Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

শুভ বিজয়া
কৌশিক মজুমদার 

বিজয়ার থেকেই ধীরে ধীরে দিনগুলো, রাতগুলো কেমন অদ্ভুত ঝিমধরা ক্লান্ত লাগে। প্রতি মুহূর্তে মনে হয় যেন এবার আরও অনেক কিছু করার ছিল, জীবনপাত্র উছলিয়া ভরার ছিল। ভরা হল না। 
প্রতিবার বাকি থেকে যায়। অপূর্ণ থেকে যায় অনেক কিছু। প্যান্ডেলে লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখা, অনেকদিন পরে আবার চেনামুখ, কথা দেওয়া ‘দেখা হবে’, পুজোসংখ্যা বুকে লেপ্টে ঘুমোনো কিংবা ফাঁকতালে দেখে নেওয়া নতুন সিনেমা। প্রতিবার হাল্কা কাশের মতো দিনেরা আসে। চলে যায়। নদীর বন্যা মিটে গেলে যেমন পলি পড়ে থাকে, থেকে যায় স্মৃতি। ভিতরে ভিতরে ভাবতে থাকি, আবার একটা নতুন শুরু। সবকিছু আবার ‘রিবুট’ করে আরম্ভের সূত্রপাত। সেই রাজনীতি, মিম আর প্রাত্যহিকের না পাওয়াদের দরজায় কড়া নাড়া। পারব তো, আবার সেই জীবনের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে দিতে? 
মা আসেন। এই চার-পাঁচদিন যেন অমর্ত্য হয়ে দেখা দেয় ধরিত্রীতে। গ্যাস বেলুনের মতো, রাস্তায় ঝোলা চীনা লন্ঠনের মতো, ভেসে আসা লতা-হেমন্তের পুজোর গানের মতো এইদিন ক’টা যেন বড্ড অপার্থিব। আলো, শব্দ, গন্ধে অপরূপ। 
পুজোর অবকাশ কারও বা দীর্ঘ, কারও বা হ্রস্ব। কারও ছুটি শেষ হতে-হতে হাওয়া উত্তর থেকে দক্ষিণে মোড় নেয়, বন্ধুতায় স্নিগ্ধ হয়ে ওঠে সূর্যের তাপ। কারও ছুটি ফুরিয়ে যায় বিলম্বিত দীর্ঘশ্বাসের মতো। দেবীপক্ষের চাঁদ যখন পূর্ণিমা পেরিয়ে ক্ষীণতর হতে শুরু করে, সেই সঙ্গে ফুরোয় তাঁদেরও ‘নন্দে-আলস্যে-তৃপ্তিতে ভরা শারদ অবকাশ। আত্মীয়বন্ধুর সঙ্গে পুনর্মিলিত হয়ে, নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে, নতুন পোশাক কিনে—তবু, সম্পূর্ণ ভরে ওঠে না এই ছুটির বিরল মধুর দিনগুলো, যতক্ষণ না একখানা সদ্য প্রকাশিত পুজোসংখ্যা হাতে নিয়ে নিশ্চিন্তে আরাম করে আমরা বসতে পারি। পোশাকের আনন্দ পুরনো হয় দু’দিনে, আত্মীয়বন্ধুরা ফিরে যান নিজ-নিজ কর্মস্থলে। আর তখনও প্রাণের সুহৃদ হয়ে ঘিরে থাকে বই—সবটুকু আকর্ষণ শেষে যা অনাদরে পড়ে থাকবে খাটের তলায় কিংবা শেল্ফের কোণে।
এই ক’দিন মা আমাদের অলীক এক জাদুবাস্তবতার দুনিয়ায় নিয়ে যান। যেখানে অন্তত ক’টা দিনের জন্য সবাই বেদনাহীন। আর তাই হয়তো, যে বাবার কারখানা সেদিন বন্ধ হয়েছে, যে মা এখনও চাকরির জন্য পথে বসে, যে ভাইটা এমএ পাশ করেও ঘুগনির দোকান দিয়েছে, যে বোন অফিসে ওভারটাইম আর ক্লায়েন্টের কল সামলে রাত আড়াইটেয় একছুটে প্যান্ডেলে ঘুরে এসেছে, সবাই অপেক্ষায়...আবার কবে আসবে গো মা?
