Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

বাঙালি মেয়ের
সুড়ঙ্গ সন্ধান

তিনি ভারতের একমাত্র মহিলা টানেল ইঞ্জিনিয়ার অ্যানি সিংহ রায়। এই শহরের শিয়ালদহে তাঁর বাস। জীবনের নানারকম গল্প নিয়ে তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় কমলিনী চক্রবর্তী।

কলকাতার মেয়ে অ্যানি সিংহ রায়ের নামটি খবরের শিরোনামে পৌঁছেছিল পেশাগত কারণে। তিনিই ভারতের একমাত্র মহিলা টানেল ইঞ্জিনিয়ার। মাটি কেটে সুড়ঙ্গ খোঁড়েন! পাতালরেলের লাইন বসান। এই কাজে একমাত্র মহিলা হওয়ায় বহু ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের শিকারও হতে হয়েছে তাঁকে। তবু কাজ করার অদম্য ইচ্ছেকে সম্বল করে এগিয়ে গিয়েছেন। আমরা মেয়েরা-র পাঠকদের বললেন, লক্ষ্য স্থির থাকলে বাধা নেহাতই সাময়িক ব্যাপার, অনায়াসেই তা কাটিয়ে ওঠা যায়। 
ভিন্ন কাজের নেশা
ছোট থেকেই কিছু অন্য ধরনের প্রবণতা ছিল অ্যানি সিংহ রায়ের। যন্ত্রের প্রতি ছিল ভীষণ আকর্ষণ। তাঁর কথায়, ‘বাড়িতে যা আসত তারই খোলনলচে খুলে দেখতাম!’ কিছু জিনিস জোড়া লাগত কিছু বা খারাপও হয়ে যেত এই খোলাখুলির ঠেলায়। তাই বলে ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসার পাত্রী তিনি ছিলেন না। একবার বাবার একটা ঘড়ি খুলে ফেলেছিলেন দেখার জন্য। কীভাবে তা চলে, ম্যাগনেট কোথায় থাকে, কল-কব্জাগুলো অদলবদল করলে কী হয়— এইসব দেখার অমোঘ আকর্ষণ ছোট থেকেই অ্যানিকে পেয়ে বসেছিল। সেই সময়ই তিনি স্থির করেন, বড় হয়ে যন্ত্র নিয়ে কাজ করবেন। তারপর যত বড় হলেন, বিজ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ ততই বাড়তে লাগল। শেষ পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে হয়ে উঠলেন টানেল ইঞ্জিনিয়ার। 
সুড়ঙ্গের সন্ধানে
টানেল ইঞ্জিনিয়ারিং বা সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে অনেক বড় বড় মেশিন দরকার হয়। মাটি কাটতে হয়, ওপরের মাটিটা শক্ত করে ধরে রাখতে হয়। যন্ত্র ছাড়া এই ধরনের কাজ অসম্ভব। আর সেই যন্ত্র চালানোর কাজটা সাধারণত ছেলেরাই এতদিন করে এসেছে। ফলে সেখানে যখন একজন মহিলা গিয়ে উপস্থিত হল, তখন সবাই খুব অবাক হয়েছিল, জানালেন অ্যানি। তাঁর মন্তব্য, ‘আমাদের সমাজের একটা ধারণা আছে যা-ই সুললিত, তা-ই মহিলা চালিত। ফলে মেয়েরা কাঠখোট্টা মেশিন চালানোর কাজ করবে, এমন চিন্তা আমাদের সমাজে কল্পনারও অতীত। আর এই আদি অকৃত্রিম ধারণাই আমার কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।’ 
শুরুর দিনগুলো
‘২০০৭ সাল। খবর পেলাম দিল্লি মেট্রোর কাজ শুরু হতে চলেছে। আমার তখন কাজের ভীষণ দরকার। বাবা মারা গিয়েছিলেন। আর গোটা সংসারের দায়িত্ব এসে পড়েছিল আমার ওপর,’ বললেন অ্যানি।  