Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

‘আমি একরোখা একগুঁয়ে,
শেষ দেখে তবে ছাড়ব’

ভারতীয় প্রাণিবিজ্ঞান সর্বেক্ষণ (জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া, জেডএসআই)-এর শীর্ষ পদে প্রথম মহিলা মুখ তিনি। বাধার অদৃশ্য সেই ‘কাচের দেওয়াল’ ভাঙতে মহিলারা লড়াই করেন প্রতিনিয়ত। তিনি অনায়াসে সেটা ভেঙে দিতে পেরেছেন। কিন্তু চলার পথটা কেমন ছিল? জেডএসআই-এর প্রথম মহিলা ডিরেক্টর ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় অন্বেষা দত্ত।
 
 শীর্ষ পদ ছুঁয়ে ফেলার আগে পথটা কি আদৌ মসৃণ ছিল?
 চলার পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল। নানাসময় নানারকম লড়াই করতে হয়েছে। তবে তার পাশাপাশি বলব, বিরাট বা ভয়ঙ্কর নাটকীয় কোনও বাধা এসে আমায় আটকে দিয়েছে, এমন নয়। আমি ভাগ্যবান, চারপাশ থেকে অনেকটাই সহযোগিতা পেয়েছি। তাই বাধাগুলো কাটিয়ে উঠতেও পেরেছি। কিন্তু মহিলা হওয়ার জন্যই সব বাধা তৈরি হয়েছে, এটা আমি বলব না। হয়তো এমন কোনও পদক্ষেপ করতে হয়েছে যেটা একজন পুরুষকে করতে হতো না, কারণ তাঁর সেটা করার দরকারই পড়ত না। তবে আমি তো শুধু একজন মহিলা বিজ্ঞানী নই, আমি মা, স্ত্রী, একমাত্র পুত্রবধূ এবং নিজের বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। এতগুলো দায়িত্ব ছিল। তার জন্য কেরিয়ারে প্রভাবও পড়েছে। তবে আমার মতে, মহিলারা যখন মনে করেন, কোনও লক্ষ্যে এগিয়ে যাবেন, তখন তাঁরা একেবারে সাহসী এবং নির্ভীক হয়ে যান। এই একরোখা একগুঁয়েমি ভাবটা আমার মধ্যে ছিল। অনেক দ্বন্দ্বের মধ্যেও সেই ভাবনাটা ঠিক এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই যে কোনও বয়সের মেয়ের এটা মনে রাখা উচিত, নিজের মধ্যেকার শক্তিটা হারিয়ে ফেলা যাবে না কিছুতেই। আমি হয়তো একটা জিনিস প্রাথমিকভাবে পারব না, কিন্তু ছাড়বও না। বলা ভালো, শেষ দেখে ছাড়ব। 

 ভবিষ্যতে জেডএসআইতে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য আপনি কী ভেবেছেন?
 কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন এবং বায়ুপরিবর্তন মন্ত্রকের অধীনে জেডএসআইয়ে কিন্তু অনেক মহিলাই এসেছেন। মহিলাদের বিজ্ঞানী হিসেবে অংশগ্রহণ বেড়েছে ২০-২১ বছর আগে থেকেই। তারপর থেকে যত রিক্রুটমেন্ট হয়েছে, তার মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশ মহিলা আছেন। আলাদা করে মহিলাদের নিয়োগ করার জন্য তাই কিছু করতে হয় না।

