Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

নেতাজি সুভাষের সেবাশ্রম
জয়ন্ত চৌধুরী

নির্জন দুপুর। বঙ্গভূমি থেকে নির্বাসিত কারারুদ্ধ সুভাষ। বার্মার মান্দালয় জেল তাঁর কাছে তখন জীবন উপলব্ধির একান্ত সাধনপীঠ। বহু ত্যাগ ব্রতী দেশপ্রেমিক কারাজীবন অতিবাহিত করেছেন বার্মার কারাগারে। আর এই জেলে বসেই একদিন পেলেন তাঁর রাজনৈতিক সমর্পণের কাণ্ডারী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রয়াণবার্তা। গারদের সর্বগ্রাসী একাকিত্ব ভুলতে সাধনচর্চার নানা বইপত্র পাঠ করার পাশাপাশি ফেলে আসা সমাজসেবার অজস্র খুঁটিনাটির অনুধ্যান কারাপ্রাচীরের অন্তরালে তাঁর সঙ্গী হয়ে উঠেছিল। দক্ষিণ কলিকাতা চিত্তরঞ্জন জাতীয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখছেন, ‘আমি খেয়ালের বশবর্তী হইয়া সেবাশ্রমের কার্যে হস্তক্ষেপ করি নাই। আজ প্রায় ১২/১৪ বছর ধরিয়া যে গভীর বেদনা তুষানলের মত আমাকে দগ্ধ করিতেছে, তাহা দূর করিবার জন্য আমি এই কার্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছি। আমি কংগ্রেসের কাজ ছাড়িতে পারি— তবুও সেবাশ্রমের কাজ ছাড়া আমার পক্ষে অসম্ভব।’ কীসের অদম্য অন্তপ্রেরণায় তিনি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা ত্যাগ করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন তার আভাস মিলেছে বয়সে একদিনের বড়, সুভাষচন্দ্রের বন্ধু, সুরকার ও গীতিকার দিলীপকুমার রায়ের এক স্মৃতিচারণায়— ‘সুভাষ যখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত (Rusticated) হয় তখন যে দীন-দুঃখী, রুগ্ন ও নিরক্ষরদের সেবার জন্য একটি সেবক-বাহিনী গড়ে তুলেছিল, স্বামীজির দরিদ্র-দেব, মূর্খদেব এর সেবায় আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উঠেছিল বলেই।’
সাল ১৯২৪, ১১ মার্চ ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশন বিদ্যালয়ে সেদিন বিশিষ্ট দেশব্রতী নাগরিকদের সমাবেশ। ‘দক্ষিণ কলিকাতা সেবাশ্রম’ তার যাত্রা শুরু করল। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সুভাষচন্দ্র বসু ও কোষাধ্যক্ষ নির্মলচন্দ্র চন্দ। প্রথম অফিসটি ছিল ৪১ নম্বর বেলতলা রোডে। কালীঘাট ও মনোহরপুকুর রোডের ভাড়া বাড়ি ছেড়ে বর্তমানের গৃহ ৯৩ ও ৯৭, শরৎ বসু রোডের তেরো কাঠা জমিতে গড়ে ওঠে। ১৯৩২ সালে কলকাতা পুরসভা জমিটি লিজ দেয়। সে দিনের দোতলা বাড়িটি সম্পূর্ণ করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ময়ূরভঞ্জের মহারানি ও পারিজাত ট্রাস্ট। সেবাশ্রমটি ১৯২৮ সালে নিবন্ধীকরণ হলেও প্রতিষ্ঠার কিছুদিনের মধ্যেই সুভাষচন্দ্রের গ্রেপ্তার ও দেশবন্ধুর আকস্মিক প্রয়াণে সেবাশ্রমের কাজকর্মে বিপর্যয় নেমে আসে। ওই বছর আবাসিক ছাত্র সংখ্যা ছিল ১২ ও মূলধন ছিল ২ হাজার ২৮২ টাকা। উল্লেখ্য সুভাষচন্দ্র কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক হিসাবে প্রাপ্য তিন হাজার টাকা বেতনের অর্ধেক গ্রহণ করতেন। সেই দেড় হাজার টাকাতেই রাজনৈতিক কাজ, দুঃস্থ দেশকর্মীদের সাহায্য, দক্ষিণ কলিকাতা সেবকসমিতি ও সেবাশ্রমের জন্য ব্যয় করে নিজের জন্য অতি সামান্য অর্থ রাখতেন।