খুবই মধ্যবিত্ত তাঁদের পরিবার। সে অর্থে সচ্ছলতার মুখ কোনওদিনই দেখেননি। পড়াশোনার জন্য শিক্ষা ঋণ নিয়েছেন। পড়তে পড়তে নিজের দৈনিক খরচ চালানোর জন্য কখনও গ্যারেজে, কখনও কফিশপে কাজ করেছেন। সেই কাজের সূত্রে জমানো টাকা নিয়ে অ্যানি দিল্লি পাড়ি জমিয়েছিলেন। সেখানে মাত্র পনেরো হাজার টাকা মাইনের চাকরিতে যোগ দেন। তার প্রায় পুরোটাই মাকে পাঠাতেন সংসার চালানোর জন্য। নিজের কাছে সামান্য কিছু টাকা রাখতেন। বন্ধুর বাড়িতে থাকতেন, থাকার খরচ বাঁচানোর জন্য। দিনে একবেলা খেতেন, তাও কোনওক্রমে। তার সঙ্গে ছিল কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের অসহযোগিতা। তবু হার মানেননি। দাঁতে দাঁত চেপে চাকরি করেছেন। হয়ে উঠেছেন কর্মজীবনে উল্লেখযোগ্য।
অনুভূতির নানা স্বাদ
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একলা মহিলার সাফল্য একই সঙ্গে ভয়ঙ্কর এবং অসাধারণ একটা অনুভূতি, জানালেন অ্যানি। তাঁর কথায়, ‘আমি যখন সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে যোগ দিই, তখন আমার সহকর্মীদের কোনও ধারণাই ছিল না একজন মহিলার সঙ্গে তাদের কাজ করতে হতে পারে। আমায় দেখে তারা অবাক হয়ে গিয়েছিল। কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। বরং চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেছে। তাদের নজরেই যেন হেনস্থার ছায়া থাকত। এক এক সময় লজ্জা পেয়ে যেতাম।’ নির্মাণের কাজে মহিলা হিসেবে নানা ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে অ্যানির। সহকর্মীদের লাঞ্ছনা, অবজ্ঞা সবই সহ্য করেছেন তিনি। সিনিয়ররা তাঁকে ডকুমেন্ট ফাইলিং সেকশনে ঠেলে দিয়েছে। আর লেবার শ্রেণির সহকর্মীরা কটু মন্তব্য করেছে। কাজের সময় ফুট কেটেছে। ক্লান্ত হয়ে পড়লে ঠাট্টা করেছে। কিন্তু সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। 
লম্বা চুল থেকে বয় কাট
পোশাক, চেহারা ইত্যাদি নিয়েও তাঁর উদ্দেশ্যে বিরূপ মন্তব্য করতে ছাড়েনি কেউ। অ্যানি বললেন, ‘যন্ত্র নিয়ে কাজ করতে গেলে নিজেকে আমূল বদলে ফেলতে হয়। টাইট ফিটিংস পোশাক পরা অভ্যাস করতে হয়, চুল কেটে ছোট করে রাখতে হয়। আমার খুব লম্বা চুল ছিল। কাজের ক্ষেত্রে তা যখন অন্তরায় হয়ে ওঠে তখন আমায় নিয়ে সহকর্মীরা হাসাহাসি করতে লাগল। ভাবখানা এমন যেন এই তো মহিলা এসেছে পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে। সামান্য চুলটাও গুছিয়ে রাখার ক্ষমতা নেই। ভীষণ রাগ হল আমার। নিজেই নিজের চুল কেটে ফেললাম। বয় কাট চুল, পরনে জিনস আর টি শার্ট, তাও কলার দেওয়া। দেখি এবার ছেলেরা কী বলে? সবাই অবাক হয়েছিল, কিন্তু মুখে কোনও কথা বলেনি। আমিও নিজের কাজে মন দিতে পেরেছিলাম।’ ক্রমশ অ্যানি সাইট কালচারটা আয়ত্ত করে নিতে শুরু করলেন। ছেলেদের সঙ্গে মিশে তাদের ভাষা, কথা বলার ধরন, চালচলন সবই অ্যানির হাতের মুঠোয় চলে এল। হাবেভাবে তিনি ‘নারীসুলভ কমনীয়তা’ ঝেড়ে ফেললেন। সুললিত ভাব তখন তাঁর পক্ষে বেমানান। এইভাবেই চলছিল, তবুও পুরুষ সহকর্মীদের চোখে তিনি মেয়েমানুষই রয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে নিয়ে মশকরা যেন মামুলি ব্যাপার। প্রতি পদে একটা লড়াইয়ের মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। অ্যানি বললেন,‘ভারতীয়দের মধ্যে এই নেতিবাচক