 বিজ্ঞানে মহিলারা কম উৎসাহী। এ অভিযোগ বহুদিনের। এখন ধারণাটা অনেকটা পাল্টালেও মুছে যায়নি, কী কারণ এর জন্য দায়ী বলে আপনার মনে হয়?
 মেয়েদের উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্রেই খুব অভাব রয়েছে। শহরে এটা এতটা বোঝা যায় না। কিন্তু গ্রামের দিকে গেলে বোঝা যায়। বিজ্ঞান পড়ানোর জন্য অনেক সময়ই ভালো শিক্ষক পায় না মেয়েরা। একেকটি জায়গায় অবশ্যই অনেক দক্ষ মনোযোগী শিক্ষক রয়েছেন। কিন্তু একটা বড় অংশে মেয়েরা সেই সুযোগটা পায় না। আমি এটা বুঝতে পারি বাড়ির পরিচারিকার সঙ্গে কথা বলে। ওদের ছেলেমেয়ে বা নাতিনাতনির পড়াশোনা নিয়ে প্রশ্ন করলে বলে, স্কুল থেকে ঠিকমতো গাইড করে না, ভালো শিক্ষক শিক্ষিকাও নেই। এটাই তো বড় বাধা। আর গ্রামে এমনিতেই মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে লোকে ভাবে কম। ভাবে রান্না শিখুক বা বিয়ে হবে। আর একটা অংশ আছে মোবাইল দেখবে, কিন্তু পড়াশোনায় মাথা ঘামাবে না। শহরে চিত্রটা আলাদা। সেখানে অনেক বেশি সংখ্যক মেয়ে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণারত। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে যেটা হয়, ইচ্ছেটা থাকা সত্ত্বেও হয়তো জেদটা থাকে না, তাই অনেকে পিছিয়ে পড়ে। কিছুই তো সহজে পাওয়া যায় না জীবনে। তা সে পুরুষ হোক বা মহিলা, প্রত্যেকেই তার মতো করে চেষ্টা করে। এটা ঘটনা যে, মেয়েদের মাথায় অনেক বেশি দায়িত্ব দিয়ে বড় করা হয়। তাই মেয়েদের মনে সেই সব আনুষঙ্গিক বিষয় অনেকটা জুড়ে থাকে। তাতে জেদ বা লক্ষ্যটা ধাক্কা খায়। একইসঙ্গে মেয়েরা যে মাল্টিটাস্কিং করতে পারে, সেটাও তৈরি হয়ে যায়। এটা কিন্তু পুরুষরা পারে না।

 বিভিন্ন পেশা অথবা গবেষণার ক্ষেত্রে মহিলারা এখনও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন নানাভাবে। সমাজে একাংশ মহিলাদের অবদান স্বীকার করে নিলেও তলায় তলায় সেই চেপে দেওয়ার ব্যাপারটা খুবই প্রকট। কীভাবে লড়বেন মেয়েরা?
 দেখুন লিঙ্গবৈষম্য এমনি এমনি একদিন চলে যাবে না। এটা বিশ্বজুড়ে চলে। ধরে নিতে হবে এটা একটা বাধা, যেটা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সেইভাবেই তো নিজেকে মোটিভেট করতে হয়। পুরুষদের মধ্যে একটা আত্মতুষ্টি চলে আসে, তাদের মনে হয় আমি যোগ্য হলেই সুযোগ পাব। এই আত্মতুষ্টিটা মেয়েদের মধ্যে আসে না। কারণ তারা জানে তারা যোগ্য বলেই শুধু তাদের লড়াই করতে হয় না, তাদের চারপাশে যে অনেকে অযোগ্য, এটা প্রমাণ করার জন্যও তাদের লড়তে হয়। এটা বড় লড়াই। আর এটা সবসময় থাকবে।  
 