সেবা ও আশ্রম এই দুই শব্দ যুগলের মধ্যে নেই কোনও অর্থ লাভের বাসনা, নেই অহংবোধ কিংবা আধিপত্য বিস্তারের ভাবনা। দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের নিঃস্বার্থ ভক্তির অর্ঘ্য রূপেই সুভাষচন্দ্রের স্বপ্ন ছিল এই সেবাশ্রম।
ব্রিটিশ সরকার যখন তাঁকে গ্রেপ্তার করে, তখন জেলে যাওয়ার আগে সুভাষচন্দ্র মেজদা শরৎ বসুকে বলেন— ‘আমি জেলে যাচ্ছি ক্ষতি নেই, কিন্তু দয়া করে দেখবেন আমার সেবাশ্রমের কাজ যেন ব্যাহত না হয়।’ শুধু তাই নয়, অনাথ শিশুদের যাতে কোনওরকম সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে বিপদের মুখে পড়তে না হয়। সেবাকার্য ব্যাহত না হয় সে উদ্দেশে দেশবাসীকে সংবাদপত্র মারফত বার্তা দিয়ে গেলেন— ‘আমি আজ ১৮১৮ সনের আইন অনুসারে গ্রেপ্তার হইয়া চলিলাম। আমার বড়ই কষ্ট হইতেছে যে, আমি মাস মাস ছাত্রদিগকে যে সাহায্য দিতাম তাহা আর এখন দেওয়া সম্ভবপর হইবে না; আমি আশা করি তাহারা অন্য প্রকার বন্দোবস্ত করিতে সমর্থ হইবে। আমি কতকগুলি প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করিব বলিয়া প্রতিশ্রুত আছি, কিন্তু এ অবস্থায় আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা অসম্ভব। দক্ষিণ কলিকাতা সেবকসমিতি; দক্ষিণ কলিকাতা সেবাশ্রম প্রভৃতি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সহিত আমি সাক্ষাৎভাবে সংশ্লিষ্ট। আমার অনুপস্থিতিতে এই প্রতিষ্ঠান সমূহের বিশেষ ক্ষতির সম্ভাবনা। অন্ততঃ আমি ফিরিয়া না আসা পর্যন্ত ইহাদের সাহায্য করিবার জন্য সহৃদয় দেশবাসীদিগকে অনুরোধ জানাইতেছি।’ প্রতিষ্ঠার কয়েক মাসের মধ্যেই ১৯২৪-এর অক্টোবরে তরুণ সুভাষচন্দ্র গ্রেপ্তার হন। তিনি লিখছেন— ‘জেলে আছি—তাতে দুঃখ নাই। মায়ের জন্য দুঃখভোগ করা সে তো গৌরবের কথা! Suffering-এর মধ্যে আনন্দ আছে, এ কথা বিশ্বাস করুন।
তা না হলে লোক পাগল হয়ে যেত, তা না হলে কষ্টের মধ্যে লোক হৃদয়ের আনন্দে ভরপুর হয়ে হাসে কী করে? যে বস্তুটা বাহির থেকে Suffering বলে বোধ হয়—তার ভিতর থেকে দেখলে আনন্দ বলেই বোধ হয়।’ এরপর সুভাষচন্দ্র বঙ্গজননীর চরণপ্রান্তে বৈষ্ণবের ভাষায় নিবেদন বার্তা লিখেছিলেন—
‘তোমারই লাগিয়া কলঙ্কের বোঝা
বহিতে আমার সুখ।’
