কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
পাঞ্জাব সঙ্কটের এই মওকা ছাড়েননি ‘বিদ্রোহী’ নেতা মণীশ তিওয়ারি, কপিল সিবালরাও। বছর খানেক আগেই তাঁদের মতো ২৩ জন নবীন-প্রবীণ নেতা সরব হয়েছিলেন হাইকমান্ডের কর্মপদ্ধতি নিয়ে। সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছিলেন। তাঁরাই চিহ্নিত হয়েছেন ‘গ্রুপ-২৩’ বা ‘জি-২৩’ নামে। সেই ‘বিদ্রোহী’দের অন্যতম নেতা কপিল সিবাল ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে। সরাসরি হাইকমান্ডকে নিশানা করে তাঁর কটাক্ষ, ‘কংগ্রেসে এখন কোনও নির্বাচিত সভাপতি নেই। আমরা জানি না, কে এই সিদ্ধান্তগুলি নিচ্ছেন।’
গত কয়েক মাস ধরেই কংগ্রেসে রক্তক্ষরণ চলছে। দলত্যাগের হিড়িক প্রসঙ্গে সোজাসাপ্টা জবাব দিয়েছেন সিবাল, ‘আমাদের তরফে কোথাও ভুল হচ্ছে কি না, দেখতে হবে।’ অবিলম্বে কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করেন তিনি। আর সেই প্রসঙ্গেই তাঁর কটাক্ষ, ‘বর্তমানে কংগ্রেসের বিড়ম্বনা হল, যাঁরা শীর্ষনেতৃত্বের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তাঁরাই দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আর যাঁরা দূরের লোক ছিলেন, তাঁরা থেকে গিয়েছেন।’ ‘জি-২৩’ তকমা নিয়েও ব্যঙ্গের সুর ছিল তাঁর গলায়। তাঁর কথায়, ‘আমরা জি হুজুর-২৩ নই।’ এই মন্তব্যের প্রতিবাদে বিকেল থেকেই তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন যুব কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।
কংগ্রেসের বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়েছেন দলের সাংসদ মণীশ তিওয়ারি। হাইকমান্ডের অদূরদর্শিতা প্রসঙ্গে মুখ খুলে কার্যত অমরিন্দরের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘অমরিন্দর পাঞ্জাবের একজন শক্তিশালী নেতা ছিলেন। কিন্তু এক্ষেত্রে হাইকমান্ড যেভাবে নীতি নির্ধারণ করেছে, তাতে দূরদৃষ্টির অভাব স্পষ্ট। সাম্প্রতিক রাজনীতির প্রেক্ষিতে তিনি যে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, আজ বোঝা যাচ্ছে তা সঠিক ছিল। পাঞ্জাব সীমান্তবর্তী রাজ্য। পাঞ্জাবে রাজনৈতিক অস্থিরতা কাম্য নয়। এটা আগাম বোঝা উচিত ছিল।’
অন্যদিকে, পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনে আর চার মাস বাকি। কিন্তু তার মধ্যে দলের অন্দরে বিদ্রোহ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত কংগ্রেস। এদিন ভিডিওতে সিধু প্রশ্ন তুলেছেন পাঞ্জাব পুলিসের ডিজি পদে বর্ষীয়ান আইপিএস ইকবালপ্রীত সিং সাহোটা এবং অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে এ পি এস দেওলের দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে। তিনি আরও বলেন, ‘কারও প্রতি আমার ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই। কিন্তু আমি নিজের মূল্যবোধে অনড় থাকব।’ যদিও পাঞ্জাবের নয়া মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি দাবি করেছেন, ‘কোনও কিছুই ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়নি। আমি ওঁকে বলেছিলাম, দল সবার ঊর্ধ্বে। আসুন আলোচনায় বসি।’