 আপনি নিজে একজন মা। বলা হয় জীবনের প্রথম শিক্ষা শিশু পায় তার মায়ের কাছ থেকে। সন্তানকে বড় করার ক্ষেত্রে কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিত বলে আপনার মনে হয়?
 আমার এক মেয়ে। ওর গায়ে হাত তুলিনি কোনওদিন। বকিওনি। আমি বরাবরই ওয়ার্কিং মাদার। বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতাম। আমার মা আমায় বলেছিলেন, ‘তুই মেয়েকে সারাদিনে কতটা সময় দিস যে তুই দেখা হলেই শাসন করবি?’ সেই কথাটা মাথায় রেখেছিলাম। আমি নিজে ছোটবেলার মারধোর খাইনি, তা কিন্তু নয় (হাসতে হাসতে)। তবে তখন সময়টা অন্যরকম ছিল। মা আমায় বোঝালেন, ‘যেটুকু সময় মেয়েকে দিচ্ছিস, সেটা বকেঝকে নষ্ট করিস না। তাতে তুই বাড়ি ফিরলে ওর খুশিভাবটা চলে যাবে।’ সেটা বুঝেছিলাম। আর আমি ভাগ্যবান, মেয়ে খুব ভালো মানুষ হয়েছে। একটা কথা ওকে ছোট থেকে বুঝিয়েছি, প্রত্যেকের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে। জীবন যতই কঠিন হোক, কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে না। মানুষের প্রতি যত্নবান হবে। এটা থাকলেই দায়িত্ববোধ আসে। আমি চেয়েছিলাম ও ছোট থেকেই বুঝুক, ওর চারপাশে যারা রয়েছে, তাদের কতটা গুরুত্ব। তারা না থাকলে ওর কতটা অসুবিধে হবে। এই বিষয়টা আমি নিজেও বাবা-মায়ের কাছ থেকে শিখেছি। জীবনে তার ফলও পেয়েছি। আমার চারপাশের মানুষজনের সহযোগিতা পেয়েছি বলেই অনেক কাজ সহজ হয়ে গিয়েছে। 

 পরিবারের সমর্থন না পেলে কাজের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ সাফল্য পাওয়া অসম্ভব। আপনি সেটা পেয়েছেন। কিন্তু মহিলাদের একটা বড় অংশের লড়াই শুরু হয় ঘর থেকেই। অনেকে একারণে থমকে যান। কেরিয়ার শেষ হয়ে যায়। মনের জোর কীভাবে পাবেন তাঁরা?
 ওই যে বললাম, হাল ছেড়ো না। ওটাই মন্ত্র। লেগে থাকতে হবে। কিছু না কিছু হবেই। এটা আমার বিশ্বাস। সবসময় যে লক্ষ্য ঠিক করা থাকে, তা নয়। আমি যখন জেডএসআই জয়েন করি, তখন আমার ২৮ বছর বয়স। আমি তো ভাবিনি ৫০ বছর বয়সে ডিরেক্টর হব। কিন্তু যা করেছি, সিরিয়াসলি করেছি। ভালো ছাত্রী ছিলাম, সেটা একটা সুবিধা হয়েছে। জীবনে ওঠা-পড়া তো থাকবেই। মসৃণ রাস্তা দিয়ে কেউ হাঁটে না সারাজীবন। দেখবেন যার কেরিয়ার খুব মসৃণ, তার বাড়িতে হয়তো সমস্যা রয়েছে। আর একটা বড় কথা, জীবনে কিছু জিনিস ছেড়ে দিতে শিখতে হয়। কারণ অনেকে এমন থাকবে যারা আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে বা আমার বিরুদ্ধে কিছু করবে। আর আমি একটা বিশেষ পদমর্যাদায় পৌঁছনোর পর ভাবব, তাদের শিক্ষা দেব— না, এই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে হবে। আমার যখন বিয়ে হয়েছিল, তখন বাপের বাড়ি ছেড়ে আসার সময় মা কানে কানে বলেছিলেন, ‘বোবার শত্রু নেই।’ কেরিয়ার-অফিস কিংবা ব্যক্তিগত জীবন, সব জায়গায় এটা আমি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলি। অনেক বিষয় থাকে, যা নিয়ে মুহূর্তের অসাবধানতায় আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়ি। এটা করতে নেই। অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করব। কিন্তু সব কিছুকে গুরুত্ব দিতে নেই। সামনে কোনও বাধা এলেই ভাবব, এটা আমার সঙ্গেই কেন হচ্ছে? বাধাটাকে এত বড় করে কেন দেখব? সেটা পেরিয়ে যে রাস্তাটা পাব, সেটার কথা কেন ভাবব না? মেয়েদের সেটা মাথায় রাখতে হবে।

 মেয়েরা মেয়েদের পাশে থাকলে অনেক অসাধ্য সাধন করতে পারে। কিন্তু আমাদের সমাজ পিতৃতন্ত্রের বুলিটাও মেয়েদের দিয়েই বলিয়ে নেয়। কীভাবে একে অন্যকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন মেয়েরা?
 একজন মেয়ের গোটা জীবন আর একজনের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে। তোমার রাস্তাটা দুর্গম দেখে আমি পিছিয়ে যাব না। আমার রাস্তাও দুর্গম, পাথর ছড়ানো। পাথর ডিঙিয়ে যাব। সেগুলোকে সরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছব। এই রাস্তা খুঁজে পাওয়াটাই বড় ব্যাপার। বুদ্ধির ব্যাপার। কতটা মানিয়ে নিতে পারি পরিস্থিতির সঙ্গে, সেটা দেখব। কোনও একজনের কিছু পছন্দ নয় বলে সেটা নিয়ে লড়াই করতে নামব না। এগুলো করলে এক তো সময় নষ্ট, আর নয়তো অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইটা করা হয় না। আমরা মেয়েরা অনেক ছোট ছোট গন্ডিতে নিজেদের আটকে ফেলি। ধরুন একজন কর্মরতা মহিলা, তার খুবই ব্যস্ত জীবন। একদিন বাড়িতে পরিচারিকা এল না। মেয়েটি যদি বাড়ির লোকের সঙ্গে ঝগড়া করতে নামে, কেন আমি এত কাজ করব? তাতে সময়টাই বয়ে যাবে। সেখানে শান্তভাবে দেখলেই হয়, তার বেরনোর সময়ের আগে কতটা কাজ সে করতে পারবে। সেটা করে সে বলে দেবে, এই অবধি আমি করলাম। এবার তোমরা দেখো। তারপর সে কাজে বেরিয়ে যাবে। তা না হলে কিন্তু যুক্তি-তক্কে অনেকটা এনার্জি নষ্ট হয়ে যায়। সেই সময়টায় বরং গঠনমূলক কিছু করা অনেক ভালো। মেয়েরা সেটাই ভুলে যায়। আর একটা কথা, তুমি মানুষকে সাহায্য করো, সেই সাহায্য অন্য কারও থেকে হলেও ফিরে পাবে। 

 বিজ্ঞান ছাড়া কী কী ব্যাপারে আপনার উৎসাহ রয়েছে? অবসরে কী করতে পছন্দ করেন?
 ছবি আঁকা, বই পড়া, গান শোনা এ সব তো আছেই। একটা সময় খুব বনসাঁই করতাম। আগে গানও করতাম। এখন ইচ্ছে আছে গ্রাফিক আর্ট শেখার।

 সামনেই তো পুজো। এই সময়টা কীভাবে কাটান? পুজোর স্মৃতি বলতে কী মনে পড়ে?
 আমাদের কালীঘাটের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। সেটা সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো পুজো। যাকে জোড়াবাড়ির সিংহবাহিনীর পুজো বলা হয়। পুজোর দিনগুলো, মানে পঞ্চমী থেকে দশমী আমার তুমুল ব্যস্ততা। নাওয়া-খাওয়া প্রায় বন্ধ! সপ্তমীতে ঠাকুর বরণ থেকে শুরু করে দশমীর বরণ, বিসর্জন, ভোগ রান্না, নৈবেদ্য ঠিক করা, কলা বউ কী পরবে— সবেতেই আমি। বাপের বাড়িতে জীবনে এসব করিনি। বাইরের প্যান্ডেলে অঞ্জলি, খাওয়াদাওয়া ওই অবধি। শ্বশুরবাড়ির পুজোয় জড়িয়ে পরার পর বুঝলাম এটা অফিস জবের থেকে কিছু কম নয়! যখন থেকে এখানে এসেছি, এটা জীবনের অংশ হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপুজো বড় ব্যাপার। তাই মহালয়ার আগে থেকেই প্ল্যানিং চলে। পুরো ডায়েরি ধরে। বিয়ের পরপরই অবশ্য এত দায়িত্ব ছিল না। শাশুড়ি বা পিসিশাশুড়ি সব দেখতেন। তখন আমার কাজ বলতে ছিল আলপনা দেওয়া, ঠাকুর সাজানো ইত্যাদি। হাতেকলমে এত কাজ ছিল না তখন! সঙ্গে গৃহদেবতা আছেন। দোল উৎসবেও আমাদের খুব জাঁকজমক। তারপর চারবার লক্ষ্মীপুজো, মনসাপুজো সবই হয়। আসলে কী জানেন, মেয়েদের তো নানা সময় প্রয়োজনমতো আলাদা আলাদা ভূমিকা পালন করতে হয়। তাই পরিকল্পনা করে এগতে পারলে সবই সম্ভব। সেটা আমার বাবা বলতেন। 
04th  September, 2021
সারদা মিশনে 
মাতৃপুজো

