মাছের আমি মাছের তুমি মাছ দিয়ে যায় চেনা। হ্যাঁ, বাঙালি সম্বন্ধে এ কথা বলাই যেতে পারে। মৎস্যপ্রিয় বাঙালির পাতে চার পদ মাছের রেসিপি সাজিয়ে দিলেন মনীষা দত্ত।
ডাবের ভেতর বিরিয়ানি রাঁধার সহজ রেসিপি দিলেন লেক মার্কেটের টেস্ট রাইড রেস্তরাঁর শেফ প্রমিত ভট্টাচার্য।
অরুচি হলে মুখে রুচি ফেরাতে তেতোর জুরি মেলা ভার। চার রকম আমিষ ও নিরামিষ স্বাদে তেতো রান্নার রেসিপি দিলেন দেবারতি রায়।
তিনি একসময় ‘ব্যান্ড’-এ ছিলেন, এখন ‘ব্র্যান্ড’-এ আছেন! দেবাদিত্য চৌধুরী জনপ্রিয় চীনা রেস্তরাঁ ‘চাওম্যান’-এর কর্ণধার। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন মনীষা মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে থাকছে রেস্তরাঁর দু’টি রেসিপি।
পয়লা বৈশাখে জমকালো বাঙালি রান্না বানিয়ে ফেলুন বাড়িতেই। আপনাদের সহযোগিতায় বিশেষ কিছু বাঙালি রান্নার রেসিপি নিয়ে হাজির মণিকাঞ্চন দে।
সামনেই বাংলা নববর্ষ। আর নববর্ষ মানেই পেট পুরে ভুরিভোজ। কোন হোটেলে কেমন মেনু তাই নিয়ে প্রতিবেদনে চৈতালি দত্ত।
খাদ্যরসিকরা তাকে ডাকেন ‘গাছপাঁঠা’ বলে। তা দিয়ে আমিষ ও নিরামিষ যে কোনও রান্নাই করা যায়। মনমাতানো তেমনই কয়েকটি রেসিপি জানানেল মনীষা দত্ত।
বৈকালিক জলযোগ নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। এমন খাবার চাই যা খুব ভারী হবে না, আবার অল্প কিছু না খেলেও নয়। কেমন হবে সঠিক বৈকালিক জলখাবার? রেসিপি সহযোগিতায় সোমা চৌধুরী।
দরবারে চলছে আলাপ-আলোচনা। এমন সময় মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের সামনে হাজির করা হল, গোলাকার প্যাঁচবিশিষ্ট টাটকা ঘিয়ে ভাজা এক খাবার। রস ভেজানো সেই খাবার খেয়ে কেমন যেন ভাবুক হয়ে গেলেন তিনি। শাহী রসনা তৃপ্ত হয়েছে সেই লাজিজ মিষ্টির আস্বাদনে।
দোলে রংবেরঙের শরবত বানিয়ে নিন বাড়িতেই। গরমে আরামদায়ক ঠান্ডা পানীয়ের রেসিপি দিলেন মণিকাঞ্চন দে।
গত ১৫ মার্চ থেকে চলছে ‘রান্নাবান্না’-য় কাপল উইক। আজ সন্ধ্যায় নিজেদের রাঁধা দু’টি পদ নিয়ে আসবেন জনপ্রিয় অভিনেতা ওম ও মিমি। কিন্তু তার আগেই তাঁরা হাজির ‘অন্দরমহল’-এর পাঠকদের কাছে। নতুন সংসার, রান্নার নানা গপ্প তো বটেই, সঙ্গে দু’টি রেসিপিও তাঁরা ভাগ করে নিলেন আপনাদের সঙ্গে। তাঁদের মুখোমুখি কমলিনী চক্রবর্তী।
অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
বাঙালির কাছে নতুন বছর আসা মানেই প্রাণ জুড়ানো বাঙালি মেনুর স্বাদ। সেই স্বাদেই নতুনত্ব এনেছে ৬ বালিগঞ্জ প্লেস। নববর্ষের মেনু থেকে দু’টি ভিন্ন স্বাদের বাঙালি রেসিপি জানালেন সেলিব্রিটি শেফ সুশান্ত সেনগুপ্ত।
মহারানি চিকেন
উপকরণ: মুরগির মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজ বাটা ২০০ গ্রাম, রসুন বাটা ১৫ গ্রাম, আদা বাটা ১০ গ্রাম, জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ, জিরে বাটা ১ চা চামচ, ধনে বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো চা চামচ, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো চা চামচ, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ, সর্ষের তেল ৪০ গ্রাম, ছোলার ডাল ২০ গ্রাম, গোটা শুকনো লঙ্কা ৫টা, ছোট এলাচ ২টো, দারচিনির কাঠি ১ ইঞ্চি, লবঙ্গ ৪টে, গোটা গোলমরিচ ১০টা, তেজপাতা ২টো, গোটা জিরে ১ চা চামচ, গোটা ধনে ১ চা চামচ, নারকেল কোরা ৮০ গ্রাম, নারকেলের দুধ ৩০ মিলি, ঘি ২৫ মিলি।