ধ্যানধারণা যতটা প্রবল, বিদেশিদের মধ্যে কিন্তু ততটা নয়। আমার নিজের লোকেদের কাছ থেকে যেমন বাধা পেয়েছি, বিদেশিদের কাছে তেমনটা পাইনি। সেখানে দেখা হয়েছে আমি কাজটা জানি কি না। কিন্তু আমাকে মহিলা বলে কখনওই ব্যঙ্গ করা হয়নি। ভারতীয় পুরুষরা মেয়েদের ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেই আটকে রাখতে চায়। একটা ভয়ও বোধহয় তাদের মনে কাজ করে এই বুঝি মেয়েরা পুরুষদের ছাপিয়ে গেল, এই বুঝি মেয়েরা ঘরে-বাইরে সমান পারদর্শী হয়ে উঠল! এই হারানোর ভয় থেকেই ভারতীয় পুরুষ সমাজ মহিলাদের অবদমন করে। বিদেশে এই সংস্কৃতিটা সেভাবে প্রকট নয়।’ 
হল সাহেবের সঙ্গে
‘বিদেশি এক বসের সাহায্য না পেলে হয়তো আমাকেও রণে ভঙ্গ দিতে হতো,’ বলছিলেন অ্যানি। তিনি তখন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। তায় মহিলা। যাই হোক, একদিন সাইটে গিয়ে দেখলেন মাটি কাটার যন্ত্রের বুম নাকি কাজ করছে না। বুম না উঠলে মাটি কাটা যাবে না। তাহলে সুড়ঙ্গও তৈরি হবে না। সবাই চিন্তিত। কিন্তু অ্যানির মতামত কেউ নিচ্ছে না। এমন সময় তাঁদের প্রোজেক্টের যিনি বস, এক জার্মান ইঞ্জিনিয়ার মিস্টার হল এলেন সাইটে। এসেই তিনি প্রশ্ন করতে লাগলেন, সবাই যথাসাধ্য উত্তর দিচ্ছিল। কিন্তু কোনওটাই বসের মনে ধরছিল না। এমন সময় তিনি অ্যানিকে দেখতে পেয়ে ডাকলেন। বিভিন্ন প্রশ্নের পর তাঁকে বললেন মেশিন খুলে গণ্ডগোলের উৎস সন্ধান করতে। সেইমতো অ্যানিকে মেশিনের একটা বল্টু খুলে দেখতে হয়েছিল গলদ কোথায়। সেখানে সামান্য  চাপ দিতেই কেলেঙ্কারি। প্রেশারের কারণে হাইড্রলিক তেল ফোয়ারার মতো উঠে অ্যানিকে স্নান করিয়ে দিল। কিন্তু গলদটা ধরা পড়ল এবং তা ঠিক করে অ্যানি ওপরে উঠে এলেন তেল চুপচুপে অবস্থায়। জার্মান সাহেব কিন্তু তাঁর এই অবস্থা দেখে একটুও ঠাট্টা করেননি। বরং বলেছিলেন, ‘এইভাবে হাতেকলমে কাজ করতে হবে। না হলে শিখবে কী করে?’ বসের এই কথায় দারুণ অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন অ্যানি। সেই কথাকেই জীবনের মন্ত্র হিসেবে নিয়ে হাতেকলমে কাজ করতে শুরু করেছিলেন তিনি। 
মানসিকতার বদল কোথায়?
‘আমাদের পুরুষদের নজরটা বড্ড খারাপ,’ বললেন অ্যানি। তাঁর মতে,  ‘কোনও সিনিয়র যদি তার জুনিয়রকে সাহায্য করে, সঙ্গে সঙ্গে তাদের মধ্যে একটা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য পুরুষরা ব্যস্ত হয়ে ওঠে। এই মানসিকতা যত দিন না বদলাচ্ছে ততদিন আমাদের সমাজে মেয়েদের সেই অর্থে উন্নতি অসম্ভব। এবং পুরুষদের এই যে ধারণা, এতে মেয়েদেরও যথেষ্ট অবদান আছে। পুরুষ যখন মেয়েদের বদনাম করে তখন মেয়েরাও অনেক সময় তাদেরই সমর্থন করে। নিজের গায়ে আঁচ না লাগলে মেয়েরা কিন্তু প্রতিবাদ করে না। আর প্রতিবাদ যতদিন না হবে, ততদিন ছেলেদের চিন্তাধারা বদলাবে না। মেয়েরাই নিজেদের বিচারটা রূপের  গণ্ডিতে বেঁধে রেখেছে। একটা পোশাক পরার সময় তারাই নিজেদের আয়নায় বারবার দেখে। সমাজ তার এই পোশাকটা আদৌ মেনে নেবে কি না, এই চিন্তাটা মেয়েদের মাথায় ক্রমাগত ঘুরপাক খায়। তারা যেন পুরুষের স্বীকৃতি চায়। এই ধারণাগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে মেয়েদের এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব।’ অ্যানির কথায়, মেয়েরা  অনেকটা পথ এগিয়েছে ঠিকই, কিন্তু আরও  অনেকটা পথ এগতে হবে। 
