বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
আমি তো রাস্তার পশুদের খেয়াল রাখছি :
তনিমা সেন (অভিনেত্রী)
‘এ এক অন্য পৃথিবী। এই পৃথিবীতে মানুষের অবাধ বিচরণ নেই। এই পৃথিবীর চালক, অর্থাৎ মানুষ, এখন গৃহবন্দি। লকডাউন চলছে সারা বিশ্ব জুড়ে। সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে অহেতুক অবসরের বোঝা। ভারী জটিল এই সময়। তবু তারই মধ্যে নিজে ভালো থাকতে হবে, অন্যকেও ভালো রাখতে হবে। লকডাউন বলে মুখ ভার করে বসে থাকলে চলবে না।’ বললেন অভিনেত্রী তনিমা সেন। তাঁর মতে এই দুঃসময়ে ভালো থাকতে গেলে নিজের পছন্দ মতো কাজ বেছে নেওয়া দরকার। তিনি তেমনই একটা কাজ বেছে নিয়েছেন।
বরাবরের পশুপ্রেমী তনিমা রাস্তাঘাটে কুকুর দেখলেই আদর করেন। টুকটাক খাবার কিনেও খাওয়ান। এই দুর্দিনেও সেই কাজটাই বেছে নিয়েছেন তিনি। লকডাউনে রাস্তার কুকুর, বেড়ালদের বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্বে নিজেকে সমর্পণ করেছেন অভিনেত্রী। রোজ নিজে ভাত আর মাংস রান্না করে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। সঙ্গে অবশ্য নাতিবাবুও থাকেন। তিনিও তনিমার মতোই পশুপ্রেমী কিনা। যাইহোক, প্রতিদিন পার্কসার্কাস, কাঁকুড়গাছি, সল্টলেক এবং নিউটাউনের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে পথের কুকুরদের খাওয়ান তাঁরা।
বললেন, ‘প্রতিবছর নববর্ষ এলেই আমরা খুশিতে মেতে উঠি। নানা আনন্দ অনুষ্ঠানে সময় কেটে যায়। কিন্তু রাস্তার প্রাণীদের কথা ভাবার সময় কেউ পাই না। এবছর নাহয় তাদের একটু সেবা করা যাক। আমি তো করছিই, আপনারাও করুন না। মন ভালো হয়ে যাবে।’
আমার জীবন একটা
ছন্দে চলছে : অমিতা দত্ত (নৃত্যশিল্পী)
লকডাউন বলে মোটেও দুঃখে নেই বরং বেশ ভালোই সময় কাটাচ্ছেন নৃত্যশিল্পী অমিতা দত্ত। গৃহবন্দি অবস্থার পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করছেন তিনি। জানালেন, এখনকার প্রযুক্তির যুগে যোগাযোগ রাখার জন্য সোশাল মিডিয়াই যথেষ্ট। সেই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অমিতাও ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। নাচের ভিডিও করে পাঠাচ্ছেন, কখনও বা ভিডিও কল-এ কথাওবলছেন। আর বাকি সময়টা স্বামীর সঙ্গে গল্প করে কাটছে।এই অবেলায় একে ওপরের সঙ্গ তাঁরা দারুণ উপভোগ করছেন। একটা বড় কাজেও হাত দিয়েছেন অমিতা। নাচের একটা অনলাইন কোর্সে তাঁর ক্লাস নেওয়ার কথা। সেই ক্লাসের কোর্স মেটিরিয়াল তৈরি করছেন এখন। রোজ সকালটা সেভাবেই কাটে। বললেন, জীবনে যদি একটা ছন্দ থাকে তাহলে সহজে তার পতন হয় না। অমিতার জীবন সেই বাঁধা ছন্দেই চলছে।
প্রতিবছর নববর্ষে তাঁর স্কুলে নানা অনুষ্ঠান হয়। এবছর সেটা সম্ভব হবে না। অনেক শোও বাতিল হয়েছে। তাই একটু খারাপ লাগছে ঠিকই। কিন্তু ভবিতব্য বলে মেনে নিয়ে তিনি সুসময়ের অপেক্ষা করছেন। পৃথিবী গ্লানিমুক্ত হলে আবার আমরা তাকে নাচে, গানে, কবিতায় ভরিয়ে তুলতে পারব এটাই বর্ষীয়ান নৃত্যশিল্পীর বিশ্বাস।
পরবর্তী কাজের জন্য নিজেকে তৈরি করছি : গীতিকা গঞ্জু ধর (টিভি অ্যাংকর)
‘বাড়িতে আমার ন’বছরের কন্যাটির কাছে এই লকডাউন যেন আশীর্বাদের মতো ঝরে পড়েছে। তার মতে, কি ভাগ্যিস লকডাউনটা হল, তাই তো মাকে এতদিন একটানা কাছে পেলাম।’ কথা হচ্ছিল বিখ্যাত টিভি অ্যাংকর গীতিকা গঞ্জু ধরের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী থেকে বিগ বি সবার সঙ্গেই অ্যাংকরিং করেছেন গীতিকা। লকডাউনে কী করছেন জানতে চাইলে তিনি জানালেন মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। সারা জীবন শুধু কাজ আর কাজের পর এই লকডাউন তাঁর কাছে ওয়েলকাম ব্রেক। বই পড়ে, সিনেমা দেখে সময় কাটাচ্ছেন তাই। এই অবসরে কোনও কাজ রাখেননি গীতিকা। বরং পরবর্তী সময়ের জন্য নিজেকে তৈরি করছেন। আর তারপরেও যেটুকু সময় থাকছে তা প্রার্থনা করে কাটছে তাঁর। ঈশ্বরকে ডাকছেন যাতে তাড়াতাড়ি পৃথিবী এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারে।