Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

লৌহপুরুষ
সমৃদ্ধ দত্ত

 মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের প্রয়াণদিবস। ৭০ বছর হয়ে গেল তিনি আর নেই। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের অখণ্ডতা রক্ষায় তাঁর অবদান আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি সত্যিই এদেশের এক ও একমাত্র আয়রনম্যান।
 
জাভেরবা প্যাটেলের ইনটেস্টাইনে সংক্রমণ হয়েছে। নিরন্তর যন্ত্রণা আর মাঝেমধ্যেই রক্তক্ষরণ। মাত্র ২৯ বছর বয়সেই তিনি ক্রমেই যেন জীবনীশক্তি হারাচ্ছেন। তাঁর আ‌ইনজীবী স্বামী বল্লভভাই গোধরায় প্র্যাকটিস করেন। সেখানে এই কঠিন রোগের চিকিৎসা নেই। স্ত্রী আর পুত্র-কন্যাকে নিয়ে তাই বম্বেতে এলেন। বল্লভভাই কিছুদিন অসুস্থ স্ত্রীর পাশে রইলেন। কিন্তু প্র্যাকটিস তো বন্ধ রাখা যায় না। তিনি বম্বে প্রেসিডেন্সির গুজরাতের আনন্দের একটি মার্ডার কেস হাতে নিয়েছেন ইতিম঩ধ্যে। তাঁর ক্লায়েন্টই খুনে অভিযুক্ত। চূড়ান্ত শুনানি এগিয়ে আসছে। যেতে হবে বল্লভভাইকে একবার আনন্দে। ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। ডাক্তাররা চিন্তিত মুখে বললেন, ঠিক আছে যান। কিন্তু যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জানা গেল, পরিস্থিতি খারাপ। এখনই সার্জারি করতে হবে। এদিকে ১১ জানুয়ারি, ১৯০৯  খুনের মামলার সাক্ষীকে ক্রস এগজামিনেশন করবেন বল্লভভাই। তিনি এতদিনে বুঝে গিয়েছেন সাক্ষী মিথ্যা কথা বলছে। বল্লভভাইয়ের মক্কেল নির্দোষ। সেদিন দুপুর দুটোয় উইটনেস বক্সে সাক্ষী ওঠার পর বল্লভভাই চোখা প্রশ্ন করে ক্রমেই তাকে কোণঠাসা করছেন। কোর্টরুমে সক঩লেই উদগ্রীব।  প্রশ্নোত্তর চলাকালীন আচমকা আর্দালি এগিয়ে এসে একটা টেলিগ্রাম দিল বল্লভভা‌঩ইয়ের হাতে। বিস্মিত বল্লভভাই বিচারকের অনুমতি নিয়ে টেলিগ্রাম খুললেন এবং কয়েক সেকেন্ড সেদিকে তাকিয়ে আবার ভাঁজ করে পকেটে ঢুকিয়ে রাখলেন। সমাপ্ত করলেন সাক্ষীকে জেরা। তাঁর তীক্ষ্ণ জিজ্ঞাসাবাদে সাক্ষী ভেঙে পড়ে জানাল সত্যিই সে মিথ্যা কথা বলেছে। বল্লভভাইয়ের মক্কেল নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে মুক্ত। তিনি আপ্লুত হয়ে  করজোড়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলেন। বল্লভভাই শুকনো হেসে বিদায় নিলেন।  তাঁর পকেটে যে টেলিগ্রাম, সেখানে লেখা ছিল, আজ সকালে স্ত্রী জাভেরবার মৃত্যু হয়েছে। গুজরাতের একজন সাধারণ আইনজীবী বল্লভভাই প্যাটেল তখনও জানেন না, আগামীদিনে তাঁকে ভারত আখ্যা দেবে ‘লৌহপুরুষ’। এরকম বহু কঠিন মুহূর্ত তিনি সামলাবেন। 
যাদের নির্দিষ্ট সরকারি দলিল আর জমির অধিকার কাগজে কলমে আছে তাদের বলা হয়েছে পতিদার। জাভেরভাই গালাভাই প্যাটেল এরকমই এক পতিদার সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। আনন্দ থেকে প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার দূরের গ্রাম কারামসাদের কৃষক লিউয়া প্যাটেল সম্প্রদায়ের জাভেরভাইয়ের পাঁচ পুত্রের মধ্যে দু’জনকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে, এরা গ্রামে থাকবে না। পড়াশোনা করে কোনও বৃহৎ কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য এই দুই ভাই রীতিমতো উৎসুক। বিঠ্ঠলভাই এবং বল্লভভাই। বল্লভভাইয়ের মধ্যে আবার বেশ একটা বিদ্রোহ আর সাংগঠনিক নেতা হওয়ার চরিত্র আছে। ক্লাস সিক্সের ছাত্র হিসেবে সে যখন জানতে পারল ক্লাস টিচার স্কুলের টেক্সট বুক বাইরে বেশি দামে বিক্রি করে দিয়ে ছাত্রদের বলে দোকান থেকে কিনে নিতে, ছাত্রদের নেতৃত্ব দিয়ে বল্লভভাই স্ট্রাইক ঘোষণা করল। ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামের একটি স্কুলের ক্লাস সিক্সের ছাত্ররা ধর্মঘট করছে এটা এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। সেই শিক্ষক কিন্তু সমস্ত বই বিক্রির টাকা ফেরত দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন! 
আনন্দ নামের জনপদটি কিছুটা শহুরে হলেও উচ্চশিক্ষার প্রচুর ব্যবস্থা যে ছিল এমন নয়। বল্লভভাইয়ের খুব ইচ্ছা আইনজীবী হতে লন্ডন যাওয়ার। নিয়ম হল ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে প্লিডার্স পরীক্ষা দেওয়া যায়। কিন্তু অত টাকা কোথায়? তাই এক চেনা মানুষের সহায়তায় বল্লভভাই ম্যাট্রিকুলেটের পর নাদিয়াডে এক আইনজীবীর অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ শুরু করলেন। আর সেই আইনজীবীর লাই঩ব্রেরি থেকেই বই নিয়ে গিয়ে প্রস্তুতি নিলেন পরীক্ষার। ১৯০০ সালে ডিস্ট্রিক্ট প্লিডার এগজামিনেশন পাশ করলেন বল্লভভাই। আর প্র্যাকটিস শুরু করলেন গোধরায়। কিন্তু তাঁর লন্ডন যাওয়ার কী হল? তখনই হল না। কারণটা খুব অভিনব। তাঁর বাবা তাঁকে স্পষ্ট বলেছিলেন, তাঁর কাছে এমন টাকা নেই যে, তাঁকে লন্ডন পাঠিয়ে আইন পড়ানো সম্ভব। সুতরাং অন্তত ১০ হাজার টাকা নিজে থেকে রোজগার না করলে সম্ভব নয়। বল্লভভা‌ই পাগলের মতো পরিশ্রম করে সেই টাকা জমাতে পারলেন বটে। অ্যাপ্লাইও করলেন পাস ও টিকিটের জন্য। সেই টিকিট ও পাস এল। ছাড়পত্রের উপর লেখা ছিল ভি জে প্যাটেল। তিনিও ভি জে প্যাটেল। তাঁর দাদা বিঠ্ঠলভাইও ভি জে প্যাটেল। দাদা বললেন, আমার খুব যাওয়ার ইচ্ছে। বল্লভভাই তাঁর স্বপ্নকে আপাতত পিছিয়ে দিলেন। হাসিমুখে বললেন, তুমিই যাও। নিজের জমানো টাকা দাদাকেই দিলেন। লন্ডনে যাওয়া হল না তাঁর? হ্যাঁ হল। তবে ১০ বছর পর। ১৯১০ সালে ৩৬ বছর বয়সে বল্লভভাই প্যাটেল গিয়েছিলেন লন্ডনে মিডল টেম্পলে। মাতৃহীন পুত্র ও কন্যা মণি আর দাহিয়ার কী হল? তারা রইল বম্বের কুইনস মেরি স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল মিস উইলসনের কাছে। 
পুত্র-কন্যা একা থাকে। তাঁকে যেভাবে হোক সবথেকে কম টাকা ব্যয় করে এই অচেনা দেশে আইন পরীক্ষায় ভালো ফল করতেই হবে। তাই বল্লভভাই সাতসকালে সবার আগে সিঁড়িতে এসে বসতেন লাইব্রেরিতে। সবার আগে ঢোকার জন্য। এই সাধনার ফল মিলল। ১৯১২ সালের জুন মাসে অনার্সে ফার্স্ট ক্লাস এবং র‌্যাঙ্কেও প্রথম স্থান পেয়ে বল্লভভাই ৫০ পাউন্ড পুরস্কার অর্জন করলেন, যা সেই সময় ইনস অফ কোর্টের রীতিতে এক বিরল সম্মান। ১৯১৩ সালে ভারতে ফেরার পর বল্লভভাই প্যাটেল প্রথমেই গেলেন বম্বে হাইকোর্টের চিফ জাস্টিস স্যার বেসিল স্কটের কাছে। স্কট কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করার পর বল্লভভাইকে বললেন, ‘আপনি এখানেই বিচারকের পোস্টে জয়েন করুন।’ বল্লভভাই রাজি নয়। তাহলে অন্তত ল স্কুলের টিচার হন। আপনার মতো বাগ্মী শিক্ষক আমাদের প্রয়োজন। বল্লভভাই কী মনে করে যেন সেই প্রস্তাবও উড়িয়ে দিলেন। তিনি স্থির করলেন আমেদাবাদে যাবেন। নিজের শিকড়ে। 
যে কোনও আদালতে নতুন ব্যারিস্টার এলে বাকি আইনজীবীদের কাছে তিনি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন। সকলেই তাঁর সম্পর্কে যতটা জানতে চায়, ঠিক ততটাই তাঁর প্রথম শুনানিও দেখতে চায়। অর্থাৎ লোকটা প্লিডিং এ দক্ষ কি না, কতটা তীক্ষ্ণ যুক্তি দেয়, কেমনভাবে স্মার্ট প্রেজেন্টেশন করে বিচারপতির সামনে ইত্যাদি। খেড়া জেলার এক হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দু঩টি ভাইয়ের জামিনের শুনানিতে পুলিস তাদের জামিনের বিরোধী। কারণ কী? কারণ অদ্ভুত। তাদের বাড়ি অপরাধপ্রবণ জেলা খেড়ায়। জামিন পেলে এরা প্রমাণ বিলোপ করবে। অতএব জামিন নয়। বিচারপতিও জামিন না দেওয়ার পক্ষে। এরকম সময় নতুন ব্যারিস্টার বল্লভভাই প্যাটেল শুনানিতে তির্যক ভঙ্গিতেই বললেন, এটা বেশ ভালো প্রবণতা তৈরি হল। একটি জেলা নাকি অপরাধপ্রবণ। তাই সে‌ই জেলার কেউই কোনওদিনই ভবিষ্যতেও জামিন পাবে না। এটাই আজ স্থির হল! সুন্দর আইন। বিচারপতি থমকে গেলেন। তিনি আদালত স্থগিত রেখে, আধঘণ্টা পর আবার এসে বললেন, জামিন দেওয়া হল! এই গোটা ঘটনা প্রত্যক্ষ করে রীতিমতো চমৎকৃত হলেন সেই কোর্টের আর এক আইনজীবী। গণেশ বাসুদের মভলঙ্কার (ভারতের লোকসভার প্রথম স্পিকার হয়েছিলেন তিনি)। সকলের মন জয় করে নিলেন বল্লভভাই। আর দ্রুত হয়ে উঠলেন প্রথম সারির ব্যারিস্টার ও আমেদাবাদের এক পরিচিত মুখ। 
কিন্তু বল্লভভাইয়ের জীবনের সব হিসেব নিকেশ পাল্টে দিতে ১৯১৫ সালের ৯ জানুয়ারি সকাল ৯টায় বম্বে বন্দরে এস এস অ্যারাবিয়া নামের একটি জাহাজ এসে থামল। আর সেই জাহাজ থেকে বেরিয়ে ভারতের মাটিতে পা রাখলেন আর এক গুজরাতি ব্যারিস্টার। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী!
...