আমরা যখন রাজা ছিলাম বালককালে, আমাদের সকালের খাতা আর বেলপাতারা ভরে উঠত ১০৮ বার লেখা ‘শ্রী শ্রী দুর্গামাতা সহায়’-এ। এই বেলপাতা যাবে দেবীর পায়ে অঞ্জলিতে। এর নাম নাকি যাত্রা করা। খাগের কলম দিয়ে গম্ভীরমুখে যাত্রা করার খানিক পরেই দেবী বরণ আর সেটা শেষ হতে না হতে দুশো মজার শুরু। আজ কেউ পড়াশুনো করবে না। আজ বাড়ি বাড়ি গিয়ে গিয়ে প্রণাম ঠুকলেই মিলে যাবে বড় বড় সাদা সাদা গোল কদমা, চিনির হাতি-ঘোড়া, নারকেল নাড়ু, তক্তি, এলোঝেলো, কালো জিরে মেশা কটকটে নিমকি। আর ভাগ্য ভালো থাকলে সদ্য বাজারে ওঠা ধনেপাতার কুচি ছেটানো নিরামিষ ঘুগনি।
পুরনো কলকাতার বিজয়ায় নারকেলছাবার কথা লিখেছেন স্বামীজির ভাই মহেন্দ্রনাথ দত্ত ‘বিজয়ার দিন পাড়ার বুড়ো ব্রাহ্মণদের কিঞ্চিৎ প্রণামী দিয়া প্রণাম করিতে হইত। বিজয়ার দিন নারিকেলছাবা দেওয়া হইত। বিজয়ার কোলাকুলিতে সন্দেশ বা অন্য কোন খাবার চলিত না। কিন্তু সংস্কার এমন জিনিস যে, এখন পর্যন্ত নারিকেলছাবা দেখিলে বিজয়ার রাত্রি মনে পড়ে। তখনকার দিনে অনেক ভট্টাচার্য বামুন বার্ষিকী পাইতেন। এখন সেটা উঠিয়া গিয়াছে। বিজয়ার রাত্রে পরস্পরের বিরোধ ভুলিয়া কোলাকুলি করিতে হইত। এখন যেমন মাসে-মাসে লোকজনের টাকা চুকাইয়া দেওয়া হয় আগে তেমন ছিল না। কথায় ছিল ঢাকে-ঢোলে অর্থাৎ দুর্গাপূজায় এবং চড়কে লোকে দেনা চুকাইয়া দিত। তখন মুদীর দোকান থেকে উনো নেওয়ার প্রথা ছিল। সেটা বছরে দুবার পরিশোধ হইত। সর্ব বিষয়ে তখন দুর্গাপূজার মহা আনন্দের ভাব ছিল। এমন কি গ্রাম্য মুসলমানরা আসিয়া প্রতিমাকে তিনবার সেলাম সেলাম সেলাম বলিয়া চলিয়া যাইত। যাহাদের বাড়ীতে প্রতিমা না আসিত, তাহারা কয়েকদিন চণ্ডীপাঠ করাইতেন। এইটা ছিল তখনকার দিনের জাতীয় উৎসব।’ কালীপ্রসন্ন সিংহ তাঁর হুতোম প্যাঁচার নকশায় বিজয়ার অদ্ভুত সুন্দর এক ছবি এঁকেছেন। ‘এ দিকে দেখতে দেখতে দিনমণি য্যান সম্বৎসরের পূজোর আমোদের সঙ্গে অস্ত গ্যালেন। সন্ধ্যাবধূ বিচ্ছেদ বসন পরিধান করে দ্যাখা দিলেন। কর্মকর্তারা প্রতিমা নিরঞ্জন করে, নীলকণ্ঠ শঙ্কচীল উড়িয়ে “দাদা গো” “দিদি গো” বাজনার সঙ্গে ঘট নিয়ে ঘরমুকো হলেন। বাড়ীতে পৌছে চণ্ডীমণ্ডপে পূর্ণ ঘটকে প্রণাম করে শান্তিজল নিলেন, পরে কাঁচা হলুদ ও ঘটজল খেয়ে পরস্পর কোলাকুলী কল্লেন। অবশেষে কলাপাতে দুর্গানাম লিখে সিদ্ধি খেয়ে বিজয়ার উপসংহার হলো। ক দিন মহাসমারোহের পর আজ সহরটা খাঁ খাঁ কর্তে লাগলো-পৌত্তলিকের মন বড়ই উদাস হলো, কারণ লোকের যখন সুখের দিন থাকে, তখন সেটীর তত অনুভব কত্তে পারা যায় না, যত সেই সুখের মহিমা দুঃখের দিনে বোঝা যায়।
দুর্গোৎসব অ্যাক বছরের মত ফুরুলো। ঢুলীরা নায়েব বাড়ী বিদেয় হয়ে শুঁড়ীর দোকানে রং বাজাচ্চে। ভাড়া করা ঝাড়েরা মুটের মাথায় বাঁশে ঝুলে টুনু টুনু শব্দে বালাখানায় ফিরে যাচ্চে। জজমেনে বামুনের বাড়ীর নৈবিদ্দির আলো চাল ও পঞ্চশস্য শুকুচ্চে, ব্রাহ্মণী ছেলে কোলে করে কাটি নিয়ে কাগ তাড়াচ্চেন। সহরটা থমথমে। বাসাড়েরা আজো বাড়ী হতে ফেরেন নি, আফিস ও ইস্কুল খোলবার আরো চার পাঁচ দিন বিলম্ব আছে।’ 