পরিশ্রম আর নিষ্ঠা
‘মেয়েরা আকাশ ছুঁতে পারে। শুধু লক্ষ্যে স্থির থাকা দরকার,’ দাবি অ্যানির। তাঁর কথায়, ‘নিজেকে নিজেই স্কুলিং করাতে হবে। জপের মন্ত্রের মতো নিজেকে বোঝাতে হবে যে আমরা পারি। বিরূপ পরিবেশের মধ্যে থেকেও আমরা উঠে আসতে পারি। নিজেদের কর্মদক্ষতার কারণেই উল্লেখযোগ্য হতে পারি। সমাজ বাধা দেবে, সংসার পিছনে টেনে ধরবে। কিন্তু মেয়েদের আটকে গেলে চলবে না। নিষ্ঠা, ভালোবাসা এবং মনের  জোর নিয়ে কোনও কাজ করতে চাইলে সাফল্য অবধারিত। ভবিষ্যতেও মেয়েদের মনে রাখতে হবে,  তারাই এই সমাজের অর্ধেক আকাশ। ফলে ঘরের চার দেওয়ালের ভেতর তাদের আটকে থাকা উচিত নয়। বরং বাঁধন ভেঙে নিজের পায়ে দাঁড়ানোই তাঁদের কর্তব্য। বাধা আসে আসুক, তবু ভয় পেলে চলবে না। বরং আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে এগিয়ে যেতে হবে। এক না একদিন ঠিকই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছবে মেয়েরা।’ 
নাম রহস্য
বাঙালি মেয়ের এমন ইংরেজি নাম কেন? প্রশ্ন শুনে হেসে উঠলেন অ্যানি সিংহ রায়। বললেন ‘নামের একটা গল্প আছে বটে। ছোটবেলায় ছিলাম ভীষণ ডানপিটে। শিয়ালদার পুরনো বাড়িতে জানলার বড় গরাদ ছিল। সেই গরাদ গলে রাস্তায় নেমে পড়তাম। বাড়িতে যতক্ষণ থাকতাম ততক্ষণই ছুটতাম। আমাকে আটকায় এমন সাধ্য কারও ছিল না!’ একদিন হলিউডের একটা ছবি দেখছিলেন অ্যানির বাবা। সেই ছবির নামচরিত্র অ্যানিও ভীষণ দুরন্ত। সারাক্ষণই ছুটে ছুটে কেটে যায় তার। সিনেমার সেই একরত্তি মেয়েটিকে দেখেই বাবা নিজের মেয়ের নাম রাখেন অ্যানি। তাই নাকি বাঙালি মেয়ের এমন ইঙ্গো নাম!    
ভালোলাগা সবকিছু
চেহারায় ও চরিত্রে ডানপিটে টমবয় হলেও  অ্যানি কিছু ক্ষেত্রে অনেকটাই ‘ঘরোয়া।’ তিনি ভালোই রান্না করতে পারেন। তাঁর হাতের  চালের পায়েস নাকি অনবদ্য। এছাড়া মাটন কষাও তিনি দারুণ বানান। তবে রান্নাটা করেন নেহাতই প্রয়োজনে। তাঁর ভালোবাসার মধ্যে রান্না পড়ে না। যন্ত্র ছাড়া তাঁর ভালোবাসা বলতে সাঁতার আর আঁকিবুকি। ছুটি পেলেই স্কেচবুক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। মানুষের মুখ আঁকেন, সিনারি আঁকেন। তাহলে কি ইঞ্জিনিয়ার না হলে রং-তুলি নিয়েই থাকতেন অ্যানি? মোটেও না, ছোটবেলায় তিনি একবার ভেবেছিলেন ফ্যাশন দুনিয়ায় নাম লেখাবেন। তবে বিউটি আর ফ্যাশনের জগতের হাতছানি অবশ্য খুব বেশিদিন টেকেনি। যন্ত্রের প্রতি ভালোবাসাই তাঁকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দিকে টেনে নিয়ে যায়। আর সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে একমাত্র মহিলা হয়ে ওঠা? অ্যানির কথায়, ‘ওটা বোধহয় আমার জীবনের ভবিতব্যই ছিল।’
07th  August, 2021
সারদা মিশনে 
মাতৃপুজো

