Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মৃত্যুর মুখোমুখি

‘বাসাংসি জীর্নানি যথা বিহায়
নবানি গৃহ্নাতি নরোহপরাণি...’
কারাগারের নিস্তব্ধতা চিরে ছুটে আসছে শব্দ। মুজফ্‌ফরপুর জেলের কোনায় কোনায় তখনও জমাট বাঁধা অন্ধকার। কনডেমড সেলের মেঝেয় চুঁইয়ে পড়েছে সামান্য আলোর রেখা। সেই আলোয় স্পষ্ট দূরের অন্ধকারে শক্ত কাঠের পাটাতনে দুলতে থাকা মরণ-রজ্জু। মৃত্যুর আগে এও এক মৃত্যু-যন্ত্রণা। রাত শেষ হলেই কার্যকর হবে ফাঁসি। তার আগেই, সকালে এমন অবিচল কণ্ঠে গীতা পাঠ... আগে কখনও শোনেনি প্রহরীরা।
পরদিন, ১২ আগস্ট অমৃতবাজার পত্রিকায় লেখা হল—‘মজঃফরপুর ১১ আগস্ট—অদ্য ভোর ছয় ঘটিকায় ক্ষুদিরামের ফাঁসি হইয়া গিয়াছে। ক্ষুদিরাম দৃঢ় পদক্ষেপে প্রফুল্লচিত্তে ফাঁসিমঞ্চের দিকে অগ্রসর হয়। এমনকি যখন তাহার মাথার উপর টুপিটি টানিয়া দেওয়া হইল তখনও সে হাসিতে ছিল।’
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জল্লাদকে ক্ষুদিরাম বসুর শেষ প্রশ্ন ঩ছিল, ‘ভাই তোমরা ফাঁসির দড়িতে মোম মাখাও কেন?’ ঠিক যেন নচিকেতা ও যমের সংলাপ!
কয়েক মাস পরের কথা। ১০ নভেম্বর, ১৯০৮। আলিপুর সেন্ট্রাল জেল। হেমন্তের ভোররাত্রি। দৃঢ় পদক্ষেপে ফাঁসির মঞ্চে উঠলেন কানাইলাল দত্ত। আগের দিন তাঁর সহবন্দি সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন আচার্য শিবনাথ শাস্ত্রী। সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কানাইলালের সেলের সামনে এসেও কিছু না বলে ফিরে যান। ফিরে এসে শিবনাথ শাস্ত্রী বলেছিলেন, ‘কানাইকে দেখলুম যেন পিঞ্জরাবদ্ধ সিংহ। বহু যুগ তপস্যা করলে তবে ওকে আশীর্বাদ করা যায়।’ ফাঁসির আগে নিজের চশমা ঠিক করাতে চেয়েছিলেন কানাইলাল। কেন? ফাঁসির মঞ্চের পথ দেখতে যাতে অসুবিধা না হয়। ভুলবশত হোঁচট খেলে যে ইতিহাসে লেখা হবে, কানাইলাল ফাঁসির মঞ্চে উঠতে ভয় পেয়ে হোঁচট খেলেন। এ যেন মৃত্যুকেই অস্বীকার!
১১ দিন পর, ২১ নভেম্বর সেই এক পথ ধরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। সঙ্গী সেপাই কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে জানতে চাইল, ‘আপনার ভয় করছে না?’ মৃদু হেসে প্রিয় কবিতার লাইন উচ্চারণ করলেন সত্যেন্দ্রনাথ—
‘প্রকৃত সন্তান হবে সেইজন
নিজদেহ প্রাণ করি বিসর্জন
যে করিবে তার বন্ধনমোচন
হবে তার মাতৃঋণ প্রতিদান’
আলিপুর বোমা মামলায় সরকারপক্ষের সাহায্যকারীরা তখন দেশের শত্রু। সরকারি উকিল আশুতোষ বিশ্বাসকে হত্যা করেন চারুচন্দ্র বসু। ১৯০৯ সালের ১৯ মার্চ আলিপুর সেন্ট্রাল জেলেই ফাঁসি হয় চারুচন্দ্রের। শেষ চিঠিতে শ্যালক ছত্রপতি ঘোষকে লিখেছিলেন স্ত্রী কিরণবালার কথা। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে নিজের কাজের জন্য গর্ববোধ করার পাশাপাশি স্ত্রীর প্রতি অবিচারের কথাও লিপিবদ্ধ করেছিলেন তিনি। চারুচন্দ্রের মৃত্যুর পর কী হয়েছিল তাঁর কিশোরী বধূর? ইতিহাসে সেকথা অবশ্য লেখা নেই।
আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের কনডেমড সেল এমন বহু বিচিত্র বিনিদ্র রজনীর সাক্ষী। ১৯২৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, হাল্কা শীত পড়ছে। সকালের আলস্য ঝেড়ে উঠে পড়েছেন কয়েদিরা। হাসির শব্দে সরগরম জেল প্রাঙ্গন। প্রাণ খুলে হাসছেন অনন্তহরি মিত্র ও প্রমোদরঞ্জন চৌধুরী। কে বলবে, একটু পরেই ওঁদের ছাড়তে হবে এই পৃথিবী! দক্ষিণেশ্বর বোমা মামলায় অভিযুক্ত দুই বিপ্লবী জেলের ভিতরেই হত্যা করেন বিশ্বাসঘাতক ভূপেন চট্টোপাধ্যায়কে। কবিতা ভালোবাসতেন অনন্তহরি। মৃত্যুর আগে অনর্গল আবৃত্তি করছেন—
‘আমি করিব না মিছে ভয়, আমি নীরবে করিব ত্বরণ
সেই মহারষার রাঙা জল, ওগো মরণ হে মোর মরণ।’
দেওয়ালে দেওয়ালে উঠল প্রতিধ্বনি। ‘মরণ হে মোর মরণ।’
এরপরই প্রহরীর হাত ছাড়িয়ে ফাঁসির মঞ্চে কে আগে উঠবেন, তাই নিয়ে শুরু হল রেস। প্রাণপণে দৌড়চ্ছেন অনন্তহরি আর প্রমোদরঞ্জন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এক অদ্ভুত দৌড় প্রতিযোগিতার সাক্ষী রইল গোটা কারাগার।
গান গাইছে কে? ফাঁসির আসামি! প্রাণের কবি রবীন্দ্রনাথই শেষ সময়ের সঙ্গী বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর। রাইটার্স বিল্ডিংয়ের যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন বাদল গুপ্ত। নিজের হাতেই মরণকে নিজের প্রাণ সঁপেছেন দধীচি বিনয় বসু। আজ এসেছে দীনেশের সময়। দিনের সূর্য আলো নিঃশেষ করে অস্তাচলের পথে। তার সঙ্গেই অস্ত যাবেন দীনেশ। ফাঁসির ১১ ঘণ্টা আগে মাকে লিখেছেন, ‘তোমার জন্য কিছুই কোনওদিন করিতে পারি নাই। সে না করা যে আমাকে কতখানি দুঃখ দিয়েছে তাহা কেহ বুঝিবে না।’ তখন আষাঢ় মাস। মেঘাচ্ছন্ন সন্ধ্যার আকাশ। শেষ গান গাইলেন বিপ্লবী কবি দীনেশ গুপ্ত... 


