Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

কল্যাণীর বিভূতিভূষণ

মুরাতিপুর গ্রাম। তাঁর মামার বাড়ি। জন্মস্থানও। গ্রামটি আর নেই। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩০ তম জন্মবার্ষিকীতে এমন অনেক অজানা কাহিনি লিখলেন সুখেন বিশ্বাস।

‘বৌমা... নিশ্চিত করে বলছি, বর্তমান যুগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে বিভূতিভূষণ উপন্যাস লিখেছেন। দু’হাজার বছর আগে জন্মালে উনি উপনিষদ রচনা করতেন।’ মৃত্যুর আগে টেলিফোনে বিভূতি-পত্নী রমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একথা বলেছিলেন স্বয়ং ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।
বিভূতিভূষণ! নামটা শুনলেই মনে পড়ে যায় গোপালনগর, বনগাঁ, ভাগলপুর, ঘাটশিলার কথা। তিনি নিজেকে ভাবতেন ‘বেজুকভ’। রুশ সাহিত্যিক তলস্তয়ের ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’-এর নায়ক। বাইরে নরম-কোমল হলেও ভিতরে বেশ শক্ত মনের মানুষ ছিলেন। কখনও কখনও আপনজনের কাছেও উদাসীন হয়ে যেতেন। ছোটবেলা কিংবা চাকরি জীবনের শুরুতেও লেখক হওয়ার কথা ভাবেননি। কিন্তু হয়ে গেলেন।

লেখায় ‘উপেক্ষিতা’
বিভূতিভূষণ তখন হরিনাভি দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ অ্যাংলো সংস্কৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষক। পাঁচুগোপাল (যতীন্দ্রমোহন রায়) নামের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। দু’জনে আলাদা ঘরে ভাড়া থাকতেন। স্কুলের বাইরে বেশিরভাগ সময়ই কাটত একসঙ্গে। বয়স অল্প হলেও পাঁচুগোপাল লেখালিখি করেন। মাঝেমধ্যেই বিভূতিভূষণকে লেখার প্রস্তাব দেন। কিন্তু প্রতিবারই এড়িয়ে যান তিনি। কানে তোলেন না। উপায়ান্তর না দেখে বিকল্প রাস্তা নিলেন পাঁচুগোপাল। তাঁরই কারসাজিতে হঠাৎই একদিন হরিনাভি স্কুলের দেওয়ালজুড়ে বিভূতিভূষণের নামে লেখা হল বিজ্ঞাপন। ‘শীঘ্র প্রকাশিত হইতেছে... শীঘ্র প্রকাশিত হইতেছে উপন্যাস।’ বিজ্ঞাপন দেখে হতবাক বিভূতিভূষণ। এরপর থেকে রাস্তায়, বাজারে, স্কুলে তাঁর কাছে সকলেরই এক প্রশ্ন ‘কবে বেরচ্ছে উপন্যাস?’ শুনতে শুনতে অতিষ্ঠ হয়ে গেলেন বিভূতিভূষণ। শেষপর্যন্ত রাগ করে লিখে ফেললেন আস্ত একটা গল্প। ডাকযোগে পাঠিয়েও দিলেন কলকাতার একটি মাসিক পত্রিকার ঠিকানায়। ভেবেছিলেন লেখাটি মনোনীত হবে না। কিন্তু কয়েক মাস পরে পত্রিকা দপ্তর থেকে এল একটি খাম। ভিতরে ছোট্ট চিঠি,  ‘আপনার রচনা মনোনীত হয়েছে, শীঘ্রই প্রকাশিত হবে।’ অবশেষে ‘প্রবাসী’ (মাঘ, ১৩২৮) পত্রিকায় প্রকাশিত হল বিভূতিভূষণের প্রথম গল্প ‘উপেক্ষিতা’। পরবর্তীকালে তিনি লিখেছেন, ‘ছেলেটি বোধহয় ঈশ্বরের দূত হয়ে সেদিন আমার কাছে এসেছিল। ওই বিজ্ঞাপন কাণ্ডটি না ঘটলে কোনওদিন লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম না।’

গৌরীদেবীর মৃত্যু ও প্রেমপত্র
বসিরহাটের মেয়ে গৌরীদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বিভূতিভূষণের। সালটা ১৯১৯। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই বিসূচিকা রোগে মৃত্যু হয় গৌরীদেবীর। বিভূতিভূষণও পড়াশোনায় ইতি টানেন। শিক্ষকের চাকরি নেন হুগলির জাঙ্গিপাড়া মাইনর স্কুলে। অতঃপর ওই চাকরি ছেড়ে চলে যান হরিনাভি স্কুলে। সাহিত্যিক হিসেবে নাম হওয়ার পরে মাঝেমধ্যে প্রেমপত্র পেতেন বিভূতিভূষণ। মির্জাপুর স্ট্রিটের মেসে বসে সখা নীরদচন্দ্র চৌধুরীর সঙ্গে এসব নিয়ে রসিকতা করতেও ছাড়তেন না। 
হরিনাভিতে তাঁর এলোমেলো ঘরদোর গুছিয়ে দিত এক বিবাহযোগ্য ব্রাহ্মণ কন্যা। আড়ালে আবডালে তাঁর খেয়ালও রাখত। এমন আদর-যত্ন ভালোই লাগত বিভূতিভূষণের। ‘আমি আপনার দাসী’ সম্বোধন করে সে কয়েকটি প্রেমপত্রও পাঠিয়েছিল। মেয়েটির উপর মানসিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়লেও বিভূতিভূষণ শেষপর্যন্ত পালিয়ে আসেন। কারণ, মেয়েটি ব্রাহ্মণ হলেও তাঁর সমগোত্রীয় ছিল না। সাতপাঁচ ভেবে হরিনাভি স্কুলের চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি।

নিষিদ্ধ পল্লিতে মায়ের খোঁজে
বাবা মহানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই প্রথমবার কলকাতায় পা রাখা বিভূতিভূষণের। বয়স তখন ৪ কি ৫। অভাবী মহানন্দ ছেলেকে নিয়ে উঠেছিলেন নিষিদ্ধ পল্লির এক বস্তিতে। সেই ঘরের পাশেই থাকতেন এক মহিলা। তাঁর সঙ্গে এতটাই ভাব হয়েছিল যে, গল্পে, আদর-যত্নে মায়ের অভাব পূরণ হয়ে যেত। তাঁকেই মা ভেবে নিয়েছিলেন ছোট্ট বিভূতিভূষণ।
মধ্য বয়সে হঠাৎই একদিন ওই মায়ের কথা তাঁর মনে পড়ে যায়। তিনি খুঁজতে যান ওই নিষিদ্ধ পল্লিতে। তাঁকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে ঘিরে ধরেন অল্পবয়সি চার-পাঁচ জন দেহোপজীবিনী। সকলেই চেয়েছিলেন বিভূতিভূষণকে নিজের ঘরে নিয়ে যেতে। লেখক বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন, মাতৃসম ওই মহিলাকে খুঁজতে এসেছেন। কিন্তু দেহোপজীবিনীরা তা শুনতে নারাজ। সেযাত্রায় পালিয়ে রক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। 

বিভূতিভূষণ ও নীরদচন্দ্র
একইসঙ্গে এম এ এবং ল’ পড়ার সময় নীরদচন্দ্রের সঙ্গে আলাপ। বিভূতিভূষণ নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষ। নীরদচন্দ্র উচ্চ মধ্যবিত্তের গরিমায় গর্বিত। কিন্তু সাহিত্যপ্রেমকে কেন্দ্র করে ক্রমে গা‌ঢ় হয় এই বন্ধুত্ব। নীরদচন্দ্র অবিবাহিত, বিভূতিভূষণ বিপত্নীক। প্রায়ই সন্ধ্যায় একইসঙ্গে সময় কাটাতেন। তিন বছরের ছোট-বড় দু’জনের বন্ধুত্বের কথা নীরদচন্দ্র লিখেছেন ‘দ্য হ্যান্ড, গ্রেট অ্যানার্ক!’ গ্রন্থে। তিনি শুধু লেখা শেষ করার জন্য তাগাদা দেননি, ‘পথের পাঁচালী’ বই আকারে ছাপানোর জন্য প্রকাশকও খুঁজে দিয়েছিলেন। আসলে বিভূতিভূষণকে খুবই ভালোবাসতেন নীরদচন্দ্র। যদিও মাঝে মাঝে তাঁর প্রতি উদাসীন হয়ে যেতেন বিভূতিভূষণ।
পরবর্তীতে নীরদচন্দ্র বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গেও সখ্য গড়ে ওঠে বিভূতিভূষণের। নীরদচন্দ্র লিখেছেন ‘... কিন্তু বৈঠকখানায় না বসিয়া তিনি নির্বিকার, শান্তভাবে বিড়ি টানিতে টানিতে সোজা তাঁহার শয়ন কক্ষে চলিয়া যাইতেন এবং সূচী-শিল্প করা চাদরের উপর বসিয়া, দুর্গন্ধময় নিম্ন মধ্যবিত্ত গন্ধ ছড়াইতেন। আমার স্ত্রী তাঁহাকে বিড়ি ফেলিতে বাধ্য করিয়া, ভৃত্যকে দিয়া এক প্যাকেট খ্যাতনামা সিগারেট আনাইয়া দিতেন।’