এ তো গেল খাস কলকাতার কথা। পল্লিচিত্রে দেখতে পাই, সেকালের পাড়াগাঁয়ে দশমীর চাঁদে যখন চারিদিক আকুল ভেসে যাচ্ছে, কোথা থেকে যেন আচমকা বয়ে আসত চাঁপা আর রজনীগন্ধার মন কেমনিয়া গন্ধ। ঘরে ঘরে চলছে প্রণাম, আশীর্বাদ আর আলিঙ্গন। তারই মধ্যে গাঁয়ের অশ্বত্থ গাছের তলায় পল্লির যুবকরা বিরাট এক গামলায় সিদ্ধি গুলে, তাতে দুধ আর চিনি মিশিয়ে কেউ এক গেলাস, কেউ আধা গেলাস খেয়ে আনন্দে নাচছে, গাইছে, হাসছে। আবার সদ্য পরিবারের প্রিয়জনকে হারানো কে যেন ডুকরে কেঁদে উঠছে। বৃদ্ধারা যুবতীদের আশীর্বাদ করছেন, ‘জন্মএয়োস্ত্রী হও, পাকা চুলে সিঁদুর পর, হাতের নোয়া অক্ষয় হোক।’ যুবকদের বলছেন, ‘আমার মাথায় যত চুল তত বছর পরমায়ু হোক।’ পুজোবাড়ির বাদ্য থেমে যায় ধীরে ধীরে। কিছুদিন আগেই যে অলৌকিক প্রতিমা চারিদিক আলো করে ছিলেন, পুরনো চণ্ডীমণ্ডপে সেই বেদি এখন শূন্য পড়ে আছে। সামনে টিমটিম করে জ্বলছে প্রদীপ। কিন্তু মায়ের চলে যাওয়ার শোকের অন্ধকার তাতে দূর হচ্ছে না। 
আর তারপরেই আসেন কোজাগরী লক্ষ্মীঠাকুরান। তাঁর লক্ষ্মীমন্ত রূপের সঙ্গে পূর্ণিমার স্নিগ্ধতা, এ দুয়ের ভেতর একটা নিবিড় যোগাযোগ আছে। এই দেবী অমিত সৌন্দর্যের অধিকারী। সদ্যসমাগত যৌবন তাঁকে মোহময়ী করেছে। নানা অলংকারে সেজেছেন তিনি। সব রকমের শুভচিহ্ন তাঁর শরীরজুড়ে। মাথায় শোভা পাচ্ছে মুকুট, হাতে ব্রেসলেট। কালো চুলের ঢেউয়ের বলয় ভাসছে বাতাসে। গায়ের রং যেন গলানো সোনা, মুক্তোর গয়না তাঁর সর্বাঙ্গে। মুখে অপরূপ বিভা। বেদ–পুরাণের কালেও এই সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্কটা আড়াল হয়নি। ঋক সূক্তে রয়েছে রাকার কথা। পূর্ণিমার অধিষ্ঠাত্রী দেবী। যেমন সুন্দর, তেমনই ঐশ্বর্যশালিনী। এমন দেবীর সঙ্গে পূর্ণ সঙ্গতি আছে যাঁর, তিনি অবশ্যই লক্ষ্মী। এই বাংলায় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর নানা রূপ। কেউ তাঁর মৃন্ময়ী মূর্তির পুজো করেন। প্রতিমার পায়ের কাছে রাখা হয় কড়ি কাঠের কৌটো। অনেকে আবার ধানের আড়ি ভর্তি করে তাঁকেই লক্ষ্মীরূপে পুজো করেন। তবে সবচেয়ে বেশি পুজো হয় সরা, যা একেবারেই বাংলার লোকসংস্কৃতির বিশেষত্ব। আগে তেরো রকমের সরা তৈরি হতো। এখন তা ছ’টিতে এসে ঠেকেছে। একলক্ষ্মী সরায় দেবীর দু’পাশে পদ্ম, নীচে প্যাঁচা। সে আবার উড়ছে। তিন পুতুল সরাতে লক্ষ্মীর দু’পাশে দুই সখী থাকে। নীচে প্যাঁচা। ঢাকাই সরা নানা রকমের হয়। কোনওটাতে জোড়া লক্ষ্মী, কোনওটাতে পাঁচ, কোনওটাতে আবার দেবীর সঙ্গে থাকেন চার সখী কিংবা রাধাকৃষ্ণ। দুর্গা সরা আড়াআড়ি দু’ভাগে বিভক্ত। উপরে সপরিবারে মা দুর্গা, তারও উপরে শিবের মুখ। নীচে প্যাঁচা সহ লক্ষ্মী, আলাদা করে। এর আর একটি প্রকার হল গণকা বা আচার্যি সরা। সুরেশ্বরী সরায় আবার দুর্গার পরিবারের প্রত্যেকের ছবি আলাদা আলাদা করে আঁকা থাকে। এখন কথা হল, কেন এই সরায় পুজো? সম্ভাব্য কারণ দুটো। এক, সরা গর্ভবতী নারীর প্রতীক। এর সঙ্গে উৎপাদনশীলতা আর সমৃদ্ধির যোগ আছে। দুই, সরা হল পৃথিবীর পিঠ। বসুন্ধরার পুজোই আসলে লক্ষ্মীপুজো।
পুজোর দিন লক্ষ্মীর আসন পেতে বাড়ির মেয়েরা চারিদিকে নৈবেদ্য সাজাতে বসেন। আসনের পাশে দীপাধারে জ্বলে প্রদীপ। সারারাত। এ রাতে নাকি নিদ্রা নিষিদ্ধ। দেবী নাকি ঘুরে ঘুরে জিজ্ঞেস করবেন, কো জাগর? কে জাগে? না জাগলে রুষ্ট হবেন তিনি। ‘নিশীথে বরদা লক্ষ্মীঃ কো জাগর্তীতি ভাষিণী’। স্মার্ত রঘুনন্দন আরও জানাচ্ছেন, দেবী নাকি বলবেন, ‘তস্মৈ বিত্তং প্রযচ্ছামি অক্ষৈঃ ক্রীড়াং করোতি যঃ’। অর্থাৎ আজ রাতে যে পাশা খেলবে, জুয়োর দানে রাত জাগবে, দেবী নাকি তাকেই বিত্ত দেবেন। অনেকে অবশ্য বলেন দুর্গাপূজার পর পূর্ণিমা তিথিতে দেবী মর্ত্যবাসীদের দ্বারে দ্বারে এসে আশীর্বাদ দিয়ে যান। আর ভক্তরা বিনিদ্র থেকে লক্ষ্মীর পূজা করে বলে এ রাতকে বলা হয় কোজাগরী।
পিতলের রেকাবিতে ভিজে আতপ চালের চূড়া, উপরে সন্দেশ, মণ্ডা, নিদেনপক্ষে বাতাসা। কাঠের বারকোষে স্তুপে স্তুপে সাজানো ভিজে মুগের ডাল, ছোলা, পাটনাই মটর, বরবটি।  সঙ্গে হাঁড়ির দই, কড়ায় দুধ, বাটির ক্ষীর, আর ধামাবোঝাই খই, মুড়ি আর মুড়কি। এক রেকাবিতে পাহাড়প্রমাণ নারকেল নাড়ু আর ছাঁচ। আগের দিন সন্ধ্যা হতে না হতে বাড়ির মেয়ে বউরা নারকেল কুরোতে বসে যান। অনেক রাত অবধি চলে এই আয়োজন। পুজোর রাতে আবার লক্ষ্মী মানে ভাত খেতে নেই। কেউ লুচি, কেউ খই-দই, আবার কেউ বা ফলার নিয়ে বসে যান। দূরে বারোয়ারিতলায় শুরু হয় পাঁচালি গান।
এসব যেন বড় দূরের কথা মনে হয় ইদানীং। দেবী এখন টুবিএইচকে-র এক কোণে আঁটসাঁট জায়গা করে নেন। তবুও হাই রাইজের দরজার সামনে আঁকা হয় ছোট্ট দুটো পা। চালের গুঁড়ো বা সিঁদুরের মেঠো আলপনাকে নস্যাৎ করে জায়গা করে নিয়েছে আলপনার স্টিকার, মেড ইন চায়না পুজোর সামগ্রী, প্লাস্টিকে জড়ানো নাড়ু-নিমকি আর ইউটিউবে ভেসে আসা লক্ষ্মীদেবীর মন্ত্র। ইঁটের পরে ইঁট গাঁথা শহরের বহুতলে কোজাগরী আসে ক্ষীণ শাঁখের আওয়াজে, জানলা থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া এলইডি-র ঝিকিমিকি আলো আর গুনগুনিয়ে গাওয়া লক্ষ্মীর পাঁচালী ‘দোল পূর্ণিমা নিশি নির্মল আকাশ/ মৃদুমন্দ বহিতেছে মলয় বাতাস’-এ। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে পুজোর প্রসাদ খাওয়া এখন যেন গত জন্মে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা বলে মনে হয়। ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপে ভেসে আসে নাড়ু-তক্তির ছবি দেওয়া শুভেচ্ছা। উপরে ছোট্ট করে লেখা ‘ফরোয়ার্ডেড মেনি টাইমস’-টা যেন দেখেও উপেক্ষা করে যাই। আমরা 
বিড়বিড় প্রার্থনা করে চলি। এই অদ্ভুত দুঃসময়ে দেবী বাংলার ঘরে ঘরে শ্রীসম্পাদন, মঙ্গলসাধন করুন, এই বাংলার প্রতিটা সংসারে যেন শান্তি নেমে আসে, অকালে কেউ যেন বাপ-মায়ের কোলছাড়া না হয়ে যায়। শুনেছি এই রাতে নাকি দেবী আত্মার প্রকৃতি অনুযায়ী বর দেন। ফেরান না কাউকেই। হাত জড়ানোর আকাঙ্খায় নির্বাক রাত জাগি আমরা।
নিশ্চিত জানি, ভোর হবেই।
20th  October, 2024
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
সোমা চক্রবর্তী