‘আমার দিন ফুরালো ব্যাকুল বাদল সাঁঝে/ গহন মেঘের নিবিড় ধারার মাঝে।’ 
যুগান্তর পত্রিকায় দীনেশ গুপ্তের মৃত্যুর আগের মুহূর্তের কথা পড়েছিলেন প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য। দীনেশ গুপ্তের হাতে গড়া বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্সের সৈনিক। প্রিয় দীনেশদার পথই তাঁর আদর্শ। মেদিনীপুরের জেলাশাসক রবার্ট ডগলাসকে হত্যা করে ১৯৩৩ সালের ১২ জানুয়ারি মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসির মঞ্চে উঠলেন। ফাঁসির আগে মাকে চিঠিতে লিখলেন ‘আমার যাবার কল্পনা যা সেদিন মনে করে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে এসেছি তা সফল হতে চলল। ফাঁসির কাঠটা আমার কাছে ইংরাজের একটা পুরনো রসিকতা।’ প্রদ্যোতেরও প্রাণের সখা রবীন্দ্রনাথ। ফাঁসির আগে পাঠ করেছিলেন—
‘আকাশ হতে প্রভাত আলো
আমার পানে হাত বাড়ালো
ভাঙা কারার দ্বারে আমার
জয়ধ্বনি উঠলরে ঐ উঠল রে।’
শেষ সময়ে প্রদ্যোতের হাসি আর গান গাওয়া ভয় ধরিয়েছিল জল্লাদ শিবু ডোমের মনেও।
মাস্টারদা সূর্য সেন আবার ফাঁসির আগে গীতার মহামন্ত্রে সন্ধান করেছেন মৃত্যুর অর্থ। শেষ সময়ে লেখা চিঠিতে ছিল তার প্রতিফলন, ‘হত বা প্রাবাসী স্বর্গম জিত্বা বা ভোক্ষ্যসে সহীম তস্মাৎ উত্তীষ্ট কৌন্তেয় যুদ্ধায় কৃতনিশ্চয়।’
যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, বাঘাযতীনের সহযোগী ছিলেন চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী, নীরেন দাশগুপ্ত, মনোরঞ্জন সেনগুপ্ত, জ্যোতিষচন্দ্র পাল। বালেশ্বরে একসঙ্গেই তাঁরা যুদ্ধ করেছিলেন ব্রিটিশ পুলিসের বিরুদ্ধে। তুমুল গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন যতীন্দ্রনাথ ও চিত্তপ্রিয়। বিচার শেষে ফাঁসির আদেশ হয় নীরেন্দ্রনাথ ও মনোরঞ্জনের। বালেশ্বর কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে উঠেই কুড়ি ও বাইশ বছরের দুই তরুণ চিৎকার করে বলে ওঠেন বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথের আদর্শের কথা। কেন? তার আগে বালেশ্বরের গ্রামে গ্রামে ব্রিটিশ পুলিস রটিয়ে দিয়েছিল যতীন্দ্রনাথ ও তাঁর সহযোদ্ধারা আসলে দুর্ধর্ষ ডাকাত। তাঁরা যে ডাকাত নন, মৃত্যুর আগে সেকথা মানুষকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বাঘাযতীন। অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয় সেই অন্তিম আদেশ।
18th  August, 2024
শুভ বিজয়া
কৌশিক মজুমদার 

