কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
গত রবিবার উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা টপকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করেছিল লস্কর-ই-তোইবার একটি দল। কিন্তু, ভারতীয় সেনার তৎপরতায় গোড়াতেই সেই নাশকতার ছক ভেস্তে যায়। সন্ত্রাসদমন অভিযানে মারা যায় এক জঙ্গি। ধরা পড়ে কিশোর আলি বাবর। বর্তমানে সে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হেফাজতে রয়েছে। জঙ্গি প্রশিক্ষণ এবং পাক সেনা ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের ভূমিকা সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জানতে বাবরকে দফায় দফায় জেরা চলছে। গতকালই সে বলেছিল, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে নাশকতার ঘটাতে এদেশে পাঠানো হয়। মায়ের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করতেই বাবরের ভারত-বিরোধী হয়ে ওঠা। হাতে দেওয়া হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। পাকিস্তানে ফিরলে বাকি ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা হয়েছিল।
বুধবার সেনাবাহিনী একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে বাবর পাক সেনা এবং আইএসআই সম্পর্কে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে। তার অকপট স্বীকারোক্তি, ‘ভারতের কাশ্মীর সম্পর্কে আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। ভিডিওর মাধ্যমে মাকে জানাতে চাই, ভারতীয় সেনা ভালোভাবেই খেয়াল রাখছে আমার।’ বাবরকে আরও বলতে দেখা গিয়েছে, ‘পাক সেনা যা বলেছে তার সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আচরণের কোনও মিল নেই। আর এটা থেকেই পরিষ্কার কাশ্মীরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ।’
তাহলে সেনাবাহিনী, আইএসআইকে সঙ্গে নিয়ে কীভাবে তরুণ প্রজন্মের মগজধোলাই করছে পাকিস্তান? বাবরের কথায়, ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে আমাদের এখানে পাঠানো হচ্ছে।’ কী করে তার জঙ্গি দলে নাম লেখানো? সে সম্পর্কে লস্কর সদস্য বলেছে, ‘সাত বছর আগে আমার বাবা মারা যায়। তারপর থেকেই আর্থিক অভাবে আমি স্কুলছুট। বাধ্য হয়ে শিয়ালকোটের একটি জামা-কাপড়ের ফ্যাক্টরিতে কাজ নিই। সেখানে আনাস নামে একজনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ওই লস্কর-ই-তোইবায় সদস্য নিয়োগের কাজটি করে। সেইমতো আমিও পরিস্থিতির শিকার। আনাস আমাকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিল। এবং বলেছি, বাকি ৩০ হাজার টাকা পড়ে দেবে।’ খাইবার দেলিহাবিবুল্লার শিবিরে পাক সেনা ও আইএসআইয়ের মদতে জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ চলে বলেও জানিয়েছে বাবর।