গুজরাত ক্লাবের সেকেন্ড ফ্লোর সর্বদাই গমগম করছে। সেখানে সিগারেট-চুরুটের ধোঁয়া, রাজনীতির আলোচনা, পরনিন্দা পরচর্চা আর ব্রিজ খেলা। এখানেই বল্লভভাই ব্রিজ খেলেন বন্ধুদের সঙ্গে। গুজরাত ক্লাবের এলিট সদস্যরা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা নতুন ব্যারিস্টার গান্ধীর নাম শুনেছেন। তবে আশ্চর্যের কথা লোকটি প্র্যাকটিস করে না। তিনি কোচরাবা নামক স্থানে কয়েক একর জমি নিয়ে একটি আশ্রম খুলেছেন। ব্যারিস্টার নাকি সাধু? সকলেই হাসাহাসি করছে। সেখানে নাকি অহিংসা, সত্যবচন, স্বদেশিয়ানার শিক্ষা দেওয়া হয়। ১৯১৬ সালের মে মাসে গুজরাত ক্লাবে তাস খেলার মধ্যেই হঠাৎ একটা গুঞ্জন। মভলঙ্কার উঠতে যাচ্ছেন তাস খেলার মধ্যেই। বল্লভভাই জানতে চাইলেন, কোথায় যাচ্ছ? মভলঙ্কার বললেন, গান্ধীজি এসেছেন। যাবে না? বল্লভভাই হেসে বললেন, এখানে বোসো।  অনেক বেশি কিছু শিখতে পারবে। ওখানে গেলে তোমাকে হয়তো জিজ্ঞাসা করবে গম থেকে কাঁকর বাছাই করতে পার কি না। সকলে উচ্চস্বরে হেসে উঠলেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বুঝলেন গান্ধী নামক লোকটির মধ্যে কিছু একটা আছে। কী সেটা? সকলেই কেন আকৃষ্ট হচ্ছে? আমেদাবাদে কংগ্রেসে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন গান্ধীজি। সেটি হল অ্যানি বেসান্তকে বম্বে প্রেসিডেন্সিতে প্রবেশ করতে দিতে হবে। এতদিন ধরে সেটা নিষিদ্ধ। কংগ্রেসের মধ্যে চরমপন্থী আর নরমপন্থীদের লড়াই তখন তুঙ্গে। আমেদাবাদে কংগ্রেসের সেই সেশন দেখতে গেলেন বল্লভভাই। সেই অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন আর এক গুজরাতি। মহম্মদ আলি জিন্না। এরপর লখনউ। সেখানেও গেলেন বল্লভভাই। তিনি ক্রমেই বুঝতে পারছেন, মোহনদাস গান্ধীর রাজনীতি সম্পূর্ণ অন্যরকম। আর তিনি দেশটাকে ভালো চেনেন। বল্লভভাই আগ্রহী হচ্ছেন লোকটি সম্পর্কে।  
১৯১৭। বিহারের চম্পারনে নীল চাষিদের উপর চরম শোষণ চলছে। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী গেলেন নীল চাষিদের পাশে দাঁড়াতে। তিনি প্রতিবাদ করছেন কৃষকদের নিয়ে। জেলাশাসক ডব্লু এইচ হেককের এটা পছন্দ নয়। লোকটি বাইরে থেকে এসে কেন প্ররোচনা দিচ্ছে? তিনি লিখিতভাবে নির্দেশ দিলেন গান্ধীজিকে, আপনাকে এখনই জেলা থেকে চলে যেতে হবে। গান্ধীজি উত্তরে বললেন, ‘আমি এই অর্ডার মানতে পারছি না। যে কোনও জরিমানা বা সাজার জন্য তৈরি আছি। আমার এই অপারগতার কারণ, আমার অন্তরাত্মা বলছে আমাকে এখানে থাকতে হবে।’এভাবে ব্রিটিশের মুখের উপর নির্দেশ অগ্রাহ্য করার খবরটি ছড়িয়ে পড়ল। এসে পৌঁছল গুজরাত ক্লাবে। আর সেই খবর শুনে মভলঙ্কারের সঙ্গে একযোগে বল্লভভাই উজ্জ্বল মুখে বললেন, ইয়েস, হিয়ার কামস আ হিরো...হি ইজ দ্য নিউ হিরো...। ক্রমে বল্লভভাই নিজেকে মনে মনে সমর্পণ করলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর কাছে। এরপর তিনি আমেদাবাদ পুরসভা বোর্ডে জয়ী হবেন, প্লেগের বিরুদ্ধে নিরলস লড়াই করবেন, কৃষক বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেবেন। হয়ে উঠবেন স্বাধীন ভারতের শক্তিশালী নির্মাতা। 