দশ বছরের সংসার
১৯৩৯ সাল। ইছামতী নদীতে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মারা গেলেন জাহ্নবী। বোনের অকস্মাৎ মৃত্যুতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন বিভূতিভূষণ। কথাটি জানাজানি হতেই দু’দিন পর ছুটে এলেন ফরিদপুরের ছয়গাঁও নিবাসী ষোড়শীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা রমাদেবী। উদ্দেশ্য অটোগ্রাফ নেওয়া। মনেপ্রাণে ভারাক্রান্ত সাহিত্যিক। তবু অটোগ্রাফ দেওয়ার পাশাপাশি খাতায় লিখে দিলেন, ‘গতিই জীবন, গতির দৈন্যই মৃত্যু’। 
মেয়েটিকে ভালো লেগে গেল বিভূতিভূষণের। তাঁদের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ছিল বছর ঊনত্রিশের। তবু চিঠি চালাচালির মাধ্যমে সম্পর্ক ক্রমশ গাঢ় হতে লাগল। শেষমেশ একদিন রমাদেবীই বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। নিজেকে সংযত রেখে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেন বিভূতিভূষণ... নিজের বয়সের কথা, প্রথম স্ত্রী গৌরীদেবীর কথা। কিন্তু রমাদেবী নাছোড়বান্দা। বিভূতিভূষণকে জানালেন, ‘আপনাকে মাত্র দশ দিনের জন্য স্বামী হিসেবে পেলে আমি ধন্য।’ অবশেষে ১৯৪০ সালের ৩ ডিসেম্বর বিয়ে হল দু’জনের। বিয়ের সাত বছর পর জন্ম হল একমাত্র পুত্র তারাদাসের। দশ বছরের মাথায়, ১৯৫০ সালে বিভূতিভূষণ নিজেই চলে গেলেন পৃথিবী ছেড়ে। তার আগেই অবশ্য একটা চিঠিতে রমাদেবীকে লিখেছিলেন, ‘এখন মনে হচ্ছে হয়তো অনেক জন্মের বন্ধন ছিল তোমার সঙ্গে—নয়তো এমন হবে কেন? কল্যাণী, তুমি আমার অনেক দিনের পরিচিতা, এবার এত দেরিতে দেখা হল কেন জানিনে, আরও কিছুকাল আগে দেখা হলে ভাল হতো।’

