কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
এমন ঘটনা আমাদের দেশের কিশোরীদের জীবনে আকছার ঘটে, বললেন মেঘা ভাটিয়া। এবং মেয়েদের প্রতি এই অত্যাচার যাতে বন্ধ করা যায়, সেই জন্যই তাঁর লড়াই। একটা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম চালু করেছেন তিনি। নাম ‘আওয়ার ভয়েস’। মেঘার বক্তব্য, মেয়েদের উপর যৌন নির্যাতন অনেক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের দিক থেকে শুরু হয়। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে তারা মুখ খুলতে পারে না। এতে তাদের মানসিক ক্ষতি হয়। চেনা মহলে হয়তো বা প্রতিবাদ করা কঠিন, কিন্তু অচেনাদের কাছে সরব হওয়া ততটা কঠিন নয়। তাই মেয়েরা যাতে নির্ভয়ে কথা বলতে পারে, প্রতিবাদ করতে পারে সেই জন্যই মেঘা নিজের এই সোশাল প্ল্যাটফর্মটি শুরু করেছেন। এই প্ল্যাটফর্মে মেয়েরা তাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের কথা নির্ভয়ে জানাতে পারে, এবং তারপর মেঘা ও তার টিম সেই অত্যাচারের প্রতিকার করা চেষ্টা করে। তার জন্য আইনের সাহায্য নেয় তারা। অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধীকে শাস্তি দিতে সক্ষম হয়েছেন মেঘা। মেঘা নিজে আইনজীবী। মহিলাদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সেই সূত্রেই মেয়েদের উপর হওয়া নির্যাতনের মুখোমুখি হন। এবং দেখেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা মেনে নেয়, চুপ করে থাকে। লোক জানাজানি হওয়ার ভয় পায়। এর ফলে অত্যাচার অনেক সময় বাড়তে থাকে এবং মেয়েরা ক্রমশ একটা ভয় বা ট্রমার মধ্যে চলে যায়। এই ঘটনা যাতে মেয়েদের জীবনে না ঘটে, সেই জন্যই নিজের ফোরাম বা প্ল্যাটফর্মটি চালু করেন মেঘা। এখানে অত্যাচারের প্রতিবাদ তো সম্ভব বটেই, তাছাড়াও যৌন অত্যাচারের বিরুদ্ধে
মেয়েদের লড়াই করার শিক্ষাও দেওয়া হয়। বিস্তারিতভাবে তাদের শেখানো হয় গুড টাচ এবং ব্যাড টাচ বিষয়ে। এবং এই শিক্ষা পুরোপুরি কমিক বুকের মাধ্যমে দিচ্ছেন মেঘা। বাচ্চাদের আকৃষ্ট করতে, তাদের বোঝাতে সুবিধে হবে বলেই এই মাধ্যমটি বেছে নিয়েছেন তিনি। এতে বিপুল সাড়াও পেয়েছেন। জানালেন, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এখনও অনেক পথ চলা বাকি। তবু শুরুটা যে করতে পেরেছেন তাতেই তিনি খুশি।