রাজনৈতিক দলাদলির তির তাঁকে নানা সময়ে বিদ্ধ করেছে। এক সময় রাজনীতি থেকে তিনি সরে যাবেন ভেবেছিলেন। পরাধীন জাতির কথা চিন্তা করে তিনি ‘মন চল নিজ নিকেতনে’-র ভাবনা সাময়িক ভাবে ত্যাগ করেছিলেন। অন্তরে লালন করেছেন সেবা ধর্মের ব্রত। সেবাশ্রমের পাশাপাশি ভবানীপুরে সেবকসমিতির ভাবনাচিন্তা ও কার্যপ্রণালীর নানা কথা তাঁর চিঠিপত্রগুলির ভিতর খুঁজে পাওয়া যায়। চরিত্র গঠন ও মানসিক উন্নতির জন্য তাঁর বাস্তবমুখী নানা নিদান দিয়েছেন। আশ্রমের ছেলেরা যাতে হাজরা পার্কে খেলাধুলো করতে পারে তার ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করে আশ্রমের পাঠাগার নিয়ে তাঁর সুচিন্তিত পরামর্শ, শিক্ষা, হাতের কাজ প্রভৃতি বিষয়ে নানা ভাবনা চিন্তা সুভাষচন্দ্রের খাঁটি দেশভক্তির প্রকৃত স্বরূপ চেনাতে সাহায্য করে। গত পঞ্চাশ বছর ধরে সেবাশ্রমের সঙ্গে যুক্ত বর্তমান সম্পাদক শুভেন্দু মৌলিক জানিয়েছেন যে, এই আশ্রমটিতে বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী, জ্ঞানীগুণী, পণ্ডিত মানুষজন বিভিন্ন সময়ে এসেছেন। এসেছেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জৈল সিং, আজাদ হিন্দ বাহিনীর লক্ষ্মী সায়গল, আবিদ হাসান প্রমুখ। কিন্তু সবচেয়ে গর্বের বিষয় সেবাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা দেশবন্ধু ও নেতাজি। সরকারি অনুদান আর সাধারণ মানুষের ভালোবাসার দানে এই আশ্রম এগিয়ে চলেছে ৭০ জন আবাসিককে নিয়ে। শিশুমঙ্গল হাসপাতালের ঠিক পাশেই দক্ষিণ কলিকাতা সেবাশ্রমটি এখন ত্রিতল ও আগের চেয়ে অনেক বড়। কাছেই রাজ্য সরকার পোষিত সাউথ ক্যালকাটা ন্যাশনাল স্কুল। সেটিরও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দেশবন্ধু ও নেতাজি এবং সেখানে ড্রিল শিক্ষক ছিলেন শহিদ যতীন দাস। দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদী মূল্যবোধের আবহে দক্ষিণ কলকাতা সেবাশ্রমের পথচলা শুরু হয়েছিল। এই সব কাজে হরিচরণ, অমৃতলাল, অনিলচন্দ্র প্রমুখের মতো সেবাব্রতী মানুষজনকে পাশে পেয়েছিলেন নেতাজি। ইউরোপের মাটিতে তাঁকে দেশান্তরিত হয়ে থাকতে হয়েছে বহু বছর, কারাগারেও কেটেছে অনেকগুলো দিন। রাজনৈতিক লড়াইয়ের মাঝেও সেবাশ্রমের কাজকর্ম তাঁকে আকর্ষণ করেছে। এমনকী, আজাদহিন্দ-এর রাষ্ট্রপ্রধান নেতাজি সিঙ্গাপুরের রামকৃষ্ণ মিশনের আবাসিক বালক-বালিকাদের গৃহ নির্মাণের জন্য ৫০ হাজার ডলার তুলে দিয়েছিলেন। যুদ্ধের কালোবাজারি আবহে যাতে খাদ্যবস্ত্র ঠিকমতো তারা পায় তার ব্যবস্থা করেছেন।
‘সেবাশ্রমের পিছনে কত ইতিহাস লুক্কায়িত আছে—কবে এই চিন্তা আমার মধ্যে প্রবেশ করে এবং কেন প্রবেশ করে—কি করিয়া আমি চিন্তারাজ্য ছাড়িয়া কর্মরাজ্যে প্রবেশ করি—যে কথা অন্যসময় বলিব। পত্রে লিখিবার চেষ্টা করিলে গ্রন্থ হইয়া যাইবে।’ এই ভাষাতেই নির্জন কারাকক্ষে বসে তরুণ সুভাষচন্দ্র আরও লেখেন— ‘আপনারা হয়তো জানেন না যে, দক্ষিণ কলিকাতা সেবাশ্রমের ত্রুটির জন্য আমি প্রধানত দায়ী। বাহিরে থাকিতে  আমি ভালো রকম Organise করিতে পারি নাই! তারপর হঠাৎ আমার গ্রেপ্তার। যখন সেবাশ্রম কালীঘাটে ছিল তখন বাড়ি ভাড়া ও সহকারী সম্পাদকের বেতন আমি নিজে দিতাম। শুধু বালকদের ভরণপোষণের খরচ সাধারণের দেওয়া চাঁদা হইতে নির্বাহিত হইত। সেবাশ্রম সম্বন্ধে আমার Clear Conscience আছে। কারণ Public-এর দেওয়া টাকার একটি পয়সাও আমি অসদ্ব্যবহার করি নাই। আমার গ্রেপ্তারের পর আমার দেয় অংশ আমার দাদা (শরৎবাবু) দিয়া আসিতেছেন।’ দেশে সুভাষচন্দ্রের অনুপস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই সমিতি সেবাশ্রমের নানা সমস্যা সাময়িকভাবে দেখা দিয়েছিল। আশ্রমের আবাসিকদের মানসিক স্তর বা আই কিউ সম্পর্কে তিনি খোঁজখবর নিতেন। ‘আদর্শ লাইব্রেরি’ গঠনের পাশাপাশি শিক্ষা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন— ‘...অতএব প্রকৃতির নিয়ম অনুসরণ করে আমরা যদি সকল ইন্দ্রিয়ের দ্বারা জ্ঞান জন্মাতে পারি তবে ফল লাভ খুব শীঘ্র হবে। পাটিগণিত শেখাবার সময়ে শুধু মুখস্থ না করিয়া যদি কড়ি, marble অথবা ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আমরা যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ প্রভৃতির উদাহরণ দেখাতে পারি তবে সেই সব জিনিস শিশুরা খুব শীঘ্র শিখতে পারবে। আর একটা বড় কথা— শুধু মানসিক শিক্ষা না দিয়ে শিল্প শিক্ষার ব্যবস্থাও সঙ্গে সঙ্গে করা চাই।’ আধুনিক শিক্ষা বিজ্ঞান ও বর্তমান কালের ‘প্রোজেক্ট’ নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার কথা সেইসময় তিনি প্রয়োগের পথে হেঁটে ছিলেন নানা সামাজিক, রাজনৈতিক ও আর্থিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও। তিনি চিঠিতে লিখছেন— ‘Manual training না হলে শিক্ষার গোড়ায় গলদ রয়ে যায়। নিজের হাতে কোনও জিনিস প্রস্তুত করলে যে রূপ আনন্দ পাওয়া যায়, সে রূপ আনন্দ পৃথিবীতে অল্পই পাওয়া যায়। সৃষ্টির মধ্যে গভীর আনন্দ নিবৃত আছে। সেই Joy of Creation শিশুরা অল্প বয়সেই উপভোগ করে। ...এর দ্বারা তাদের Originality বা ব্যক্তিত্বের বিকাশের সুবিধা হবে এবং লেখা-পড়াকে ভয় না করে তারা উপভোগ করতে শিখবে।’ বিস্তারিত ভাবে তিনি আরও লিখেছেন যে, বিলেতের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে কীভাবে ছাত্ররা বাগানের কাজ শেখে, ব্যায়াম চর্চা, ড্রিল, পড়াশোনার মাঝখানে খেলাধুলো, গান-বাজনা শেখে, রুট মার্চ, পথে সংঘবদ্ধভাবে ঘুরে বেড়ায়, মাটির জিনিস বানাতে শেখে, গল্পচ্ছলে নানা বিষয়, নানা দেশের কথা জানতে পারে। তিনি এ প্রসঙ্গে চিঠি শেষ করেছেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার Fundamental Principal সর্বপ্রথমে শিক্ষককে বুঝতে হবে। তার পর তিনি নূতন প্রণালীতে শিক্ষা প্রবর্তন করতে পারবেন। শিক্ষকের অন্তরের ভালোবাসা ও সহানুভূতির দ্বারা শিক্ষককে ছাত্রের দিক থেকে সব জিনিস দেখতে হবে। ছাত্রের অবস্থায় যদি শিক্ষক নিজেকে কল্পনা করতে না পারে, তবে সে কি করে ছাত্রের difficulty এবং ভুলভ্রান্তি বুঝতে পারবে? সুতরাং Personality of teacher হচ্ছে সবচেয়ে বড়। শিক্ষার প্রধান উপাদান তিনটি— (১) শিক্ষকের ব্যক্তিত্ব (২) শিক্ষার প্রণালী (৩) শিক্ষার বিষয় ও পাঠ্য পুস্তক।’ শিক্ষাবিজ্ঞানের এমন সারকথা সহজভাবে বুঝিয়েছেন সেবাশ্রমের ভাবনাকে সামনে রেখে। উল্লেখ্য, বিলেতে আইসিএস ছাড়ার প্রাক্কালে দেশবন্ধুকে সুভাষচন্দ্র জানিয়েছিলেন যে, তিনি শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশসেবার জন্য প্রস্তুত। দেশবন্ধু তাঁর সুভাষের এ দু’টি ভাবনাকে রাজনৈতিক পরিসরে যুক্ত করেছিলেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুট দেশব্রতীদের জাতীয় মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও ‘বাংলার কথা’ পত্রিকার সম্পাদক হয়েছিলেন তরুণ সুভাষচন্দ্র। পরবর্তীকালে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যুক্ত হবার পরই বস্তি উন্নয়ন, বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি সহ দিন-রাত পরিশ্রম করে নানা কাজ করেছেন। উত্তর কলকাতার ভূ-গর্ভস্থ জল সরবরাহের কাজ তদারকিতে পায়ে গামবুট পরে নিজে নেমেছেন। এমনকী, বহু দীনদুঃখী মানুষকে নীরবে সাহায্য করেছেন তাঁর রাজনৈতিক গুরু দেশবন্ধুর মতোই। পরাধীন দেশে অশিক্ষা, দুঃখ-কষ্ট দেখে স্বামী বিবেকানন্দের মতোই দেশবন্ধুর প্রাণ কেঁদেছে বারংবার। তাঁদের মতোই নিজের জীবন দিয়ে, রিক্ত হয়ে সুভাষচন্দ্র শয়নে স্বপনে দেশমুক্তির প্রয়াসের পাশাপাশি একদল সমাজসেবী কর্মীদল গড়ে তুলেছিলেন, যাঁরা শুধুই নিঃস্বার্থ সেবাকেই জীবনের লক্ষ্য করে তুলেছিলেন। রাজনীতির আবর্তে সুভাষচন্দ্রের জীবন সংগ্রাম অনেকটা প্রকাশ্যে এলেও সেবাব্রতী তরুণ সুভাষের বহু অজানা দিক সামনে আসেনি নানা কারণে। যদিও তার অন্যতম কারণ ব্যক্তিগত ত্যাগ ও সেবা নিয়ে চূড়ান্ত প্রচার বিমুখীনতা।
পরাধীন দেশে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতিকে রাষ্ট্রপতি বলা হতো। দু’বারের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সুভাষচন্দ্র বসুর কর্মকাণ্ড যাঁরা খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন, সেইসব বন্ধু সহকর্মীরা অভিনন্দিত করেছিলেন রাষ্ট্রপতি শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসুকে। অভিনন্দন বার্তায় তাঁরা লিখলেন— ‘শ্রদ্ধাস্পদেষু বন্ধু, আজ আমরা তোমাকে আমাদের মধ্যে পাইয়া যুগপৎ গর্ব্ব ও আনন্দ অনুভব করিতেছি। এই দক্ষিণ কলিকাতায় অনাথ ভাণ্ডারের চাউল আদায় করিয়াই তুমি তোমার গৌরবময় কর্মজীবন আরম্ভ করিয়াছিলে এবং অনাথ আতুরের কথা তুমি কখনও বিস্মৃত হইতে পার নাই। তাই যখন ভাগ্য দোষে ভবানীপুরস্থিত অনাথ আশ্রমটি ভাঙ্গিয়া পড়িল, তখন কোলাহলময় রাজনীতি ক্ষেত্রে জড়িত থাকিলেও, তুমি ছুটিয়া আসিলে মাথায় তুলিয়া লইতে— অনাথের সেবা, শ্রুশ্রূষা ও শিক্ষার ভার...’ দীর্ঘ এই অভিনন্দন বার্তায় হৃদয়বান সুভাষ-চরিত্রের চিত্র ফুটে উঠেছে। নেতাজির কর্মময় জীবন সাধনাই তাঁকে চিরদিনের নেতাজি করে তুলেছে। নেতাজির জীবনই তাঁর বাণী।
24th  January, 2021
নেতাজির গুপ্তবাহিনী
শহিদের অজানা আখ্যান
অমিত মিত্র

উত্তাল বঙ্গোপসাগর। ঢেউয়ের মাথা চিরে এগিয়ে চলেছে টর্পেডোবাহী একটি জাপানি ডুবোজাহাজ।  আচমকা তা ঝাঁপ দিল সমুদ্রের অতলে। জলের নীচে অদৃশ্য হতে না হতেই বন্ধ করা হল ইঞ্জিনও। প্রমাদ গুনলেন ভিতরের কেবিনে বসা আজাদ-হিন্দ-ফৌজের গুপ্তবাহিনীর চার অফিসার— তবে কি কোনও ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ারের নজরে এসেছে সাবমেরিনটি? বিশদ

07th  February, 2021
শতবর্ষে বিশ্বভারতী
সবুজকলি সেন

‘বিশ্বভারতী’ কোনও পূর্বপরিকল্পিত বিশ্ববিদ্যালয় নয়। ‘বিশ্বভারতী’ ব্রহ্মবিদ্যালয় নামের একটি ক্ষুদ্র বীজের বটবৃক্ষে পরিণত রূপ। ১৯০১ সালে (৮ পৌষ) পাঁচজন ছাত্রকে নিয়ে যে আশ্রম বিদ্যালয় যাত্রা করেছিল ভারতবর্ষের প্রাচীন তপোবনের আদর্শে—১৯২১-এ তারই পরিণত রূপ ‘বিশ্বভারতী’। বিশদ

31st  January, 2021
অবিলম্বে ওই তথাকথিত চিতাভস্ম
ফেলে দেওয়া হবে না কেন?
 বরুণ সেনগুপ্ত

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী ঘটা করে উদযা঩পিত হল। কিন্তু এই মহান দেশনায়কের অন্তর্ধান রহস্য আজও উদ্ঘাটিত হল না। ২০০৫ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ১১ জানুয়ারি ২৮টি কিস্তিতে প্রকাশিত ‘বর্তমান’ সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর লেখাটি এ প্রসঙ্গে আজও প্রাসঙ্গিক। তুলে ধরা হল সেই লেখার নির্বাচিত অংশ—
বিশদ

24th  January, 2021
নোবেল, পেনরোজ, 
বং কানেকশন
মৃন্ময় চন্দ

অবিশ্বাস্য, পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কারে বং কানেকশন! আইনস্টাইনের জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি বা আপেক্ষিকতাবাদের সূত্রেই হকিং-পেনরোজ ব্ল্যাকহোলের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মহাবিশ্বে অজস্র গ্রহাণুর বর্ণিল ঝিকিমিকির মধ্যে মূর্তিমান বেমানান ‘ব্ল্যাকহোল’, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এমনটাই মনে করতেন আইনস্টাইন। বিশদ

17th  January, 2021
কোট-প্যান্ট 
পরা সন্ন্যাসী

অনেকেই জানতে চান, কার নির্দেশে গৈরিক সন্ন্যাসীরা কোট-প্যান্ট-টাই পরা সন্ন্যাসী হলেন? সহজ উত্তর, এর পিছনে রয়েছে স্বয়ং স্বামীজির সবুজ সঙ্কেত। সন্ন্যাসীদের কেন এই বেশবাস? লিখছেন শংকর। বিশদ

10th  January, 2021
আমার সন্তান যেন থাকে
ভ্যাকসিন  ভাতে
সুন্দর মুখোপাধ্যায়

দু’হাজার কুড়ি বিদায় নিয়েছে, দুর্যোগও যেন শেষ হতে চলল। তবে এ ব্যাপারটা হোল-ওয়ার্ল্ডে সবচেয়ে আগে বুঝেছে বরানগরের বিল্টু। তার প্রেমিকা মিতা পুরো বছরটা ঝুলিয়ে রেখে একেবারে বছর শেষে বাড়ির অমতে বিয়েতে মত দিয়েছে। এই সুবর্ণসুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়, বিল্টুও করেনি। বিশদ

03rd  January, 2021
 কলকাতার গর্বের চার্চ
 ​​​​​​শান্তনু বসু

১৬৯০ সালের ২৪ আগস্ট। সুতানুটির ঘাটে জাহাজ ভেড়ালেন জোব চার্নক। কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুর এই তিনটি গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠল ইংরেজদের বাণিজ্যঘাঁটি। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী হিসেবে অবশ্য ইংরেজরাই কলকাতায় প্রথম নয়, তাদের আগে বসতি স্থাপন করেছিল আর্মেনিয়ান ও পর্তুগিজরা। বিশদ

