Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

বেগম বনাম কন্যা
‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? 
ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
১৯৭৪ সাল। কাও গেলেন ঢাকায়। শেখ মুজিবুর রহমান একটি মিটিং করছিলেন। চিরকুট দেখে তিনি বিস্মিত। এই ভদ্রলোক এখানে? এই লোকটা ইন্ডিয়ার সাংঘাতিক এক স্পাই মাস্টার! একাত্তরে একাই প্ল্যান করে বহু অপারেশন করিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধদের অপারেশনাল মুভমেন্ট নিজেই করেছেন। এমনকী বাংলাদেশের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি তৈরিতে এই মানুষটির কৃতিত্ব সর্বাধিক। 
মুজিব বেরিয়ে এলেন। নিজের চেম্বারের দিকে হাঁটছেন। আর এন কাও এগিয়ে এসে বললেন, ‘স্যর, একটু বাইরে আসুন। বাগানে।’ মুজিব বিস্মিত। কী ব্যাপার? কাও তাঁকে যে কথা বললেন, সেটা শুনে ভ্রু কুঁচকে গেল বঙ্গবন্ধুর। তারপর হেসে বললেন, ‘এ আপনি কী বলছেন? না না এসব সম্ভবত ঠিক নয়। যাদের কথা আপনি বলছেন, তারা সব আমার খুব কাছের মানুষ। এরা এরকম করবে কেন?’ কাও ফিরে এলেন। আবার ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসে পাঠালেন এক অফিসারকে। আবার একটি ইনপুট পাওয়া যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে সেই একই উদ্দেশ্য। এবারও মুজিব সেরকম গুরুত্ব দেননি।
হ্যাঁ। দু’বার ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা মুজিবকে সতর্ক করেছিল যে, তাঁর আশেপাশেই একটি চক্রান্ত চলছে। তৈরি হচ্ছে তাঁকে হত্যার প্লট। তিনি যেন সতর্ক থাকেন। আর প্রশাসন তথা আর্মিতে সবাইকে বদলে দেন! মুজিব হয়তো কিছুদিন পর সেকথা মেনে কিছু রদবদল করতেন। কিন্তু ভারতের গুপ্তচর সংস্থার সোর্স ইনপুটকে সত্য করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মুজিবুর রহমানকে বাসভবনে ঢুকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল সপরিবারে। শুধু দুই কন্যা ছিলেন না অভিশপ্ত সেই বাসভবনে! হাসিনা এবং রেহানা। দু’জনেই ছিলেন জার্মানিতে। আর তাই প্রাণে রক্ষা পেলেন। দু’জনেই গোপনে ফিরলেন। কোথায়? দিল্লিতে। ইন্ডিয়া গেটের কাছেই পান্ডারা রোড। সেখানে সরকারের এক গেস্ট হাউসে শেখ হাসিনার গোপনে থাকার ব্যবস্থা হল। কে করে দিলেন এই ব্যবস্থা? প্রণব মুখোপাধ্যায়।
ঠিক ৪৯ বছর পর আবার হাসিনা প্রাণরক্ষা করতে পালিয়ে এলেন গোপনে সেই একই শহরে। দিল্লি। এবারও ভারত সরকার তাঁকে ভারতীয় বায়ুসেনার এক অতিথিশালায় আশ্রয় দিয়েছে। এবারও সেই আগস্ট!
১৯৭৫ সালে মুজিব হত্যার পর ক্ষমতাসীন হওয়া মোশতাক আহমেদকে সরিয়ে ১৯৭৭ সালে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেন। এসেই মুজিব হত্যার অপরাধীদের মুক্তি দিতে শুরু করেন। তৈরি করেন নিজের একটি দল। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি। বিএনপি।
জিয়াউর রহমান কিন্তু হত্যার রাজনীতির কাছে নিজেও আত্মসমর্পণ করলেন একদিন। ১৯৮১ সালে সার্কিট হাউসে প্রবেশ করে তাঁকেও হত্যা করল আর্মির এক বাহিনী।
তারপর কেটে যায় ১০ বছর। ১৯৯১ সালে হঠাৎ একটি জাতীয় সংসদের নির্বাচনে বাংলাদেশের আকাশে মোকাবিলায় অবতীর্ণ হন দুই নারী। একজনের পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা। অন্যজনের স্বামী নিহত হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া। দুই নারীর সেই রাজনৈতিক যুদ্ধের রক্তাক্ত ইতিহাস থেকে আর বেরতে পারেনি বাংলাদেশ। আজও বাংলাদেশের জনমনের দুই-ই চালিকাশক্তি। বেগম এবং কন্যা। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২৪। ৩৩ বছর ধরে দু’জনে বলে এসেছেন, তাঁরাই আনবেন গণতন্ত্র! কেউ কথা রাখেনি! 
অলৌকিক রবীন্দ্রনাথ
সোভিয়েত ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে একটি কারখানা নির্মাণে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল। ১৯৭৮ সাল। সেই অর্থেই জি এম প্লান্ট উদ্বোধন করলেন জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। উদ্বোধনের পর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এসেছেন তিনি। কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট অধিবেশনে কোরান তেলাওয়াতের আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা নিয়ে প্রতিবাদ হ঩য়েছে। একাংশের বক্তব্য, কোরান তেলাওয়াতের আগে কীভাবে জাতীয় সঙ্গীত স্থান পায়? সবার উপরে কোরান। অন্য পক্ষের বক্তব্য, জাতীয় সঙ্গীত দিয়েই তো অনুষ্ঠানের সূত্রপাত। দোষের কী আছে?