১৯১৯ সালের মার্চ মাসে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী রাওলাট বিলের বিরুদ্ধে একটি অভিনব আন্দোলন শুরু করতে চাইলেন। যা তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় করে সাফল্য পেয়েছেন। সেই আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিলেন এলাহাবাদের এক আইনজীবী। গান্ধীজি সেই আইনজীবীর বাড়িতে গেলেন। আইনজীবী মতিলাল নেহরু এই নতুন আন্দোলনটির কর্মসূচি নিয়ে সন্দিহান। এরকম মুভমেন্ট কি চলতে পারে? অসহযোগ। তিনি সংশয় প্রকাশ করলেও মতিলাল নেহরুর পুত্র গোটা পরিকল্পনায় মুগ্ধ। কেম্ব্রিজে সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে আইন শিক্ষাও সমাপ্ত করা ওই যুবক এলাহাবাদে প্র্যাকটিস করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাড়িতে গান্ধীজির সঙ্গে কয়েকদিন কাটিয়ে তাঁর জীবনের অভিমুখ ঘুরে গেল। তিনি ঠিক করলেন জাতীয় আন্দোলনেই যুক্ত হতে হবে। থাকতে হবে গান্ধীজির সঙ্গে। ১৯১৯ সালে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী আজীবনের জন্য পেলেন দু’জন ভক্ত, অনুগামী এবং পুত্রসম শিষ্যকে। ভবিষ্যতের ভারত পেল আধুনিক গণতান্ত্রিক দেশ নির্মাণের সফলতম যুগলবন্দিকে। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং জওহরলাল নেহরু। আজীবনের এক রাজনৈতিক জুটি! 
কতটা উদার ছিলেন প্যাটেল? নেহরুর সঙ্গে শত মতান্তর সত্ত্বেও ১৯৫০ সালের ২ অক্টোবর ইন্দোরে একটি সভায় প্যাটেল বলেছিলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের নেতার নাম জওহরলাল নেহরু। বাপু স্থির করে গিয়েছেন সেটা। যারা বাপুর নির্দেশ অমান্য করবে তারা ঈশ্বরের কাছে পাপী। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী, কোন পজিশনে আছি সেটা আমি চিন্তাই করি না। আমি শুধু জানি, বাপু আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন।’ গান্ধীজির হত্যাকাণ্ডের পর  স্টেটসম্যান সংবাদপত্রে একটি চিঠি প্রকাশিত হয়। সেখানে পত্রদাতা বলেন, গান্ধীকে রক্ষা করতে ব্যর্থ প্যাটেল। তিনি ইস্তফা দিন। প্যাটেল সেদিনই ইস্তফাপত্র লিখে রেডি করছেন। তাঁর সেই চিঠি যাওয়ার আগেই নেহরুর চিঠি এসে পৌঁছয়। যেখানে লেখা, ‘সর্দার, যে যাই বলুক। আমাদের এখন আরও একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। আপনার কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া চলবে না।’ শারীরিক কারণে দিল্লি থেকে বম্বে চলে যেতে বাধ্য হওয়া প্যাটেল মৃত্যুর কিছুদিন আগে তাঁকে দেখতে আসা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এন ভি গ্যাডগিলকে বলেছিলেন, ‘আমি আর থাকব না, বুঝতে পারছি। আমাকে কথা দাও। প্রতিজ্ঞা করো। যতই মতান্তর হোক, পণ্ডিতজিকে কখনও ছেড়ে যাবে না...।’  ঠিক কয়েকদিন পর ১৫ ডিসেম্বর ১৯৫০ সালে প্যাটেলের জীবনদীপ নির্বাপিত হল। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। ভারতের এক ও একমাত্র আয়রনম্যান!
13th  December, 2020
নেতাজির গুপ্তবাহিনী
শহিদের অজানা আখ্যান
অমিত মিত্র