শ্রীশ্রীমা সারদার পুজো বিষয়ে আলোচনায় প্রব্রাজিকা আপ্তকামপ্রাণা।  বিশদ

25th  September, 2021
এখন মেয়েরা

এমকিউর ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির শীর্ষে রয়েছেন তিনি। অঙ্কে তাঁর ভীষণ দখল। আবার মহিলাকেন্দ্রিক বিষয় নিয়েও তাঁর চিন্তার অন্ত নেই। তিনি নমিতা থাপার। এমকিউর ফার্মার তিনি এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর। হেল্থ কেয়ারে কাজ করার সুবাদে নমিতা মহিলাদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার অভাব খুব কাছ থেকে দেখেছেন। বিশদ

25th  September, 2021
দুর্গাপুজোর  মহোৎসবে 
মেয়েরা

প্রায় দু’শো বছর ছুঁই ছুঁই লাহাবাড়ির দুর্গা পুজো। মহাপুজোর প্রস্তুতিতে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে বাড়ির মেয়ে বউরা। পুজোর পুরনো ও নতুন গল্প নিয়ে কলম ধরলেন লাহাবাড়ির কন্যা সুস্মেলী দত্ত।
বিশদ

18th  September, 2021
এখন মেয়েরা

জন্ম থেকেই কানে শুনতে পান না জোহানা লুৎজ। জার্মানির এই কন্যাটি তাই স্বপ্নেও কখনও ভাবেননি তিনি নাসা-র বিজ্ঞানী হয়ে উঠবেন। অথচ লুৎজ হয়ে উঠলেন নাসার প্রথম এবং একমাত্র বধির বিজ্ঞানী। কিন্তু কেমন করে ঘটল এই অভাবনীয় ঘটনা? বিশদ

18th  September, 2021
গানে গানে 
নারী শক্তি

৩০ বছর ধরে বাউল গানের সাধনা করছেন রিনা দাস বাউল। মহিলাদের নিয়ে গান লেখেন তিনি। সমাজে নারী শক্তির প্রচার ও প্রসারই তাঁর লক্ষ্য। বাউল সঙ্গীত, বিদেশে বাউল গানের অনুষ্ঠান ও নিজের গানের ভাষা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

11th  September, 2021
এখন মেয়েরা

আনা এলিজাবেথ জর্জ হলেন কেরলের এক হোম বেকার। ওনাম উৎসবে এক অভিনব কাজ করে বসলেন তিনি। গোটা একটা শাড়ির ডিজাইনে বানিয়ে ফেললেন ধোসা! অবশ্য এই খাবারকে ধোসা না বলে বরং এডিবল শাড়ি নামেই বিক্রি করেছেন। বিশদ