সেই প্রসঙ্গ টেনে সার্কিট হাউসে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেতা চৌধুরী ইউসুফ বললেন, ‘স্যর, আমাদের পতাকায় ইসলামিক রং নাই। এটা আমাদের ভালো লাগে না।’ জিয়াউর হাত তুলে বললেন, ‘সবকিছু হবে। তার আগে জাতীয় সঙ্গীতটা পাল্টানো দরকার। তারপর জাতীয় পতাকা।’
জিয়ার ওই আশ্বাস নিছক কথার কথা ছিল না। ১৯৭৯ সালের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান একটি গোপন চিঠিতে সেই প্রস্তাব দিলেন সরকারকে। লিখলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি গান ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি আমাদের সংস্কৃতির পরিপন্থী। উনি একজন হিন্দু কবি। তাই আমাদের নিজেদের কবির লেখা জাতীয় সঙ্গীত হওয়া উচিত। জাতীয় সঙ্গীত হোক ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’।’ চিঠি পেয়েই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার দিকে অগ্রসর হয় মন্ত্রিপরিষদ। তবে জাতীয় সঙ্গীতকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার আগেই আর্মির হাতে প্রাণ হারান রাষ্ট্রপতি।
সেই প্রথম নয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মুজিবকে হত্যার পরই প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ স্থির করলেন, জাতীয় সঙ্গীত বদলাতে হবে। গঠন করা হল কমিটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. দ্বীপ মহম্মদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রাথমিক বৈঠকে স্থির হয়, রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা’ বদলে দু’টি গানের মধ্যে থেকে একটিকে বাছা হবে নতুন জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে। কাজী নজরুল ইসলামের ‘চল চল চল’ অথবা ফারুখ আহমেদের ‘পাঞ্জেরী’ নামক কবিতা। কিন্তু মোশতাক আহমেদ ক্ষমতায় থাকতেই পারলেন না। হয়ে গেল আবার অভ্যুত্থান। আবার ধামাচাপা পড়ল উদ্যোগ। 
২০০২ সালের ১৯ মার্চ। বিএনপি-জামাত জোটের সরকারের দুই মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামি ও আলি আহসান মুজাহিদ জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনে উদ্যোগী হন। খালেদা জিয়ার কাছে জমা দেওয়া সেই সুপারিশপত্রের ভাষ্য ছিল, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের ইসলামি মূল্যবোধ ও চেতনার আলোকে জাতীয় সঙ্গীত সংশোধিত হওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী তা অগ্রাহ্য করেননি। তিনি চিঠি পাঠিয়ে দেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে। আলোচনা শুরু হয়। প্রতিবাদও ওঠে। ঠান্ডাঘরে পাঠানো হয় প্রস্তাব। স্থির হয়, সুযোগ বুঝে মন্ত্রিসভায় পাশ করিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু সেই সময় আর আসেনি। ২০০৪ সালে ওই সময়েই শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড অ্যাটাক হয়।
বিএনপি এবং জামাত ক্ষমতাসীন হলেই এই উদ্যোগ বারংবার দেখা গিয়েছে। সুতরাং ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে শেখ হাসিনাকে গদিচ্যুত করার প্লট সফল হওয়ার পর, এরপর কী কী বদল হতে চলেছে বাংলাদেশে? জাতীয় সঙ্গীতে কি রবীন্দ্রনাথের স্পর্শ থাকবে?  
এ ব্যাপারে সতর্ক থাকাই শ্রেয়। দু’টি কাকতালীয় ঘটনা ঘটে চলেছে এই উপমহাদেশে। বহুকাল ধরে। মোট সাতবার ভাঙা হয়েছে এবং গড়া হয়েছে দিল্লি নামক একটি নগরী। যতবার সেই নগরীকে কেউ বদলাতে চেয়েছে, ততবারই সে ধাক্কা খেয়েছে। কখনও সিংহাসনচ্যুত হয়ে। কখনও পরাস্ত হয়ে পলায়ন বা রণাঙ্গণে নিহত হয়েছে সেই শাসক। আবার পাশাপাশি এটাও কি অলৌকিক এক সমাপতন নয় যে, ঢাকা নামক অন্য একটি নগরীর ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে বসে রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত যখনই যে সরকার অথবা শাসক বিগত ৫৩ বছরে বদলাতে চেয়েছে, ঠিক তারপরই দেখা দিয়েছে সেই শাসকের বিদায়ধ্বনি! অতএব ভুল যেন না করে নতুন সরকার! না হলেই উল্টে যাবে ক্ষমতা!
11th  August, 2024
শুভ বিজয়া
কৌশিক মজুমদার 