রবীন্দ্রনাথ নিজে ডেকেছিলেন
‘পথের পাঁচালী’ লেখা শেষ হল। পড়ে মুগ্ধ রবীন্দ্রনাথ। ‘পরিচয়’ পত্রিকায় লিখলেন, ‘তাঁর লেখায় পাড়াগাঁয়ের কথা, সেও অচেনা রাস্তায় নতুন করে দেখতে হয়।’ উপন্যাস নিয়ে মতামত দিতে রবীন্দ্রনাথ নিজে বিভূতিভূষণকে ডেকেছিলেন বরানগরে, প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের বাড়িতে।
১৯৪১ সাল। বাংলা ক্যালেন্ডারে দিনটা ২২ শ্রাবণ। বিভূতিভূষণ তখন শিক্ষকতা করছেন ধর্মতলার কাছে, খেলাতচন্দ্র মেমোরিয়াল স্কুলে। মির্জাপুর স্ট্রিটের মেসে বসে শুনলেন, রবীন্দ্রনাথ খুব অসুস্থ। খানিক বাদেই খবর এল, মারা গিয়েছেন কবিগুরু। সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পৌঁছলেন জোড়াসাঁকোয়। তখন প্রচণ্ড ভিড় আর ঠেলাঠেলি। বিভূতিভূষণকে শোকাতুর জনতা ঠেলতে ঠেলতে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে পাঠিয়ে দিল। অনেক চেষ্টার পর রবীন্দ্রনাথকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেদিনই বনগাঁর বাড়িতে ফিরে যান। ট্রেনে জানলার ধারে বসে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের উপরে নীলাকাশ দেখে তাঁর মনে হয়েছিল—‘গগনে গগনে নবনব দেশে রবি/ নব প্রাতে জাগে নূতন জনম লভি।’

কল্যাণীর বিভূতিভূষণ
জন্মের পর বিভূতিভূষণকে তাঁর বাবা-মা ডাকতেন ‘খোকা’ বলে। ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসে অপুকে ‘খোকা’ নামে ডাকার মধ্যে দিয়ে সেই ধারা স্পষ্ট। তাঁর শৈশব, কৈশোর, যৌবনের অনেকটা অংশ কেটেছে মুরাতিপুরে। আমরা হয়তো অনেকেই জানি না, মুরাতিপুর জায়গাটা আসলে কোথায়? এখন যেখানে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে, অতীতে তারই নাম ছিল মুরাতিপুর। এখানেই মামার বাড়িতে মৃণালিনী দেবীর কোলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিভূতিভূষণ। দিনটা ১৮৯৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। বাবা মহানন্দ দিনলিপির পাতায় লিখেছেন, ‘শুক্লপক্ষ ১৩০১ সাল, ২৮শে ভাদ্র, বুধবার দিবা সাড়ে দশ ঘণ্টার সময় আমার বিভূতিভূষণ পুত্রের জন্ম হয় মুরাতিপুর গ্রামে।’ প্রাথমিক পাঠও শুরু সেখানে, বিপিন মাস্টারের পাঠশালায়। ‘পথের পাঁচালী’তে গুরুমশাইয়ের আসল নাম প্রসন্ন মোদক। ছোটবেলায় তাঁর পাঠশালাতেও যেতেন বিভূতিভূষণ। দুই মামা, শরৎকুমার ও বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়ের কাঁধে চেপে ঘুরতেন। বড় হয়েও বারবার ছুটে এসেছেন জন্মভূমিতে। স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ‘আজ সকালে বনগাঁ থেকে ট্রেনে বার হয়ে রানাঘাটে সাড়ে দশটায় শান্তিপুর লোকাল ধরলুম। দোলের মেলায় আসতে হল বেলা সাড়ে বারোটায়। দুপুরের রোদে বাঁশবাগান আমার বড় ভালো লাগে—আর এইসব বাঁশবাগানের সঙ্গে আমার আশৈশব সম্বন্ধ।’
প্রতি বছর বিভূতিভূষণের জন্মদিনে তাঁর বারাকপুরের বাড়িতে সাহিত্যসভা হয়। ইছামতীর ঘাটে বসে বিভূতিমেলা। দূর-দূরান্ত থেকে দোকানিরা এসে দোকান পাতেন। ছোটদের খেলনা, পাঁপড় ভাজা, জিলিপির রেকাবি ঘিরে ভিড় থাকে দিনভর। তাছাড়া যাত্রাগান, পুতুল নাচ, সার্কাস এসব তো আছেই। কিন্তু ক’জন জানে বিভূতিভূষণের শৈশব-কৈশোরের মুরাতিপুরের কথা? গৌরীদেবীর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পরও একাধিকবার তিনি এসেছেন এখানে। বিভূতিভূষণ নিজেই লিখেছেন, ‘মামার বাড়ি গিয়ে নিচুতলার দিকে দরজা খুলে ছাদের উপর গিয়ে বসলুম। জ্যোৎস্না ফুটফুট করছে ছাদের ওপারে। নীচের ছোট ঘরটা বা যে ঘরে গৌরী বসে পান সাজত, সে সব বেড়িয়ে এলুম।’
এখন আর তাঁর মামার বাড়ির কোনও অস্তিত্ব নেই। কিন্তু জায়গাটিকে চিহ্নিত করেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁর একটি আবক্ষ মূর্তি বসানো হয়েছে ১৯৯৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর, বিভূতিভূষণের জন্মদিনে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের উদ্যোগে ওই বিশেষ দিনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয় সেখানে। বসে আলোচনাসভা, সঙ্গীতের আসর। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করেছিলেন বিধানচন্দ্র রায়। ভাবতে অবাক লাগে, বিভূতিভূষণ মারা গেলেন ১৯৫০ সালের ১ নভেম্বর। ঠিক দশ বছর পর, ১ নভেম্বরই পত্তন হয় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের।
পত্নী রমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘কল্যাণী’ নামে ডাকতেন বিভূতিভূষণ। তিনি কি কখনও ভেবেছিলেন সেই স্ত্রীর নামেই নিজের জন্মভিটেয় একদিন গড়ে উঠবে বিশ্ববিদ্যালয়? এটা কি নিছকই কাকতালীয়? নাকি যুগ-যুগান্তরের অতীন্দ্রিয় ভালোবাসার অমোঘ যোগ!