11th  September, 2021
‘আমি একরোখা একগুঁয়ে,
শেষ দেখে তবে ছাড়ব’

ভারতীয় প্রাণিবিজ্ঞান সর্বেক্ষণ (জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া, জেডএসআই)-এর শীর্ষ পদে প্রথম মহিলা মুখ তিনি। বাধার অদৃশ্য সেই ‘কাচের দেওয়াল’ ভাঙতে মহিলারা লড়াই করেন প্রতিনিয়ত। তিনি অনায়াসে সেটা ভেঙে দিতে পেরেছেন। কিন্তু চলার পথটা কেমন ছিল? জেডএসআই-এর প্রথম মহিলা ডিরেক্টর ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় অন্বেষা দত্ত। বিশদ

04th  September, 2021
নির্যাতনের বিরুদ্ধে 
মেঘার লড়াই

মিমির বয়স তখন তেরো। বাবা, মা, কাকা কাকিমা ও খুড়তুতো দাদা মিলে তাদের বড় সংসার। কাকাকে ভীষণ ভয় পেত মিমি। অথচ কাকা তো ভীষণ ভালোবাসেন তাকে। দেখতে পেলেই জড়িয়ে ধরেন। চুমু খান। তবু মিনি ধারে পাশে ঘেঁষতে চায় না। মা এই নিয়ে বকাবকি করলে একদিন মায়ের কাছে সব কথা খুলে বলেছিল সে। বিশদ

04th  September, 2021
লোকঐতিহ্যই
আবাহনের মন্ত্র

 বিদেশে থেকেও ভারতীয় নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সক্রিয় তিনি। সাধারণ মহিলাদের হাতে তৈরি নানা সামগ্রী যাতে প্রচারের আলো পায়, তার জন্য চেষ্টা করছেন তিন বছর ধরে। কেমব্রিজের বাসিন্দা তনিমা পাল -এর সঙ্গে কথায় অন্বেষা দত্ত। বিশদ

28th  August, 2021
এখন মেয়েরা

জারা বাদারফোর্ড আধা ব্রিটিশ আধা বেলজিয়ান। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই সে নাকি খবরের শিরোনামে! বাবা ও মা দু’জনেই পাইলট। তাই ছোট থেকেই প্লেন ওড়ানোর নেশা তাঁকে পেয়ে বসেছিল। প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন তিনি নিয়ম মতো। তারপর অপেক্ষায় ছিলেন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার। বিশদ

28th  August, 2021
মায়ের পুজোয় মেয়েরা

শুভমস্তু সংস্থার চার মহিলা পুরোহিত এবার দুর্গাপুজোর আসর সাজিয়ে বসছেন। ৬৬ পল্লির দুর্গাপুজোয় পৌরোহিত্য করবেন তাঁরা। আগামিকাল খুঁটি পুজোর মাধ্যমে সেই কাজের শুভারম্ভ। তার ঠিক আগেই নিজেদের পুজোপদ্ধতি ও নতুন চমকের কথা জানালেন নন্দিনী ভৌমিক। তাঁর সঙ্গে কথায় কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

21st  August, 2021
এখন মেয়েরা

দিব্যা গোপিনাথ একজন সাধারণ মেয়ে। হঠাৎই তিনি বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন। আর তাঁকে বিখ্যাত করে তুলেছে একটি লার্নিং অ্যাপ। বাইজু’স অ্যাপের কথা বলছি। দিব্যা তাঁর স্বামীর সঙ্গে মিলে এই অ্যাপটি তৈরি করেছেন। বরাবরই পড়াশোনার প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। বিশেষত অঙ্ক আর বিজ্ঞান। বিশদ

21st  August, 2021
প্রগতি এখন হাতের মুঠোয়

নারীপ্রগতি কি শুধুই অলীক কল্পনা? নাকি প্রগতির পথে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে মেয়েরা? নারীকেন্দ্রিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বয়ম-এর ডিরেক্টর অনুরাধা কাপুর-এর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজলেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  August, 2021
পৃথিবীর  অর্ধেক আকাশ

নারীর স্বাধীনতা না থাকলে দেশ স্বাধীন হয় না। এই ধারণা আমাদের দেশের একাংশ মানুষের। বিশ্লেষণ করলেন শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়। বিশদ

14th  August, 2021
একনজরে
পুরাতন মালদহ ব্লকের মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান ইস্তফা দিয়েও সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে আত্মগোপন করে রয়েছেন। ...