বিজয়ার থেকেই ধীরে ধীরে দিনগুলো, রাতগুলো কেমন অদ্ভুত ঝিমধরা ক্লান্ত লাগে। প্রতি মুহূর্তে মনে হয় যেন এবার আরও অনেক কিছু করার ছিল, জীবনপাত্র উছলিয়া ভরার ছিল। ভরা হল না।  বিশদ

20th  October, 2024
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
সোমা চক্রবর্তী

১৯৮৬। তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। ছুটিতে দু’বেলা আর অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় পড়তে বসা— এই ছিল রোজের রুটিন। পুজোর অপেক্ষায় থাকতাম সারা বছর। কারণ, আমাদের বাড়িতে নিয়ম ষষ্ঠী থেকে নবমী বই ছোঁয়া যাবে না। দশমীর দিন যাত্রা করে আবার পড়া শুরু। বিশদ

20th  October, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

06th  October, 2024
পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
কল্যাণীর বিভূতিভূষণ

মুরাতিপুর গ্রাম। তাঁর মামার বাড়ি। জন্মস্থানও। গ্রামটি আর নেই। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩০ তম জন্মবার্ষিকীতে এমন অনেক অজানা কাহিনি লিখলেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

22nd  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
কেন মেঘ আসে...
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে...’, তবে এই তো আর ক’দিন। এক কী দেড় মাস! তার মধ্যেই দুগ্গা চলে আসবে। তখন আকাশ ফুঁড়ে রোদ্দুর। মেঘগুলোর রং যাবে সব পাল্টে। আইসক্রিম আইসক্রিম মেঘ চড়ে বেড়াবে আকাশে। তখন মালতির একটু স্বস্তি। বিশদ

25th  August, 2024
’৪২-এর কলকাতা

‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো...’ গান্ধীজির ডাকে ১৯৪২ সালের আগস্টে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতাও। আম বাঙালির প্রতিবাদের সেই ইতিহাস ফিরে দেখলেন সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত। বিশদ

18th  August, 2024
মৃত্যুর মুখোমুখি

কারাগারের নিস্তব্ধতা চিরে ছুটে আসছে শব্দ। মুজফ্‌ফরপুর জেলের কোনায় কোনায় তখনও জমাট বাঁধা অন্ধকার। কনডেমড সেলের মেঝেয় চুঁইয়ে পড়েছে সামান্য আলোর রেখা। সেই আলোয় স্পষ্ট দূরের অন্ধকারে শক্ত কাঠের পাটাতনে দুলতে থাকা মরণ-রজ্জু। বিশদ

18th  August, 2024
একনজরে
সেমেস্টার ব্রেক শুধুই পড়ুয়াদের জন্য। কিন্তু শিক্ষকদের অন-ডিউটি থাকতেই হবে। এই সময় যদি কোনও শিক্ষককে ছুটি নিতে হয়, তাহলে যথাযথভাবে লিভ অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে। তারপর ছুটি মিললে সেইমতো ‘স্টেশন লিভ’ করা যাবে। ...