উত্তাল বঙ্গোপসাগর। ঢেউয়ের মাথা চিরে এগিয়ে চলেছে টর্পেডোবাহী একটি জাপানি ডুবোজাহাজ।  আচমকা তা ঝাঁপ দিল সমুদ্রের অতলে। জলের নীচে অদৃশ্য হতে না হতেই বন্ধ করা হল ইঞ্জিনও। প্রমাদ গুনলেন ভিতরের কেবিনে বসা আজাদ-হিন্দ-ফৌজের গুপ্তবাহিনীর চার অফিসার— তবে কি কোনও ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ারের নজরে এসেছে সাবমেরিনটি? বিশদ

07th  February, 2021
শতবর্ষে বিশ্বভারতী
সবুজকলি সেন

‘বিশ্বভারতী’ কোনও পূর্বপরিকল্পিত বিশ্ববিদ্যালয় নয়। ‘বিশ্বভারতী’ ব্রহ্মবিদ্যালয় নামের একটি ক্ষুদ্র বীজের বটবৃক্ষে পরিণত রূপ। ১৯০১ সালে (৮ পৌষ) পাঁচজন ছাত্রকে নিয়ে যে আশ্রম বিদ্যালয় যাত্রা করেছিল ভারতবর্ষের প্রাচীন তপোবনের আদর্শে—১৯২১-এ তারই পরিণত রূপ ‘বিশ্বভারতী’। বিশদ

31st  January, 2021
নেতাজি সুভাষের সেবাশ্রম
জয়ন্ত চৌধুরী

নির্জন দুপুর। বঙ্গভূমি থেকে নির্বাসিত কারারুদ্ধ সুভাষ। বার্মার মান্দালয় জেল তাঁর কাছে তখন জীবন উপলব্ধির একান্ত সাধনপীঠ। বহু ত্যাগ ব্রতী দেশপ্রেমিক কারাজীবন অতিবাহিত করেছেন বার্মার কারাগারে। আর এই জেলে বসেই একদিন পেলেন তাঁর রাজনৈতিক সমর্পণের কাণ্ডারী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রয়াণবার্তা। বিশদ

24th  January, 2021
অবিলম্বে ওই তথাকথিত চিতাভস্ম
ফেলে দেওয়া হবে না কেন?
 বরুণ সেনগুপ্ত

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী ঘটা করে উদযা঩পিত হল। কিন্তু এই মহান দেশনায়কের অন্তর্ধান রহস্য আজও উদ্ঘাটিত হল না। ২০০৫ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ১১ জানুয়ারি ২৮টি কিস্তিতে প্রকাশিত ‘বর্তমান’ সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর লেখাটি এ প্রসঙ্গে আজও প্রাসঙ্গিক। তুলে ধরা হল সেই লেখার নির্বাচিত অংশ—
বিশদ

24th  January, 2021
নোবেল, পেনরোজ, 
বং কানেকশন
মৃন্ময় চন্দ

অবিশ্বাস্য, পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কারে বং কানেকশন! আইনস্টাইনের জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি বা আপেক্ষিকতাবাদের সূত্রেই হকিং-পেনরোজ ব্ল্যাকহোলের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মহাবিশ্বে অজস্র গ্রহাণুর বর্ণিল ঝিকিমিকির মধ্যে মূর্তিমান বেমানান ‘ব্ল্যাকহোল’, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এমনটাই মনে করতেন আইনস্টাইন। বিশদ

17th  January, 2021
কোট-প্যান্ট 
পরা সন্ন্যাসী

অনেকেই জানতে চান, কার নির্দেশে গৈরিক সন্ন্যাসীরা কোট-প্যান্ট-টাই পরা সন্ন্যাসী হলেন? সহজ উত্তর, এর পিছনে রয়েছে স্বয়ং স্বামীজির সবুজ সঙ্কেত। সন্ন্যাসীদের কেন এই বেশবাস? লিখছেন শংকর। বিশদ

10th  January, 2021
আমার সন্তান যেন থাকে
ভ্যাকসিন  ভাতে
সুন্দর মুখোপাধ্যায়

দু’হাজার কুড়ি বিদায় নিয়েছে, দুর্যোগও যেন শেষ হতে চলল। তবে এ ব্যাপারটা হোল-ওয়ার্ল্ডে সবচেয়ে আগে বুঝেছে বরানগরের বিল্টু। তার প্রেমিকা মিতা পুরো বছরটা ঝুলিয়ে রেখে একেবারে বছর শেষে বাড়ির অমতে বিয়েতে মত দিয়েছে। এই সুবর্ণসুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়, বিল্টুও করেনি। বিশদ

03rd  January, 2021
 কলকাতার গর্বের চার্চ
 ​​​​​​শান্তনু বসু

১৬৯০ সালের ২৪ আগস্ট। সুতানুটির ঘাটে জাহাজ ভেড়ালেন জোব চার্নক। কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুর এই তিনটি গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠল ইংরেজদের বাণিজ্যঘাঁটি। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী হিসেবে অবশ্য ইংরেজরাই কলকাতায় প্রথম নয়, তাদের আগে বসতি স্থাপন করেছিল আর্মেনিয়ান ও পর্তুগিজরা। বিশদ