বিজয়ার থেকেই ধীরে ধীরে দিনগুলো, রাতগুলো কেমন অদ্ভুত ঝিমধরা ক্লান্ত লাগে। প্রতি মুহূর্তে মনে হয় যেন এবার আরও অনেক কিছু করার ছিল, জীবনপাত্র উছলিয়া ভরার ছিল। ভরা হল না।  বিশদ

20th  October, 2024
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
সোমা চক্রবর্তী

১৯৮৬। তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। ছুটিতে দু’বেলা আর অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় পড়তে বসা— এই ছিল রোজের রুটিন। পুজোর অপেক্ষায় থাকতাম সারা বছর। কারণ, আমাদের বাড়িতে নিয়ম ষষ্ঠী থেকে নবমী বই ছোঁয়া যাবে না। দশমীর দিন যাত্রা করে আবার পড়া শুরু। বিশদ

20th  October, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

06th  October, 2024
পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
কল্যাণীর বিভূতিভূষণ

মুরাতিপুর গ্রাম। তাঁর মামার বাড়ি। জন্মস্থানও। গ্রামটি আর নেই। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩০ তম জন্মবার্ষিকীতে এমন অনেক অজানা কাহিনি লিখলেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

22nd  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
কেন মেঘ আসে...
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে...’, তবে এই তো আর ক’দিন। এক কী দেড় মাস! তার মধ্যেই দুগ্গা চলে আসবে। তখন আকাশ ফুঁড়ে রোদ্দুর। মেঘগুলোর রং যাবে সব পাল্টে। আইসক্রিম আইসক্রিম মেঘ চড়ে বেড়াবে আকাশে। তখন মালতির একটু স্বস্তি। বিশদ

25th  August, 2024
’৪২-এর কলকাতা

‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো...’ গান্ধীজির ডাকে ১৯৪২ সালের আগস্টে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতাও। আম বাঙালির প্রতিবাদের সেই ইতিহাস ফিরে দেখলেন সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত। বিশদ

18th  August, 2024
বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
বিশদ

11th  August, 2024
একনজরে
যতটা ভাবা হয়েছিল, ততটা হয়নি। ফলে বড় বিপর্যয়ের থেকে রেহাই পেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাধারণ মানুষ। ঘূর্ণিঝড় ডানার আতঙ্ক কাটিয়ে স্বস্তি পেল সাগর থেকে সুন্দরবন। ...