যতটা ভাবা হয়েছিল, ততটা হয়নি। ফলে বড় বিপর্যয়ের থেকে রেহাই পেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাধারণ মানুষ। ঘূর্ণিঝড় ডানার আতঙ্ক কাটিয়ে স্বস্তি পেল সাগর থেকে সুন্দরবন। ...

ঝড় হয়নি। জেলায় শুধু জোরালো হাওয়া বয়ে গিয়েছে। তাতেই পূর্ব বর্ধমান জেলার ধান চাষিদের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে। হাওয়ায় ধান গাছ নুয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ...

সালিশি সভায় যুবককে মারধরে ‘ইন্ধন’ জুগিয়েছিলেন তাঁরই স্ত্রী। অভিযোগ, সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও প্রতিবাদ করেননি। উল্টো সুর মিলিয়েছিলেন অভিযুক্ত বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে। সালিশি সভায় মারধরের ‘অপমানে’ একদিন পরেই আত্মহত্যা করেন ওই যুবক। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৮৬৩:  ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। ব্রিটেনের ফুটবল সমিতি লণ্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ফুটবল খেলার প্রথম নিয়মাবলী প্রণয়ন করা হয়, তাতে আধুনিক ফুটবলের জন্ম ঘোষিত হয়। পরে এই দিনকেই আধুনিক ফুটবলের জন্মদিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়
 ১৮৭৩: শের-ই-বাংলা ফজলুল হকের জন্ম
১৮৭৯: রুশ বিপ্লবী নেতা লিও ট্রটস্কির জন্ম
১৮৮১: দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের জন্ম
১৮৯০: ভাষাচার্য তথা বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান ভাষাবিজ্ঞানী সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৭: বাংলা চলচ্চিত্রের প্রাণপুরুষ হীরালাল সেনের মৃত্যু
১৯২৭: গোয়েন্দা কাহিনীকার শ্রীস্বপন কুমার, জ্যোতিষী শ্রীভৃগু ও ডাক্তার এস এন পাণ্ডে নামে পরিচিত ডাক্তার সমরেন্দ্র নাথ পাণ্ডের জন্ম
১৯৩৪: মহাত্মা গান্ধীর উদ্যোগে গ্রামীণ শিল্প সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৩৭: সুরকার হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের জন্ম
১৯৪৭: জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে সায় দিলেন সেখানকার মহারাজারা
১৯৫০: মাদার টেরিজা ভারতের কলকাতা শহরে মিশনারিজ অব চ্যারিটি নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন
১৯৬৪: পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় শেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল এরিক এডগার কুকের
১৯৭৪: অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডনের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৯ টাকা ১১০.৯৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৫ টাকা ৯২.৭৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৮,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দিনপঞ্জি------------------------------------------------------------ -                                           

দৃকসিদ্ধ: ৯ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪। দশমী ৫৯/১৫ শেষরাত্রি ৫/২৪। অশ্লেষা নক্ষত্র ১০/১০ দিবা ৯/৪৬। সূর্যোদয় ৫/৪১/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৫৯/৩৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৯ গতে ৩/১০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৫ গতে ২/১০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি। 
৯ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪। নবমী দিবা ৬/৩৮। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ১/৩৫। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/০। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/০ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/২৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৩ গতে ৩/১৫ মধ্যে। কালবেলা ৭/৭ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/১১ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৫/০ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৬ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। 
২২ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লির শাহদারা জেলার একটি এটিএম-এ আগুন, ঘটনাস্থলে হাজির দমকল

10:34:00 PM

দোদরা-কাওয়ারে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু

10:26:00 PM

চিত্রকূটে এলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব

10:05:00 PM

দিল্লির মানুষ কেজরিওয়ালকেই জেতাবে, বিজেপি নার্ভাস কারণ তারা জানে তারা দিল্লিতে জিততে পারবে না, বললেন আপ নেতা সঞ্জয় সিং

09:34:00 PM

আইএসএল: মহামেডানকে ৪-০ গোলে হারাল হায়দরাবাদ

09:29:00 PM

আইএসএল: মহামেডান ০-হায়দরাবাদ ৪ (৮১ মিনিট)

09:12:00 PM