27th  December, 2020
দেশবন্ধু ১৫০
রজত চক্রবর্তী

১৮৯৭। কলকাতা সরগরম। বিশেষ করে শিক্ষিত সমাজে কিছুদিন ধরেই আলোচনা তুঙ্গে। চারিদিকে ছি ছি পড়ে গিয়েছে! ব্রাহ্ম সমাজের মাথারা আলোচনায় বসেছেন। কারণ, বরদানাথ হালদার ও ভুবনমোহন দাশ সমাজের অগ্রগণ্য দুই মানুষ জড়িয়ে গিয়েছেন এই ঘটনায়। বরদানাথ হালদার বিক্রমপুরের নওগাঁ গ্রামের বাসিন্দা আর ভুবনমোহন দাশ কলকাতার। বরদানাথ হালদারের আর্থিক অবস্থা ভালো হলেও ঋণগ্রস্ত ভুবনমোহন দাশের অর্থনৈতিক অবস্থা জর্জরিত। বিশদ

20th  December, 2020
সিটিজেন বনাম 
সিনিয়র সিটিজেন
শংকর

আগামীকাল, ৭ ডিসেম্বর আমার জন্মদিন, কিন্তু আজ তো ৬ ডিসেম্বর, জোর করে বলা যায় না আমি এইট্টি সেভেন নট আউট হতে চলেছি আগামী কাল। নানা অনিশ্চয়তা নিয়ে এখনকার দিনকাল। তার সঙ্গে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ ও ব্লাড সুগার, যাদের ধরবার জন্য নবাগত একটি ভাইরাস নাকি বিশেষ আগ্রহী। দেখা যাচ্ছে, মানুষ থেকে জীবাণু পর্যন্ত কেউই নিজের জোরে রাজত্ব চালাতে আগ্রহী নয়, তাই বাংলা ভাষাতেও ‘কো-মরবিডিটি’ বলে একটা ইংরেজি শব্দের বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটল।  বিশদ

06th  December, 2020
অবিশ্বাস্য
রাতুল ঘোষ

পার্থিব জীবন থেকে মুক্তি মিললেও ডিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা অমর হয়ে থাকবেন। অন্তত এই গ্রহে যতদিন ফুটবল খেলা বেঁচে থাকবে। খ্যাতি-অখ্যাতির নেপথ্যে তাঁর এই চিরপ্রস্থানে ব্যথিত, শোকস্তব্ধ ফুটবল দুনিয়া। ফিফা আয়োজিত ফুটবলপ্রেমীদের গরিষ্ঠাংশের ভোটে মারাদোনা বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের সম্মান যৌথভাবে পেয়েছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে। বিশদ

29th  November, 2020
হেমন্তের দুর্গা 
সুখেন বিশ্বাস

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের স্বপ্নে পাওয়া জগদ্ধাত্রী। এই পুজো এখন আর কৃষ্ণনগর বা চন্দননগরে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গিয়েছে বাংলার সর্বত্র। হেমন্তকালের শুক্লা কার্তিকের নবমীতিথিতে তাই বাংলায় নতুন করে দেখা যায় শরতের রোদ্দুর। আকাশবাণীর প্রভাতী অনুষ্ঠান বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর’ নেই... তবু প্রবাসীরা ঘরে ফেরে। দুর্গাপুজোর মতোই নতুন পোশাকে মানুষ বেরিয়ে পড়ে ঠাকুর দেখতে।  
বিশদ

22nd  November, 2020
শ্যামাসংগীত...
আলাদা একটা অধ্যায়
শ্রীকান্ত আচার্য্য

 ছোটবেলা থেকেই শ্যামাসংগীতে আমার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সেটা পান্নালাল ভট্টাচার্যের গান শুনেই। বাড়িতে রেকর্ড ছিল। ‘দোষ কারও নয় গো মা...’ পাগল করা একটা গান, দাশরথি রায়ের অপূর্ব লিরিক। পুজোআচ্চা বা মন্দিরে যাওয়া, এসবে আমি নেই ঠিকই... কিন্তু ভক্তিগীতি বরাবর ভালো লাগে। শ্যামাসংগীত আমাদের বাংলা গানের ইতিহাসে পৃথক একটা অধ্যায় বলা যেতে পারে। এই গান ঘিরে যে সাহিত্য-সম্পদ তৈরি হয়েছে, তা অমূল্য। বিশদ

15th  November, 2020
একবার দেখা দিলি না মা... 

 আর দশ বছর পরই তাঁর জন্মশতবর্ষ। বাঙালি তাঁকে মনের মণিকোঠায় কতটা রেখেছে, বলবে সময়ের দলিল। কিন্তু একটা বিষয়ে সকলেই একমত... ফুল ছাড়া যেমন পুজো হয় না, পান্নালাল ভট্টাচার্যের শান্ত-মিঠে কণ্ঠ ছাড়া মা কালীর আরাধনাও যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বহু সাধক-কণ্ঠে মায়ের গান শুনেও পান্নালালের সেই আর্তি খুঁজে পেয়েছেন, এমনটা হলফ কেউ বলতে পারেন না। মায়ের পায়ের জবা হয়ে ফুটে ওঠা পান্নালাল ভট্টাচার্যকে সেদিন ভুলে থাকে, সাধ্য কার! পান্নালালের চেয়ে আট বছরের বড়, তাঁর মেজদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। তাঁরই ছেলে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য... পান্নালালের ভাইপো। যিনি গর্ব করে বলতেই পারেন, তাঁর বাবা-কাকার মতো শিল্পী আগামী দু’শো বছরে আর আসবে না এ বাংলায়। বলতেই পারেন, কালীপুজোর নির্ঘণ্ট মানে জবাফুল, বেলপাতা আর পান্নালালের গান। এই অমূল্য রত্নকে কাছ থেকে দেখা ভাইপো দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর স্মৃতিচারণায় উঠে এলেন এক অন্য সাধক। শুনলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

15th  November, 2020
একনজরে
পিম্প্রি-চিঞ্চওয়াড় পুর এলাকায় সংক্রমণের গ্রাফ এখন নিম্নমুখী। কমছে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যাও। আর এর জেরেই কাজ হারাতে চলেছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে সেখানকার প্রায় ৫০০ জন কোভিড যোদ্ধা। ...

বুধবার রাতে পুরাতন মালদহ ব্লক অফিসে ইঞ্জিনিয়ারকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও অধরা। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিস অভিযুক্তদের নাগাল পায়নি। ...

চা ও কৃষি বলয়ের উন্নয়নই এবার জলপাইগুড়ি জেলার বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দলের মূল ইস্যু। জেলায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ চালু, মেডিক্যাল কলেজ ...

মঙ্গলকোটে অনুব্রত মণ্ডলের মহিলা সমাবেশে জনস্রোত বয়ে গেল। শুক্রবার বিকেলে ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে কাতারে কাতারে মহিলা মাথরুনের স্কুলমাঠে ভিড় করেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১ - ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২ - লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২ - কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত।
১৯৩১ - ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫ - কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.১৫ টাকা ৭৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ৯৮.০৩ টাকা ১০২.৭৭ টাকা
ইউরো ৮৬.১৬ টাকা ৯০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া ৪৩/৪৮ রাত্রি ১২/৫৩। শতভিষা নক্ষত্র ২২/২৪ দিবা ৩/১১। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/০ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে ৪/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ মধ্যে  পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে উদয়াবধি।  
৩০ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ১২/৪১। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৩/১৭। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৪১ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪০ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৩ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/১৬ মধ্যে । 
৩০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে আগামী ২১ শে মোদি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি অমিত শাহ
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ...বিশদ

09:26:38 PM

মাস্ক ছাড়াই গ্যালারিতে বহু দর্শক, করোনাবিধি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কোভিডবিধি ...বিশদ

04:36:39 PM

মালদহে কালভার্টের কাছে যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার
মালদহের বলদা হুড়া এলাকার একটি নির্মীয়মাণ কালভার্টের কাছে মিলল এক ...বিশদ

04:22:23 PM

মুম্বইয়ের খার এলাকায় ৩৩ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ মাদক সহ গ্রেপ্তার ২ পাচারকারী 

04:18:00 PM

দ্বিতীয়বার বিয়ে  করছেন দিয়া মির্জা!
সামনেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। ভালোবাসার মরশুম চলছে। এর মধ্যেই এল সুখবর। ...বিশদ

04:09:41 PM

দীঘায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১
দীঘা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ...বিশদ

04:00:30 PM