27th  December, 2020
দেশবন্ধু ১৫০
রজত চক্রবর্তী

১৮৯৭। কলকাতা সরগরম। বিশেষ করে শিক্ষিত সমাজে কিছুদিন ধরেই আলোচনা তুঙ্গে। চারিদিকে ছি ছি পড়ে গিয়েছে! ব্রাহ্ম সমাজের মাথারা আলোচনায় বসেছেন। কারণ, বরদানাথ হালদার ও ভুবনমোহন দাশ সমাজের অগ্রগণ্য দুই মানুষ জড়িয়ে গিয়েছেন এই ঘটনায়। বরদানাথ হালদার বিক্রমপুরের নওগাঁ গ্রামের বাসিন্দা আর ভুবনমোহন দাশ কলকাতার। বরদানাথ হালদারের আর্থিক অবস্থা ভালো হলেও ঋণগ্রস্ত ভুবনমোহন দাশের অর্থনৈতিক অবস্থা জর্জরিত। বিশদ

20th  December, 2020
লৌহপুরুষ
সমৃদ্ধ দত্ত

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের প্রয়াণদিবস। ৭০ বছর হয়ে গেল তিনি আর নেই। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের অখণ্ডতা রক্ষায় তাঁর অবদান আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি সত্যিই এদেশের এক ও একমাত্র আয়রনম্যান।
বিশদ

13th  December, 2020
সিটিজেন বনাম 
সিনিয়র সিটিজেন
শংকর

আগামীকাল, ৭ ডিসেম্বর আমার জন্মদিন, কিন্তু আজ তো ৬ ডিসেম্বর, জোর করে বলা যায় না আমি এইট্টি সেভেন নট আউট হতে চলেছি আগামী কাল। নানা অনিশ্চয়তা নিয়ে এখনকার দিনকাল। তার সঙ্গে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ ও ব্লাড সুগার, যাদের ধরবার জন্য নবাগত একটি ভাইরাস নাকি বিশেষ আগ্রহী। দেখা যাচ্ছে, মানুষ থেকে জীবাণু পর্যন্ত কেউই নিজের জোরে রাজত্ব চালাতে আগ্রহী নয়, তাই বাংলা ভাষাতেও ‘কো-মরবিডিটি’ বলে একটা ইংরেজি শব্দের বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটল।  বিশদ

06th  December, 2020
অবিশ্বাস্য
রাতুল ঘোষ

পার্থিব জীবন থেকে মুক্তি মিললেও ডিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা অমর হয়ে থাকবেন। অন্তত এই গ্রহে যতদিন ফুটবল খেলা বেঁচে থাকবে। খ্যাতি-অখ্যাতির নেপথ্যে তাঁর এই চিরপ্রস্থানে ব্যথিত, শোকস্তব্ধ ফুটবল দুনিয়া। ফিফা আয়োজিত ফুটবলপ্রেমীদের গরিষ্ঠাংশের ভোটে মারাদোনা বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের সম্মান যৌথভাবে পেয়েছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। বিশদ

29th  November, 2020
হেমন্তের দুর্গা 
সুখেন বিশ্বাস

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের স্বপ্নে পাওয়া জগদ্ধাত্রী। এই পুজো এখন আর কৃষ্ণনগর বা চন্দননগরে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গিয়েছে বাংলার সর্বত্র। হেমন্তকালের শুক্লা কার্তিকের নবমীতিথিতে তাই বাংলায় নতুন করে দেখা যায় শরতের রোদ্দুর। আকাশবাণীর প্রভাতী অনুষ্ঠান বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর’ নেই... তবু প্রবাসীরা ঘরে ফেরে। দুর্গাপুজোর মতোই নতুন পোশাকে মানুষ বেরিয়ে পড়ে ঠাকুর দেখতে।  
বিশদ

22nd  November, 2020
শ্যামাসংগীত...
আলাদা একটা অধ্যায়
শ্রীকান্ত আচার্য্য

 ছোটবেলা থেকেই শ্যামাসংগীতে আমার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সেটা পান্নালাল ভট্টাচার্যের গান শুনেই। বাড়িতে রেকর্ড ছিল। ‘দোষ কারও নয় গো মা...’ পাগল করা একটা গান, দাশরথি রায়ের অপূর্ব লিরিক। পুজোআচ্চা বা মন্দিরে যাওয়া, এসবে আমি নেই ঠিকই... কিন্তু ভক্তিগীতি বরাবর ভালো লাগে। শ্যামাসংগীত আমাদের বাংলা গানের ইতিহাসে পৃথক একটা অধ্যায় বলা যেতে পারে। এই গান ঘিরে যে সাহিত্য-সম্পদ তৈরি হয়েছে, তা অমূল্য। বিশদ

15th  November, 2020
একবার দেখা দিলি না মা... 

