কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
বুধবার দুপুরে নবান্নে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন লুইজিনহো ফালেইরো। তিনি শুধু গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না, সাত বারের বিধায়ক এবং ৪০ বছর ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। গোয়া সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। নবান্নে ফালেইরোকে উত্তরীয় দিয়ে স্বাগত জানান মমতা। পরে টুইটারে তিনি লিখেছেন, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে পেরে গর্ব অনুভব করছি। আমরা একসঙ্গে মিলে সমগ্র গোয়াবাসীর জন্য লড়াই করব। লড়ব বিভেদ সৃষ্টিকারী শক্তির বিরুদ্ধে। এক নতুন গোয়া তৈরির লক্ষ্যে কাজ করব একত্রে।
নবান্ন থেকে বেরিয়ে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে আসেন ফালেইরো। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজির ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ফালেইরোর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আরও নয় জন। তাঁর মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক লাভু মামলাদার, গোয়া কংগ্রেসের দুই সাধারণ সম্পাদক যতীশ নায়েক ও বিজয় বাসুদেব পাই। এছাড়াও যোগ দিয়েছেন গোয়া কংগ্রেসের আরও বেশ কয়েকজন। তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন গোয়ার লেখক ও সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত শিবদাস সনু নায়েক। তৃণমূলে যোগ দিয়ে গর্বিত অনুভব করছেন বলে জানান লুইজিনহো ফালেইরো। তিনি বলেছেন, গোয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে। সংস্কৃতি ধ্বংস। বেকারত্ব বেড়েছে। সরকারের কাজকর্মে গোয়াবাসী হাঁপিয়ে উঠেছেন। এই অবস্থায় গোয়ায় পরিবর্তন আনতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
তাঁর কথায়, গুরুত্বপূর্ণ হল, বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে কংগ্রেস বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। লুইজিনহো ফালেইরোর বার্তা, কংগ্রেস নানা ভাগে বিভক্ত। ওয়াইএসআর কংগ্রেস, শারদ পাওয়ারের কংগ্রেসের মতো সবদলগুলিকে একত্রিত করার চেষ্টা চালাব। ‘মমতা কংগ্রেস’ই আসল। সবাইকে একত্রিত করে দিদির নেতৃত্বে লড়াই করবে ইউনাইটেড কংগ্রেস। কংগ্রেসকে নাম না করে এদিন আক্রমণ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, গত সাত বছর ধরে তৃণমূলই হারিয়ে চলেছে বিজেপিকে। আর কংগ্রেস হেরেই চলেছে বিজেপির কাছে। কংগ্রেস যদি না পারে, তাহলে আমরা হারাতে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। আমরাই বিজেপিকে পরাজিত করব। তৃণমূল নেতৃত্বের এহেন আক্রমণের জবাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল এখন বিজেপির হয়ে ট্রয়ের ঘোড়ার ভূমিকা পালন করছে। তা না হলে যখন রাজ্যে হঁাটু জলে দাঁড়িয়ে আশাকর্মীরা শিশুদের পোলিও খাওয়াচ্ছে, তখন চার্টার্ড ফ্লাইটে ভিন রাজ্য থেকে লোক উড়িয়ে এখানে আনা হচ্ছে কংগ্রেসকে গাল দেওয়া জন্য।