেমিকা ঐশ্বর্য রাইয়ের নতুন বয়ফ্রেন্ড বিবেক ওবেরয়কে মধ্যরাতে ফোন করে খুনের হুমকির অভিযোগ! আবার এই সলমনই গোপনে রক্ষা করেছেন বহু মানুষকে। বস্তির ছেলেমেয়েদের গোপনে দিয়েছেন শিক্ষার সম্পূর্ণ খরচ। তাঁর এনজিও ‘বিইং হিউম্যান’-এর কর্মযজ্ঞ ভারতজুড়ে। গরিবের কাছে রাতবিরেতে হাজির হন তিনি। একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন। তিনি গরিবের ভাইজান! কিন্তু এবার মাল্টিপ্লেক্সের স্ক্রিন নয়, সলমনের সামনে বাস্তবের হাড় হিম করা এক চ্যালেঞ্জ! ভাইজান বনাম লরেন্স! 
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
সহযোগিতায় : সত্যেন্দ্র পাত্র
03rd  November, 2024
উমা থেকে দুর্গা

বিভূতিভূষণের সেই দুর্গা বইয়ের পাতা থেকে উঠে এল সত্যজিতের ছবিতে। সারা জীবনে একটি ছবিতে অভিনয় করে ইতিহাস হয়ে আছেন। কিন্তু নতুন প্রজন্ম মনে রাখেনি তাঁকে। ১৮ নভেম্বর নিঃশব্দে চলে গেলেন তিনি। ‘পথের পাঁচালী’-র দুর্গা, উমা দাশগুপ্তকে নিয়ে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

01st  December, 2024
পাগল হাওয়া
দেবজ্যোতি মিশ্র

কবি, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতকার... কোনও বিশেষণই তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি সলিল চৌধুরী। শতাব্দী পেরিয়েও বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে তাঁর গান। জন্মশতবর্ষের সূচনায় ‘গুরুবন্দনা’য় কলম ধরলেন দেবজ্যোতি মিশ্র বিশদ

24th  November, 2024
হারানো বইয়ের খোঁজে

সন্দীপদা, মানে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ স্থাপক এবং লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক সন্দীপ দত্ত চলে গেছেন প্রায় দেড় বছর হল। বছর চারেক আগে খোলামেলা এক আড্ডায় সন্দীপদা বলেছিলেন, “৭২এ স্কটিশে বাংলা অনার্স পড়ার সময় আমি মাঝেমাঝেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। মে মাসের একটা ঘটনা। … দেখলাম বহু পত্রিকা একজায়গায় জড়ো করা আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশদ

10th  November, 2024
কাজীর কালীবন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, মা কালীর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে। যে কারণে কেরেস্তানি কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সাহেবের লেখা পদেও ‘শ্যামা সর্বনাশী’কে পাওয়া যায়, শোনা যায় ‘জয় কালীর ডঙ্কা’। আবার ত্রিপুরার নারায়ণপুরের মৃজা হুসেন আলিকে জয় কালীর নামে যমকেও তাচ্ছিল্য করতে দেখি। বিশদ

27th  October, 2024
শুভ বিজয়া
কৌশিক মজুমদার 

বিজয়ার থেকেই ধীরে ধীরে দিনগুলো, রাতগুলো কেমন অদ্ভুত ঝিমধরা ক্লান্ত লাগে। প্রতি মুহূর্তে মনে হয় যেন এবার আরও অনেক কিছু করার ছিল, জীবনপাত্র উছলিয়া ভরার ছিল। ভরা হল না।  বিশদ

20th  October, 2024
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
সোমা চক্রবর্তী

১৯৮৬। তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। ছুটিতে দু’বেলা আর অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় পড়তে বসা— এই ছিল রোজের রুটিন। পুজোর অপেক্ষায় থাকতাম সারা বছর। কারণ, আমাদের বাড়িতে নিয়ম ষষ্ঠী থেকে নবমী বই ছোঁয়া যাবে না। দশমীর দিন যাত্রা করে আবার পড়া শুরু। বিশদ

20th  October, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

06th  October, 2024
পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
কল্যাণীর বিভূতিভূষণ

মুরাতিপুর গ্রাম। তাঁর মামার বাড়ি। জন্মস্থানও। গ্রামটি আর নেই। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩০ তম জন্মবার্ষিকীতে এমন অনেক অজানা কাহিনি লিখলেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

22nd  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
একনজরে
ভারতীয় দলে তারকার ছড়াছড়ি। আর সেই কারণেই বিশেষ কোনও একজনকে নিয়ে ভাবছে না অস্ট্রেলিয়া। বরং দুর্দান্ত প্রতিভাবান একটা দলকে হারানোর জন্যই রণকৌশল তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অজি অফ স্পিনার নাথান লিয়ঁ। গোলাপি বলের টেস্ট শুরুর আগে তিনি বলেছেন, ‘ওদের ...

মাসকয়েক আগেই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‌্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের (এনআইআরএফ) তালিকায় দেশের প্রথম ২০টি মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে বাংলার কোনও মডার্ন মেডিসিনের মেডিক্যাল কলেজের নাম ছিল না। ...

এক সপ্তাহ ধরে মিলছে না জলাতঙ্কের প্রতিষেধক (অ্যান্টি র‌্যাবিস ভ্যাকসিন)। সরকারি হাসপাতাল ও পুরসভার ক্লিনিকে গিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন বাজার ...

‘ব্রেইন রট’। এই শব্দ বন্ধনীই জিতে নিল অক্সফোর্ডের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার ২০২৪’-এর শিরোপা। কিন্তু, কী এর অর্থ? কেনই বা এই শিরোপা পেল ১৮৫৪ সালে প্রথম রেকর্ড করা এই শব্দ? ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ১৭/৪৮ দিবা ১২/৫০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ২৮/২০ সন্ধ্যা ৫/২৭। সূর্যোদয় ৬/৬/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ১/১৪ গতে ২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৭ গতে ১/৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪। চতুর্থী দিবা ১১/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/১৩। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/২৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/৯ মধ্যে। কালবেলা ২/৮ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৮ গতে ১/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
থানের আনন্দ দিঘে মঠ দর্শন করলেন মহারাষ্ট্রের নতুন উপ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে

10:34:00 PM

শান্তিপুরে ফেরিঘাটে দুর্ঘটনা: ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশির সময় নৃসিংহপুর ঘাটের পাশে ডুবন্ত লরির নীচ থেকে উদ্ধার নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ

10:19:00 PM

ভুবনেশ্বরে জুডিশিয়াল কোর্ট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

10:10:00 PM

হায়দরাবাদে আটক হওয়া বিআরএস নেতা হরিশ রাওকে মুক্তি দিল গাচিবোলি থানার পুলিস

10:04:00 PM

আটক বিধায়ক কৌশিক রেড্ডি, তেলেঙ্গানার বাঞ্জারা হিলস পুলিস স্টেশনে গেলেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা

09:53:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, ৯০ মিনিট শেষে ওড়িশা ০-মুম্বই সিটি ০

09:36:00 PM