 আর দশ বছর পরই তাঁর জন্মশতবর্ষ। বাঙালি তাঁকে মনের মণিকোঠায় কতটা রেখেছে, বলবে সময়ের দলিল। কিন্তু একটা বিষয়ে সকলেই একমত... ফুল ছাড়া যেমন পুজো হয় না, পান্নালাল ভট্টাচার্যের শান্ত-মিঠে কণ্ঠ ছাড়া মা কালীর আরাধনাও যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বহু সাধক-কণ্ঠে মায়ের গান শুনেও পান্নালালের সেই আর্তি খুঁজে পেয়েছেন, এমনটা হলফ কেউ বলতে পারেন না। মায়ের পায়ের জবা হয়ে ফুটে ওঠা পান্নালাল ভট্টাচার্যকে সেদিন ভুলে থাকে, সাধ্য কার! পান্নালালের চেয়ে আট বছরের বড়, তাঁর মেজদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। তাঁরই ছেলে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য... পান্নালালের ভাইপো। যিনি গর্ব করে বলতেই পারেন, তাঁর বাবা-কাকার মতো শিল্পী আগামী দু’শো বছরে আর আসবে না এ বাংলায়। বলতেই পারেন, কালীপুজোর নির্ঘণ্ট মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই অমূল্য রত্নকে কাছ থেকে দেখা ভাইপো দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর স্মৃতিচারণায় উঠে এলেন এক অন্য সাধক। শুনলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

15th  November, 2020
একনজরে
মঙ্গলকোটে অনুব্রত মণ্ডলের মহিলা সমাবেশে জনস্রোত বয়ে গেল। শুক্রবার বিকেলে ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে কাতারে কাতারে মহিলা মাথরুনের স্কুলমাঠে ভিড় করেন। ...

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। বারাসত শহরে তৈরি হল অত্যাধুনিক মানের ইন্ডোর স্টেডিয়াম। ৬৫ লক্ষ টাকায় শহরের কে এন সি রোডে এই স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। এখানে ...

পিম্প্রি-চিঞ্চওয়াড় পুর এলাকায় সংক্রমণের গ্রাফ এখন নিম্নমুখী। কমছে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যাও। আর এর জেরেই কাজ হারাতে চলেছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে সেখানকার প্রায় ৫০০ জন কোভিড যোদ্ধা। ...

দ্বিতীয় সারির দল বার্নসলেকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে এফএ কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছল চেলসি। বৃহস্পতিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে একমাত্র গোলটি টমি আব্রাহামের। উল্লেখ্য, কোচ টমাস টুচেলের অধীনে টানা চতুর্থ ম্যাচে জয় পেল চেলসি।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১ - ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২ - লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২ - কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত।
১৯৩১ - ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫ - কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.১৫ টাকা ৭৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ৯৮.০৩ টাকা ১০২.৭৭ টাকা
ইউরো ৮৬.১৬ টাকা ৯০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া ৪৩/৪৮ রাত্রি ১২/৫৩। শতভিষা নক্ষত্র ২২/২৪ দিবা ৩/১১। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/০ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে ৪/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ মধ্যে  পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে উদয়াবধি।  
৩০ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ১২/৪১। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৩/১৭। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৪১ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪০ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৩ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/১৬ মধ্যে । 
৩০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে আগামী ২১ শে মোদি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি অমিত শাহ
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ...বিশদ

09:26:38 PM

মাস্ক ছাড়াই গ্যালারিতে বহু দর্শক, করোনাবিধি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কোভিডবিধি ...বিশদ

04:36:39 PM

মালদহে কালভার্টের কাছে যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার
মালদহের বলদা হুড়া এলাকার একটি নির্মীয়মাণ কালভার্টের কাছে মিলল এক ...বিশদ

04:22:23 PM

মুম্বইয়ের খার এলাকায় ৩৩ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ মাদক সহ গ্রেপ্তার ২ পাচারকারী 

04:18:00 PM

দ্বিতীয়বার বিয়ে  করছেন দিয়া মির্জা!
সামনেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। ভালোবাসার মরশুম চলছে। এর মধ্যেই এল সুখবর। ...বিশদ

04:09:41 PM

দীঘায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১
দীঘা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ...বিশদ

04:00:30 PM