প্রণালী: চিকেন কারি কাট করে কেটে নিন। এরপর একটা কড়াইয়ে জল নিয়ে তাতে সব গোটা মশলা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। সম্পূর্ণ জল টেনে নেওয়া পর্যন্ত ফোটাবেন। তারপর মশলা ঠান্ডা করে গুঁড়িয়ে নেবেন। একটা স্টিলের পাত্রে চিকেন নিয়ে তাতে আদা-রসুন বাটা, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, নুন এবং গুঁড়িয়ে নেওয়া মশলা মাখিয়ে নিন। তারপর চিকেন ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। একটা কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করে নিন। তাতে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে কষুন। তারপর ম্যারিনেট করা চিকেন দিন। তারপর তা ভাজা ভাজা করে নিন। চিকেনে আদা রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো ও বাদবাকি সব মশলা দিয়ে কষুন। নুন দিয়ে ঢিমে আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। চিকেন থেকে জল ছাড়লে একটু নেড়ে দেবেন। চিকেন সেই জলেই সেদ্ধ হয়ে যাবে। সেদ্ধ হয়ে চিকেনের গ্রেভি ঘন হয়ে গেলে ওপর থেকে নারকেল কোরা ও ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। সাদা ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
আম চিতল কালিয়া
উপকরণ: পেঁয়াজ বাটা ২০০ গ্রাম, টম্যাটো বাটা ১০০ গ্রাম, জিরে বাটা ২০ গ্রাম, ধনে বাটা ১০ গ্রাম, কাঁচালঙ্কা কুচি স্বাদ মতো, হলুদ গুঁড়ো চা চামচ, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো চা চামচ, আম তেল ২০ মিলি, কালো জিরে চা চামচ, বিটনুন স্বাদ মতো, নুন আন্দাজ মতো, গরমমশলা গুঁড়ো অল্প, চিতল মাছের পিঠ কোরানো ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ৫০ গ্রাম, ধনে পাতা কুচি ১০ গ্রাম, সেদ্ধ করা আলু ৪০ গ্রাম, রসুন বাটা ১০ গ্রাম।
প্রণালী: একটা স্যসপ্যানে মাছ নিয়ে তাতে আলু সেদ্ধ, কাঁচা লঙ্কা, ধনে পাতা মিশিয়ে মেখে নিন। এরপর তা টিকিয়ার আকারে গড়ে রাখুন। এরপর একটা কড়াইয়ে জল ফুটিয়ে তার মধ্যে এই টিকিয়াগুলো দিয়ে তা সেদ্ধ করে নিন। এই জলে একটু লেবুর রস দিয়ে দেবেন। এরপর টিকিয়াগুলো জল থেকে তুলে রেখে দিন। আর জলটাও আলাদা করে রেখে দিন। আর একটা কড়াইতে তেল গরম করে এই সেদ্ধ করা টিকিয়াগুলো ভেজে নিন। বাকি তেলে কালো জিরে ফোড়ন দিন। তারপর পেঁয়াজ বাটা দিয়ে কষিয়ে নিয়ে বাকি সব মশলা একে একে দিন ও একটা কাই তৈরি করুন। এই কাই বেশ কষিয়ে নিয়ে তাতে নুন দিন। তেল ছেড়ে এলে সেদ্ধ করা জল দিয়ে ফোটান। ফুটে উঠলে চিতল মাছের টিকিয়াগুলো দিন। বেশ খানিকক্ষণ ফুটিয়ে নিয়ে জল টানিয়ে নিন। ঝোল টেনে গিয়ে গা মাখা হলে আরও খানিকটা আমের তেল ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। গরম ভাত সহযোগে পরিবেশন করুন।