সিম-সুইংয়ে কুপোকাত। আবার স্পিনেও কাঁপুনি! উইলিয়ামসনহীন নিউজিল্যান্ড চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল ভারতের মহাতারকাদের দুর্দশা। বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্টে পেসার উইলিয়াম ও’রৌরকির সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল টিম ...

সেমেস্টার ব্রেক শুধুই পড়ুয়াদের জন্য। কিন্তু শিক্ষকদের অন-ডিউটি থাকতেই হবে। এই সময় যদি কোনও শিক্ষককে ছুটি নিতে হয়, তাহলে যথাযথভাবে লিভ অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে। তারপর ছুটি মিললে সেইমতো ‘স্টেশন লিভ’ করা যাবে। ...

এসে গেল বাজাজ অটোর নতুন পালসার বাইক। পালসার এন সিরিজের নতুন সংযোজন ১২৫ সিসির এন১২৫। ট্রেন্ডি গ্রাফিক্স, স্টাইলিশ এই বাইকের দাম শুরু হচ্ছে ৯৪ হাজার টাকা থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৮৬৩:  ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। ব্রিটেনের ফুটবল সমিতি লণ্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ফুটবল খেলার প্রথম নিয়মাবলী প্রণয়ন করা হয়, তাতে আধুনিক ফুটবলের জন্ম ঘোষিত হয়। পরে এই দিনকেই আধুনিক ফুটবলের জন্মদিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়
 ১৮৭৩: শের-ই-বাংলা ফজলুল হকের জন্ম
১৮৭৯: রুশ বিপ্লবী নেতা লিও ট্রটস্কির জন্ম
১৮৮১: দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের জন্ম
১৮৯০: ভাষাচার্য তথা বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান ভাষাবিজ্ঞানী সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৭: বাংলা চলচ্চিত্রের প্রাণপুরুষ হীরালাল সেনের মৃত্যু
১৯২৭: গোয়েন্দা কাহিনীকার শ্রীস্বপন কুমার, জ্যোতিষী শ্রীভৃগু ও ডাক্তার এস এন পাণ্ডে নামে পরিচিত ডাক্তার সমরেন্দ্র নাথ পাণ্ডের জন্ম
১৯৩৪: মহাত্মা গান্ধীর উদ্যোগে গ্রামীণ শিল্প সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৩৭: সুরকার হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের জন্ম
১৯৪৭: জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে সায় দিলেন সেখানকার মহারাজারা
১৯৫০: মাদার টেরিজা ভারতের কলকাতা শহরে মিশনারিজ অব চ্যারিটি নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন
১৯৬৪: পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় শেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল এরিক এডগার কুকের
১৯৭৪: অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডনের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৯ টাকা ১১০.৯৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৫ টাকা ৯২.৭৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৮,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দিনপঞ্জি------------------------------------------------------------ -                                           

দৃকসিদ্ধ: ৯ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪। দশমী ৫৯/১৫ শেষরাত্রি ৫/২৪। অশ্লেষা নক্ষত্র ১০/১০ দিবা ৯/৪৬। সূর্যোদয় ৫/৪১/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৫৯/৩৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৯ গতে ৩/১০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৫ গতে ২/১০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি। 
৯ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪। নবমী দিবা ৬/৩৮। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ১/৩৫। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/০। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৫/০ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/২৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৩ গতে ৩/১৫ মধ্যে। কালবেলা ৭/৭ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/১১ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৫/০ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৬ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। 
২২ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লির শাহদারা জেলার একটি এটিএম-এ আগুন, ঘটনাস্থলে হাজির দমকল

10:34:00 PM

দোদরা-কাওয়ারে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু

10:26:00 PM

চিত্রকূটে এলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব

10:05:00 PM

দিল্লির মানুষ কেজরিওয়ালকেই জেতাবে, বিজেপি নার্ভাস কারণ তারা জানে তারা দিল্লিতে জিততে পারবে না, বললেন আপ নেতা সঞ্জয় সিং

09:34:00 PM

আইএসএল: মহামেডানকে ৪-০ গোলে হারাল হায়দরাবাদ

09:29:00 PM

আইএসএল: মহামেডান ০-হায়দরাবাদ ৪ (৮১ মিনিট)

09:12:00 PM