১৯৮৬। তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। ছুটিতে দু’বেলা আর অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় পড়তে বসা— এই ছিল রোজের রুটিন। পুজোর অপেক্ষায় থাকতাম সারা বছর। কারণ, আমাদের বাড়িতে নিয়ম ষষ্ঠী থেকে নবমী বই ছোঁয়া যাবে না। দশমীর দিন যাত্রা করে আবার পড়া শুরু। বিশদ

20th  October, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

06th  October, 2024
পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
কল্যাণীর বিভূতিভূষণ

মুরাতিপুর গ্রাম। তাঁর মামার বাড়ি। জন্মস্থানও। গ্রামটি আর নেই। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩০ তম জন্মবার্ষিকীতে এমন অনেক অজানা কাহিনি লিখলেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

22nd  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
কেন মেঘ আসে...
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে...’, তবে এই তো আর ক’দিন। এক কী দেড় মাস! তার মধ্যেই দুগ্গা চলে আসবে। তখন আকাশ ফুঁড়ে রোদ্দুর। মেঘগুলোর রং যাবে সব পাল্টে। আইসক্রিম আইসক্রিম মেঘ চড়ে বেড়াবে আকাশে। তখন মালতির একটু স্বস্তি। বিশদ

25th  August, 2024
’৪২-এর কলকাতা

‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো...’ গান্ধীজির ডাকে ১৯৪২ সালের আগস্টে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতাও। আম বাঙালির প্রতিবাদের সেই ইতিহাস ফিরে দেখলেন সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত। বিশদ

18th  August, 2024
মৃত্যুর মুখোমুখি

কারাগারের নিস্তব্ধতা চিরে ছুটে আসছে শব্দ। মুজফ্‌ফরপুর জেলের কোনায় কোনায় তখনও জমাট বাঁধা অন্ধকার। কনডেমড সেলের মেঝেয় চুঁইয়ে পড়েছে সামান্য আলোর রেখা। সেই আলোয় স্পষ্ট দূরের অন্ধকারে শক্ত কাঠের পাটাতনে দুলতে থাকা মরণ-রজ্জু। বিশদ

18th  August, 2024
বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
বিশদ

11th  August, 2024
একনজরে
ঝড় হয়নি। জেলায় শুধু জোরালো হাওয়া বয়ে গিয়েছে। তাতেই পূর্ব বর্ধমান জেলার ধান চাষিদের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে। হাওয়ায় ধান গাছ নুয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ...