জাপানে ক্ষমতা বদল। সূর্যোদয়ের দেশে নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্টসিয়াল নির্বাচনে জয় পেয়েছেন কিশিদা। ...

বিধানসভা ভোটে শীতলকুচিতে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন চার জন। ১০ এপ্রিলের সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় ১৬ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট  সিআইডিকে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছিল। ...

এক্সপোর্ট ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশনে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঢালবে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে একবারে পুরো টাকা তারা দেবে না। তা দেওয়া হবে ধাপে ধাপে। আগামী পাঁচবছরে ওই টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক অনুবাদ দিবস
১৯১৯: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা ঐতিহাসিক শিবনাথ শাস্ত্রীর মৃত্যু
১৮২৮ - ভারতীয় যোগী ও গুরু যোগীরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী বা লাহিড়ী মহাশয়ের জন্ম
১৮৬০: ব্রিটেনে প্রথম ট্রাম চালু হয়
১৮৬৪ - ব্রিটিশ ভারতীয় দেশীয় রাজ্য কোচবিহারের মহারাণী সুনীতি দেবীর জন্ম
১৮৭৫: শিক্ষাবিদ প্যারীচরণ সরকারের মৃত্যু
১৮৮২ - থমাস এডিসনের উদ্ভাবিত হাইড্রো-ইলেকট্রিক পাওয়ার প্লান্ট চালু হয়
১৯২২: পরিচালক হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৮: পেনিসিলিনের আবিষ্কারের কথা প্রথম ঘোষিত হয়
১৯২৯: বিবিসি প্রথম পরীক্ষামূলক টিভি সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩: নাট্যকার ও অভিনেতা অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৯: ব্রিটেনে পরিচয়পত্র প্রথা চালু হয়।
১৯৬২: অভিনেতা প্রসেনজিতের জন্ম
১৯৭২: গায়ক শান-এর জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৮ টাকা ৭৫.০৯ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৮৪ টাকা ১০২.২৭ টাকা
ইউরো ৮৫.১৯ টাকা ৮৮.৩১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৬,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৪, ৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৫,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬০,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ আশ্বিন ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১। নবমী ৪১/৩৪ রাত্রি ১০/৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ৫০/৪ রাত্রি ১/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৩১/১৭, সূর্যাস্ত ৫/২২/১৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ৩/১ মধ্যে। রাত্রি ৬/১১ গতে ৯/২৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৭ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১৩ আশ্বিন ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১। নবমী রাত্রি ৬/২৬। পুনর্ব্বসু নক্ষত্র রাত্রি ১১/১৬। সূর্যোদয় ৫/৩১, সূর্যাস্ত ৫/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/০ গতে ৯/১৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৬ গতে ৫/৩১ মধ্যে। কালবেলা ২/২৬ গতে ৫/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৮ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। 
২২ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল ২০২১: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জিতল চেন্নাই সুপার কিংস

11:22:53 PM

আইপিএল ২০২১: চেন্নাই  ৫৮/০ (৭ ওভার)  

10:01:33 PM

আইপিএল ২০২১: চেন্নাইয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৩৫ রান

09:24:04 PM

আইপিএল ২০২১: হায়দরাবাদ ৭৬/৪ (১৩ ওভার)  

08:36:01 PM

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৭৪৯
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৭৪৯ জন করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। ...বিশদ

08:29:17 PM

করোনা: পুজোয় রাতের বিধিনিষেধে ছাড়
করোনার বিধিনিষেধের মেয়াদ ফের বাড়াল রাজ্য। আজ, বৃহস্পতিবার নবান্নের পক্ষ ...বিশদ

07:17:15 PM