পথের পাঁচালী এবং...
নৈঃশব্দ্যের ভাষা চিনতেন তিনি। পথে হাটে ছড়িয়ে থাকা বনচালতে, বনকলমি, সোঁদালি, তিত্তিরাজের ঘন জঙ্গলের মধ্যে প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্য দেখতে পেতেন। ‘আরণ্যক’-এ লিখেছেন, ‘চাঁদের ফলা যখন বাড়ে কমে, তখন জ্যোৎস্নায় ঝিমঝিম শব্দ হয়।’ ‘দৃষ্টি প্রদীপ’ উপন্যাসে আবার— ‘নীল আকাশের দেবতা, যার ছবি এই বিশাল মাঠের মধ্যে সন্ধ্যার মেঘে, কালবৈশাখীর ঝোড়ো হাওয়ায়...।’ ডাকে নিয়মিত আসা ‘ন্যাশনাল জিওগ্রাফি’ ও ‘ওয়াইল্ড ওয়ার্ল্ড’ পড়ে লিখে ফেলেছিলেন ‘চাঁদের পাহাড়’। 
বাবা মহানন্দ মহাআনন্দে ঘুরে বেড়াতেন। কথকতার সূত্রে মথুরা, বৃন্দাবন, দ্বারকা—এমনকী পেশোয়ারেও। সেই স্বভাব পেয়েছিলেন বিভূতিভূষণ। গাছের ডালে বসে আকাশের বদলাতে থাকা রং দেখতেন। গভীর রাতে দেখতেন নিকষ কালো আকাশ। পথের সৌন্দর্যই তাঁর মনে প্রকৃতির প্রতি প্রেম জাগিয়ে তুলেছিল। প্রকৃতির সঙ্গে কোথাও যেন আত্মীয়তা পাতিয়ে ফেলেছিলেন। অনেকে তাঁকে দীক্ষা নেওয়ার কথা বললে কিছুতেই রাজি হননি তিনি। বলতেন, ‘আমি কেন কারও মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে যাব? যেতে হলে সরাসরিই যাব।’
‘পথের পাঁচালী’ যখন লেখা শুরু করেন, তখন বিভূতিভূষণ ভাগলপুরে। উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বিচিত্রা’ পত্রিকার হাত দিয়েই উপন্যাসটির কথা ছড়িয়ে পড়ে সব জায়গায়। পরে তো সত্যজিৎ রায় ‘পথের পাঁচালী’-র হাত ধরে আন্তর্জাতিক হয়েছেন। উপন্যাসটি ছাপার আগে বিভূতিভূষণ ঠিক করেছিলেন পাণ্ডুলিপিটি দেখাবেন রবীন্দ্রনাথকে। সঙ্গে চাইবেন আশীর্বাদ। সেই মতো জমিদারির সেরেস্তা থেকে ছুটি নিয়ে কলকাতা যাওয়ার কথা। ট্রেন ধরার আগে ভাগলপুরের নির্জন পথে দেখলেন আট-দশ বছরের এক কিশোরীকে। বিভূতিভূষণের মনে হয়েছিল, ওই কিশোরীর মনের ভিতরে লুকিয়ে রয়েছে একটা ব্যথাভরা জগৎ। রবীন্দ্রনাথের কাছে আর যাওয়া হল না। জমিদারির সেরেস্তায় ফিরে ছিঁড়ে ফেললেন পাণ্ডুলিপি। নতুন করে লিখতে বসলেন ‘পথের পাঁচালী’। অপুর সঙ্গে এই উপন্যাসে চলে এল দুর্গা। সাদা কাশবনের মধ্যে অপু-দুর্গার রেলগাড়ি দেখতে যাওয়ার ছবি বাঙালি জীবনে নস্টালজিক হয়ে রইল।
কল্যাণীতে বিভূতিভূষণের মূর্তি উন্মোচনে এসে পুত্র তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘সন্ধেবেলা বাবা আমাকে কোলে বসিয়ে নক্ষত্র চেনাতেন। দুপুরে কাঁধে চড়িয়ে স্নান করাতে নিয়ে যেতেন ইছামতী নদীতে।’ বিভূতিভূষণকে টানত আষাঢ়ু গ্রামের সোনাডাঙার মাঠ। এখানেই রাঙি গায়ের বাছুর খুঁজতে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিল অপু-দুর্গা। অপুদের গ্রাম নিশ্চিন্দিপুর থেকে ট্রেনে কাশী যাওয়ার পথে মাঝেরপাড়ায় ডিসট্যান্স সিগন্যালখানা মনে করিয়ে দেবে অযত্ন অবহেলায় মরে যাওয়া পাড়াগেঁয়ে মেয়ে দুর্গার কথা। ‘অপু সেরে উঠলে আমায় একদিন রেলগাড়ী দেখাবি?’ নস্টালজিয়ায় ভেসে উঠবে অপুর মনের না বলা কথা, ‘আমি যাইনি দিদি, আমি তোকে ভুলিনি, ইচ্ছে করে ফেলেও আসিনি। ওরা আমায় নিয়ে যাচ্ছে।’
লেখক কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক
অঙ্কন : সুব্রত মাজী
22nd  September, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