শ্রীশ্রীমা সারদার পুজো বিষয়ে আলোচনায় প্রব্রাজিকা আপ্তকামপ্রাণা।  বিশদ

25th  September, 2021
এখন মেয়েরা

এমকিউর ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির শীর্ষে রয়েছেন তিনি। অঙ্কে তাঁর ভীষণ দখল। আবার মহিলাকেন্দ্রিক বিষয় নিয়েও তাঁর চিন্তার অন্ত নেই। তিনি নমিতা থাপার। এমকিউর ফার্মার তিনি এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর। হেল্থ কেয়ারে কাজ করার সুবাদে নমিতা মহিলাদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার অভাব খুব কাছ থেকে দেখেছেন। বিশদ

25th  September, 2021
দুর্গাপুজোর  মহোৎসবে 
মেয়েরা

প্রায় দু’শো বছর ছুঁই ছুঁই লাহাবাড়ির দুর্গা পুজো। মহাপুজোর প্রস্তুতিতে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে বাড়ির মেয়ে বউরা। পুজোর পুরনো ও নতুন গল্প নিয়ে কলম ধরলেন লাহাবাড়ির কন্যা সুস্মেলী দত্ত।
বিশদ

18th  September, 2021
এখন মেয়েরা

জন্ম থেকেই কানে শুনতে পান না জোহানা লুৎজ। জার্মানির এই কন্যাটি তাই স্বপ্নেও কখনও ভাবেননি তিনি নাসা-র বিজ্ঞানী হয়ে উঠবেন। অথচ লুৎজ হয়ে উঠলেন নাসার প্রথম এবং একমাত্র বধির বিজ্ঞানী। কিন্তু কেমন করে ঘটল এই অভাবনীয় ঘটনা? বিশদ

18th  September, 2021
গানে গানে 
নারী শক্তি

৩০ বছর ধরে বাউল গানের সাধনা করছেন রিনা দাস বাউল। মহিলাদের নিয়ে গান লেখেন তিনি। সমাজে নারী শক্তির প্রচার ও প্রসারই তাঁর লক্ষ্য। বাউল সঙ্গীত, বিদেশে বাউল গানের অনুষ্ঠান ও নিজের গানের ভাষা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

11th  September, 2021
এখন মেয়েরা

আনা এলিজাবেথ জর্জ হলেন কেরলের এক হোম বেকার। ওনাম উৎসবে এক অভিনব কাজ করে বসলেন তিনি। গোটা একটা শাড়ির ডিজাইনে বানিয়ে ফেললেন ধোসা! অবশ্য এই খাবারকে ধোসা না বলে বরং এডিবল শাড়ি নামেই বিক্রি করেছেন। বিশদ

