কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
বাঁকুড়ায় বুধবার ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। মুষলধারে দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ বাড়ির বাইরে বেরতে পারেননি। তারসঙ্গে বইতে থাকে ঝোড়ো হাওয়া। তার জেরে জেলাজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বহু গাছ উপড়ে পড়ে। কিছু জায়গায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাস্তা। যদিও যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিস ও প্রশাসনের তরফে গাছ সরিয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া কিছু বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গিয়েছে। তার ফলে সারাদিনে বিভিন্ন সময় জেলাবাসী লোডশেডিংয়ের শিকার হয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বড়জোড়ার মালিয়াড়া অঞ্চলের তেঁতুলপোহা গ্রামে গোয়াল ঘর চাপা পড়ে পাঁচটি গোরুর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বড়জোড়া থানার পুলিস। এছাড়া সোনামুখীতে কাঁচাবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় কয়েকটি পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, এদিন ঝড় বৃষ্টির জেরে জেলায় প্রায় ৫০০ কাঁচাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অবিরাম বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়া জেলার নদনদীগুলিতেও জল বাড়ে। সিমলাপালে শিলাবতী নদীর জল বাড়ায় কজওয়ে ডুবে যায়। বিভিন্ন জায়গায় জল দাঁড়িয়ে পড়ে। কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির জেরে কিছু সব্জি চাষ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। পুজোর মুখে এই নিম্নচাপে বিপাকে পড়েছেন মৃৎশিল্পী ও উদ্যোক্তারাও।
নিম্নচাপের বৃষ্টিতে নদীয়ার শান্তিপুরের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কলোনি এলাকার প্রায় ৮০টি বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এলাকার বেশ কয়েকটি জলাশয় বৃষ্টির জলে পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় নিকাশির জল অন্যত্র নামতে পারছে না। তার জেরেই সমস্যা চরমে উঠেছে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের খানাখন্দে জল জমে যাওয়ায় তা কার্যত মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও ফুলিয়া-তাহেরপুরের সড়কের নিচু জায়গাতেও জল জমে থাকতে দেখা গিয়েছে। এদিন পলাশীপাড়া থানার হাঁসপুকুরিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু’টি গোরুর মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎদপ্তরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে দেবগ্রাম-তেহট্টঘাট রাস্তা অবরোধ করেন বাসিন্দারা। রাত পর্যন্ত অবরোধ চলে। বাসিন্দারা বলেন, মঙ্গলবার বাসের ধাক্কায় একটি বিদ্যুতের খুঁটির ক্ষতি হয়েছিল। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছিল। সেই তারের সংস্পর্শে আসায় দু’টি গোরুর মৃত্যু হয়েছে। আগেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করলে এই ঘটনা এড়ানো যেত। যদিও এব্যাপারে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পুরুলিয়া জেলায় মঙ্গলবার রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বুধবার সকাল থেকে ঝড় সহ প্রবল বৃষ্টি হয়। তার জেরে এদিন বিভিন্ন এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে। কিছু জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং ছিল। ঝড়-বৃষ্টির জেরে এদিন রাস্তাঘাট ছিল কার্যত শুনশান। সরকারি অফিসগুলি খোলা থাকলেও একেবারে ফাঁকা ছিল। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি এলাকায় নজর রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তেমন বিশেষ ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আরামবাগ মহকুমায় মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। সঙ্গে বইতে থাকে ঝোড়ো হওয়া। তার জেরে রূপনারায়ণের জল কিছুটা বাড়ে। তবে এখনও বিপদের কিছু নেই বলে জানিয়েছে প্রশাসন। টানা বৃষ্টিতে আরামবাগ পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়ে। খানাকুলের যে সমস্ত এলাকায় ধীরে ধীরে জল নামছিল, সেই এলাকাগুলি ফের জলমগ্ন হয়ে পড়ে। কৃষিজমিগুলি জলের তলায় রয়েছে।