06th  October, 2024
পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
কেন মেঘ আসে...
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে...’, তবে এই তো আর ক’দিন। এক কী দেড় মাস! তার মধ্যেই দুগ্গা চলে আসবে। তখন আকাশ ফুঁড়ে রোদ্দুর। মেঘগুলোর রং যাবে সব পাল্টে। আইসক্রিম আইসক্রিম মেঘ চড়ে বেড়াবে আকাশে। তখন মালতির একটু স্বস্তি। বিশদ

25th  August, 2024
’৪২-এর কলকাতা

‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো...’ গান্ধীজির ডাকে ১৯৪২ সালের আগস্টে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতাও। আম বাঙালির প্রতিবাদের সেই ইতিহাস ফিরে দেখলেন সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত। বিশদ

18th  August, 2024
মৃত্যুর মুখোমুখি

কারাগারের নিস্তব্ধতা চিরে ছুটে আসছে শব্দ। মুজফ্‌ফরপুর জেলের কোনায় কোনায় তখনও জমাট বাঁধা অন্ধকার। কনডেমড সেলের মেঝেয় চুঁইয়ে পড়েছে সামান্য আলোর রেখা। সেই আলোয় স্পষ্ট দূরের অন্ধকারে শক্ত কাঠের পাটাতনে দুলতে থাকা মরণ-রজ্জু। বিশদ

18th  August, 2024
বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
বিশদ

11th  August, 2024
পদ্মাপারে চীনের ফুটপ্রিন্ট

আমেরিকাকে ‘সবক’ শেখাতে শেখ হাসিনা জড়িয়ে ধরেছিলেন চীনকে। তাঁর শেষ চীন সফর—৮ জুলাই।বেজিংয়ের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার হাট করে খুলে দিয়েছিলেন হাসিনা।
বিশদ