11th  September, 2021
নির্যাতনের বিরুদ্ধে 
মেঘার লড়াই

মিমির বয়স তখন তেরো। বাবা, মা, কাকা কাকিমা ও খুড়তুতো দাদা মিলে তাদের বড় সংসার। কাকাকে ভীষণ ভয় পেত মিমি। অথচ কাকা তো ভীষণ ভালোবাসেন তাকে। দেখতে পেলেই জড়িয়ে ধরেন। চুমু খান। তবু মিনি ধারে পাশে ঘেঁষতে চায় না। মা এই নিয়ে বকাবকি করলে একদিন মায়ের কাছে সব কথা খুলে বলেছিল সে। বিশদ

04th  September, 2021
লোকঐতিহ্যই
আবাহনের মন্ত্র

 বিদেশে থেকেও ভারতীয় নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সক্রিয় তিনি। সাধারণ মহিলাদের হাতে তৈরি নানা সামগ্রী যাতে প্রচারের আলো পায়, তার জন্য চেষ্টা করছেন তিন বছর ধরে। কেমব্রিজের বাসিন্দা তনিমা পাল -এর সঙ্গে কথায় অন্বেষা দত্ত। বিশদ

28th  August, 2021
এখন মেয়েরা

জারা বাদারফোর্ড আধা ব্রিটিশ আধা বেলজিয়ান। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই সে নাকি খবরের শিরোনামে! বাবা ও মা দু’জনেই পাইলট। তাই ছোট থেকেই প্লেন ওড়ানোর নেশা তাঁকে পেয়ে বসেছিল। প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন তিনি নিয়ম মতো। তারপর অপেক্ষায় ছিলেন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার। বিশদ

28th  August, 2021
মায়ের পুজোয় মেয়েরা

শুভমস্তু সংস্থার চার মহিলা পুরোহিত এবার দুর্গাপুজোর আসর সাজিয়ে বসছেন। ৬৬ পল্লির দুর্গাপুজোয় পৌরোহিত্য করবেন তাঁরা। আগামিকাল খুঁটি পুজোর মাধ্যমে সেই কাজের শুভারম্ভ। তার ঠিক আগেই নিজেদের পুজোপদ্ধতি ও নতুন চমকের কথা জানালেন নন্দিনী ভৌমিক। তাঁর সঙ্গে কথায় কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

21st  August, 2021
এখন মেয়েরা

দিব্যা গোপিনাথ একজন সাধারণ মেয়ে। হঠাৎই তিনি বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন। আর তাঁকে বিখ্যাত করে তুলেছে একটি লার্নিং অ্যাপ। বাইজু’স অ্যাপের কথা বলছি। দিব্যা তাঁর স্বামীর সঙ্গে মিলে এই অ্যাপটি তৈরি করেছেন। বরাবরই পড়াশোনার প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। বিশেষত অঙ্ক আর বিজ্ঞান। বিশদ

21st  August, 2021
প্রগতি এখন হাতের মুঠোয়

নারীপ্রগতি কি শুধুই অলীক কল্পনা? নাকি প্রগতির পথে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে মেয়েরা? নারীকেন্দ্রিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বয়ম-এর ডিরেক্টর অনুরাধা কাপুর-এর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজলেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  August, 2021
পৃথিবীর  অর্ধেক আকাশ

নারীর স্বাধীনতা না থাকলে দেশ স্বাধীন হয় না। এই ধারণা আমাদের দেশের একাংশ মানুষের। বিশ্লেষণ করলেন শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়। বিশদ

14th  August, 2021
বাঙালি মেয়ের
সুড়ঙ্গ সন্ধান

কলকাতার মেয়ে অ্যানি সিংহ রায়ের নামটি খবরের শিরোনামে পৌঁছেছিল পেশাগত কারণে। তিনিই ভারতের একমাত্র মহিলা টানেল ইঞ্জিনিয়ার। মাটি কেটে সুড়ঙ্গ খোঁড়েন! পাতালরেলের লাইন বসান। এই কাজে একমাত্র মহিলা হওয়ায় বহু ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের শিকারও হতে হয়েছে তাঁকে। বিশদ

07th  August, 2021
একনজরে
বিধানসভা ভোটে শীতলকুচিতে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন চার জন। ১০ এপ্রিলের সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় ১৬ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট  সিআইডিকে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছিল। ...