সালিশি সভায় যুবককে মারধরে ‘ইন্ধন’ জুগিয়েছিলেন তাঁরই স্ত্রী। অভিযোগ, সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও প্রতিবাদ করেননি। উল্টো সুর মিলিয়েছিলেন অভিযুক্ত বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে। সালিশি সভায় মারধরের ‘অপমানে’ একদিন পরেই আত্মহত্যা করেন ওই যুবক। ...

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলা ৪২ জনকে হত্যার মামলা খারিজ করে দিল ঢাকার একটি আদালত। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ...

সিম-সুইংয়ে কুপোকাত। আবার স্পিনেও কাঁপুনি! উইলিয়ামসনহীন নিউজিল্যান্ড চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল ভারতের মহাতারকাদের দুর্দশা। বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্টে পেসার উইলিয়াম ও’রৌরকির সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল টিম ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৮৬৩:  ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। ব্রিটেনের ফুটবল সমিতি লণ্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ফুটবল খেলার প্রথম নিয়মাবলী প্রণয়ন করা হয়, তাতে আধুনিক ফুটবলের জন্ম ঘোষিত হয়। পরে এই দিনকেই আধুনিক ফুটবলের জন্মদিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়
 ১৮৭৩: শের-ই-বাংলা ফজলুল হকের জন্ম
১৮৭৯: রুশ বিপ্লবী নেতা লিও ট্রটস্কির জন্ম
১৮৮১: দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের জন্ম
১৮৯০: ভাষাচার্য তথা বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান ভাষাবিজ্ঞানী সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৭: বাংলা চলচ্চিত্রের প্রাণপুরুষ হীরালাল সেনের মৃত্যু
১৯২৭: গোয়েন্দা কাহিনীকার শ্রীস্বপন কুমার, জ্যোতিষী শ্রীভৃগু ও ডাক্তার এস এন পাণ্ডে নামে পরিচিত ডাক্তার সমরেন্দ্র নাথ পাণ্ডের জন্ম
১৯৩৪: মহাত্মা গান্ধীর উদ্যোগে গ্রামীণ শিল্প সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৩৭: সুরকার হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের জন্ম
১৯৪৭: জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে সায় দিলেন সেখানকার মহারাজারা
১৯৫০: মাদার টেরিজা ভারতের কলকাতা শহরে মিশনারিজ অব চ্যারিটি নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন
১৯৬৪: পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় শেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল এরিক এডগার কুকের
১৯৭৪: অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডনের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৯ টাকা ১১০.৯৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৫ টাকা ৯২.৭৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৮,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দিনপঞ্জি------------------------------------------------------------ -                                           

দৃকসিদ্ধ: ৯ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪। দশমী ৫৯/১৫ শেষরাত্রি ৫/২৪। অশ্লেষা নক্ষত্র ১০/১০ দিবা ৯/৪৬। সূর্যোদয় ৫/৪১/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৫৯/৩৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৯ গতে ৩/১০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৫ গতে ২/১০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি। 
৯ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪। নবমী দিবা ৬/৩৮। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ১/৩৫। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/০। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/০ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/২৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৩ গতে ৩/১৫ মধ্যে। কালবেলা ৭/৭ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/১১ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৫/০ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৬ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। 
২২ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লির শাহদারা জেলার একটি এটিএম-এ আগুন, ঘটনাস্থলে হাজির দমকল

10:34:00 PM

দোদরা-কাওয়ারে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু

10:26:00 PM

চিত্রকূটে এলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব

10:05:00 PM

দিল্লির মানুষ কেজরিওয়ালকেই জেতাবে, বিজেপি নার্ভাস কারণ তারা জানে তারা দিল্লিতে জিততে পারবে না, বললেন আপ নেতা সঞ্জয় সিং

09:34:00 PM

আইএসএল: মহামেডানকে ৪-০ গোলে হারাল হায়দরাবাদ

09:29:00 PM

আইএসএল: মহামেডান ০-হায়দরাবাদ ৪ (৮১ মিনিট)

09:12:00 PM