11th  August, 2024
অবন ঠাকুরের বাগানবাড়ি

কলকাতার খুব কাছেই কোন্নগরে গঙ্গার পশ্চিম তীরে ‘অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি’, যেন একটুকরো ছোট্ট শান্তিনিকেতন। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে যে বাড়ির স্মৃতিচারণ করেছেন অবন ঠাকুর। সেই বাগান বাড়ি ঘুরে তার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

04th  August, 2024
একনজরে
‘ঘরছাড়া’ হতে হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশীকে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে আতিশীর জিনিসপত্র সরিয়ে দেওয়া হয়। মাত্র দু’দিন আগেই উত্তর দিল্লির সিভিল লাইনে ৬, ফ্ল্যাগস্টাফ রোডের সরকারি বাসভবনে থাকতে শুরু করেছিলেন দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী। ...

একের পর এক ইজরায়েলি বোমার আঘাতে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। প্রাণ বাঁচতে ত্রাণ শিবিরগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তার মধ্যেই ফের ত্রাণ শিবিরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল ইজরায়েলি সেনার বিরুদ্ধে। ...

কল্যাণীর রাস্তায় সন্ধ্যার পর কার্যত জনস্রোত চলছে। দর্শনার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পথে নেমেছে টোটো। ফলে অবধারিত হয়েছে যানজট। এর মধ্যে টোটো চালকদের একাংশের বিরুদ্ধে বাড়তি ভাড়া ও জোরজুলুমের অভিযোগ উঠেছে। ...

চটের ব্যাগের বরাত দেওয়ার বিষয়ে চাপে পড়ে পিছু হঠল কেন্দ্র। যে নয়া নিয়ম চালু করতে তারা এগচ্ছিল, তা থেকে আপাতত সরে আসছে। পাটশিল্পকে রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় আইনে বলা হয়েছে, দানাশস্য প্যাকেটজাত করতে ১০০ শতাংশ এবং চিনিতে ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে চটের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মানসিক স্বাস্থ্য দিবস
আন্তর্জাতিক মৃত্যুদন্ড বিরোধী দিবস
১৭৫৬: লর্ড রবার্ট ক্লাইভ মাদ্রাজ থেকে ৫টি যুদ্ধজাহাজে ৯০০ সৈন্য নিয়ে কলকাতা দখলের জন্য যাত্রা করে
১৭৩৩: রাজা নবকৃষ্ণ দেবের জন্ম (শোভাবাজার রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা)
১৯৪২: কবি কাজী নজরুল ইসলাম মস্তিক ব্যাধিতে আক্রান্ত (মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি আর সুস্থ হননি)
১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম
১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু দত্তের মৃত্যু
২০১১: সঙ্গীতশিল্পী  জগজিৎ সিংয়ের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৫ টাকা ৮৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৫ টাকা ১১১.৮০ টাকা
ইউরো ৯০.৭১ টাকা ৯৩.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৪ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী ১৭/২৩ দিবা ১২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/৩৪/৪৭, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/১ গতে ৯/১৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২৩ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী দিবা ৭/২৫। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র রাত্রি ১/৫১। সূর্যোদয় ৫/৩৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৫ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪১ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৬ গতে ৯/১২ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১২ মধ্যে ও ৪/৩ গতে ৫/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ২/১৯ গতে ৫/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৫ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
৬ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শারদ শুভেচ্ছা ও ছুটি
দেবীর আবাহনে গোটা বাংলা মেতেছে উৎসবের আনন্দে। শারদোৎসব উপলক্ষ্যে বর্তমান-এর সকল পাঠক-পাঠিকা, ...বিশদ

03:55:00 AM

মুখ্যমন্ত্রীর শারদীয়ার শুভেচ্ছা
আনন্দময়ীর আগমনে ধরণী আজ প্রাণময়ী। আলোকময় হোক বিশ্ব চরাচর। দশপ্রহরণধারিণীর ...বিশদ

03:50:00 AM

রতন টাটার প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

09-10-2024 - 11:57:00 PM

প্রয়াত রতন টাটা
না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন দেশের রত্ন রতন টাটা। বুধবার ...বিশদ

09-10-2024 - 11:45:00 PM

মহিলা টি২০ বিশ্বকাপ: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৮২ রানে জিতল ভারত

09-10-2024 - 10:46:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: বাংলাদেশকে ৮৬ রানে হারাল ভারত

09-10-2024 - 10:24:00 PM