এক্সপোর্ট ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশনে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঢালবে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে একবারে পুরো টাকা তারা দেবে না। তা দেওয়া হবে ধাপে ধাপে। আগামী পাঁচবছরে ওই টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী ...

জাপানে ক্ষমতা বদল। সূর্যোদয়ের দেশে নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্টসিয়াল নির্বাচনে জয় পেয়েছেন কিশিদা। ...

নেই সেই রাজা বা রাজ্যপাট। কিন্তু আজও রয়ে গিয়েছে তাঁদের প্রচলিত দুর্গাপুজো। স্থানীয়দের কাছে তার আকর্ষণ এতটুকুও কমেনি। যেমনটা নলহাটির সীমলান্ধী গ্রামের জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো। এটি এখন ভট্টাচার্য বাড়ির পুজো হিসেবে পরিচিত। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক অনুবাদ দিবস
১৯১৯: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা ঐতিহাসিক শিবনাথ শাস্ত্রীর মৃত্যু
১৮২৮ - ভারতীয় যোগী ও গুরু যোগীরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী বা লাহিড়ী মহাশয়ের জন্ম
১৮৬০: ব্রিটেনে প্রথম ট্রাম চালু হয়
১৮৬৪ - ব্রিটিশ ভারতীয় দেশীয় রাজ্য কোচবিহারের মহারাণী সুনীতি দেবীর জন্ম
১৮৭৫: শিক্ষাবিদ প্যারীচরণ সরকারের মৃত্যু
১৮৮২ - থমাস এডিসনের উদ্ভাবিত হাইড্রো-ইলেকট্রিক পাওয়ার প্লান্ট চালু হয়
১৯২২: পরিচালক হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৮: পেনিসিলিনের আবিষ্কারের কথা প্রথম ঘোষিত হয়
১৯২৯: বিবিসি প্রথম পরীক্ষামূলক টিভি সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩: নাট্যকার ও অভিনেতা অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৯: ব্রিটেনে পরিচয়পত্র প্রথা চালু হয়।
১৯৬২: অভিনেতা প্রসেনজিতের জন্ম
১৯৭২: গায়ক শান-এর জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৮ টাকা ৭৫.০৯ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৮৪ টাকা ১০২.২৭ টাকা
ইউরো ৮৫.১৯ টাকা ৮৮.৩১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৬,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৪, ৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৫,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬০,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ আশ্বিন ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১। নবমী ৪১/৩৪ রাত্রি ১০/৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ৫০/৪ রাত্রি ১/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৩১/১৭, সূর্যাস্ত ৫/২২/১৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ৩/১ মধ্যে। রাত্রি ৬/১১ গতে ৯/২৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৭ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১৩ আশ্বিন ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১। নবমী রাত্রি ৬/২৬। পুনর্ব্বসু নক্ষত্র রাত্রি ১১/১৬। সূর্যোদয় ৫/৩১, সূর্যাস্ত ৫/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/০ গতে ৯/১৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৬ গতে ৫/৩১ মধ্যে। কালবেলা ২/২৬ গতে ৫/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৮ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। 
২২ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল ২০২১: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস

11:22:53 PM

আইপিএল ২০২১: চেন্নাই  ৫৮/০ (৭ ওভার)  

10:01:33 PM

আইপিএল ২০২১: চেন্নাইয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৩৫ রান

09:24:04 PM

আইপিএল ২০২১: হায়দরাবাদ ৭৬/৪ (১৩ ওভার)  

08:36:01 PM

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৭৪৯
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৭৪৯ জন করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। ...বিশদ

08:29:17 PM

করোনা: পুজোয় রাতের বিধিনিষেধে ছাড়
করোনার বিধিনিষেধের মেয়াদ ফের বাড়াল রাজ্য। আজ, বৃহস্পতিবার নবান্নের পক্ষ ...বিশদ

07:17:15 PM